ad

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০২৫ জারি

Views

 


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০২৫ জারি

ঢাকা, ২৮ আগস্ট ২০২৫ :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আজ বৃহস্পতিবার “সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫” জারি করেছে। এ বিধিমালা অবিলম্বে কার্যকর হবে। ২০১৯ সালের পুরাতন বিধিমালা রহিত করে নতুন বিধিমালা চালু করা হলো।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখা থেকে প্রকাশিত এস.আর.ও. নং ৩৫৩-আইন/২০২৫ অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা, যোগ্যতা, পরীক্ষা পদ্ধতি এবং পদোন্নতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


🔎 নিয়োগ পদ্ধতি

১. শিক্ষক নিয়োগ হবে দুইভাবে –

  1. সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে

  2. পদোন্নতির মাধ্যমে

২. সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

৩. নিয়োগ উপজেলা বা থানাভিত্তিক হবে।

৪. সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে এবং শিক্ষা জীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়।


🧾 পদসমূহ ও যোগ্যতা

১) প্রধান শিক্ষক

  1. ৮০% পদ পদোন্নতির মাধ্যমে, ২০% সরাসরি নিয়োগ।

  2. পদোন্নতির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১২ বছরের চাকরিসহ মৌলিক প্রশিক্ষণ থাকতে হবে।

  3. সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রিতে দ্বিতীয় শ্রেণি/সমমান আবশ্যক।

২) সহকারী শিক্ষক

  1. নিয়োগ একমাত্র সরাসরি।

  2. ন্যূনতম যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রিতে দ্বিতীয় শ্রেণি/সমমান।

৩) সহকারী শিক্ষক (সঙ্গীত)

  1. সঙ্গীতে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে।

  2. বিকল্পভাবে, অন্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রির সঙ্গে সঙ্গীতে এক বছরের ডিগ্রি গ্রহণযোগ্য।

৪) সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)

  1. শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞানে স্নাতক/সমমান অথবা বিপিএড ডিগ্রি আবশ্যক।


📊 লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা

লিখিত পরীক্ষা (মোট ৯০ নম্বর, সময় ৯০ মিনিট)

  1. বাংলা – ২৫
  1. ইংরেজি – ২৫
  1. গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান – ২০
  1. সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) – ২০
    ➡️ পাশ নম্বর: ৫০%

মৌখিক পরীক্ষা (১০ নম্বর)
➡️ পাশ নম্বর: ৫০%

📌 কেবল লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।


📌 কোটা ব্যবস্থা

  1. ৯৩% পদ সাধারণ মেধাভিত্তিক নিয়োগযোগ্য।

  2. এর মধ্যে ২০% বিজ্ঞান বিভাগ, ৮০% অন্যান্য বিভাগ।

  3. ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটায়,

  4. ১% ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটায়,

  5. ১% প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ কোটায় নিয়োগ হবে।

যদি বিশেষ কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া যায়, তবে ওই পদ সাধারণ মেধাভিত্তিক প্রার্থীদের দেওয়া হবে।


✅ সারসংক্ষেপ

👉 নতুন বিধিমালায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ, মেধাভিত্তিক ও কঠোর যোগ্যতা নির্ধারিত হয়েছে।
👉 ২০১৯ সালের পুরনো বিধিমালা রহিত হয়ে ২০২৫ সালের বিধিমালাই কার্যকর হবে।
👉 প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে এই বিধিমালা যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সরকার।

বাংলাদেশ গেজেট

অতিরিক্ত সংখ্যা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত
বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৮, ২০২৫
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
বিদ্যালয়-২ শাখা
প্রজ্ঞাপন
তারিখ: ১৩ ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। ২৮ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। এস.আর.ও. নং ৩৫৩-আইন/২০২৫। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) এর ধারা ৫৯ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪০(২) অনুচ্ছেদের বিধান মোতাবেক বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের সহিত পরামর্শক্রমে, নিম্নরূপ বিধিমালা প্রণয়ন করিল, যথা:-
১। শিরোনাম ও প্রবর্তন। (১) এই বিধিমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে। ২। সংজ্ঞা। বিষয় কিংবা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই বিধিমালায়- (ক) "কমিশন” অর্থ বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন; (খ) "কমিটি” অর্থ বিধি ৮ এ উল্লিখিত কমিটি; (গ) “তফসিল” অর্থ এই বিধিমালার কোনো তফসিল; (ঘ) “নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ” অর্থ সরকার বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোনো কর্মকর্তা; (ঙ) “পদ” অর্থ তফসিলে উল্লিখিত কোনো পদ; (চ) “প্রয়োজনীয় যোগ্যতা” অর্থ সংশ্লিষ্ট পদের জন্য তফসিলে উল্লিখিত যোগ্যতা;

