সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি রক্ষায় নতুন নির্দেশনা জারি
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি রক্ষায় নতুন নির্দেশনা জারি
ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২০২৫:
দেশের সকল সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি রক্ষা এবং জনগণকে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নতুন করে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের জন্য কিছু নিয়ম-কানুন বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়—
১. বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা প্রতিষ্ঠানের নামাঙ্কিত প্যাডে কোনো পরীক্ষার পরামর্শ কিংবা কোম্পানির প্যাডে প্রেসক্রিপশন লেখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
২. সরকারি হাসপাতালে বিদ্যমান পরীক্ষা বা ওষুধের পরিবর্তে বাইরে থেকে করানো বা কেনার সুপারিশ করা যাবে না।
৩. সরকার অনুমোদিত সীল ব্যতীত অন্য কোনো বেসরকারি সীল ব্যবহার করা যাবে না। তবে বিজ্ঞাপনবিহীন জেনেরিক নামের সীল ব্যবহার করা যাবে।
৪. বেসরকারি ঔষধ কোম্পানির সরবরাহকৃত ওষুধের তালিকা সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের টেবিলে রাখা যাবে না।
৫. কোম্পানির প্রতিনিধিরা কোনোভাবেই রোগীর তথ্য, প্রেসক্রিপশন বা ডকুমেন্টের ছবি তুলতে পারবেন না।
৬. প্রতি সপ্তাহে শুধুমাত্র সোমবার ও বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। নির্ধারিত সময় ছাড়া তারা হাসপাতালের প্রাঙ্গণে অবস্থান করতে পারবেন না।
৭. নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৮. সাক্ষাতের সময় কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবশ্যই দৃশ্যমানভাবে তাদের আইডি কার্ড বহন করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে এবং অপ্রয়োজনীয় বাণিজ্যিক প্রভাব থেকে রোগীরা সুরক্ষা পাবেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী, ঢাকা।
নং-স্বাঃ অধিঃ/প্রশাসন/সার্কুলার/২০১৮/(অংশ)/
তারিখঃ /০৯/২০২৫ ইং।
।। বিজ্ঞপ্তি।।
দেশের সকল সরকারি হাসপাতাল/ইনষ্টিটিউট সমূহে, জনসাধারণের মাঝে সরকারি চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে ও যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নিম্নরুপ নির্দেশনা সমূহ প্রতিপালন করা আবশ্যক;
১. বেসরকারি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরবরাহকৃত/নামাঙ্কিত প্যাডে রোগ নির্ণায়ক পরীক্ষার পরামর্শ প্রদান বা কোন কোম্পানীর প্যাডে প্রেসক্রিপশন করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
২. যে সকল পরীক্ষা/ঔষধ সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ আছে তা কোন ভাবেই বাইরে থেকে করা/কেনার সুপারিশ করা যাবে না।
৩. সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বা সরবারাহকৃত বাদে কোন বেসরকারি সীল ব্যবহার করা যাবে না। তবে বিজ্ঞাপন বিহীন জেনেরিক নামের সীল ব্যবহার করা যাবে।
8. বেসরকারি ঔষধ কোম্পানী কর্তৃক সরবরাহকৃত ঔষধ এর তালিকা সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের টেবিলে রাখা যাবে না।
৫. ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিগণ কোনমতেই হাসপাতাল কর্তৃক প্রদত্ত রোগীর কোন তথ্য, প্রেসক্রিপশন বা ডকুমেন্টের ছবি তুলতে পারবেন না।
৬. সপ্তাহে ০২ (দুই) দিন সোমবার ও বৃহস্পতিবার দুপুর ১২.০০ টা থেকে বেলা ০২.৩০ টা পর্যন্ত ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিগণ হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। এই সময়ের বাইরে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিগণ সরকারি হাসপাতালের সীমানার মধ্যে অবস্থান করতে পারবেন না;
৭. ক্রমিক-০৬ এ প্রদত্ত নির্দেশনা যদি কোন ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি অমান্য করে তবে ঐ কোম্পানীর সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
৮. সপ্তাহে নির্ধারিত ০২ (দুই) দিন ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিগণ হাসপাতালে চিকিৎসকদের সাথে সাক্ষাতের সময় অবশ্যই নিজ নিজ কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত আইডি কার্ড/পরিচয়পত্র দৃশ্যমান রাখবেন।
এতে মহাপরিচালক মহোদয়ের অনুমোদন রয়েছে।
স্বাক্ষরিত
(ডা: এ বি এম আবু হানিফ)
পরিচালক (প্রশাসন)
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা।



No comments
Your opinion here...