জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আইনত দণ্ডনীয় — জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সতর্কবার্তা

Views

 

জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আইনত দণ্ডনীয় — জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সতর্কবার্তা

ঢাকা, ১০ আগস্ট ২০২৫:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ‘জিরো রিটার্ন’ দাখিল সংক্রান্ত ভ্রান্ত ধারণা সম্পর্কে করদাতাদের সতর্ক করেছে। এনবিআরের প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে, ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো ধরনের আয়কর রিটার্ন দাখিলের বিধান আয়কর আইন, ২০২৩-এ নেই।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, রিটার্ন ফরমের সবগুলো ঘরে “শূন্য” লিখে রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব। এনবিআরের ভাষ্যমতে, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত এবং বেআইনি। ভ্রান্ত তথ্যের প্রভাবে কিছু করদাতা তাঁদের আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য অসত্যভাবে বা শূন্য হিসেবে প্রদর্শন করছেন বলে জানা গেছে।

এনবিআর জানিয়েছে, আয়কর আইন অনুযায়ী প্রতিটি করদাতাকে তাঁর প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সঠিকভাবে রিটার্নে প্রদর্শন করতে হবে। প্রকৃত তথ্য গোপন করে মিথ্যা বা শূন্য তথ্য প্রদান করা একটি ফৌজদারি অপরাধ। আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৩১২ ও ৩১৩ অনুসারে, এ ধরনের অপরাধের জন্য করদাতাকে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

এছাড়া এনবিআর স্পষ্ট করেছে—যদি কোনো করদাতার আয়ের পরিমাণ করযোগ্য সীমার নিচে থাকে, তবে তাঁকে কর পরিশোধ করতে হবে না; কিন্তু সঠিক তথ্য গোপন করে শূন্য দেখিয়ে ‘জিরো রিটার্ন’ দাখিলের কোনো সুযোগ নেই।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সকল করদাতাকে অনুরোধ করেছে, দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে প্রকৃত তথ্য দিয়ে রিটার্ন দাখিল করতে এবং ভুয়া ‘জিরো রিটার্ন’ প্রচারণার ফাঁদে পা না দিতে। দেশের উন্নয়নে সঠিক কর দাখিলকে গর্বের অংশীদারিত্ব হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্র: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

 জাতীয় রাজস্ব বোর্ড 

রাজস্ব ভবন

www.nbr.gov.bd

তারিখঃ ১০  আগস্ট, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

প্রেস রিলিজ

জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আইনত দন্ডনীয়

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'জিরো রিটার্ন' দাখিল বিষয়ক কতিপয় ভ্রান্ত ধারণাপ্রসূত পোস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরে এসেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এ সকল পোস্টে রিটার্ন পূরণের সবকয়টি ঘর "শূণ্য” হিসেবে পূরণ করে রিটার্ন দাখিল করা যায় মর্মে ভ্রান্ত ধারণা প্রচার করা হচ্ছে। এসকল ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে কোনো কোনো করদাতা তাঁদের আয়কর রিটার্নে আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের বিষয়ে অসত্য ঘোষণা প্রদান করে আসছেন মর্মে জানা যায়।

সম্মানিত করদাতাগণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে 'জিরো রিটার্ন' নামে কোনো প্রকার রিটার্ন দাখিলের বিধান নেই। আয়কর আইন অনুসারে একজন করদাতাকে তাঁর প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় অবশ্যই সঠিকভাবে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে হবে।

করদাতার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় প্রদর্শন না করে এর কোন একটি শূন্য অথবা সবগুলো তথ্য শূন্য হিসেবে প্রদর্শন করা সম্পূর্ণ বে-আইনি এবং এটি একটি ফৌজদারী অপরাধ। করদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে তাঁর আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সম্পর্কিত সঠিক তথ্য প্রদর্শন না করে মিথ্যা বা অসত্য তথ্য প্রদান করলে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৩১২ ও ৩১৩ অনুসারে করদাতাকে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড প্রদানের বিধান রয়েছে।

একজন করদাতার আয়, ব্যয়, সম্পদ বা দায় সংক্রান্ত বিষয়ে রিটার্নে সঠিক ঘোষণা প্রদান করা একজন করদাতার পবিত্র নাগরিক ও আইনী দায়িত্ব। করদাতার প্রকৃত আয়ের পরিমান আইনানুযায়ী করযোগ্য না হলে তাঁকে কোনো কর পরিশোধ করতে হবে না। তবে কর প্রদেয় না হলেও সঠিক তথ্য-উপাত্ত প্রদর্শন না করে শূন্য আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় দেখিয়ে শুন্য বা জিরো রিটার্ন দাখিল করার কোন সুযোগ আয়কর আইনে নেই।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করে যে, সকল সম্মানিত করদাতা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে আয়কর রিটার্নে প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় প্রদর্শন করে দেশের উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার হবেন। একইসাথে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত প্রতারনামূলক জিরো রিটার্নের ফাঁদে পা না দিয়ে নিজেকে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড হতে সুরক্ষিত রাখবেন।

-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড