৬৫,৫৬৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্রডব্যান্ড সংযোগ: ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদনে নির্দেশ জারি
৬৫,৫৬৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্রডব্যান্ড সংযোগ: ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদনে নির্দেশ জারি
ঢাকা, ১৬ নভেম্বর ২০২৫: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন “ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি)” প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগপ্রাপ্ত ২৯,৭৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদনের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি জারি করা হয়েছে ০১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (১৬ নভেম্বর ২০২৫) তারিখে।
ডিপিই’র পরিচালক (তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ) ও যুগ্মসচিব মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনায় জানানো হয়, গত ১৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ডিপিই এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আলোকে ইন্টারনেট সংযোগপ্রাপ্ত প্রতিটি বিদ্যালয়ের সাথে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ISP প্রতিষ্ঠান এবং উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তাকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন করতে হবে।
নির্দেশনায় তিনটি সংযুক্তি পাঠানো হয়েছে—
১) স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (MoU)
২) ত্রিপক্ষীয় চুক্তির খসড়া
৩) সংযুক্ত বিদ্যালয়ের তালিকা
ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্প: লক্ষ্য ও অগ্রগতি
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ২৩ নভেম্বর ২০২১ সভায় অনুমোদিত প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হলো—
সারাদেশে টেকসই ইন্টারনেট অবকাঠামো গড়ে তোলা,
-
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তি দক্ষ করে তোলা,
-
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ICT Tools ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল পাঠদান নিশ্চিত করা।
ইডিসি প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৬৫,৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪-কোর অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতি ও ২০ এমবিপিএস ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের কাজ চলছে।
এছাড়া সংশোধিত ইডিসি-১ প্রকল্পের আওতায় মোট প্রায় ৩৬,০০০ বিদ্যালয়কে ‘এক দেশ এক রেট’ অনুযায়ী ২০ এমবিপিএস ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করা হবে।
চুক্তির মূল বিষয়সমূহ
চুক্তির মেয়াদ
১ জুলাই ২০২৫ থেকে পরবর্তী ৩ বছর কার্যকর।
-
অভিযোগ না থাকলে মেয়াদ শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হবে।
সেবার মান
ISP প্রতিষ্ঠানকে ৯৯% আপ-টাইম নিশ্চিত করতে হবে।
-
‘এক দেশ এক রেট’ অনুযায়ী মাসিক সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা (ভ্যাটসহ) ব্যান্ডউইথ চার্জ ধার্য হবে।
বিল পরিশোধ
প্রতিটি বিদ্যালয় মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ISP-কে বিল পরিশোধ করবে।
-
সরকারি বরাদ্দে বিলম্ব হলে সময়সীমা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়বে।
পক্ষগুলোর দায়িত্ব
১. সেবা গ্রহণকারী (বিদ্যালয় ও ডিপিই)
নিয়মিত বিল পরিশোধ।
-
ইডিসি প্রকল্পের এক বছর পর থেকে ডিভাইস নষ্ট হলে বিদ্যালয় নিজ ব্যয়ে মেরামত করবে।
-
সেবার মান খারাপ হলে অভিযোগের ভিত্তিতে ISP পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে।
-
যন্ত্রপাতি চুরি হলে সমমানের নতুন যন্ত্র ক্রয় করতে হবে।
২. সেবা প্রদানকারী (ISP প্রতিষ্ঠান)
ওয়ারেন্টির মধ্যে ডিভাইস নষ্ট হলে ৩ দিনের মধ্যে মেরামত/প্রতিস্থাপন।
-
ফাইবার লাইন শহরে ৪ ঘণ্টা এবং দুর্গম এলাকায় যৌক্তিক সময়ের মধ্যে মেরামত।
-
ডিভাইস নষ্ট হলে ব্যাকআপ যন্ত্র দিয়ে সংযোগ সচল রাখা।
-
প্রয়োজনীয় ব্যবহারকারী প্রশিক্ষণ প্রদান।
-
ISP পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হলে যন্ত্রপাতি নতুন ISP-কে হস্তান্তর।
