১৭ এপ্রিল, ২০২৩ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আন্তঃ মন্ত্রণালয় সভার কার্যবিবরণী।
Views
সম্পূর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড
১৭ এপ্রিল, ২০২৩ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আন্তঃ মন্ত্রণালয় সভার কার্যবিবরণী।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
সরকারি পরিবহন পুল ভবন
সচিবালয় সংযোগ সড়ক, ঢাকা
প্রশাসন-১ শাখা।
www.molwa.gov.bd
বিষয়: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আন্ত: মন্ত্রণালয় সভার কার্যবিবরণী।
সভাপতি:
আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, এমপি
মাননীয় মন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
সভার তারিখ ও সময়:
১২/৩/ ২০২৩ সকালে ১১.০০ ঘটিকা।
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ।
সভায় উপস্থিত কর্মকর্তা বৃন্দের নামের তালিকা পরিশিষ্ট 'ক' ভ্রষ্টব্য।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি এর সভাপতিত্বে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচি চূড়ান্তকরণ এবং উহা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কমিটি, উপ কমিটি গঠন ও কমিটির দায়-দায়িত্ব নিরূপণের জন্য ১২/০৩/ ২০২৩ তারিখে একা আন্ত: মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
০২। সভার প্রারম্ভের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব জনাব খাজা মিয়া সভাপতির অনুমতিক্রমে উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এছাড়াও তিনি দেশের জন্য আত্মদানকারী সকল শহীদ কে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন। তিনি মহান ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন যে ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করে। এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার। এ সরকারের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয় বিধায় ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই মহিমান্বিত দিবস উদযাপনের জন্য প্রতিবছর উদ্যোগ নেয়া হয়ে থাকে। এ পর্যায়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীকে সূচনা মূলক বক্তব্য প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান।
০৩। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, এমপি ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে মুজিবনগর দিবসে প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জানান, স্বাধীনতার ইতিহাসটাকে আমরা খুব সংকীর্ণ করে নিয়ে এসেছি। তিনি জানান মূলত স্বাধীনতা শুরু হয়েছিল ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু সেদিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, এ দেশকে স্বাধীন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুই একমাত্র নেতা যিনি শেষ পর্যন্ত আপোষহীন থেকে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তাই তিনি জাতির একক নেতায় পরিণত হয়েছিলেন ৭ই মার্চের ভাষণে তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম রাজনৈতিক নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। বিশ্ব জনমত পক্ষে ছিল বলেই মাত্র নয় মাসেই এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল এবং ২৬ শে মার্চ এ প্রত্যক্ষ ঘটনার পর তারই নির্দেশে ১০ই এপ্রিল সরকার গঠন হয় এবং ১৭ই এপ্রিল শপথ হয় এই ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকারের। এই দিনে মুজিবনগর সরকার গঠিত না হলে বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ পরিচালিত হতো। এই কারণে এই দিবস্টা যথাযথ মর্যাদার সাথে পালনের জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এ পর্যায়ে তিনি মুজিবনগর দিবস পবিত্র রমজান মাসে হচ্ছে সে কারণে কর্মসূচি গুলো অতীতের মতো না করে গতবারের ন্যায় পুনর্বিন্যাস করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
০৪। এ পর্যায়ে মন্ত্রণালয় সচিব মহোদয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় ভূমিকার কথা সভাপতি মহোদয় অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছি করলেন আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের যে দীর্ঘ সংগ্রাম লড়াই তার প্রেক্ষাপটে। তিনি এই সাথে ৩০ লক্ষ শহীদসহ ২ লক্ষ মা বোন এবং অন্য যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আত্মত্যাগ করেছেন অবদান রেখেছেন তাদের সবাইকে গভীরভাবে স্মরণ করেন। তারপর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এবং অন্যান্য মাননীয় মন্ত্রীবর্গ বাংলাদেশের যুদ্ধকে একটি জনযুদ্ধে বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অধীনে যুদ্ধ হিসেবে পরিচালিত করেছেন এবং এই জন্য সারা বিশ্বে প্রধান প্রধান মিত্র রাষ্ট্রসমূহের সমর্থনে এবং অকুতোভয় বীর বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। সভায় বিস্তারিত আলোচনা পর্যালোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ২০২৩ উদযাপনের লক্ষ্যে নিম্নরূপ প্রস্তাবিত জাতীয় কর্মসূচি সর্বসম্মতিক্রমে প্রণয়ন করা হয়:
সম্পূর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড
No comments
Your opinion here...