সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা | ৮ অক্টোবর ২০২৫
সরকারি কর্মকর্তা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে আরও সতর্কতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ লক্ষ্যে “সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন কমিটি”র সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর ২০২৫) বিকাল ৩টায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মহোদয়ের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন উপপরিচালক (বই বিতরণ) তাপস কুমার অধিকারী।
সভায় আলোচ্য প্রধান বিষয়সমূহ
সভায় ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়—
১️⃣ বিগত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি,
২️⃣ সংগৃহীত তথ্য ও বর্তমান প্রেক্ষাপট,
৩️⃣ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং টিমের কার্যক্রম,
৪️⃣ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ও ইমেইল কার্যক্রম,
৫️⃣ সচেতনতা বৃদ্ধি উদ্যোগ,
৬️⃣ বিবিধ বিষয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং সংক্রান্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষা অফিসার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে কঠোরতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
সভায় জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের “সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)” বিদ্যমান আছে।
তবে অনেক কর্মকর্তা ও শিক্ষক এখনো এ নির্দেশিকা সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—
নির্দেশিকা ২০১৯ অনুসরণ না করলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-
দুই মাস পরপর উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় মনিটরিং টিম তথ্য সংগ্রহ করে অধিদপ্তরে পাঠাবে।
-
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মনিটরিং টিম হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে তথ্য শেয়ার করবেন।
সভায় জানানো হয়, এ পর্যন্ত ০৬ জনের (০১ জন কর্মকর্তা ও ০৫ জন শিক্ষক) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউও নোট পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
🗣️ নতুন সদস্যদের জন্য নির্দেশিকা উপস্থাপন
পুনর্গঠিত কমিটির নতুন সদস্যদের অবহিত করার জন্য সভায় “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯”, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র এবং মাঠ পর্যায়ের কমিটির গঠন ও কার্যপরিধি উপস্থাপন করা হয়।
সভায় তাপস কুমার অধিকারী বলেন,
“প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে প্রত্যেককে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে দায়িত্বশীল হতে হবে। নির্দেশিকার বাইরে কোনো কর্মকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয়।”
🌐 মনিটরিং ও তথ্য আদান-প্রদান জোরদার
সভায় জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি বিভাগে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিমের কাজ হবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যবেক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় প্রতিবেদন প্রস্তুত করা।
তবে ঢাকা বিভাগ সক্রিয় থাকলেও অন্যান্য বিভাগে কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতির বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—
প্রতিটি বিভাগীয় টিম হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যুক্ত করবে।
-
প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে প্রতি দুই মাস অন্তর প্রতিবেদন প্রেরণ করতে হবে।
🧠 শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণে নতুন সেশন
সভায় আলোচনায় উঠে আসে— মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।
তাই ভবিষ্যতে সাব-ক্লাস্টার প্রশিক্ষণসহ সব প্রশিক্ষণ সিডিউলে “সোশ্যাল মিডিয়া ও এআই সচেতনতা” নামে একটি সেশন অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব গৃহীত হয়।
এছাড়া উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের মাসিক সমন্বয় সভায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়টি নিয়মিত আলোচ্যসূচিতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
📧 তথ্য প্রেরণের ইমেইল ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
সভায় জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক তথ্য পাঠানোর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দিষ্ট ইমেইল ঠিকানা হলো —
📩 socialmedia.dpe22@gmail.com
