সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীতকরণ প্রস্তাব জাতীয় বেতন কমিশনের বিবেচনায় — আন্দোলন প্রত্যাহার ঘোষণা
সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীতকরণ প্রস্তাব জাতীয় বেতন কমিশনের বিবেচনায় — আন্দোলন প্রত্যাহার ঘোষণা
বিস্তারিত প্রতিবেদন:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়
ঢাকা, ১০ নভেম্বর ২০২৫:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবী-দাওয়ার বিষয়ে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর ২০২৫) বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে শিক্ষক সংগঠনগুলোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবী বাস্তবায়ন পরিষদ ও প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার। এছাড়াও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব আবু তাহের মো: মাসুদ রানা, অর্থ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষকদের প্রধান দাবিসমূহ
বৈঠকে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ তিনটি মূল দাবি উপস্থাপন করেন—
১️⃣ সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান ১৩তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ,
২️⃣ ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন,
৩️⃣ এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ।
অর্থ সচিবের বক্তব্য
বেতন স্কেল উন্নীত করার প্রসঙ্গে অর্থ সচিব জানান,
“সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১তম তে উন্নীত করার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা ইতোমধ্যেই অর্থ বিভাগ জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫-এ প্রেরণ করেছে। বিষয়টি এখন কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে। জাতীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা বিষয়ে তিনি বলেন,
“প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়, অর্থ বিভাগ তা পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
শতভাগ পদোন্নতি বিষয়ে সিদ্ধান্ত
সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। এ বিষয়ে জানানো হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালা অনুযায়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রযোজ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আন্দোলন প্রত্যাহার ঘোষণা
বৈঠকের শেষে শিক্ষক সংগঠনের নেতারা আলোচনার ফলাফল বিবেচনা করে চলমান আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বৈঠক শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সারসংক্ষেপ:
বেতন গ্রেড উন্নীতকরণসহ তিন দফা দাবির আলোচনায় ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি জাতীয় বেতন কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে। অন্য দাবিগুলোর ক্ষেত্রেও মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ সচিবালয়
প্রেস বিজ্ঞপ্তি (১০.১১.২০২৫)
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবীর বিষয়ে আজ ১০.১১.২০২৫ তারিখ বিকাল ০৫:৩০ ঘটিকায় শিক্ষকদের প্রাথমিক শিক্ষক দাবী বাস্তবায়ন পরিষদ ও প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সংগে অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
০২। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার। সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব আবু তাহের মো: মাসুদ রানাসহ অর্থ বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
০৩। শিক্ষকদের প্রধান দাবীগুলো নিম্নরূপ:
ক) সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা;
খ) শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পুর্তীতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতার অবসান; এবং
গ) সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।
০৪। সভায় শিক্ষকদের দাবীর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। তন্মধ্যে সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান বেতন স্কেল উন্নীত করার বিষয়ে অর্থ সচিব বলেন যে, বেতন গ্রেড ১১তম তে উন্নীত করার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি অর্থ বিভাগ জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ এ প্রেরণ করেছে। যা জাতীয় বেতন কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে। জাতীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ পাওয়ার পরে অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। শিক্ষকদের ১০ এবং ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে অর্থ সচিব জানান যে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অর্থ বিভাগে একটি প্রস্তাব করলে অর্থ বিভাগ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে।
০৫। শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতির বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় যে, এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
০৬। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
স্বাক্ষরিত
আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক
সিনিয়র তথ্য অফিসার।



No comments
Your opinion here...