দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ষষ্ঠ থেকে স্নাতক পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এককালীন চিকিৎসা অনুদান: অনলাইনে আবেদন গ্রহণ চলছে
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ষষ্ঠ থেকে স্নাতক পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এককালীন চিকিৎসা অনুদান: অনলাইনে আবেদন গ্রহণ চলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত, চিকিৎসাধীন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এককালীন চিকিৎসা অনুদান প্রদানের লক্ষ্যে অনলাইন আবেদন গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের সকল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই সুবিধার আওতায় আবেদন করতে পারবেন।
ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান নির্দেশিকা, ২০২০ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা সর্বনিম্ন ১০,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০,000 টাকা পর্যন্ত অনুদান পেতে পারেন।
আবেদন করার পদ্ধতি
আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ই-চিকিৎসা অনুদান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের নির্দিষ্ট লিংক
👉 https://www.eservice.pmeat.gov.bd/medical
ব্যবহার করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
প্রতি শিক্ষার্থী তার চিকিৎসা মেয়াদে মাত্র একবার আবেদন করতে পারবেন এবং দুর্ঘটনা ঘটনার সময়কাল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অর্থবছর বা সর্বোচ্চ ১ বছরের মধ্যে হতে হবে।
যে নথিপত্রগুলো জমা দিতে হবে
আবেদনের সঙ্গে শিক্ষার্থীকে নিম্নলিখিত দলিলপত্রের স্পষ্ট স্ক্যানকপি আপলোড করতে হবে—
জেলা সিভিল সার্জন/সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক/উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রত্যয়নসহ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সনদ
-
হাসপাতালের ছাড়পত্র ও চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট
-
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক ট্রাস্টের নির্ধারিত ফরমে প্রত্যয়ন
-
জন্মনিবন্ধন সনদ
-
অভিভাবকের এনআইডি
-
শিক্ষার্থীর ছবি ও স্বাক্ষর
-
ব্যাংক হিসাব নম্বর প্রমাণে চেকপাতা/ব্যাংক স্টেটমেন্ট
অপূর্ণ বা অস্পষ্ট দলিল আপলোড করলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
-
শিক্ষার্থী বা পিতা/মাতার অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর প্রদান করতে হবে।
-
অন্য কারো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট গ্রহণযোগ্য নয়।
-
পিতা-মাতা উভয় মৃত হলে আইনগত অভিভাবকের ব্যাংক হিসাব গ্রহণ করা হবে।
-
ভুল বা অসম্পূর্ণ অ্যাকাউন্ট নম্বর দিলে অনুদান ফেরত এলে পুনরায় পাঠানো হবে না।
যে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন
ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্নাতক বা সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত
-
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন
-
পারিবারিক আয় দুই লক্ষ টাকার কম হলে ‘দরিদ্র’ ধরা হবে
-
পূর্বের শ্রেণিতে ৬০% নম্বরপ্রাপ্ত হলে ‘মেধাবী’ হিসেবে গণ্য
-
সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীর সন্তানগণ আবেদন করতে পারবেন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তালিকায় না থাকলে করণীয়
আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠানটি তালিকায় না পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে EIIN ও প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করে ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর ডাকযোগে বা
👉 ad.stipend@pmeat.gov.bd
এই ঠিকানায় আবেদন পাঠাতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়
২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বর–ডিসেম্বর প্রান্তের আবেদন জমা দেওয়া যাবে—
⏰ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, রাত ১১:৫৯ মিনিট পর্যন্ত
অনুদান বাছাই ও প্রদান প্রক্রিয়া
ট্রাস্টের পরিচালককে প্রধান করে একটি বাছাই কমিটি আবেদন যাচাই করবে।
-
যোগ্য বিবেচিত হলে শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব/মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অনলাইনভিত্তিক অনুদান প্রদান করা হবে।
-
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান অনুদান বিতরণের প্রমাণ ট্রাস্টে পাঠাবেন।
-
আবেদনপত্রে ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য দিলে আবেদন বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্দেশিকা বাতিল ও কার্যকারিতা
এই নির্দেশিকা জারির সঙ্গে সঙ্গে ২০১৫ সালের পুরোনো নীতিমালা বাতিল হয়েছে। নতুন নির্দেশিকা ২০২০ থেকেই কার্যকর।
উপসংহার
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন থেমে না যাক—এই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এই অনুদান প্রদান করে থাকে। সুবিধা পেতে হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় দলিলপত্রসহ আবেদন করা জরুরি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট
উপবৃত্তি শাখা
বাড়ি নং-৪৪, সড়ক নং-১২/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯
