ad

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত: 'প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ২০২২ (পরিমার্জিত ২০২৫)' অনুমোদিত

Views

 


প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত: 'প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ২০২২ (পরিমার্জিত ২০২৫)' অনুমোদিত

👉প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ২০২২ (পরিমার্জিত ২০২৫)

রিপোর্টার: নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশের তারিখ: ৪ জুন, ২০২৫

ঢাকা:
বাংলাদেশের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শ করলো জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি) কর্তৃক অনুমোদিত 'প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ২০২২ (পরিমার্জিত ২০২৫)'। সময়ের দাবি ও আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছোট শিশুদের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়েছে।

শিশুর শারীরিক, মানসিক, ভাষাগত, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সামাজিক বিকাশের উপর গুরুত্বারোপ করে এই শিক্ষাক্রমে ৪+ ও ৫+ বয়সি কোমলমতি শিশুদের জন্য পৃথকভাবে উপযোগী শিক্ষার কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষাক্রমের মূল ভিত্তি হিসেবে চারটি বিকাশ ক্ষেত্র (Physical, Social-Emotional, Language-Communication, Cognitive Development) নির্ধারিত হয়েছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্র অনুযায়ী অর্জনযোগ্য যোগ্যতা, শিখনফল, সক্রিয় শিখন কৌশল এবং ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালের জমতিয়েন ঘোষণা ও ২০০০ সালের ডাকার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার প্রারম্ভিক শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ১৯৯৪ সালে ‘দেখা শোনা’ বইয়ের মাধ্যমে শিশু শ্রেণি চালু হয় এবং জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর আলোকে ৫+ এবং পর্যায়ক্রমে ৪+ বয়সি শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে ৫+ বয়সিদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক কার্যক্রম চালু হয় এবং ২০২৩ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ৩২১৪টি বিদ্যালয়ে ৪+ বয়সিদের জন্য ক্লাস চালু করা হয়।

২০২১ সালের জুন মাসে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ৪+ বয়সিদের জন্য নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন এবং ৫+ বয়সিদের জন্য পূর্বের শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের কার্যক্রম শুরু করে। এই প্রক্রিয়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দলিলাদি যেমন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০, সংবিধান, প্রারম্ভিক বিকাশ নীতি ২০১৩, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১, এবং আন্তর্জাতিক ELDS মান বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষাক্রম উন্নয়নে শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম ও বিষয় বিশেষজ্ঞ, শ্রেণি শিক্ষকসহ সকল সংশ্লিষ্টদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল প্রশংসনীয়। পর্যালোচনা ও যৌক্তিক পরামর্শের ভিত্তিতে চূড়ান্তকরণ শেষে ‘প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ২০২২ (পরিমার্জিত ২০২৫)’ এনসিসিসি সভায় অনুমোদিত হয়।

এবারের সংস্করণে শিশুদের শিখন অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দদায়ক ও কার্যকর করতে শিক্ষক সহায়িকা, শেখার উপকরণ এবং ক্লাস পরিচালনার নতুন কৌশল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি আরও মজবুত হবে, যার সুফল ভবিষ্যতে শিশুদের শিখনে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ পূরণেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডাউনলোড লিংক:
পূর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড করুন এখানে

উল্লেখযোগ্য:
শিক্ষাক্রম পরিমার্জনে সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানকারী সকল শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এই শিক্ষাক্রম আরও উন্নয়নের জন্য যৌক্তিক পরামর্শকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।





No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.