শিশুর রাগ নয়, ভালোবাসা শেখানোর উপায়
শিশুর রাগ নয়, ভালোবাসা শেখানোর উপায়
ভূমিকা
🌱 “শিশুকে রাগ দেখালে সে রাগ শিখবে, ভালোবাসা দেখালে সে ভালোবাসা শিখবে।” 🌱
এটা শুধু একটি সুন্দর লাইন নয়, বরং প্রতিটি শিশুর বেড়ে ওঠার সবচেয়ে বড় শিক্ষা। আমাদের প্রতিদিনের আচরণই শিশুর চরিত্র গঠন করে।
কেন শিশুরা জেদ করে?
শিশুর জেদের পেছনে কিছু কারণ থাকে। যেমন—
তার চাওয়াকে বারবার থামিয়ে দেওয়া।
-
কৌতূহলকে “না” বলে দমন করা।
-
তার সামনে রেগে যাওয়া বা চিৎকার করা।
শিশুর মনে তখন জন্মায়—
🧠 “আমার কথা কেউ শোনে না।”
🧠 “চিৎকার, কান্না বা রাগ করলেই সবাই শুনবে।”
ফলে তৈরি হয় জেদি স্বভাব, রাগী মন ও অস্থির আচরণ।
সুখবর হলো— জেদ কমানো সম্ভব
শিশুরা কথার চেয়ে বেশি শেখে আচরণ দেখে।
আপনি যেমন আচরণ করবেন, সেও তেমন শিখবে।
🔹 আপনি সময় দিলে — সে নিরাপত্তা শেখে।
🔹 আপনি ভালোবাসলে — সে ভালোবাসা দিতে শেখে।
🔹 আপনি ধৈর্য ধরলে — সে ধৈর্য শেখে।
🔹 আপনি আগ্রহে সাড়া দিলে — সে আত্মবিশ্বাসী হয়।
শিশুর সাথে করণীয় ও বারণীয়
যা করবেন না ❌
শিশুর ইচ্ছে মানেই অবহেলা নয়।
-
তার কৌতূহল মানেই শাস্তি নয়।
-
তার জেদ মানেই রাগের জবাব নয়।
যা করবেন ✅
“না” বলার বদলে বিকল্প দিন।
-
ছোট ছোট সিদ্ধান্ত নিতে দিন।
-
যুক্তি দিয়ে বোঝান, শুধু “না” নয়।
-
রাগ এলে নিজেকে থামান— আপনার রাগও তার শিক্ষক।
-
প্রতিদিন কিছু সময় রাখুন শুধুই তার জন্য।
-
শিশুকে বলুন: “তুমি গুরুত্বপূর্ণ”, “আমি তোমার কথা শুনি”, “আমি তোমাকে ভালোবাসি।”
শেষ কথা 🌟
শিশুরা যা দেখে, তাই শিখে।
আপনি যদি শান্ত থাকেন, ধৈর্য ধরেন ও ভালোবাসা দেন— আপনার সন্তানও তাই শিখবে।
📢 আসুন, এই বার্তাটি প্রতিটি মা-বাবার কাছে পৌঁছে দিই। হয়তো কারো রাগ কমবে, মন নরম হবে, আর একটি শিশু হয়ে উঠবে ভালোবাসায় ভরা, আত্মবিশ্বাসী মানুষ।



No comments
Your opinion here...