(ছ) “মৌলিক প্রশিক্ষণ” অর্থ কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়/বোর্ড/ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন (সিইনএড) বা ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন (ডিপিএড) বা বেসিক ট্রেনিং ফর প্রাইমারী টিচার্স (বিটিপিটি) অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সমমানের কোনো প্রশিক্ষণ; (জ) “শিক্ষানবিশ” অর্থ কোনো পদে শিক্ষানবিশ হিসাবে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি; (ঝ) “সিজিপিএ” অর্থ Cumulative Grade Point Average (CGPA); এবং (ঞ) “স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়” বা “বোর্ড” বা “ইনস্টিটিউট” বা “প্রতিষ্ঠান” অর্থ আপাতত বলবৎ কোনো আইনের দ্বারা বা আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা বোর্ড বা ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠান এবং এই বিধির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কমিশনের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকার কর্তৃক স্বীকৃত বলিয়া ঘোষিত অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা বোর্ড বা ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠানও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।

৩। নিয়োগ পদ্ধতি। (১) তফসিলে বর্ণিত বিধান সাপেক্ষে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৯(৩) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সংরক্ষণ সংক্রান্ত নির্দেশাবলি সাপেক্ষে, কোনো শূন্য পদে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে নিয়োগদান করা যাইবে, যথা:- (ক) সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে; এবং (খ) পদোন্নতির মাধ্যমে। (২) কোনো ব্যক্তিকে কোনো পদে নিয়োগ করা হইবে না, যদি না তজ্জন্য তাহার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকে এবং সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে, তাহার বয়স উক্ত পদের জন্য তফসিলে বর্ণিত বয়সসীমার মধ্যে না হয়। (৩) এই বিধিমালার অধীন নিয়োগ কার্যক্রম শূন্য পদের ভিত্তিতে উপজেলা বা ক্ষেত্রমত, থানাভিত্তিক হইবে। ৪। সরাসরি নিয়োগ। (১) কমিশনের সুপারিশ ব্যতিরেকে কমিশনের আওতাভুক্ত কোনো পদে কোনো ব্যক্তিকে সরাসরি নিয়োগ করা যাইবে না। (২) কমিটির সুপারিশ ব্যতিরেকে সহকারী শিক্ষক পদে কোনো ব্যক্তিকে সরাসরি নিয়োগ করা যাইবে না। তিনি (৩) কোনো পদে সরাসরি নিয়োগের জন্য কোনো ব্যক্তি যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না, যদি (ক) বাংলাদেশের নাগরিক না হন অথবা বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হন অথবা বাংলাদেশের ডমিসাইল না হন; এবং

(খ) এমন কোনো ব্যক্তিকে বিবাহ করেন অথবা বিবাহ করিবার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নহেন। (৪) কোনো পদে সরাসরি নিয়োগ করা হইবে না, যদি- (ক) নিয়োগের জন্য বাছাইকৃত ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক গঠিত মেডিকেল বোর্ড অথবা, ক্ষেত্র বিশেষে, তষ্কর্তৃক মনোনীত কোনো মেডিকেল অফিসার এই মর্মে প্রত্যয়ন করেন যে, উক্ত ব্যক্তি, স্বাস্থ্যগতভাবে অনুরূপ পদে নিয়োগযোগ্য এবং তিনি এইরূপ কোনো দৈহিক বৈকল্যে ভুগিতেছেন না, যাহা সংশ্লিষ্ট পদের দায়িত্ব পালনে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি করিতে পারে; এবং
(খ) এইরূপ বাছাইকৃত ব্যক্তির পূর্ব কার্যকলাপ যথাযোগ্য এজেন্সির মাধ্যমে তদন্ত না হইয়া থাকে ও তদন্তের ফলে দেখা যায় না যে, প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিযুক্তির জন্য তিনি অনুপযুক্ত নহেন।
(৫) কোনো ব্যক্তিকে কোনো পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হইবে না, যদি তিনি- (ক) উক্ত পদের জন্য কমিশন কর্তৃক বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দরখাস্ত আহ্বানের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ফিসহ যথাযথ ফরম ও নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে দরখাস্ত দাখিল না করেন; এবং (খ) সরকারি চাকরি কিংবা কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চাকরিতে নিয়োজিত থাকাকালীন স্বীয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দরখাস্ত দাখিল না করেন।

