সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফি নির্ধারণে মতামত চাইল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফি নির্ধারণে মতামত চাইল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
উপশিরোনাম:
ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষায় ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত ফি প্রস্তাব — মতামত পাঠানোর শেষ তারিখ ১৮ নভেম্বর
সংবাদ প্রতিবেদন:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রতিবেদক: নিজস্ব সংবাদদাতা
তারিখ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষায় প্রতীকী পরীক্ষার ফি ধার্য করার বিষয়ে জনগণের মতামত চেয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১২ কার্তিক ১৪৩২, ২৮ অক্টোবর ২০২৫) মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখা থেকে প্রকাশিত এক স্মারকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-৩৮.০০৮.০৩৫,০০,০০.০০৪.২০১১.৪৬৫ অনুযায়ী বলা হয়, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোন ধরনের পরীক্ষার ফি গ্রহণ করা হয় না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মাগুরা, লালমনিরহাট, ফেনী এবং সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পরীক্ষার প্রতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আগ্রহ বৃদ্ধি এবং শিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে সামান্য পরিমাণ পরীক্ষার ফি নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফি না থাকায় অনেক সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পরীক্ষার বিষয়ে যথাযথ গুরুত্বের অভাব লক্ষ্য করা যায়। সে কারণে প্রতীকী ফি ধার্য করা হলে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ, অভিভাবকদের সম্পৃক্ততা এবং পরীক্ষার মান উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মত দেওয়া হয়েছে।
দেশব্যাপী মোট ৬৫,৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পাঠদান, বই বিতরণ ও উপবৃত্তি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় সামান্য ফি নির্ধারণ করা কতটা যৌক্তিক হবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত আহ্বান করেছে মন্ত্রণালয়।
প্রস্তাবিত পরীক্ষার ফি হার:
| শ্রেণির নাম | প্রস্তাবিত পরীক্ষার ফি (টাকা) |
|---|---|
| ১ম শ্রেণি | ২০ |
| ২য় শ্রেণি | ২০ |
| ৩য় শ্রেণি | ৩০ |
| ৪র্থ শ্রেণি | ৪০ |
| ৫ম শ্রেণি | ৫০ |
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী যদি পরীক্ষার ফি দিতে অসমর্থ হয়, তার ক্ষেত্রে ফি মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতামত পাঠানোর নিয়ম:
যারা এই বিষয়ে মতামত দিতে চান, তারা নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে আগামী ১৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে নিম্নোক্ত ইমেইল ঠিকানায় মতামত পাঠাতে পারবেন:
📧 scy@mopme.gov.bd
📧 adlscy@mopme.gov.bd
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন রেবেকা সুলতানা, যুগ্মসচিব, বিদ্যালয়-২ শাখা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সারসংক্ষেপ:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে পরীক্ষার কোনো ফি নেই। তবে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ও অভিভাবকদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে মন্ত্রণালয় সামান্য ফি চালুর বিষয়ে জনমত সংগ্রহ করছে। প্রস্তাবিত ফি সর্বনিম্ন ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫০ টাকা। মতামত পাঠানোর শেষ তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০২৫।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
বিদ্যালয়-২ শাখা
www.mopme.gov.bd
স্মারক নং-৩৮.০০৮.০৩৫,০০,০০.০০৪.২০১১.৪৬৫
তারিখ: ১২ কার্তিক ১৪৩২ ২৮ অক্টোবর ২০২৫
বিষয়: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষাসমূহের ফি ধার্য করা সম্পর্কে অনলাইনে মতামত প্রদান।
সূত্র: ১। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক নং ৩৮.০১.০০০০.১৪৫.৯৯.৩২.২৫.১৮১,
তারিখ: ২৭.০৮.২০২৫ খ্রি:
২। বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে প্রাপ্ত পরীক্ষার ফি নির্ধারণ সংক্রান্ত পত্রসমূহ।
উপর্যুক্ত বিষয়ে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। উক্ত ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষাসমূহে কোন ফি গ্রহণ করা হয় না। সম্প্রতি মাগুরা, লালমনিরহাট, ফেনী এবং সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পত্র, মতবিনিময় সভা এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ হতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে পরীক্ষার ফি নির্ধারণের জন্য নিম্নলিখিত যৌক্তিকতা উপস্থাপন করা হয়:
ক. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষায় কোন ফি ধার্য না থাকায় অনেক সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পরীক্ষার বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব এবং আগ্রহের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
খ. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাসমূহে প্রতীকী বা সামান্য পরিমাণে ফি নির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে পরীক্ষার প্রতি মনোযোগ ও গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে।
গ. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাসমূহের ফি নির্ধারণ করা হলে শিক্ষার মান উন্নয়ন, পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করা সম্ভব হবে।
২। সারাদেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫,৫৬৯টি। প্রত্যেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করাসহ বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করা এবং ঝড়ে পড়ার হার রোধে সকল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান এবং শিক্ষা সহায়ক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষাসমূহে প্রতীকী বা সামান্য পরিমাণে ফি নির্ধারণ করা সমীচীন হবে কিনা সে বিষয়ে মতামত আহবান করা হলো। বিগত সময়ের পরীক্ষার ফিসমূহ পর্যালোচনায় এ বছর হতে নিম্নরূপ হারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফি ধার্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে:
১) শ্রেণির নামঃ ১ম শ্রেণি
পরীক্ষার ফি (টাকা) ২০
২) শ্রেণির নামঃ ২য় শ্রেণি
পরীক্ষার ফি (টাকা) ২০
৩) শ্রেণির নামঃ ৩য় শ্রেণি
পরীক্ষার ফি (টাকা) ৩০
৪) শ্রেণির নামঃ ৪র্থ শ্রেণি
পরীক্ষার ফি (টাকা) ৪০
৫) শ্রেণির নামঃ ৫ম শ্রেণি
পরীক্ষার ফি (টাকা) ৫০
উল্লেখ্য যে, কোন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষার ফি দিতে অসমর্থ হলে তার পরীক্ষার ফি মওকুফের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩। নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর উল্লেখপূর্বক বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষাসমূহে প্রতীকী বা সামান্য পরিমাণে ফি নির্ধারণ করা সমীচীন হবে কিনা সে বিষয়ে যে কোন লিখিত মতামত আগামী ১৮.১১.২০২৫ তারিখের মধ্যে scy@mopme.gov.bd/ adlscy@mopme.gov.bd মেইলে প্রেরণ করার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা হলো।
স্বাক্ষরিত
রেবেকা সুলতানা
যুগ্মসচিব



No comments
Your opinion here...