www.pmeat.gov.bd
স্মারক নম্বর: ৩৭.২৪.০০০০.০০০.০০৩.৯৮.০০০১.২০.৩৫
তারিখ: ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ০৯ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বিষয়: দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের সকল সরকারি/বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষাথীদের এককালীন চিকিৎসা অনুদান প্রদানের লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নভেম্বর- ডিসেম্বর/২০২৫ প্রান্তের অনলাইন আবেদন দাখিল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি।
উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের সকল সরকারি/বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষাথীদের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃক 'দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান নির্দেশিকা, ২০২০' অনুসরণপূর্বক এককালীন চিকিৎসা অনুদান প্রদান করা হয়।
২। এককালীন চিকিৎসা অনুদান প্রাপ্তির জন্য চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীকে ই-চিকিৎসা অনুদান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের https://www.eservice.pmeat.gov.bd/medical লিংক-এ প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
৩। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী বর্ণিত লিংক ব্যবহার করে অনলাইনে তার চিকিৎসা মেয়াদে একবার মাত্র চিকিৎসা অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ও হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের সময়কাল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অর্থবছর অথবা ব্যবধান ১ (এক) বছরের মধ্যে হতে হবে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত/দুর্ঘটনাজনিত আবেদন ব্যতীত অন্য কোনো আবেদন এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে না।
81 এককালীন চিকিৎসা অনুদান প্রাপ্তির জন্য দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীর অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা প্রমাণে জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন/সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তৃক দুর্ঘটনায় 'গুরুতর আহত'-র সমর্থনে প্রত্যয়নকৃত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা সনদ ও হাসপাতালের ছাড়পত্র, চিকিৎসা গ্রহণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় রিপোর্ট ও ট্রাস্ট কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়ন, শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন কপি, অভিভাবকের এনআইডি কপি, শিক্ষার্থীর ছবি, স্বাক্ষর এবং অনলাইন ব্যাংক হিসাবের তথ্যসহ অন্যান্য তথ্যসমূহ শিক্ষার্থী কর্তৃক অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে স্পষ্ট কপি আপলোড করতে হবে। অন্যথায় আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
৫। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থী কর্তৃক অনলাইনে আবেদনের সময় শিক্ষার্থী/পিতা/মাতা'র নিজ অনলাইন ব্যাংক একাউন্টের পূর্ণাঙ্গ নম্বর ও ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে এবং ব্যাংক হিসাবের প্রমাণক হিসেবে চেকের ভিতরের পাতা/ব্যাংক স্টেটমেন্টের তথ্য আবশ্যিকভাবে অনলাইনে আপলোড করতে হবে। শিক্ষার্থী বা পিতা/মাতা'র ব্যাংক হিসাব নম্বর ব্যতীত অন্য কারো ব্যাংক হিসাব নম্বর বিবেচনায় নেয়া হবে না, তবে পিতা ও মাতা উভয়ের মৃত্যু/অবর্তমানে প্রমাণক সাপেক্ষে আইনগত অভিভাবকের ব্যাংক হিসাব নম্বর এক্ষেত্রে বিবেচনায় নেয়া হবে। এক্ষেত্রে, অনলাইন ব্যাংক একাউন্টের পূর্ণাঙ্গ তথ্য/সচল ব্যাংক একাউন্ট নম্বর দিতে হবে, তবে শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত অসম্পূর্ণ/ত্রুটিপূর্ণ ব্যাংক একাউন্টের কারণে চিকিৎসা অনুদানের অর্থ প্রেরণের ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃক বাউন্সড হলে পুনরায় উক্ত অর্থ প্রেরণ করা সম্ভব হবে না এবং কার্যক্রমটি সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় আবেদনের কোনো হার্ড কপি ট্রাস্টে প্রেরণের প্রয়োজন নেই।
৬। উল্লেখ্য, শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদনের সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করুন অপশনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুজে না পেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ট্রাস্টের 'ই-চিকিৎসা অনুদান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম' সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধান/বিভাগীয় প্রধানকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্যাডে EIIN ও অন্যান্য তথ্য উল্লেখপূর্বক ব্যাবস্থাপনা পরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, বাড়ি নং ৪৪, সড়ক নং ১২/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯ বরাবর আবেদন ডাকযোগে অথবা ad.stipend@pmeat.gov.bd এ মেইলে প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
