ad

TWTMS সফটওয়্যারের সঠিক ব্যবহার, ট্রাস্ট আইন - ২০২৩ সম্পর্কে অবহিতকরণ ও বার্ষিক চাঁদা আদায় নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত অফিস আদেশ।

Views


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যক্রম ডিজিটালাইজড: চালু হলো “শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (TWTMS)”

 👉TWTMS সফটওয়্যারের সঠিক ব্যবহার, ট্রাস্ট আইন - ২০২৩ সম্পর্কে অবহিতকরণ ও বার্ষিক চাঁদা আদায় নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত অফিস আদেশ। (১০.০৪.২৫)।


সংবাদ প্রতিবেদন:

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যক্রমকে আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও গতিশীল করতে “শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (TWTMS)” নামে একটি আধুনিক সফটওয়্যার চালু করেছে। সফটওয়্যারটি ব্যবহারের ঠিকানা হচ্ছে http://twtms.dpe.gov.bd

২০২৫ সালের ১০ এপ্রিল তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।

সফটওয়্যারটির মাধ্যমে শিক্ষকগণ এখন থেকে বার্ষিক চাঁদা প্রদান, চিকিৎসা সহায়তার আবেদন, উচ্চশিক্ষা বৃত্তির আবেদনসহ ট্রাস্টের সকল কার্যক্রম অনলাইনে সম্পাদন করতে পারবেন। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সফটওয়্যার ব্যবহার বিষয়ে বিভাগভিত্তিক অবহিতকরণ ইতোমধ্যে Zoom প্ল্যাটফর্মে সম্পন্ন হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।


অফিস আদেশে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাসমূহ:

১. বার্ষিক চাঁদা বৃদ্ধি:
২০২৩ সাল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষকের বার্ষিক চাঁদা ২০০ (দুই শত) টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২. রেজিস্ট্রেশন ফি ও প্রথম বছরের জমা:
২০২৩ সালের জন্য শিক্ষকগণকে এককালীন রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০ টাকা এবং বার্ষিক চাঁদা ২০০ টাকা মিলিয়ে মোট ৪০০ টাকা জমা দিতে হবে।

৩. ম্যানুয়াল জমা বাতিল:
ভবিষ্যতে বার্ষিক চাঁদা ম্যানুয়ালি গ্রহণ করা হবে না। সকল অর্থ প্রদান করতে হবে অনলাইনে TWTMS সফটওয়্যারের মাধ্যমে।

৪. পূর্বে ম্যানুয়ালি প্রেরিত চাঁদা:
যে সকল উপজেলা বা থানা ইতোমধ্যে ২০২৩ সালের চাঁদা ম্যানুয়ালি পাঠিয়েছে, তাদের পুনরায় সফটওয়্যারের মাধ্যমে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। তবে প্রদত্ত শিক্ষকদের তালিকা ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ৩০ জুন ২০২৫ তারিখের মধ্যে ট্রাস্ট অফিসে পাঠাতে হবে।

৫. বার্ষিক চাঁদা প্রদানের সময়সীমা:
প্রতি বছর ৩০ জুনের মধ্যে বার্ষিক চাঁদা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

৬. মাসিক সমন্বয় সভায় এজেন্ডা অন্তর্ভুক্তি:
প্রধান শিক্ষকদের প্রতি মাসিক সমন্বয় সভায় “শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের বার্ষিক চাঁদা প্রদান ও সফটওয়্যার ব্যবহার” বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৭. প্রশিক্ষণ ও প্রতিবেদন:
“শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২৩” ও সফটওয়্যার ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে প্রশিক্ষণ মডিউল ও লিফলেট তৈরি করে পরবর্তী সাব-ক্লাস্টার প্রশিক্ষণে সকল শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
প্রশিক্ষণ শেষে জেলা ভিত্তিক প্রতিবেদন ই-মেইলে (kallantrust.1985@gmail.com) পাঠাতে হবে।

৮. চিকিৎসা সহায়তা ও উচ্চশিক্ষা বৃত্তি:
প্রতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে চিকিৎসা সহযোগিতা ও উচ্চশিক্ষা বৃত্তির আবেদন করতে হবে।