(খ) এইরূপ বাছাইকৃত ব্যক্তির পূর্ব কার্যকলাপ যথাযোগ্য এজেন্সির মাধ্যমে তদন্ত না হইয়া থাকে ও তদন্তের ফলে দেখা যায় না যে, প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিযুক্তির জন্য তিনি অনুপযুক্ত নহেন। (৫) কোনো ব্যক্তিকে কোনো পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হইবে না, যদি তিনি- (ক) উক্ত পদের জন্য কমিশন কর্তৃক বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দরখাস্ত আহ্বানের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ফিসহ যথাযথ ফরম ও নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে দরখাস্ত দাখিল না করেন; এবং (খ) সরকারি চাকরি কিংবা কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চাকরিতে নিয়োজিত থাকাকালীন স্বীয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দরখাস্ত দাখিল না করেন।

(৬) স্বীয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আবেদন করিয়া কোনো ব্যক্তি নিয়োগপ্রাপ্ত হইলে উক্ত নিয়োগ নূতন নিয়োগ হিসাবে গণ্য হইবে এবং তাহার পূর্ব চাকরিকাল শুধু পেনশন ও বেতন সংরক্ষণের জন্য প্রযোজ্য হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, জ্যেষ্ঠতা বা অন্য কোনো আর্থিক সুবিধাদির জন্য উক্ত কর্মকাল গণনাযোগ্য হইবে না। ৫। পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ।-(১) এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত সংশ্লিষ্ট বাছাই বা নির্বাচন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কোনো পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ করা যাইবে: তবে শর্ত থাকে যে, ১৫-১৪ গ্রেডের কোনো পদ হইতে ১২-১০ম গ্রেডের কোনো পদে কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ করা যাইবে। (২) যদি কোনো ব্যক্তির চাকরি বৃত্তান্ত সন্তোষজনক না হয়, তাহা হইলে, তিনি কোনো পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না। ৬। শিক্ষানবিশি।-(১) কোনো স্থায়ী শূন্য পদের বিপরীতে কোনো পদে নিয়োগের জন্য বাছাইকৃত ব্যক্তিকে শিক্ষানবিশি স্তরে- (ক) সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে, স্থায়ী নিয়োগের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসরের জন্য; এবং (খ) পদোন্নতির ক্ষেত্রে, এইরূপ নিয়োগের তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসরের জন্য নিয়োগ করা হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া কোনো শিক্ষানবিশির মেয়াদ এইরূপ বর্ধিত করিতে পারিবেন যাহাতে বর্ধিত মেয়াদ সর্বসাকুল্যে ২ (দুই) বৎসরের অধিক না হয়।
(২) যেই ক্ষেত্রে কোনো শিক্ষানবিশের শিক্ষানবিশি মেয়াদকালে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে, তাহার আচরণ ও কর্ম সন্তোষজনক নহে, কিংবা তাহার কর্মদক্ষ হইবার সম্ভাবনা নাই, সেই ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ- (ক) সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষানবিশের চাকরির অবসান ঘটাইতে পারিবেন; এবং (খ) পদোন্নতির ক্ষেত্রে, তাহাকে যে পদ হইতে পদোন্নতি প্রদান করা হইয়াছিল সেই পদে প্রত্যাবর্তন করাইতে পারিবেন।

