ad

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়মাবলী ।

Views

 


অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়মাবলী ।

* যে কোন ওয়েব ব্রাউজার হতে https://etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। 

* ওয়েবসাইট দৃশ্যমান হলে মেনুতে e Return ক্লিক করুন। 

*e Return মেনুতে প্রবেশ করার পর Registration বাটনে ক্লিক করুন। 

* ১২ ডিজিটের টিআইএন নম্বর ও মোবাইল নম্বর প্রদান করুন। এরপর নির্দিষ্ট ঘরে Captcha টাইপ করে Verify বাটনে ক্লিক করুন। মোবাইল নম্বরে ৬ ডিজিটের একটি Verification কোড এর SMS আসবে। 

• ৬ ডিজিটের Verification কোড প্রবেশ করে পছন্দমত Password প্রদান করুন (Password কমপক্ষে ৮ ডিজিটের হতে হবে এবং কমপক্ষে একটি Capital Letter, একটি Number ও একটি Special Character যেমন,, #, % থাকতে হবে। 

* Password প্রদান সম্পন্ন হলে Submit বাটনে ক্লিক করুন। Registration সফলভাবে সম্পন্ন হলে Sign in বাটনে ক্লিক করুন। 

* ১২ ডিজিটের টিআইএন নম্বর, Password এবং Captcha টাইপ করে Sign in করুন। বাম দিকে Return Submission বাটনে ক্লিক করুন। 

• করদাতার প্রাথমিক তথ্যাদি দৃশ্যমান হবে। প্রযোজ্য Option সমূহে টিক চিহ্ন দিয়ে Save & Continue বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে চলে যান। 

*** সমগ্র আয়কর রিটার্ন প্রস্তুত হয়ে গেলে Tax & Payment পেজ এর নিচের দিকে Pay বাটনে ক্লিক করে অনলাইনে প্রদেয় আয়কর পরিশোধ করুন। 

*Sign View Return বাটনে ক্লিক করলে প্রস্তুতকৃত সামগ্রিক আয়কর রিটার্ন দৃশ্যমান হবে। উক্ত রিটার্নের শেষ পর্যায়ে Verification এ টিক চিহ্ন দিয়ে Submit Return বাটনে ক্লিক করে সফলভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করুন।


ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সকল সরকারি কর্মচারীর অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি দেশের প্রত্যেক আয়করদাতাকে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ায় উদ্বুদ্ধ করছে সরকার।

এনবিআর গত কয়েক বছর ধরেই অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের বিষয়টিকে উৎসাহ দিয়ে আসছে। ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের রিটার্ন জমা ও কর পরিপালন সহজ করতে এনবিআর গত ৯ সেপ্টেম্বর অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম উন্মুক্ত করে।

এনবিআর বলছে, ঝামেলা এড়াতে একজন করদাতাকে রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় কোন কাগজ জমা দিতে হবে না।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সহজে নিজের রিটার্ন তৈরি করে অনলাইনে জমা দিতে পারছেন। এর জন্য প্রথমেই ই-রিটার্নের জন্য সাইটটিতে গিয়ে নিবন্ধন করে নিতে হবে।

সেজন্য করদাতার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত কি না, তা আগে যাচাই করে নিতে হবে। যাচাই করার জন্য ১৬০০১ নম্বরে ডায়াল করতে হবে।

নিজের নামে বায়োমেট্রিক করা থাকলে তার কোনো অসুবিধা হবে না।

আয়ের ও সম্পদের বিপরীতে কত টাকা কর আসবে তার কোনো হিসাবও নিজের করতে হবে না। সেটি স্বয়ংস্ক্রিয়ভাবে হিসেব করা হয়ে যাবে।

এর জন্য আগের বছরের ১ জুলাই থেকে পরের বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত (অর্থবছর) সময়ের ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, সুদের তথ্য ও ব্যাংক হিসাবের নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। কোনো প্রমাণ বা কাগজ জমা দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না।