প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য নতুন যুগের সূচনা
এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের সকল কার্যক্রম ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে একীভূত হলো। এর ফলে শিক্ষকরা এখন ঘরে বসেই অনলাইনে সকল প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করতে পারবেন।
অফিস আদেশ অনুযায়ী, সফটওয়্যারের যথাযথ ব্যবহার এবং বার্ষিক চাঁদা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তার দায়িত্ব হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।


উৎস:
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর,
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট,
স্মারক নং-স/প্রা/বি/ক/ট্রাস্ট-২০২৫-৯৭৫
তারিখঃ ১০ এপ্রিল ২০২৫

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট

সেকশন ২. মিরপুর, ঢাকা ১২১৬

স্মারক নং-স/প্রা/বি/ক/ট্রাস্ট-২০২৫-৯৭৫

তারিখঃ ২৬ চৈত্র ১৪৩১

১০ এপ্রিল ২০২৫

অফিস আদেশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা, কাজের গতি তরান্বিতকরণ, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে 'শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (TWTMS)" নামে একটি সফটওয়‍্যার তৈরী করা হয়েছে। সফটওয়্যারটি URL http://twtms.dpe.gov.bd এর মাধ্যমে লগইন করতে হবে। উক্ত সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষকদের বার্ষিক চাঁদা আদায়, চিকিৎসা সহযোগিতা ও উচ্চশিক্ষা বৃত্তির আবেদন প্রদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে সকল কর্মকর্তাদের বিভাগ ভিত্তিক অবহিতকরন Zoom প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে। সফটওয়্যারের সঠিক ব্যবহার, ট্রাস্ট আইন ২০২৩ সম্পর্কে অবহিতকরণ ও বার্ষিক চাঁদা আদায় নিশ্চিতকরণ বিষয়ে নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো:

* সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের বার্ষিক চাঁদা বৃদ্ধি করে ২০২৩ সাল থেকে ২০০.০০ (দুই শত) টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

* শিক্ষকগণ তাদের স্ব স্ব আইভি এর মাধ্যমে লগইন করে ২০২৩ সালের বার্ষিক চাঁদা ২০০.০০ (দুই শত) টাকা এবং এককালীন রেজিস্ট্রিশন ফি বাবদ ২০০.০০ (দুই শত) টাকাসহ মোট ৪০০.০০ (চার শত) টাকা (শুধুমাত্র ২০২৩ সালের জন্য প্রযোজ্য) জমা দিতে হবে।

* যে সকল উপজেলা/থানা ২০২৩ সালের চাঁদা ম্যানুয়ালি প্রেরণ করেছেন, তারা সফটওয়‍্যারের মাধ্যমে পুনরায় প্রেরণ করার প্রয়োজন নেই। তবে চাঁদা রেজিষ্টিশন ফি ২০০.০০ (দুই শত) টাকাসহ প্রদানকৃত শিক্ষকদের নামের তালিকা ও সংশ্লিষ্ট পত্রের কপি ট্রাস্ট অফিসে ৩০ জুন ২০২৫ এর মধ্যে প্রেরণ নিশ্চিত করতে হবে।

* শিক্ষকদের বার্ষিক চাঁদা ম্যানুয়ালি গ্রহণ করা হবে না।

* প্রতি বছর ৩০ জুন এর মধ্যে বার্ষিক চাঁদা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

* 'শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের সার্বিক কার্যক্রম এবং সফটওয়্যারের মাধ্যমে বার্ষিক চাঁদা প্রদান" বিষ্যাটি প্রধান শিক্ষকদের প্রত্যেক মাসিক সমন্বয় সভায় এজেন্ডাভূক্ত করে আলোচনা করতে হবে।

* শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২৩ এবং সফটওয়্যার ব্যবহার বিষয়ে ট্রেনিং মডিউল অনুসরণপূর্বক লিফলেট প্রস্তুত করে পরবর্তী সাব ক্লাস্টার প্রশিক্ষণে সকল শিক্ষককে প্রশিক্ষিতকরণের ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে জেলা ভিত্তিক প্রতিবেদন ট্রাস্ট অফিসের kallantrust. 1985@gmail.com এ মেইলে প্রেরণ নিশ্চিত করতে হবে।

* প্রতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে চিকিৎসা সহযোগিতা ও উচ্চশিক্ষা বৃত্তির আবেদন করতে হবে।

স্বাক্ষরিত

আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান

মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

চেয়ারম্যান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট।



No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.