ad

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট: নিরাপত্তা বাহিনীর মহাপরিকল্পনা– ইসিতে উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় সভা

Views

 


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট: নিরাপত্তা বাহিনীর মহাপরিকল্পনা– ইসিতে উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় সভা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর ২০২৫) রাজধানীর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার-ভিডিপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাটি সঞ্চালনা করেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ

সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের সামনে নির্বাচন-পূর্ব সার্বিক প্রস্তুতির বিস্তারিত তুলে ধরেন।

🔰 তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়

নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিনটি স্তরে বাহিনী মোতায়েন করা হবে—
1️⃣ স্ট্যাটিক ফোর্স: প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী বাহিনীর সদস্যরা।
2️⃣ মোবাইল ফোর্স: ভ্রাম্যমাণ টহল, চেকপোস্ট পরিচালনা ও দ্রুত প্রতিক্রিয়া দল হিসেবে কাজ করবে।
3️⃣ কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্স: কোনো এলাকায় অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে মোতায়েন করা হবে।

সচিব জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ‘লিড মিনিস্ট্রি’ হিসেবে কাজ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আর নির্বাচন কমিশন সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে। এ জন্য একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান in aid to civil power–এর আওতায় সেনাবাহিনীর যে ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতা রয়েছে, তা ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

🛡️ কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল ও সাইবার সিকিউরিটি সেল

গুজব, অপতথ্য ও অনলাইন প্রোপাগান্ডা প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। এতে সেনা, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রতিনিধি থাকবেন।

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপতথ্য প্রতিরোধে গঠন করা হবে সাইবার সিকিউরিটি সেল, যা—

  1. ইসির নিজস্ব সক্ষমতা

  2. ইউএনডিপির প্ল্যাটফর্ম

  3. তথ্য মন্ত্রণালয়

  4. সিআইডি

  5. এনটিএমসি

  6. বিভিন্ন ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থার সহায়তায় অনলাইনের গুজব মোকাবিলা করবে।

 তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই

সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান—

👉ডিসেম্বরে প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
👉জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে।
👉প্রায় ১০ কোটি ভোটারের জন্য 
👉৩০০ আসনে ৪৩ হাজার ভোটকেন্দ্র
👉২ লাখ ভোটকক্ষ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

তবে ২৯ নভেম্বর মক ভোটিং-এর পর কেন্দ্রের সংখ্যা কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে বলে জানান তিনি।

⚠️ কন্টিনজেন্সি পরিকল্পনা: পাহাড়ি অঞ্চলে বাড়তি নজরদারি

প্রতিটি এলাকায় আলাদা কন্টিনজেন্সি প্ল্যান প্রস্তুত রাখা হবে।
বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সীমাবদ্ধতার কারণে অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে

গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা—

  1. অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার

  2. বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা

  3. সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি

  4. পোস্টাল ব্যালট পরিবহন, কাস্টডি ও গণনায় কঠোর নিরাপত্তা

তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আচরণবিধির কঠোর প্রয়োগে কমিশন কঠোর অবস্থানে থাকবে

স্বাক্ষরিত

মোঃ রুহল আমিন মল্লিক
পরিচালক (জনসংযোগ)
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন 

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়

স্মারক নং--১৭,০০,০০০০,০৪০,৮৬,০০১,১৮-২৬৯

তারিখঃ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩২

২৭ নভেম্বর ২০২৫

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা মোতায়েন পরিকল্পনার সার্বিক প্রস্তুতির লক্ষ্যে অদ্য ২৭নভেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার-ভিডিপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে পরিকল্পনা সমন্বয় ও দিকনির্দেশনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি সঞ্চালনা করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব আখতার আহমেদ। সভায় নির্বাচন কমিশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব আখতার আহমেদ নিম্ন বর্ণিত বিষয়সমূহ সংবাদ মাধ্যমকে অবহিত করেন:

নিরাপত্তা ব্যবস্থা:

তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হবে যথা- স্ট্যাটিক, মোবাইল ও সেন্ট্রাল রিজার্ভ। এক ভাগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে 'স্ট্যাটিক' দায়িত্ব পালন করবেন। আরেক ভাগে থাকবে মোবাইল ফোর্স, যারা ভ্রাম্যমাণ ও স্বামী চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করবে। তৃতীয় ভাগে থাকবে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্স, যারা প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা দেবে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে 'লিড মিনিস্ট্রি' হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করবে এবং নির্বাচন কমিশন সার্বিক সমন্বয় ও মনিটরিং করবে। এ জন্য কেন্দ্রে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। বর্তমানে in aid to civil power এর আওতায় সেনাবাহিনীকে যে ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল পাওয়ার দেওয়া হয়েছে তা ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ পর্যন্ত বহাল থাকবে, তারা সেই ক্ষমতা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।

কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল ও সাইবার সিকিউরিটি সেল:

ইসির নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং গুজব অপতথ্য প্রতিরোধে উচ্চ পর্যায়ের কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠিত হবে। এতে সেনা, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রতিনিধি্রা যুক্ত থাকবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য শনাক্ত ও প্রতিহত করতে গঠন করা হবে সাইবার সিকিউরিটি সেল। ইউএনডিপির প্ল্যাটফর্ম, ইসির নিজস্ব সক্ষমতা, তথ্য মন্ত্রণালয়, সিআইডি, এনটিএমসি ও বিভিন্ন সংস্থার ফ্যাক্ট-চেকিং সুবিধা ব্যবহার করে অনলাইনে গুজব মোকাবিলা করার ব্যবস্থা রাখা হবে।

তফসিল:

তিনি জানান, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে হবে। তিনি আরও জানান প্রায় ১০ কোটি ভোটারের ভোটাধিকার প্রযোগের সুবিধার্থে ৩০০ সংসদীয় আসনের জন্য প্রায় ৪৩ হাজার কেন্দ্র ও দুই লাখ ভোটকক্ষ স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে আগামী ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মক ভোটিং এর পর এ সংখ্যা পরিবর্তিত হতে পারে।

আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতে কন্টিনজেন্সি পরিকল্পনা:

প্রতিটি এলাকায় কন্টিনজেন্সি প্ল্যান রাখা হবে, পাহাড়ি অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে অতিরিক্ত প্রস্তুতি নেওয়া হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, বৈধ অস্ত্র জমা, সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি বাড়ানোসহ পোস্টাল ব্যালট পরিবহন, কাস্টডি ও গণনার সময় কঠোর নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আচরণবিধির কঠোর প্রয়োগে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে থাকবে।

স্বাক্ষরিত

(মোঃ রুহল আমিন মল্লিক)

পরিচালক (জনসংযোগ)


No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.