ইমেইলে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই ও সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবেন জনাব মো. শাহ আলম, সহকারী মেইনটেন্যান্স প্রকৌশলী।
📍 সভা শেষে সিদ্ধান্তসমূহ
১️⃣ নির্দেশিকা ২০১৯ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
২️⃣ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও এআই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
৩️⃣ মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে হবে।
৪️⃣ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৭ মে ২০২০ তারিখের পরিপত্র পুনরায় মাঠ পর্যায়ে পাঠাতে হবে।
৫️⃣ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা কমিটিকে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সভা শেষে সভাপতি তাপস কুমার অধিকারী উপস্থিত সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
সূত্র:
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, “সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন” কমিটির সভার কার্যবিবরণী, ০৮ অক্টোবর ২০২৫।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
সেকশন ২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬
www.dpe.gov.bd
বিষয়: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ক "সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন" কমিটির সভার কার্যবিবরণী।
সভাপতি : তাপস কুমার অধিকারী, উপপরিচালক (বই বিতরণ), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মিরপুর, ঢাকা।
তারিখ ও সময় : তারিখ: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, বিকাল: ০৩.০০ ঘটিকা।
স্থান : পরিচালক, প্রশাসন মহোদয়ের সভাকক্ষ। উপস্থিতির তালিকা: পরিশিষ্ট 'ক' সংযুক্ত।
আলোচ্য বিষয়:
১. বিগত সভার কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা;
২. সংগৃহীত তথ্য উপস্থাপন ও বর্তমান প্রেক্ষাপট;
৩. বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং টিমের কার্যক্রম পর্যালোচনা;
৪. হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ও ইমেইল;
৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ;
৬. বিবিধ।
সভায় উপস্থিত সকল সদস্যগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করা হয়। শুরুতেই সভার আলোচ্য বিষয়সমূহ উপস্থাপন করা হয়। সভাপতি সংক্ষিপ্তভাবে সার্বিক কার্যক্রমের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। উপস্থিত সদস্যগণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ক বিদ্যমান পরিস্থিতি ও মনিটরিং টিমের কার্যক্রম বিষয়ে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা, অভিজ্ঞতা শেয়ারিং এবং মতামত ব্যক্ত করেন। আলোচ্যসূচির উপর বিস্তারিত আলোচনা ও গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ নিম্নরূপ:
১) আলোচ্য বিষয়ঃ বিগত সভার কার্যবিবরণী দৃঢ়ীকরণ ও সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি
আলোচনা ও সিদ্ধান্তঃ
আলোচনা: শুরুতেই বিগত সভার কার্যবিবরণীর উপর আলোকপাত করা হয়। সভার
কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ে উপস্থিত সদস্যগণ জানতে চান। এ বিষয়ে জনাব কানিজ ফাতেমা, শিক্ষা অফিসার (সা:প্র:) জানান, মূল কমিটির গৃহীত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। "সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন" কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ০৬ জনের (০১ জন কর্মকর্তা, ০৫ জন শিক্ষক) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পলিসি এন্ড অপারেশন বিভাগে ইউও নোট দেয়া হয়েছে। পলিসি এন্ড অপারেশন বিভাগ কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
এছাড়া ০২ (দুই) মাস পর পর বিভাগীয় মনিটরিং কমিটি উপজেলা/থানা ও জেলা মনিটরিং কমিটির তথ্য সংগ্রহ করে "সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন" কমিটিকে জানানোর জন্য পত্র দেয়া হলেও ঢাকা বিভাগ ব্যতীত অন্য কোনো বিভাগ তথ্য প্রেরণ করেনি। এ বিষয়ে অন্যান্য বিভাগের তেমন কোনো কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি। তথ্য প্রেরণের জন্য সভায় ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মহোদয়কে ধন্যবাদ জানানো করা হয়।
সিদ্ধান্ত-১: গত সভার কার্যবিবরণীর উপর সংশোধনী না থাকায় সর্বসম্মতিক্রমে দৃঢ়ীকরণ করা হয়।
সিদ্ধান্ত-২: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের 'মূল কমিটি'র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ০৬ জনের (০১ জন কর্মকর্তা, ০৫ জন শিক্ষক) বিরুদ্ধে মূল কমিটি'র ইউও নোটের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক অধিদপ্তরের মূল কমিটিকে সদয় অনুরোধ জানানো হয়।