৭। এমতাবস্থায়, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান নির্দেশিকা, ২০২০ ও ই-চিকিৎসা অনুদান ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণপূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান শ্রেণির দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর/২০২৫ প্রান্তের আবেদন আগামী ৩১/১২/২০২৫ খ্রি. তারিখ রাত ১১:৫৯ মিটিন পর্যন্ত 'ই-চিকিৎসা অনুদান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম' ব্যবহার করে অনলাইনে করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সংযুক্তি:
১। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান নির্দেশিকা, ২০২০।
সকল সংযুক্তিসমূহ:
(১) দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন চিকিৎসা অনুদান প্রদান নির্দেশিকা, ২০২০
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সোহাগ
সহকারী পরিচালক
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান নির্দেশিকা, ২০২০
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট
বাড়ি নং-৪৪, সড়ক নং-১২/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯
www.pmeat.gov.bd
নং-৩৭,২৪,০০০০,০০১,২২.০০২.১৮-৫৪
তারিখ: ১০ ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রিস্টাব্দ
বিষয়: "দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান নির্দেশিকা, ২০২০"।
অর্থের অভাবে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নিশ্চিত করা প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের লক্ষ্য। বর্তমানে ট্রাস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরণের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। বিশেষ করে, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর অর্থের অভাবে যাতে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত না হয় সে লক্ষ্যে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। এ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নিম্নোক্ত নির্দেশিকা (guideline) জারি করা হলো:
২। শিরোনাম: এ নির্দেশিকা "দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান নির্দেশিকা, ২০২০" নামে অভিহিত হবে।
৩। প্রয়োগ ও প্রবর্তন:
ক) এ নির্দেশিকা জারির তারিখ হতে কার্যকর হবে;
খ) ৬ষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের জন্য এ নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।
৪। সংজ্ঞা: বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকলে এ নির্দেশিকায়:
ক) 'দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থী' অর্থ জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন/সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক/উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তৃক 'গুরুতর আহত'-র সমর্থনে প্রত্যয়নকৃত শিক্ষার্থী;
খ) 'বাছাই কমিটি' অর্থ দুর্ঘটনাজনিত কারণে আর্থিক অনুদান প্রদানের লক্ষ্যে প্রাপ্ত আবেদনপত্র বাছাইয়ের জন্য এ নির্দেশিকার ৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গঠিত কমিটি;
গ) 'আর্থিক অনুদান' অর্থ গুরুতর আহতজনিত কারণে শিক্ষার্থীকে এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান;
ঘ) 'শিক্ষার্থী' অর্থ ৬ষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী;
ঙ) 'আবেদনপত্র' অর্থ ট্রাস্ট কর্তৃক আবেদনের নির্ধারিত ফরম;
চ) 'দরিদ্র' অর্থ ৬ষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীর মধ্যে যাদের পিতা/মাতা/অভিভাবকের বার্ষিক আয় দুইলক্ষ টাকার কম (বেসামরিক চাকুরীজীবী পিতা/মাতা/অভিভাবকের ক্ষেত্রে 'জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫' অনুযায়ী গ্রেড ১৩ থেকে ২০);
ছ) 'মেধাবী' অর্থ পূর্বের শ্রেণিতে শতকরা ন্যূনতম ৬০ ভাগ নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী; এবং
জ) 'কর্তৃপক্ষ' অর্থ প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
৫। তহবিল গঠন: ট্রাস্টের অর্থে দুর্ঘটনার কারণে গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদানের
লক্ষ্যে ট্রাস্টের এফডিআরকৃত অর্থের সুদ/লভ্যাংশের অর্থ থেকে ২.০০ (দুই) কোটি টাকা বর্তমানে পরিচালিত ("PMEAT
SEVERLY INJURED POOR & BRILLIANT STUDENTS ASSISTANCE FUND") তহবিলে যুক্ত হবে।
পরবর্তীতে প্রাপ্ত যে কোনো অনুদানের অর্থ, দানবীর/সমাজ হিতৈষী কোনো ব্যক্তির আর্থিক অনুদান এবং ট্রাস্ট তহবিলের
সুদ/লভ্যাংশের অর্থ এ তহবিলে যুক্ত হবে।
৬। তহবিল পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের একক স্বাক্ষরে এ তহবিল পরিচালিত
হবে। আবেদন প্রাপ্তির পর যাচাই-বাছাই করে উপযুক্ত বিবেচিত হলে শিক্ষার্থী প্রতি ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা হতে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা হারে এককালীন অনুদান প্রদান করা হবে। উক্ত অনুদান অর্থ এফডিআরকৃত ২ (দুই) কোটি টাকার সুদ/লভ্যাংশ থেকে প্রদান করা হবে।
৭। আর্থিক অনুদান প্রাপ্তির শর্তাবলি:
ক) প্রজাতন্ত্রের বেসামরিক কর্মে নিয়োজিত সকল সরকারি-আধাসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত 'জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫' অনুযায়ী ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের সকল কর্মচারীর সন্তান আর্থিক অনুদান প্রাপ্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।
খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে পিতা/মাতা/অভিভাবকের বাৎসরিক আয় দুইলক্ষ টাকার কম হতে হবে; এবং