(৩) শিক্ষানবিশির মেয়াদ, বর্ধিত মেয়াদ থাকিলে তাহাসহ, সম্পূর্ণ হইবার পর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যদি- (ক) এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, শিক্ষানবিশি মেয়াদ চলাকালে কোনো শিক্ষানবিশের আচরণ ও কর্ম সন্তোষজনক, তাহা হইলে উপ-বিধি (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, তাহাকে চাকরিতে স্থায়ী করিবেন এবং স্থায়ী শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি চাকরিতে যোগদানের তারিখ হইতে চাকরিতে স্থায়ী হইবেন; এবং (খ) মনে করেন যে, উক্ত মেয়াদকালে শিক্ষানবিশের আচরণ ও কর্ম সন্তোষজনক ছিল না, তাহা হইলে উক্ত কর্তৃপক্ষ- (অ) সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে, তাহার চাকরির অবসান ঘটাইতে পারিবেন; এবং (আ) পদোন্নতির ক্ষেত্রে, তাহাকে যে পদ হইতে পদোন্নতি প্রদান করা হইয়াছিল সেই পদে প্রত্যাবর্তন করাইতে পারিবেন।
পদে প্রত্যাবর্তন করাইতে পারিবেন। (৪) কোনো শিক্ষানবিশকে কোনো নির্দিষ্ট পদে স্থায়ী করা হইবে না যতক্ষণ না, সরকারি আদেশবলে, সময় সময়, যে পরীক্ষা ও মৌলিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, সেই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। (৫) কোনো পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকরিতে যোগদানের পর অন্যূন ৪ (চার) বৎসরের মধ্যে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করিতে হইবে। (৬) এই বিধিমালা কার্যকর হইবার তারিখে ১২তম গ্রেডে কর্মরত প্রশিক্ষণবিহীন কোনো প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড ১০ম গ্রেডে উন্নীত হইবার তারিখ হইতে ১৮ (আঠারো) মাসের মধ্যে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ সমাপ্ত করিতে হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন না করিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বেতন গ্রেডের নিম্ন ধাপে অবনমন করা হইবে। (৭) উপ-বিধি (৫) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি ৫০ (পঞ্চাশ) বৎসর বয়সে পদার্পণ করিলে এবং তাহার চাকরিকাল সন্তোষজনক বিবেচিত হইলে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা ও মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা শিথিলপূর্বক তাহার চাকরি স্থায়ী করিতে পারিবে। ৭। বিশেষ বিধান। (১) তফসিলে উল্লিখিত কোনো পদ পূরণের ক্ষেত্রে সরাসরি ও পদোন্নতির কোটা বিভাজনে কোনো ভগ্নাংশ আসিলে উভয় কোটার ভগ্নাংশ পূর্ণ সংখ্যা হিসাবে পদোন্নতির কোটার সহিত যুক্ত হইবে।
(২) অন্য কোনো বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে যাহা কিছুই উল্লেখ থাকুক না কেন- (ক) শিক্ষক নিয়োগ উপজেলা ও, ক্ষেত্রমত, থানাভিত্তিক হইবে; (খ) এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৯৩% পদ মেধাভিত্তিক প্রার্থীগণের দ্বারা, তন্মধ্যে ২০% পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণের দ্বারা এবং ৮০% পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণের দ্বারা মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগযোগ্য হইবে; (গ) এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৫% পদ মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগযোগ্য হইবে;
(ঘ) এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য ১% পদ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রার্থীগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগযোগ্য হইবে; এবং (ঙ) এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য ১% পদ শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগযোগ্য হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, দফা (গ), (ঘ) ও (ঙ) এর কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে উক্ত পদসমূহ উপজেলা/থানার সাধারণ মেধাভিত্তিক প্রার্থীগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান করা যাইবে: আরো শর্ত থাকে যে, সরকার পরবর্তীতে কোনো ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে কোটা বিভাজনের ক্ষেত্রে নূতনভাবে জারীকৃত বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।

বিভাজনের ক্ষেত্রে নূতনভাবে জারীকৃত বিধান অনুসরণ করিতে হইবে। ৮। শিক্ষক নিয়োগ কমিটি। (১) সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করিবার জন্য সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ কমিটি নামে একটি কমিটি গঠন করিবে। (২) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উক্ত কমিটির চেয়ারম্যান হইবেন। (৩) উক্ত কমিটির সদস্য সংখ্যা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে এবং তাহারা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন। (৪) বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের প্রতিনিধি কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত থাকিবেন। (৫) কমিটির সদস্য-সচিব হিসাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক দায়িত্ব পালন করিবেন। (৬) উক্ত কমিটি প্রত্যেক উপজেলা বা থানার জন্য আলাদাভাবে প্রার্থীগণের মেধা তালিকা প্রণয়ন করিবে। ৯। রহিতকরণ ও হেফাজত।-(১) এই বিধিমালা কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯, অত:পর রহিত বিধিমালা বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্বারা রহিত হইবে। (২) উপ-বিধি (১) এর অধীন উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত বিধিমালার অধীন- (ক) কৃত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, নিয়োগ, চাকরি স্থায়ীকরণ বা পদোন্নতি এই বিধিমালার অধীন কৃত, গৃহীত বা প্রদত্ত বলিয়া গণ্য হইবে;
(খ) নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীগণ এই বিধিমালার অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত বলিয়া গণ্য হইবে; তবে তাহাদের চাকরি স্থায়ীকরণ বা পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই বিধিমালার কোনো শর্ত রহিত বিধিমালার সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হইলে রহিত বিধিমালার সংশ্লিষ্ট বিধান এইরূপভাবে প্রযোজ্য হইবে যেন উহা রহিত হয় নাই; এবং (গ) কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা, রহিত বিধিমালার অধীন এমনভাবে নিষ্পত্তি করিতে হইবে যেন উহা রহিত হয় নাই।