সিদ্ধান্ত-৩: প্রতি ০২ (দুই) মাস পর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ক উপজেলা/থানা ও জেলা মনিটরিং কমিটি কর্তৃক প্রাপ্ত তথ্যাদি সমন্বিত করে বিভাগীয় মনিটরিং কমিটি "সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন" কমিটি, প্রাশিঅ'র নিকট প্রেরণ করবে।
বাস্তবায়নকারীঃ
ক) সদস্য সচিব, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ক 'মূল কমিটি', প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
খ) বিভাগ, জেলা ও উপজেলা/থানা 'মনিটরিং টিম'
২) আলোচ্য বিষয়ঃ সংগৃহীত তথ্য উপস্থাপন ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
আলোচনা ও সিদ্ধান্তঃ
আলোচনা: 'সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন' কমিটি কর্তৃক সংগৃহীত বিভিন্ন তথ্য সভায় উপস্থাপন করা হয়। উপস্থিত সদস্যগণ তন্ত্রের ভিত্তিতে বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি এ কমিটি পুনর্গঠন হওয়ায় নতুন সদস্যদের জানার সুবিধার্থে "সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)", জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র, প্রাশিঅ কর্তৃক উপজেলা/থানা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কমিটির গঠন ও কার্যপরিধি সভায় উপস্থাপন করা হয়। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে নির্দেশিকা ২০১৯ অনুসরণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন লাইভ, পোস্ট, ভিডিও, অডিও, তথ্য আপলোড, শেয়ারিং এবং এর পরিপন্থী কার্যক্রম পরিলক্ষিত হলে সঠিকন তথ্য সংগ্রহপূর্বক উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে অধিক্ষেত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
সিদ্ধান্ত-১: কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের "সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)" যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
সিদ্ধান্ত-২: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)" পরিপন্থী কার্যক্রম পরিলক্ষিত হলে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে অধিক্ষেত্র অনুযায়ী বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বাস্তবায়নকারীঃ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা/ থানা 'মনিটরিং টিম'
৩) আলোচ্য বিষয়ঃ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা/থানা পর্যায়ের মনিটরিং টিমের কার্যক্রম
আলোচনা ও সিদ্ধান্তঃ
-আলোচনা: বিভাগীয় পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহসহ সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্যপ্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ০৮ জন কর্মকর্তাকে কার্যপরিধিসহ ০৮ বিভাগের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। আদেশে উল্লেখ আছে, বিভাগীয় মনিটরিং টিম অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিভাগীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে সংযুক্ত করবেন। কিন্তু এ কাজটি সকল বিভাগে এখনো সম্পন্ন হয়নি মর্মে সভায় জানানো হয়। এছাড়া বিগত ০২টি সভার কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ের মনিটরিং টিমকে ইমেইলে কার্যবিবরণী প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে ঢাকা বিভাগ সক্রিয় হলেও অন্যান্য বিভাগের কার্যক্রম অনেকটা নিষ্ক্রিয় মর্মে পরিলক্ষিত হয়।
জনাব মো: রোকনুজ্জামান, শিক্ষা অফিসার (সা: প্র:) বলেন, এ বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে হবে এবং ইতিবাচকভাবে দেখতে হবে। জনাব সোনালী সাহা, সহ: শিক্ষা অফিসার (প্রশিক্ষণ) বলেন, এ উদ্যোগটি খুবই ভাল, দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে হবে।
সিদ্ধান্ত-১: বিভাগীয় মনিটরিং টিম প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিভাগীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে (যদি থাকে) অথবা নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে সংযুক্ত হতে হবে। এ বিষয়ে অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিভাগীয় মনিটরিং টিমের সাথে যোগাযোগ করবেন।
সিদ্ধান্ত-২: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ এবং মাঠ পর্যায়ের (বিভাগ, জেলা ও উপজেলা/থানা) মনিটরিং টিমকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বাস্তবায়নকারীঃ ক) 'সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন' কমিটি
