ad

চাকুরীর জন্য আবেদন এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বিভাগীয় ছাড়পত্র প্রদান সংক্রান্ত DPE এর নির্দেশনা। ১৯/০৫/১৬

Views

 


চাকুরীর জন্য আবেদন এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বিভাগীয় ছাড়পত্র প্রদান সংক্রান্ত DPE এর নির্দেশনা। ১৯/০৫/১৬




গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
সেকশন ২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬
www.dpe.gov.bd


স্মারক নং- ৩৮,১০২.০১৮.০০,00,00৩,২০১৬. -৬৪৯ (৭০০)
তারিখঃ ০৫ বৈশাখ, ১৪২৩
১৯ মে ২০১৬

বিষয় : চাকুরীর জন্য আবেদন এবং পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য বিভাগীয় ছাড়পত্র প্রদান সংক্রান্ত । উপরোক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং অধিদপ্তরাধীন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীগণ বিভিন্ন সময়ে চাকরী পরিবর্তনের লক্ষে সরকারী কর্মকমিশন এবং বিভিন্ন সরকারী আধা-সরকারী সংস্থায় নিয়োগের জন্য আবেদন করে থাকেন। অধিকাংশক্ষেত্রে আবেদনকারীগ লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে থাকেন। আবেদনে অনুমতি না নিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহনের পূর্বে আবেদন করা সরকারী কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপীল বিধি পরিপন্থি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। চাকুরীর জন্য আবেদনকারীগণকে এখন থেকে মূল আবেদন জমা দেওয়ার পূর্বে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। কোন ক্রমেই সরাসরি আবেদন করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা যাবে না। পূর্বানুমতি ব্যতিত লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে কেবলমাত্র মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পূর্বে অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে সে আবেদন নাকচ হবে এবং বিভাগীয় মামলা রুজু করা হবে।