৩. উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা
ডিভাইসের গুণগত মান যাচাই।
-
সেবা বিঘ্নিত হলে যৌথভাবে তদন্ত।
-
অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে ISP পরিবর্তনের সুপারিশ।
-
বিটিআরসি নির্দেশনা অনুযায়ী জরিমানা দেওয়ার সুপারিশ করা।
বিতর্ক বা মতপার্থক্য নিষ্পত্তি
চুক্তি অনুযায়ী কোনো বিরোধ দেখা দিলে তা বিটিআরসি বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বিটিআরসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ও বাধ্যতামূলক।
উপসংহার
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে শিক্ষা খাতকে আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে ইডিসি প্রকল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নিশ্চিত হলে শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হবে এবং শিক্ষার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
সরকার ইতোমধ্যে অবকাঠামো স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আর এবার বিদ্যালয়-ISP-প্রশাসনের সমন্বয়ে মাঠপর্যায়ের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদিত হলে প্রকল্পটি পূর্ণ গতিতে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
মিরপুর-২, ঢাকা-১২১৬
www.dpe.gov.bd
নং-৩৮.০১.০০০০.৯০০.১০.০০২.২৪-১৩২১
তারিখ: ০১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ১৬ নভেম্বর ২০২৫
বিষয়: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগকৃত ২৯,৭৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সংক্রান্ত।
উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন "ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি)" শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৬৫,৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে End User Connectivity প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গত ১৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর সাথে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয় (সংযুক্তি বর্ণনা মোতাবেক)।
০২। সমঝোতা স্মারকে উল্লিখিত চুক্তির শর্তানুযায়ী ইন্টারনেট সংযোগকৃত ২৯,৭৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। বর্ণিত চুক্তিটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে প্রথম পক্ষ (ক) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (খ) সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, দ্বিতীয় পক্ষ ISP প্রতিষ্ঠান এবং তৃতীয় পক্ষ উপজেলা আইসিটি অফিসার এর সমন্বয়ে চুক্তিটি সম্পাদিত হবে। উক্ত চুক্তির ১টি খসড়া এতদসংগে সংযুক্ত করা হলো (সংযুক্তি বর্ণনা মোতাবেক)।
০৩। এমতাবস্থায়, চলমান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের End User Connectivity স্থাপন সম্পন্ন করার নিমিত্ত বর্ণিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
সংযুক্তি: ০১। সমঝোতা স্মারক (MoU) এর কপি।
০২। ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদনের খসড়া কপি।
০৩। বিদ্যালয়ের তালিকা।
স্বাক্ষরিত
(মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম)
যুগ্মসচিব
পরিচালক (তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ)
প্রস্তাবনা
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পটির আওতায় দেশব্যাপী ৩৭টি প্যাকেজের জন্য ৩৭টি Internet Service Provider (ISP) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৪ (চার) কোরের অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ও সংযোজনী "ক" এ উল্লেখিত নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতিসহ সংযোগ প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রকল্পটির লক্ষ্য হচ্ছে যুগোপযোগী ও টেকসই একটি ইন্টারনেট অবকাঠামো প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবার মান উন্নয়ন করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দেশের তরুণ সমাজকে প্রস্তুতকরণ এবং জনগণের জীবনকে সহজতর করার লক্ষ্যে ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করা। ইন্টারনেট অবকাঠামো ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা IT বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে ICT Tools ব্যবহার করে শ্রেণি পাঠদান করতে পারবে।