খ) বিভাগ, জেলা ও উপজেলা/ থানা 'মনিটরিং টিম'
৪) আলোচ্য বিষয়ঃ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ও ইমেইল
আলোচনা ও সিদ্ধান্তঃ
আলোচনা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক অধিদপ্তরে 'সোসাল মিডিয়া তথ্যসংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন' কমিটি'র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। গ্রুপে মূল কমিটির সকল সদস্যসহ এ কমিটির সকল সদস্য সংযুক্ত আছেন। গ্রুপে মাঠপর্যায়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন তথ্য সদস্যগণ শেয়ার করে থাকেন। পুনর্গঠিত কমিটির নতুন সদস্যদের গ্রুপে ইতোমধ্যে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া মাঠপর্যায় থেকে বিভিন্ন তথ্য ইমেইলে প্রেরণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ইমেইল ঠিকানা socialmedia.dpe22@gmail.com রয়েছে।
সিদ্ধান্ত: উপজেলা/থানা, জেলা ও বিভাগীয় 'মনিটরিং টিম' হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করবেন। ০২ মাস অন্তর সভা করে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাইপূর্বক সমন্বিত করে উপজেলা/থানা জেলা মনিটরিং টিমকে, জেলা বিভাগীয় মনিটরিং টিমকে এবং বিভাগীয় টিম অধিদপ্তরের 'সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন' কমিটিকে প্রেরণ নিশ্চিত করবে।
বাস্তবায়নকারীঃ ক) 'সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন' কমিটি
খ) বিভাগ, জেলা ও উপজেলা/ থানা 'মনিটরিং টিম'
৫) আলোচ্য বিষয়ঃ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ
আলোচনা ও সিদ্ধান্তঃ
আলোচনা: মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ক নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) না জানার কারণে এবং সচেতনতার অভাবে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়েও নির্দেশিকা, ২০১৯ পরিপন্থী বিভিন্ন লাইভ, পোস্ট, ভিডিও, অডিও, তথ্য আপলোড, শেয়ারিং করে থাকেন। এটি সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে তাঁরা এ বিষয়ে অধিকতর সতর্ক হবেন। জনাব তুষার কান্তি বিশ্বাস, শিক্ষা অফিসার (প্রকিউরমেন্ট) শিক্ষকদের এ বিষয়ে 'মোটিভেশন' দেয়ার কথা বলেন।
সিদ্ধান্ত: উপজেলা/থানা ও জেলা পর্যায়ের মাসিক সমন্বয় সভায় সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ে এজেন্ডা রাখা। প্রয়োজনে অধিদপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জুমে সংযুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার ও এআই (AI) বিষয়ে মহাপরিচালক মহোদয়ের অনুমোদনক্রমে সাব-ক্লাস্টার প্রশিক্ষণসহ শিক্ষকদের সকল প্রশিক্ষণ সিডিউলে একটি সেশন অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
বাস্তবায়নকারীঃ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা/ থানা 'মনিটরিং টিম'
৫) আলোচ্য বিষয়ঃ বিবিধ
আলোচনা ও সিদ্ধান্তঃ
সিদ্ধান্ত:
ক) কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার এব এআই (কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা) বিষয়ে অধিকতর সচেতন হতে হবে।
খ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)" যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
গ) ঢাকা বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী মূল কমিটিকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইউও নোট দিতে হবে।
ঘ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)" এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৭ মে ২০২০ তারিখের পরিপত্র পুনরায় মাঠ পর্যায়ে প্রেরণ করতে হবে। সে আলোকে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা/থানা কমিটি সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
ঙ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক তথ্য প্রেরণের ইমেইল: socialmedia.dpe22@gmail.com জনাব মো: শাহ আলম, সহকারী মেইনটেন্যান্স প্রকৌশলী ইমেইলে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই ও সমন্বিত করে 'সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন' কমিটিতে উপস্থাপন করবেন।
বাস্তবায়নকারীঃ ক) 'সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন' কমিটি
খ) বিভাগ, জেলা ও উপজেলা/ থানা 'মনিটরিং টিম'
আর কোনো আলোচনা না থাকায় উপস্থিত সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতি মহোদয় সভার কার্যক্রম সমাপ্ত করেন।
স্বাক্ষরিত
তাপস কুমার অধিকারী
উপপরিচালক (বই বিতরণ)
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।




No comments
Your opinion here...