ad

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালা ২০২৫ প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

Views

 


জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালা ২০২৫ প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ “জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালা ২০২৫” প্রকাশ করেছে। নতুন এ নীতিমালার আওতায় দেশের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও বৃত্তি প্রদানের পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরিধি ও অংশগ্রহণ

নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনুমোদিত বা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। সপ্তম শ্রেণির সকল প্রান্তিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই নির্বাচিত তালিকা তৈরি করা হবে। তবে জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি সময়ে সময়ে এ সংখ্যা পরিবর্তন করতে পারবে।

এছাড়া কোনো শিক্ষার্থী যদি বিদ্যালয় পরিবর্তন করে থাকে, তবে তার পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের মেধাক্রম অনুসারে তাকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে। অনিয়মের মাধ্যমে বহিরাগত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং শিক্ষার্থীর ফলাফল বাতিল হবে।

পরীক্ষার বিষয় ও সময়সীমা

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় চারটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে—

  1. বাংলা (পূর্ণমান ১০০)

  2. ইংরেজি (পূর্ণমান ১০০)

  3. গণিত (পূর্ণমান ১০০)

  4. বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (৫০+৫০ = ১০০)

সর্বমোট পূর্ণমান হবে ৪০০ এবং প্রতিটি পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে তিন ঘণ্টা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে, তবে জেলা শিক্ষা অফিসার বা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অনুমতি নিতে হবে।

বৃত্তির ধরন ও কোটা

নীতিমালা অনুযায়ী জুনিয়র বৃত্তি দুই ধরনের হবে—
১. ট্যালেন্টপুল বৃত্তি
২. সাধারণ বৃত্তি

সব বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছেলে এবং ৫০ শতাংশ মেয়ের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে ছেলে বা মেয়ে উভয়ের মধ্যেই সমন্বয় করা যাবে।

বৃত্তি বণ্টনের নিয়ম

  1. প্রতিটি উপজেলা/থানায় পূর্বনির্ধারিত সংখ্যক ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ বৃত্তি মেধার ভিত্তিতে বণ্টন করা হবে।

  2. বিজোড় সংখ্যার বৃত্তি বণ্টনের ক্ষেত্রে সর্বশেষটি ছেলে-মেয়ে বিবেচনা না করে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে।

  3. সমান নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ক্রমানুসারে বেশি নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী অগ্রাধিকার পাবে। সব বিষয়ে সমান নম্বর পেলে সবাইকে বৃত্তি দেওয়া হবে।

পরীক্ষার ফি নির্ধারণ

প্রতি পরীক্ষার্থীর বোর্ড ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা এবং কেন্দ্র ফি ২০০ টাকা। কেন্দ্র ফি থেকে পরীক্ষার প্রশাসনিক ব্যয় ও পর্যবেক্ষকদের সম্মানী দেওয়া হবে। জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি প্রয়োজনে ফি বাড়াতে বা কমাতে পারবে।

শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ ও ফি আদায়ের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওপর থাকবে এবং এ জন্য আলাদা ব্যাংক হিসাব খোলা হবে।

অধিকারের নিশ্চয়তা

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীন স্বাক্ষরিত এ নীতিমালায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মেধাভিত্তিক মূল্যায়নের মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান করা হবে, যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

 শিক্ষা মন্ত্রণালয় 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (সরকারি মাধ্যমিক-২)

www.shed.gov.bd

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালা ২০২৫

১. শিরোনাম: এ নীতিমালাটি 'জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালা ২০২৫' নামে অভিহিত হবে।
২. পরিধি ও আওতা:
২.১ এ নীতিমালার আলোকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। অনুমোদিত/স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মাধ্যমিক/নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী (৭ম শ্রেণির সকল প্রান্তিকের সামষ্টিক মূল্যায়নের ফলাফলের ভিত্তিতে) জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। জাতীয় স্টিয়ারিং কমি্টি সময়ে সময়ে এ সংখ্যা পুনঃনির্ধারণ করতে পারবে।
২.২ যদি কোনো শিক্ষার্থী কোনো বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র গ্রহণের মাধ্যমে অপর কোনো বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে থাকে তবে তাকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া যাবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধাক্রম বিবেচনা করে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২.৩ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নহে এমন শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয় কোন প্রকার অভিযোগ পাও গেলে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার প্রার্থীতা/ফলাফল বাতিল করা হবে।
৩. পরীক্ষার বিষয়, নম্বর, সময় এবং পাঠ্যসূচি:
৩.১ নিম্নের বিষয়সমূহে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে:
১. বাংলা -পূর্ণমান- ১০০
২. ইংরেজি-পূর্ণমান- ১০০
৩. গণিত-পূর্ণমান- ১০০
8. বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় (৫০+৫০)-পূর্ণমান- ১০০