গ) দুর্ঘটনার প্রমাণে জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন/সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক/উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তৃক 'গুরুতর আহত'-র সমর্থনে প্রত্যয়নকৃত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা সনদ থাকতে হবে।
৮। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া:
ক) শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে ট্রাস্ট কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আবেদন করবেন;
খ) প্রজাতন্ত্রের বেসামরিক কর্মে নিয়োজিত সকল সরকারি-আধাসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীর সন্তানগণ আবেদনপত্রের সাথে অফিস প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত পিতা/মাতা/অভিভাবকের বেতনের গ্রেড সংক্রান্ত প্রত্যয়ন সংযুক্ত করবেন। এছাড়া, অন্যান্য শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষার্থীর 'পিতা/মাতা/অভিভাবক দরিদ্র' মর্মে প্রত্যয়ন সংযুক্ত করতে হবে;
গ) দুর্ঘটনার প্রমাণে জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন/সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক/উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তৃক 'গুরুতর আহত'-র সমর্থনে প্রত্যয়নকৃত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা সনদসহ যাবতীয় খরচাদির তথ্য প্রমাণকসহ সংযুক্ত করতে হবে;
ঘ) কোনো আবেদনকারী এক দুর্ঘটনার জন্য একবারের বেশী আবেদন করতে পারবে না;
ঙ) আবেদনপত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ভুল তথ্য প্রদান করা হলে আবেদনপত্র সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে। এরূপ অনিয়ম সনাক্ত হলে আবেদনকারী এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে;
চ) আবেদন প্রাপ্তির পর বাছাই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীকে অনুদান প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন; এবং
অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
৯। বাছাই কমিটি:
আবেদনপত্রসমূহ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নিম্নোক্তভাবে কমিটি থাকবে:
ক) পরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট---সভাপতি
খ) উপ-পরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট---সদস্য
গ) সিভিল সার্জন (বাংলাদেশ সচিবালয়) এর ০১ জন প্রতিনিধি---সদস্য
ঘ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব পর্যায়ের ০১ জন প্রতিনিধি---সদস্য
ঙ) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর উপপরিচালক পর্যায়ের ০১ জন প্রতিনিধি---সদস্য
চ) মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা-র উপপরিচালক পর্যায়ের ০১ জন প্রতিনিধি
---সদস্য
ছ) মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা-র উপপরিচালক পর্যায়ের ০১ জন প্রতিনিধি---সদস্য
জ) মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা-র উপপরিচালক পর্যায়ের ০১ জন প্রতিনিধি---সদস্য
ঝ) সহকারী পরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট---সদস্য সচিব
১০। বাছাই কমিটির কার্যপরিধি:
ক) বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত সকল আবেদনপত্র এ নির্দেশিকার আওতায় যাচাই-বাছাই করে আর্থিক অনুদান প্রাপ্তির জন্য যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষার্থীর তালিকা সম্বলিত সুপারিশ প্রস্তুত করে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিকট পেশ করা;
খ) কোনো আবেদনপত্রে আবেদনকারীর বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের ইচ্ছাকৃত কোনো ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে চিহ্নিত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের বরাবর সুপারিশ প্রণয়ন করা;
গ) অনিচ্ছাকৃত বা লঘু ত্রুটির ক্ষেত্রে সংশোধনযোগ্য আবেদনপত্রসমূহ চিহ্নিত করে পরবর্তী কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করা; এবং
ঘ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রতি অর্থবছরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সভা আহবান করবেন।
১১। অনুদান প্রদান প্রক্রিয়া:
ক) অনুদানের অর্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান/পিতা-মাতা-অভিভাবক/শিক্ষার্থী বরাবর প্রদান করা হবে;
খ) এ অর্থ অনলাইন/মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করা হবে; এবং
গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান অনুদানের অর্থ বিতরণের প্রমাণক ট্রাস্টে প্রেরণ করবেন।
১২। সংশোধনী:
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড প্রয়োজন মনে করলে এ নির্দেশিকার যে কোন অংশ সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করতে পারবে। নির্দেশিকায় কোন বাক্য বা শব্দের অস্পষ্টতা থাকলে বা কোন ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ব্যাখা প্রদান করবে।
১৩। এ নির্দেশিকা জারির তারিখ হতে ইতোপূর্বে জারিকৃত "দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০১৫" বাতিল বলে গণ্য হবে।
স্বাক্ষরিত
(নাসরীন আফরোজ)
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)
পিডিএফ ডাউনলোড







No comments
Your opinion here...