গত ২৩ নভেম্বর ২০২১ তারিখ অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি-তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সংযুক্ত তালিকা অনুসারে সারাদেশে ৬৫,৫৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যুগোপযোগী ও টেকসই একটি ইন্টারনেট অবকাঠামো প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে শিক্ষার্থীদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য ৪ (চার) কোরের অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ও সংযোজনী "ক" এ উল্লিখিত নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতি ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটসহ "End User Connectivity" প্রদানের সংস্থান রয়েছে। ডিপিপি-এর সংস্থান মোতাবেক নেটওয়ার্ক অবকাঠামো স্থাপন ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মধ্যে উভয় প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য সমুন্নত রাখার মাধ্যমে কার্যক্রমটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের নিমিত্ত এই "সমঝোতা স্মারক" প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখবে। "ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি)-১ম সংশোধিত" শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন আনুমানিক ৩৬,০০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর "এক দেশ এক রেট" অনুসারে উচ্চগতির ২০ এমবিপিএস বা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রয়োজন অনুসারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটসহ সংযোগ প্রদান করা হবে। বিটিআরসি'র "এক দেশ এক রেট" বা ISP এর সাথে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্য (যাহা তুলনামূলক কম মূল্য হয়) অনুসারে উচ্চগতির ২০ এমবিপিএস বা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রয়োজন অনুসারে ISP প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরবরাহ সাপেক্ষে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এর মূল্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ কর্তৃক ISP কে পরিশোধ করবে।
অন্যদিকে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর নানামুখী প্রকল্প ও কর্মকান্ডের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে যার একটি সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য হচ্ছে সকলের জন্য ইন্টারনেট অবকাঠামো প্রস্তুতের মাধ্যমে ইন্টারনেট সহজলভ্য করা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এর উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস তথা রাষ্ট্র উপকৃত হচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর উভয়ের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ প্রকল্পের "End User Connectivity" কম্পোনেন্টটির বাস্তবায়ন গতিশীল হবে।
"অনুচ্ছেদ ও শর্তাবলি"
অনুচ্ছেদ ১- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মধ্যে তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদান:
(ক) এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সর্বোচ্চ ১৫ (পনের) কার্যদিবসের মধ্যে প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত সকল কারিগরি কার্যাদি সম্পাদন সাপেক্ষে দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষের নিকট End User Connectivity প্রদানের জন্য নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা এবং প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধির নাম ও ফোন নম্বর প্রদান করবে।
