পারিবারিক আদালত আইন, ২০২৩।
২০২৩ সনের ২৬ নং আইন।--
পারিবারিক আদালত আইন, ২০২৩।
রেজিস্টার্ড নং ডি এ-১
বাংলাদেশ গেজেট
অতিরিক্ত সংখ্যা
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত
সোমবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
ঢাকা, ৩ আশ্বিন, ১৪৩০/১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিম্নলিখিত আইনটি ৩ আশ্বিন, ১৪৩০ মোতাবেক ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতিলাভ করিয়াছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা যাইতেছে:—
২০২৩ সনের ২৬ নং আইন
Family Courts Ordinance, 1985 রহিতপূর্বক সময়োপযোগী করিয়া উহা পুনঃপ্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন
যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সনের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সনের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারীকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হইয়াছে এবং সিভিল আপিল নং-৪৮/২০১১ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পাইয়াছে; এবং
যেহেতু ২০১৩ সনের ৭ নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হইয়াছে; এবং
(১৩৩৭৩ ) মূল্য: টাকা ২০-০০
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং
যেহেতু সরকারের উপরি বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে Family Courts Ordinance, 1985
(Ordinance No. XVIII of 1985) রহিতক্রমে উহা সময়োপযোগী করিয়া পুনঃপ্রণয়ন করা
সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ ও প্রবর্তন। – (১) এই আইন পারিবারিক আদালত আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা ব্যতীত সমগ্র বাংলাদেশে প্রয়োগ হইবে।
(৩) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
২। সংজ্ঞা। — (১) বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,
(ক) “ইমেইল” অর্থ ইলেক্ট্রনিক, ডিজিটাল বা অন্য কোনো প্রযুক্তিগত পদ্ধতিতে প্রস্তুতকৃত
এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রেরিত বা প্রাপ্ত কোনো মেইল এবং তৎসংশ্লিষ্ট কোনো
দলিলাদি;
(খ) “দেওয়ানি কার্যবিধি” অর্থ Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908);
(গ) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
(ঘ) “পারিবারিক আদালত" অর্থ ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত পারিবারিক আদালত;
(ঙ) “পারিবারিক আপিল আদালত” অর্থ ধারা ১৮ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত পারিবারিক আপিল আদালত;
(চ) “ ফৌজদারি কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No.
V of 1898); এবং (ছ) “মুসলিম পারিবারিক আইন” অর্থ Muslim Family Laws Ordinance, 1961 (Ordinance No. VIII of 1961 ) ।
(২) এই আইনে ব্যবহৃত যে সকল শব্দ ও অভিব্যক্তির সংজ্ঞা প্রদান করা হয় নাই, সেই সকল শব্দ বা অভিব্যক্তি দেওয়ানি কার্যবিধি'তে যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে প্রযোজ্য হইবে।
৩। আইনের প্রাধান্য। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।
৪। পারিবারিক আদালত প্রতিষ্ঠা। – (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রত্যেক জেলায় এক বা একাধিক পারিবারিক আদালত প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে
সম্পুর্ণ গেজেট পড়তে পিডিএফ ডাউনলোড করুন।
সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড
No comments
Your opinion here...