তফসিল-১ [বিধি ২ (গ) দ্রষ্টব্য]
১) পদের নাম: প্রধান শিক্ষক
সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা: ৩২ বৎসর
নিয়োগ পদ্ধতিঃ মোট পদের-
পদোন্নতির ক্ষেত্রে: (ক) ৮০% পদোন্নতির মাধ্যমে; তবে পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে; এবং (খ) ২০% সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে
প্রয়োজনীয় যোগ্যতাঃ
পদোন্নতির ক্ষেত্রে
সহকারী শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষক (সঙ্গীত) বা সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদে মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চাকরি স্থায়ীকরণসহ অন্যূন ১২ (বার) বৎসরের চাকরি। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে: (ক) কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি; (খ) শিক্ষা জীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ অথবা সমমানের জিপিএ অথবা তৃতীয় শ্রেণি অথবা সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হইবে না; এবং (গ) তফসিল-২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে
ক) কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি; (খ) শিক্ষা জীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ অথবা সমমানের জিপিএ অথবা তৃতীয় শ্রেণি অথবা সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হইবে না; এবং (গ) তফসিল-২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

২. পদের নাম: সহকারী শিক্ষক
সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা: ৩২ বৎসর
নিয়োগ পদ্ধতিঃ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে
(ক) কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি; (খ) শিক্ষা জীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ অথবা সমমানের জিপিএ অথবা তৃতীয় শ্রেণি অথবা সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হইবে না; এবং (গ) তফসিল-২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

৩) পদের নাম: সহকারী শিক্ষক (সঙ্গীত)
সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা: ৩২ বৎসর
নিয়োগ পদ্ধতিঃ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যম
প্রয়োজনীয় যোগ্যতাঃ
(ক) কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ সঙ্গীত বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি; অথবা কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রিসহ কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে সঙ্গীতে অন্যূন ১ (এক) বৎসরের ডিগ্রি: (খ) শিক্ষা জীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ অথবা সমমানের জিপিএ অথবা তৃতীয় শ্রেণি অথবা সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হইবে না; এবং (গ) তফসিল-২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

৪) পদের নাম: সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)
সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা: ৩২ বৎসর
নিয়োগ পদ্ধতিঃ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যম
প্রয়োজনীয় যোগ্যতাঃ
(ক) কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রিসহ কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণির ব্যাচেলর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন (বিপিএড) ডিগ্রি; অথবা কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞানে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি; (খ) শিক্ষা জীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ অথবা সমমানের জিপিএ অথবা তৃতীয় শ্রেণি অথবা সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হইবে না; এবং (গ) তফসিল-২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

✍️ লিখিত পরীক্ষা

লিখিত পরীক্ষায় মোট নম্বর ১০০। বিষয়ভিত্তিক বণ্টন নিচে দেওয়া হলোঃ

  1. বাংলা – ২৫ নম্বর

  2. ইংরেজি – ২৫ নম্বর

  3. গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান – ২০ নম্বর

  4. সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) – ২০ নম্বর

  5. মোট – ৯০ নম্বর

  6. সর্বনিম্ন পাশ নম্বর: ৫০%

⏳ সময়: ৯০ মিনিট


🗣️ মৌখিক পরীক্ষা

মৌখিক পরীক্ষাঃ ১০ নম্বর

  1. মৌখিক পরীক্ষার জন্য সর্বনিম্ন পাশ নম্বর: ৫০%

  2. লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই কেবল মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।


✅ সর্বমোট নম্বর

  1. লিখিত: ৯০

  2. মৌখিক: ১০

  3. সর্বমোট: ১০০ নম্বর






















পিডিএফ ডাউনলোড

No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.