ছোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
ছোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
৫০ জনের কম এবং ৫০ থেকে ১০০ শিক্ষার্থী বিশিষ্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি ও শিক্ষা কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সেকশন-২, মিরপুর, ঢাকা থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার ও উপস্থিতি বাড়াতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক তদারকি করতে হবে। এজন্য প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গৃহীত পদক্ষেপসমূহ:
১. শিশু জরিপ: ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় শিশু জরিপ করে কোন শিশু কোন বিদ্যালয়ে যাচ্ছে এবং কোন শিশু বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না তা শনাক্ত করতে হবে।
২. অভিভাবক সম্পৃক্ততা: এলাকায় অভিভাবক সমাবেশ ও মা সমাবেশ আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
৩. সামাজিক প্রচারণা: স্থানীয় মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও বাজারে মাইকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার গুরুত্ব প্রচার করতে হবে।
৪. পুরস্কার প্রদান: নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা এবং তাদের অভিভাবকদের ধন্যবাদ ও প্রশংসাপত্র প্রদান করতে হবে।
5. বিদ্যালয় একীভূতকরণ: ৫০ জন শিক্ষার্থী বিশিষ্ট বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বৃদ্ধি সম্ভব না হলে সেটি অন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার প্রস্তাব দিতে হবে।
৬. ১০০ শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়: এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে হবে।
৭. জাতীয় দিবসে সম্পৃক্ততা: বিভিন্ন জাতীয় দিবসে অভিভাবকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৮. স্লিপ কার্যক্রম: এ কার্যক্রমে অভিভাবকদের মতামত ও পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, এনডিসি স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনায় মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
👉 সরকার মনে করছে, এ পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন হলে ছোট বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বাড়বে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে।
No comments
Your opinion here...