এ সিস্টেম থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা কর পরিশোধ করতে পারবেন।

জমা দেওয়া রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্টের সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া আগের বছরের জমা তেওয়া ই-রিটার্ন ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা যাচ্ছে।

ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোন সমস্যায় করদাতাদের সহায়তা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একটি সার্ভিস সেন্টার তৈরি করেছে। সেখানে ০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১ নম্বরে অফিস চলাকালীন ফোন করলে করদাতাদের ই-রিটার্ন সংক্রান্ত প্রশ্নের তাৎক্ষণিক সমাধানও দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া, www.etaxnbr.gov.bd এর eTax Service অপশন থেকে করদাতারা ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোন সমস্যা লিখিতভাবে জানালেও তার সমাধানও মিলছে।

✅ইনকাম ট্যাক্স সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর:-
প্রশ্ন: টিন থাকলে কি রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক?
উত্তর: জি, ইনকাম থাকুক অথবা না থাকুক টিন থাকলে রিটার্ন সাবমিট করতে হবে।
প্রশ্ন : প্রথমবার রিটার্ন দাখিল কেন বেশি গুরুত্ব দিতে হয়?
উত্তর : যারা প্রথমবার রিটার্ন জমা দিচ্ছেন তারা ফর্ম পূরণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। সম্পদের বিবরণ দাখিলের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ থাকুন। কোন কিছু লুকানোর চেষ্টা করবেন না।
অনেকে মনে করেন, প্রথমবার সব সম্পত্তির বিবরণ না দিয়ে ধাপে-ধাপে প্রতিবছর সেগুলো দেখানো হবে। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা।
বিষয়টি যদি আয়কর কর্তৃপক্ষের নজরে আসে তাহলে আপনি আইনগত ঝামেলায় পড়তে পারেন।
প্রশ্ন: বাৎসরিক ইনকাম কত টাকা হলে আয়কর দিতে হয়?
উত্তর: বাৎসরিক ইনকাম ৩,৫০,০০০ টাকা এর নিচে হলে (ছেলেদের জন্য) এবং মেয়েদের জন্য ৪,০০,০০০ টাকা এর নিচে হলে কোন আয়কর দেয়া লাগবেনা।
এর বেশি হলে পোস্টের পিকচার অনুযায়ী স্লাবে কর ধার্য হবে।
প্রশ্ন: রিটার্ন এ কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত?
উত্তর: আপনার ব্যক্তিগত আয়, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, ডিবেঞ্চার এবং অন্যান্য স্থাবর সম্পদের বিবরণ আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে।
প্রশ্ন: সময় মত আয়কর না দিলে কী হবে?
উত্তর: জরিমানা ও দন্ডসুদ দিতে হবে, অনাদায়ে কারাদন্ড।
প্রশ্ন: আয়কর সনদ কী?
উত্তর: করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দিলে কর সার্কেল তা যাচাই-বাছাই ও মূল্যায়ন শেষে করদাতাকে কর পরিশোধের একটি সনদ ওই সার্কেলের উপকর কমিশনার দিয়ে থাকেন। এ সনদই আয়কর সনদ।
প্রশ্ন: বাবার মৃত্যুর পর সম্পত্তির ক্ষেত্রে?
উত্তর: বাবার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি সন্তানদের মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে বণ্টন হবে। সম্পত্তি সন্তানদের সম্পত্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে প্রমাণপত্র হিসেবে বণ্টননামা দলিল বা দানপত্র দলিল বা অন্য কোনো যৌক্তিক প্রমাণ থাকতে হবে। বাবার সম্পত্তি যেহেতু সন্তান উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে, সেজন্য এ সম্পত্তির ওপর কোনো কর ধার্য হবে না।

ভিডিয়ো দেখে আরোও ভাল করে জেনে নিন।------------------------------------------------------------

No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.