(খ) ১ম পক্ষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদানযোগ্য End User Connectivity এর One time cost (OTC) বহন করবে ও WiFi Router এর ওয়ারেন্টি নিশ্চিত করার বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবে। ২য় পক্ষ প্রাথমিক শিক্ষা অধিরপ্তরের নিয়ন্ত্রনাধীন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট সংযোগ সম্পন্ন হওয়ার পর বা জুলাই ২০২৫ থেকে থেকে (অনুচ্ছেদ নং ৩(খ) অনুযায়ী) বিটিআরসি'র "এক দেশ এক রেট" অনুসারে বা নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্য অনুসারে (যাহা তুলনামূলক কম মূল্য হয়) উচ্চগতির ২০ এমবিপিএস বা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের প্রয়োজন অনুসারে Monthly Recurring Cost (MRC) এর ব্যয় বহন করবে। এক বছরের পর থেকে যন্ত্রপাতির যে কোনও ধরনের সমস্যা দেখা দিলে ২য় পক্ষ প্রাথমিক শিক্ষা অধিরপ্তরের নিয়ন্ত্রনাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ নিজ খরচে তা সমাধান করবে; যেমন WiFi Router, মিডিয়া কনভারটার, অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক ইউনিট (ONU) ইত্যাদি যদি নষ্ট হয় বা ত্রুটি বা অন্য কোনও সমস্যা দেখা দেয়।
গ) WiFi Router এর warranty ০১ জুলাই ২০২৫ তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছর বলবৎ থাকবে এবং WiFi
Router সরবরাহকারি নির্বাচিত ISP প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করবে।
ঘ) End User Connectivity প্রদান সম্পন্ন হওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রদানকৃত তালিকাভুক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ থেকে User Provisional Acceptance Certificate (UPAC) প্রথম পক্ষকে প্রদান করবে।
ঙ) End User Connectivity প্রদান সম্পন্ন হওয়ার পর এবং User Provisional Acceptance Certificate (UPAC) প্রদানের ১ (এক) মাস পর প্রদানকৃত সংযোগের পারফরম্যান্স যাচাইপূর্বক যদি কোন ব্যত্যয় না থাকে, সংযোগ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান User Final Acceptance Certificate (UFAC) প্রথম পক্ষ তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরকে প্রদান করবে।
চ) WiFi Router ও তৎসংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি যা ২য় পক্ষ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন অনুমোদিত তালিকাভুক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে স্থাপন করা হবে, সে সকল যন্ত্রপাতি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হেফাজতে থাকবে ও উক্ত প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
চুক্তির শর্তাবলি:
অনুচ্ছেদ-১: সংজ্ঞাসমূহ
এ চুক্তিতে, অন্যরূপে প্রকাশিত না হলে, কতিপয় শব্দ, শব্দাবলি নিম্নে বর্ণিত রূপে অর্থ প্রকাশ করবে এবং প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে, একবচন অর্থে ব্যবহৃত শব্দ বহুবচন এবং একইভাবে, বহুবচন অর্থে ব্যবহৃত শব্দ একবচন অর্থেও প্রকাশিত হবে:
"চুক্তি” অর্থ এ ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্র ও এতে বর্ণিত সকল সংযোজনীসমূহ যা চুক্তিটির অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে বিবেচিত হবে এবং এ চুক্তির সূত্রে বা বরাত প্রদানপূর্বক পক্ষগণের মধ্যে সম্পাদিত যে কোনো লেনদেন এবং পক্ষগণ কর্তৃক সম্পাদিত এ চুক্তির যে কোনো সংশোধনী চুক্তি।
"চুক্তির মেয়াদ" অর্থ এ চুক্তির অনুচ্ছেদ ২ এ বর্ণিত চুক্তিটি কার্যকর হবার তারিখ থেকে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ পর্যন্ত সময়কাল।
অনুচ্ছেদ-২: চুক্তির মেয়াদ ও অবসান
ক) এ চুক্তিটির মেয়াদ ০১-০৭-২০২৫ তারিখ হতে পরবর্তী ৩ (তিন) বছর ("চুক্তির মেয়াদ")।
খ) চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পর যদি কোনো পক্ষেরই কোনো বিষয়ে কোন ধরণের অভিযোগ না থাকে, সে ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে
এ চুক্তির নবায়ন ঘটবে এবং চুক্তির সকল শর্তাবলি পক্ষগণের ওপর একইরূপে আইনগতভাবে বাধ্য থাকবে। এছাড়া প্রয়োজনে ৩০ (ত্রিশ) দিনের লিখিত নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে যে কোনো সময় সংশোধিত চুক্তি সম্পাদন করতে পারবে বা চুক্তি বাতিল করতে পারবে।
অনুচ্ছেদ-৩: সেবার পরিধি (Scope of Service) ও ট্যারিফ
