বেতন গ্রেড উন্নয়ন ইস্যুতে প্রতারণা: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের হুঁশিয়ারি
বেতন গ্রেড উন্নয়ন ইস্যুতে প্রতারণা: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের হুঁশিয়ারি
📰 সংবাদ প্রতিবেদন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ প্রধান শিক্ষক পেলেন ১০ম গ্রেড, চাঁদাবাজদের বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
বিস্তারিত প্রতিবেদন:
ঢাকা, ০৩ জুলাই ২০২৫:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রিটকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। রিট পিটিশন নম্বর ৩২১৪/২০১৮ এর ভিত্তিতে উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ রায় বাস্তবায়নে সম্মতি প্রদান করায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে ০৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, এনডিসি স্বাক্ষরিত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রায়প্রাপ্ত ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের ১০ম গ্রেড কার্যকর হলেও অন্যান্য প্রধান শিক্ষকদের বিষয়টি এখনো সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।
তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, এই পরিস্থিতিকে পুঁজি করে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি ও আর্থিক সুবিধা গ্রহণের চেষ্টা করছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের কোনো আর্থিক লেনদেনে জড়িত না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে কেউ আর্থিক সুবিধা গ্রহণ বা চাঁদাবাজির মতো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে তাদের নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শিক্ষক সমাজের প্রতি স্পষ্ট বার্তা হলো – কোনো আর্থিক লেনদেন নয়, আইনি প্রক্রিয়াই একমাত্র পথ।
সূত্র:
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
স্মারক নং: ৩৮.০১.০০০০.১৪০.৯৯.০০৮.২২-১৩৩৯
তারিখ: ০৩ জুলাই ২০২৫
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
নম্বর: ৩৮.০১.০০০০.১৪০.৯৯.০০৮.২২-১৩৩৯
তারিখ: ১৯ আষাঢ় ১৪৩২
০৩ জুলাই ২০২৫
বিজ্ঞপ্তি
এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে রিট পিটিশন নম্বর-৩২১৪/২০১৮ এর বিপরীতে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রিটকারী ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) জন প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ রায় বাস্তবায়নে সম্মতি প্রদান করে। অবশিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি/আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি অনাকাঙ্খিত এবং ফৌজদারী অপরাধের শামিল। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে কোনরূপ আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ করা হলো এবং চাঁদাবাজি/আর্থিক সুবিধা গ্রহণকারীদের নিকটস্থ থানায় সোপার্দ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
স্বাক্ষরিত
মোহাম্মদ কামরুল হাসান, এনডিসি
পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন)
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
No comments
Your opinion here...