৩.২ প্রতিটি বিষয়ে পূর্ণমান হবে ১০০, সর্বমোট নম্বর হবে ৪০০। প্রতিটি পরীক্ষার সময় ৩:০০ ঘন্টা। বিশেষ চাহিদা সম্পর্কিত পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে, তবে এক্ষেত্রে জেলা শিক্ষা অফিসার/উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।
৩.৩ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক এর ভিত্তিতে এবং অনুসৃত প্রশ্নকাঠামো অনুসারে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
৩.৪ শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে তাদের মেধা/কোটাভিত্তিক বৃত্তি প্রদান করা হবে। 
৪ জুনিয়র বৃত্তির প্রকার ও কোটা: 
৪.১ জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় দুই ধরনের বৃত্তি প্রদান করা হবে:
ক. ট্যালেন্টপুল বৃত্তি
খ. সাধারণ বৃত্তি
৪.২ সকল ধরনের বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্রদের এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ছাত্রের বৃত্তি ছাত্রী দ্বারা এবং ছাত্রীর বৃত্তি ছাত্র দ্বারা পূরণ করা যাবে।
৫. জুনিয়র বৃত্তি প্রদানের নিয়মাবলি:
৫.১ ট্যালেন্টপুল বৃত্তি:
ক) ট্যালেন্টপুল বৃত্তি দেয়া হবে উপজেলা/থানাওয়ারি। প্রতিটি উপজেলায় থানায় পূর্বনির্ধারিত সংখ্যক ট্যালেন্টপুল বৃত্তি উপজেলা/থানার সর্বোচ্চ নম্বরধারী ছাত্র ও ছাত্রীদের মেধার ক্রমানুসারে সমান হারে বণ্টন করা হবে।
খ) বিজোড় সংখ্যার ট্যালেন্টপুল বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বশেষটি ছাত্র বা ছাত্রী বিবেচনা না করে অধিক নম্বর বিবেচনায় নির্বাচন করা হবে। উপজেলা/থানায় ট্যালেন্টপুল বৃত্তি নিম্নরূপে নির্ধারিত হবে।
নির্বাচন করা হবে। উপজেলা/থানায় ট্যালেন্টপুল বৃত্তি নিম্নরূপে নির্ধারিত হবে।

৫.২ উপজেলা/থানাভিত্তিক বৃত্তির সংখ্যা নির্ধারণের ফর্মুলা: 
উপজেলা/থানার ট্যালেন্টপুল বৃত্তির সংখ্য = জাতীয়ভাবে নির্ধারিত মোট ট্যালেন্টপুল বৃত্তির সংখ্যা × সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানার বৃত্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ÷ দেশের মোট বৃত্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা
জাতীয়ভাবে মোট বৃত্তির সংখ্যা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর নির্ধারণ করবে।

৫.৩ ট্যালেন্টপুল সম্পূরক বৃত্তি:
নির্ধারিত ট্যালেন্টপুল বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্রদের এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের মধ্যে বণ্টনকালে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ছাত্রের বৃত্তি ছাত্রী দ্বারা এবং ছাত্রীর বৃত্তি ছাত্র দ্বারা পূরণ করা যাবে।
৫.৪ সাধারণ বৃত্তি:
ক) সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে উপজেলা/থানাওয়ারি। প্রতিটি উপজেলা/থানায় পূর্বনির্ধারিত সংখ্যক সাধারণ বৃত্তি উপজেলার/থানার সর্বোচ্চ নম্বরধারী ছাত্র ও ছাত্রীদের মেধার ক্রমানুসারে সমান হারে বণ্টন করা হবে।
খ) বিজোড় সংখ্যার সাধারণ বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বশেষটি ছাত্র বা ছাত্রী বিবেচনা না করে অধিক নম্বর বিবেচনায় নির্বাচন করা হবে। উপজেলা/থানায় সাধারণ বৃত্তি নিম্নরূপে নির্ধারিত হবে।
উপজেলা/থানার সাধারণ বৃত্তি বৃত্তির সংখ্যা = জাতীয়ভাবে নির্ধারিত মোট সাধারণ বৃত্তি বৃত্তির সংখ্যা × সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানার বৃত্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ÷ দেশের মোট বৃত্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা
জাতীয়ভাবে মোট বৃত্তির সংখ্যা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর নির্ধারণ করবে।
৫.৬ সম্পূরক সাধারণ বৃত্তি:
নির্ধারিত বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্রদের এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের মধ্যে বণ্টনকালে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ছাত্রের বৃত্তি ছাত্রী দ্বারা এবং ছাত্রীর বৃত্তি ছাত্র দ্বারা পূরণ করা যাবে।
৫.৭সমান নম্বরধারীর ক্ষেত্রে:
একাধিক শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত সর্বমোট নম্বর একই হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যথাক্রমে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে বেশি নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যদি দুই বা ততোধিক প্রার্থীর সকল বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর একই হয় সেক্ষেত্রে একই নম্বরধারী সকলকে বৃত্তি দেওয়া হবে।
৬. বৃত্তি পরীক্ষার ফি:
পরীক্ষার্থী প্রতি বোর্ড ফি- ৪০০/- (চারশত) টাকা এবং পরীক্ষার্থী প্রতি কেন্দ্র ফি ২০০/- (দুইশত) টাকা। কেন্দ্র ফি থেকে সকল প্রশাসনিক/ব্যবস্থাপনা ব্যয় ও প্রত্যবেক্ষকদের সম্মানী নির্বাহ করতে হবে। তবে, জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী ফি কমানো বা বাড়ানো যাবে। সংশ্লিষ্ট সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসমূহ অনলাইনে পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করবে এবং ফি আদায় করবে। এ জন্য বোর্ডসমূহ আলাদা ব্যাংক হিসাব খুলবে।

স্বাক্ষরিত/
রেহানা পারভীন সচিব
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়।



সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড

No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.