এ চুক্তিতে বর্ণিত শর্তাবলী প্রতিপালন সাপেক্ষে বিটিআরসি কর্তৃক জারীকৃত ISP প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদান সংশ্লিষ্ট গাইডলাইনের আওতায় ISP প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইন্টারনেট সেবা প্রদানের মান ৯৯% আপ-টাইম সমুন্নত রাখতে হবে এবং সার্ভিস লেভেল চুক্তি অনুসারে সেবাপ্রদানকারী ISP প্রতিষ্ঠান গ্রাহককে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করবে। ISP প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিগত ৬ই জুন, ২০২১ খি. তারিখে বিটিআরসি কর্তৃক ঘোষিত নিম্নে লিখিত ট্যারিফ 'এক দেশ, এক রেট' (ট্যারিফ) বা ত্রিপক্ষীয় নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্য (যা তুলনামূলক কম হয়) অনুযায়ী ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান থেকে প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃক ISP প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ করবে।
ব্যান্ডউইথের পরিমাণঃ ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ বা প্রাথমিক শিক্ষা অধিরদপ্তরের প্রয়োজন অনুসারে ১:৮ শেয়ারড লাইন বা ডেডিকেটেড লাইন। চুক্তি অনুসারে ব্যান্ডউইথের পরিমাণ ২০ MBPS। শেয়ারড লাইন বা ডেডিকেটেড লাইন। |
সর্বাধিক প্যাকেজ মূল্য (টাকা)ঃ ১,০০০.০০ (এক হাজার) টাকা ভ্যাটসহ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) যা বিটিআরসি কর্তৃক 'এক দেশ, এক রেট' (ট্যারিফ) বা ত্রিপক্ষীয় নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্য (যা তুলনামূলক কম মূল্য হয়)। এই চুক্তি মূল্য বিটিআরসি কর্তৃক সময় সময় পরিবর্তীত মূল্য বা ISP প্রতিষ্ঠান সাথে পুনঃনেগোসিয়েশনের মাধ্যমে ধার্যকৃত রেট প্রযোজ্য হবে। চুক্তি অনুসারে ব্যান্ডউইথের প্যাকেজ মূল্য: ১,০০০.০০ (এক হাজার) টাকা
অনুচ্ছেদ-৪: আর্থিক লেনদেন
ক) ইনভয়েসিং: সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ISP কর্তৃক সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বরাবর ই-মেইলে অথবা WatsApp বা মোবাইল এসএমএস বা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে বিল প্রেরণ করবে;
খ) প্রতিটি ইন্টারনেট বিলে নিম্নের তথ্যাবলী অন্তর্ভুক্ত থাকবে:
সংযোগ আইডি নং:
চুক্তির স্মারক নং:
বিল পরিশোধের সর্বশেষ তারিখ:
সংযোগ প্রদানের গ্রহণযোগ্যতার সনদ (UPAC/UFAC) (প্রথমবার)
গ) উপরে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ইনভয়েসে উল্লিখিত সমুদয় বিল পরিশোধে ব্যর্থ হলে, ISP কর্তৃক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নোটিশ প্রদান করা হবে। কোন কারণে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বা অর্থ ছাড়ের বিষয় সম্পৃক্ত থেকে, সে ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ পর্যন্ত বিল পরিশোধের সময়সীমা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি হবে।
অনুচ্ছেদ- ৫ ফোর্স মেজার
সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত দৈবিক কোনো শক্তি বা Act of God এর কারণে বা যুদ্ধে, শত্রুতা, আক্রমণ, বিদেশী শত্রুদের আক্রমণ, বিদ্রোহ, সন্ত্রাসবাদ, শ্রমিক বিদ্রোহ, সামরিক বা দখলদারিত্ব, নাশকতা বা গ্রহণ দাঙ্গা, ধর্মঘট, কারফিউ, অবরোধ, সরকারি নিষেধাজ্ঞা, রাজনৈতিক সংকট, হরতাল, পরিবেশগত দুর্যোগ/বিপর্যয়, ঘূর্ণিঝড়, হারিকেন, টাইফুন, সুনামি, তীব্র ঝড়, বন্যা, ভূমিকম্প, ভূমিধ্বস, দাবদাহ, মহামারী, কোয়ারেন্টাইন বিধিনিষেধ, বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, অপ্রত্যাশিত প্রযুক্তিগত বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়/দুর্যোগ বা অনুপ্রবেশ বা নেটওয়ার্ক/কানেক্টিভিটির অন্য কোনও ক্ষতি, সরকারী সংস্থাগুলোর কার্য, জাতীয় গ্রিডে পাওয়ার ফেইলিউর, অর্থনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী মন্দা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সার্ভিসের গুণগত মানের অবনতি হলে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা যাবে না।
অনুচ্ছেদ - ৬ পয়েন্ট অফ কন্টাক্ট
১ম পক্ষ (সেবা গ্রহণকারী)
২য় পক্ষ (সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি)
৩য় পক্ষ (আইসিটি অধিদপ্তরের প্রতিনিধি)
অনুচ্ছেদ-৭: নোটিশ
সমস্ত নোটিশ, অনুরোধ, তাগিদপত্র এবং অন্যান্য যোগাযোগ পক্ষগণের নির্ধারিত ঠিকানায় পাঠাতে হবে:
(ক) বিশেষ বাহকের মাধ্যমে বা কুরিয়ার সার্ভিস বা রেজিস্টার্ড ডাকযোগে;
খ) নোটিশ ই-মেইলেও প্রেরণ করা যাবে। তবে শর্ত থাকে যে পক্ষগণের ডোমেইনের সাথে যুক্ত কেবলমাত্র নির্ধারিত ই- মেইল ঠিকানা বৈধ এবং অফিসিয়াল হিসাবে গণ্য হবে এবং উভয় পক্ষগণের মধ্যে আদান-প্রদানকৃত সমস্থ ই-মেইল বা পত্রগুলি এ চুক্তির একটি অবিচ্ছেদ্য অংগ হিসাবে বিবেচিত হবে।
