সংযুক্তিকৃত কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত ছাড়া বেতন–ভাতা বন্ধের নির্দেশ
সংযুক্তিকৃত কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত ছাড়া বেতন–ভাতা বন্ধের নির্দেশ
📰 পরিপত্রের সারসংক্ষেপ
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ তারিখে (০৮ ডিসেম্বর ২০২৫) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে, স্মারক নং ৩৮.০১.০০০০.০৭.৩১.০৩৪.১৯-২৫১৬। আদেশে বলা হয়েছে, সংযুক্তিকৃত (ভিন্ন কর্মস্থলে স্থায়ীভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষকদের জন্য — যে কর্মস্থলে তাদের সংযুক্তি রয়েছে, সেখানে নিয়মিত হাজিরা ও উপস্থিতি নিশ্চিত, উপযুক্ত প্রত্যয়ন (এটেন্ডেন্স/অক্টিভিটি ভেরিফিকেশন) সাপেক্ষে বেতন–ভাতা প্রদান কার্যকর হবে।
অন্যথায়:
যদি কেউ অনুমোদন ব্যতিরেকে অনুপস্থিত থাকেন বা অব্যাহতি ছাড়াই বেতন উত্তোলন করেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী বা আয়নব্যয়ন কর্মকর্তা দায়ী হবেন।
-
অর্থাৎ, “অবৈধ বেতন উত্তোলন বা অননুমোদিত অনুপস্থিতি” হলে বেতন ভাতা চেক/বাঁধা থাকবে।
🧑🏫 কেন এমন উদ্যোগ?
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর লক্ষ্য করেছে যে, অনেক সংযুক্তিকৃত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষক — তাদের মূল/নিয়মিত কর্মস্থলে না থেকে, অন্যত্র (সংযুক্তি কর্মস্থলে) কাজ করলেও, কখনো–কহার ছুটি না নিয়ে ব্যাংক বা iBAS-এর মাধ্যমে বেতন উত্তোলন করছেন।
-
এটি শুধু সরকারি অর্থরাশিতে ক্ষতি করছে না, একই সাথে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলায় ভুল বার্তা দিচ্ছে।
এমন অনিয়ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ রোধে এই নতুন নিয়ম।
প্রতিক্রিয়া ও প্রেক্ষাপট
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও প্রশাসনিক ব্যয় বৃদ্ধির জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে অধিদপ্তর; ২০২৫ সালের অক্টোবরেই প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। (24updatenews.com)
-
তাতে সাধারণভাবে, সরকারি শিক্ষক–কর্মচারীদের আর্থিক সুযোগ সুবিধার উন্নতি হলেও, একই সঙ্গে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার গুরুত্ব আরও বাড়ছে।
-
নতুন এই নির্দেশনাটি, অনেকে দেখছেন — দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম ও অনুপস্থিতি ভিত্তিক বেতন উত্তোলনের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে আনার একটি পদক্ষেপ।
বিশ্লেষণ: সম্ভাব্য প্রভাব
আগামী দিনগুলোতে, সংযুক্তিকৃত শিক্ষক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা যারা অন্য কর্মস্থলে থাকেন, তাদের নিয়মিত হাজিরা নিশ্চিত করতে হবে — এবং যদি ব্যর্থ হন, তাহলে বেতন ভাতা বন্ধ হবে।
-
এটি সুসংগঠিতভাবে কাজ করলে — অর্থনৈতিক সংস্থান যথার্থভাবে ব্যয় হবে, আর সরকারি বেতনভাতা নির্দিষ্ট কাজের জন্যই কাজে লাগবে।
-
তবে, মাঠ পর্যায়ে উপস্থিতি যাচাই ও “উপযুক্ত প্রত্যয়ন” ব্যবস্থা চালু হওয়া জরুরি — নয়তো, অনেকে বেতন আটকে পড়লে কর্ম-উদ্দীপনা হ্রাস পেতে পারে।
উপসংহার
নিয়মিত হাজিরা যাচাই ও প্রাপ্যতার ভিত্তিতে বেতন–ভাতা নিশ্চিত করার দাবি — সরকারি কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক শুদ্ধতা নিশ্চিত করতে পারে। নতুন নির্দেশনা যদি সফলভাবে প্রয়োগ করা যায়, তাহলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বাড়বে। তবে বাস্তবায়নে যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো কাটিয়ে ওঠাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
সেকশন ২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬
www.dpe.gov.bd
তারিখ:-২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
স্মারক নং ৩৮.০১.০০০০.০৭.৩১.০৩৪.১৯-২৫১৬
বিষয়: সংযুক্তিকৃত কর্মস্থলের প্রত্যয়ন সাপেক্ষে বেতনভাতা পরিশোধ।
উপযুক্ত বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বা মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক অনেকক্ষেত্রে নিজ কর্মস্থলের পরিবর্তে সংযুক্তিতে অন্য কর্মস্থলে কর্মরত আছেন। ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সংযুক্তিকৃত কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষকগণের মধ্যে কেহ কেহ কর্মস্থলে উপস্থিত না থেকে বা ছুটি অনুমোদন ব্যতিরেকে আইবাসের মাধ্যমে বেতন ভাতা উত্তোলন করে থাকেন। এতে সরকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন এবং কর্মচারী শৃংখলা বিনষ্ট হচ্ছে।
২। এমতাবস্থায়, সংযুক্তিকৃত কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষকগণের সংযুক্তিকৃত কর্মস্থলে নিয়মিত উপস্থিতির উপযুক্ত প্রত্যয়ন সাপেক্ষে বেতনভাতা পরিশোধের জন্য অনুরোধ করা হলো। সংযুক্তিকৃত ব্যক্তির অননুমোদিত অনুপস্থিতি স্বত্তেও বেতনভাতা উত্তোলন করলে সংশ্লিষ্ট আয়নব্যয়ন/নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।
স্বাক্ষরিত
মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম
সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন)



No comments
Your opinion here...