অনুচ্ছেদ-৮: আইন, সমঝোতা ও সালিশ
এ চুক্তিটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইন দ্বারা পরিচালিত ও নির্ধারিত হবে। এ চুক্তিতে অনুল্লিখিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পক্ষগণের মধ্যে মতপার্থক্য বা বিবাদ দেখা দিলে এবং নিজেদের মধ্যে এই মতপার্থক্য বা বিরোধকে সুস্পষ্টভাবে সমাধান করতে ব্যর্থ হওয়ার ক্ষেত্রে, পক্ষগণ বিষয়টি সমাধানের জন্য বিটিআরসি-তে প্রেরণ করবে। বিটিআরসি/সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিরোধটি সমাধানের পক্ষে যথাযথ বলে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং বিটিআরসি-তে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের ওপর বাধ্যকর হিসাবে গণ্য হবে।
অনুচ্ছেদ-১: অনুলিপি
এ চুক্তিটি পক্ষগণের দ্বারা ৩ (তিন) টি অবিকল সেটে স্বাক্ষরিত হয়ে পক্ষগণের ওপর জারী হবে যার ১ (এক) টি করে অনুলিপি ভবিষ্যতের প্রয়োজনে সেবা গ্রহীতা ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের নিকট সংরক্ষিত থাকবে। এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে সুস্থ শরীরে, অন্যের বিনা প্ররোচনায় পক্ষগণ এ ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্রটি পাঠ করে ও অন্যকে দিয়ে পাঠ করিয়ে এর মর্ম অবগত হয়ে সম্পূর্ণ সঠিক ও শুদ্ধ স্বীকারে সাক্ষীগণের মোকাবেলায় সম্পাদন করলেন।
অনুচ্ছেদ-১০: দায়িত্ব
ক) ইন্টারনেট গ্রাহক/সেবা গ্রহীতার দায়িত্ব:
এ চুক্তির শর্তাবলি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়মিতভাবে সেবা গ্রহণের বিপরীতে অনুচ্ছেদ ৩ এ উল্লিখিত ট্যারিফ অনুসারে প্রতি মাসের ১৫ তারিখ এর মধ্যে বিল ISP কে পরিশোধ করবে;
* অস্থিতিশীল বিদ্যুৎ বা অন্য কোন প্রাকৃতিক দূর্ঘটনার কারণে নেটওয়ার্কে বিঘ্ন ঘটার ফলে সার্ভিসের গুণগত মানের অবনতি হলে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ISP কে দায়ী করা যাবে না;
*ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্প থেকে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের এক বছর পর ডিভাইসমূহের যে কোন সমস্যায় সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিজস্ব ব্যয়ে প্রয়োজনীয় মেরামত বা Replacement এর ব্যবস্থা করবে;
*ISP প্রতিষ্ঠানের সাথে পরামর্শ ও আলাপ-আলোচনা ছাড়া এ চুক্তির মেয়াদকালে নেটওয়ার্ক সরঞ্জামাদির স্থানান্তর করা যাবে না;
*সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত সুরক্ষা নির্দেশিকা এবং প্রয়োজনীয় পরিবেশ সুরক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে;
*ISP প্রতিষ্ঠানের সেবার মান সন্তোষজনক না হলে, সংযোগ/সেবা গ্রহণকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চুক্তিকালীন যে কোনো সময়ে বিদ্যমান চুক্তি বাতিলের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিতপূর্বক ৩০ দিনের নোটিশ প্রদান করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তাদ্বয়ের কাছে অভিযোগ সঠিক মর্মে প্রতীয়মান হলে, তাদের সুপারিশ মোতাবেক Internet Service Provider (ISP) পরিবর্তন করতে পারবে;
*ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে বা ডিভাইসসমূহে WiFi Router, মিডিয়া কনভারটার, অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক ইউনিট (ONU) ইত্যাদি এবং অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের যে কোন সমস্যা দেখা দিলে বা নষ্ট হয়ে গেলে, সে ক্ষেত্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ISP প্রতিষ্ঠানকে অনলাইন সিস্টেমে অভিযোগ দাখিল করবে বা ই-মেইলে অবহিত করবে;
*ডিভাইসসমূহ যেমন: WiFi Router, মিডিয়া কনভারটার, অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক ইউনিট (ONU) চুরি হলে; ইন্টারনেট ব্যবহারকারী/ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃক একই টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশনের বা সমমানের ক্রয় করতে হবে।
*ISP প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ইন্টারনেট সেবার মান সন্তোষজনক না হলে বা সম্পাদিত চুক্তির কোন প্রকার ব্যত্যয় ঘটলে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর ইন্টারনেট সার্ভিস সংক্রান্ত নির্দেশনা এবং বিদ্যমান চুক্তির শর্ত মোতাবেক আর্থিক জরিমানা করা যাবে;
খ) ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব:
*ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্প থেকে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে বা ওয়ারেন্টির সময়ের মধ্যে ডিভাইসমূহে যেমন WiFi Router, মিডিয়া কনভারটার, অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক ইউনিট (ONU) ইত্যাদির কোন সমস্যা দেখা দিলে বা নষ্ট বা অকেজো হয়ে গেলে ৩ (তিন) দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় মেরামত বা Replacement এর ব্যবস্থা করবে;
*অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মেরামত বা Replacement এর প্রয়োজন হলে; শহর এলাকায় অভিযোগ প্রাপ্তির সময় থেকে ৪ (চার) ঘন্টার মধ্যে এবং প্রত্যন্ত গ্রাম বা নদী অঞ্চলের জন্য যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ISP প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রয়োজনীয় মেরামত বা Replacement এর ব্যবস্থা করতে হবে;
*ISP প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নষ্ট বা অকেজো WiFi Router, মিডিয়া কনভারটার, অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক ইউনিট (ONU) এর প্রয়োজনীয় মেরামত বা Replacement এর ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত উক্ত ইকুইপমেন্টসমুহের যখন যা ওয়ারেন্টির সময়ের মধ্যে নষ্ট বা অকেজো হবে তার ব্যাক-আপ প্রদান করে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইন্টারনেট লাইন সচল রাখতে হবে;
*ISP প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরকে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে;
*ISP প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইন্টারনেট সংযোগ সচল রাখার সময়কাল যৌক্তিক পর্যায়ে নিশ্চিত করতে হবে;
*ISP প্রতিষ্ঠানের সেবার মান সন্তোষজনক না হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে ISP পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ISP প্রতিষ্ঠান কানেক্টিভিটির অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলসহ সকল নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতি নতুন নিযুক্ত ISP প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে বা হস্তান্তর করতে হবে;
*ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত আইনসহ সকল প্রযোজ্য আইন, বিধি, বিধিমালা ও নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা মেনে চলবে। সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অনলাইনে অথবা মোবাইল ফাইনেন্সিয়াল সার্ভিস এর মাধ্যমে ISP কে বিল প্রদান করতে পারবে।
গ) উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তার দায়িত্ব
প্রদানকৃত প্রতিটি কানেক্টিভিটির ডিভাইসমূহে যেমন WiFi Router, মিডিয়া কনভারটার, অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক ইউনিট (ONU) ইত্যাদির গুণগত মান তদারকি এবং সঠিকতা যাচাই করবে।
*কোন প্রকার অভিযোগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বা সংযোগ/সেবা গ্রহণকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত নোটিশের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সমন্বয়ে ISP প্রতিষ্ঠানের সেবার মান যাচাই করবে এবং অভিযোগ সঠিক মর্মে প্রতীয়মান হলে, গ্রাহকের সুপারিশ মোতাবেক Internet Service Provider (ISP) পরিবর্তন করতে পারবে;
*ISP প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ইন্টারনেট সেবার মান সন্তোষজনক না হলে বা সম্পাদিত চুক্তির কোন প্রকার ব্যত্যয় ঘটলে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর ইন্টারনেট সার্ভিস সংক্রান্ত নির্দেশনা এবং বিদ্যমান চুক্তির শর্ত মোতাবেক আর্থিক জরিমানা করা যাবে;
১ম পক্ষ (সেবা গ্রহণকারী)
২য় পক্ষ (সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি)
৩য় পক্ষ (আইসিটি অধিদপ্তরের প্রতিনিধি)
স্বাক্ষরিত
তানজিনা ইসলাম
প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্প
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর
সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড







No comments
Your opinion here...