স্বাক্ষরিত
শামস্ উদ্দিন আহমদ পরিচালক (প্রশাসন)
মহাপরিচালকের পক্ষে




সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার পদের আবেদনের ক্ষেত্রে যারা ইতোমধ্যে বিভাগীয় অনুমতির জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন সাবমিট না করেই পিএসসির ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করেছেন
তারা এভাবে সমাধান করতে পারেন:-
৩১ জুলাই ২০২৩ এর আগেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট বিভাগীয় অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারেন।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুমতির জন্য আবেদন করলেই কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হলো।
আবেদন করে আবেদনের একটি রিসিভ কপি রাখবেন। কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করেছে রিসিভ কপি বলতে কি বুঝায়: আপনি যে আবেদন করবেন সেই আবেদনের দুইটা কপি করবেন। একটা কপি উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দিবেন। আরেকটা কপিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসের সিল দিয়ে আপনার কাছে রাখবেন এটিকে রিসিভ কপি বলেন। অর্থাৎ আপনি যে অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন তার প্রমাণক। এই মুহূর্তে শুধু এটি হলেই চলবে। যি নিতে আপনার সময় লাগবে না । শুধু উপজেলা শিক্ষক অফিস থেকে আবেদন করে আবেদনের একটা কপিতে সীল দিয়ে নিজের কাছে রাখলেই চলবে।
এরপর আপনি যখন প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় টিকবেন তখন নিয়োগ কারী কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে পিএসসির নির্ধারিত ফরমেটে অনুমতি পত্র পূর্বের রিসিভ কপি দেখিয়ে সংগ্রহ করতে পারবেন।
বিভিন্নজন বিভিন্ন কথা বলে বা বলবে। এটি স্বাভাবিক। আপনি যদি বিদেশে চিকিৎসার জন্য বা বেড়ানোর জন্য বা হজের জন্য বিদেশে যেতে চান তাহলে কি আগেই টিকিট কাটেন না আগে অনুমতির জন্য আবেদন করেন ?
আপনি যদি আপনার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অফিস রুমে প্রবেশ করতে চান রুমের ভিতর প্রবেশ করে জিজ্ঞাসা করেন আসতে পারি স্যার? না রুমের বাইরে থেকে জিজ্ঞাসা করেন আসতে পারি স্যার?
আবেদনের লাস্ট ডেট যেহেতু ৩১ জুলাই ২০২৩ । ধরুন আপনি এখন আবেদন করেছেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বা অবহিত না করেই। মনে করেন আপনি প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেন। এরপর আপনি বিভাগীয় অনুমতির জন্য আবেদন করলেন।
আপনার কিন্তু আবেদনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে ৩১ জুলাই ২০২৩ এর মধ্যে । আর আপনি বিভাগীয় অনুমতির জন্য আবেদন করলেন এর থেকে পাঁচ ছয় মাস পরে। তাহলে কি ঐ রুমের মধ্যে প্রবেশ করে স্যারকে জিজ্ঞাসা করার মত হল কিনা আমি কি আসতে পারি স্যার।
এখন কারো কারো জিজ্ঞাসা বিভাগীয় অনুমতির জন্য আবেদনের সঙ্গে কী কী কাগজপত্র দিতে হবে?
এক্ষেত্রে আপনি যে প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরী করেন তার প্রমাণ পত্র লাগবে। তাহলে আপনার চাকরির প্রমাণপত্র কি? এক্ষেত্রে আপনার চাকরির প্রমাণপত্র হতে পারে:- নিয়োগপত্র, যোগদান পত্র, পে ফিক্সেশনের কপি, সহকারী শিক্ষক হলে প্রধান শিক্ষকের প্রত্যায়ন পত্র, প্রধান শিক্ষক হলে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের প্রত্যয়ন পত্র, ইত্যাদি।
কর্তৃপক্ষ যদি বেশি সদয় হয় তাহলে এত কিছু ডকুমেন্ট ছাড়া শুধু দরখাস্ত দিয়েই আপনার বিভাগে অনুমতির আবেদনের প্রসেস করতে পারেন। যদি কনফার্ম হয় যে আপনি নির্ধারিত বা উল্লেখিত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষক। তবে আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু ডকুমেন্ট না থাকলে কোন অফিসারই বিভাগীয় অনুমতি দিতে চাইবে না। এক্ষেত্রে নিজ নিজ অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
অনেকেই এখনো প্রশ্ন করে যাচ্ছেন চার বছর মেয়াদী অনার্সধারী শিক্ষকগণ কি আবেদন করতে পারবেন? পিএসসির সাথে টেলিফোনিক যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা বলেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যদি তাদেরকে চিঠি দিয়ে জানায় তাহলে তারা সংশোধনী দিবে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সংশ্লিষ্ট স্যারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। স্যারেরা বলেছেন তারা একটি পত্র পিএসসি কে দিবেন। যেহেতু 2015 এবং 2018 সালের সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসারের নিয়োগের ক্ষেত্রে চার বছর মেয়াদী অনার্স কোর্স ধারীদের সুযোগ দিয়েছিল। আশা রাখি এখানেও সেই সুযোগ ঘটবে।
১৯৯৪ সালের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী বলা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় এর যে কোন শিক্ষক আবেদন করতে পারবেন যাদের বয়স ৪৫ এর নিচে। এখানে কিন্তু কোন উল্লেখ করা হয়নি কত বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে এক বছর ,দুই বছর, পাঁচ বছর কোন কিছু উল্লেখ করা হয়নি । সার্কুলারেও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে কোন শিক্ষক। পিএসসির অনলাইন ফরমেটে অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে শুরু হয়েছে মিনিমাম এক বছর দিয়ে। এক্ষেত্রে ২০২৩ সালে যেসব শিক্ষক যোগদান করেছেন তারা প্রথমে এক বছর দিতে পারেন ।এরপর জানুয়ারি এবং ২০২৩ সাল দিতে পারেন। শেষে টিল ডেট দিতে পারেন। যেহেতু বিভাগীয় প্রার্থিতার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা কত বছর উল্লেখ নাই সেক্ষেত্রে যথাযথ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ আপনাকে বিভাগীয় অনুমতি পত্র দিলেই এই শর্ত পালন হয়ে যায়। সুতরাং আপনি যখন প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় টিকবেন এবং বিভাগীয় অনুমতি নিবেন তখন এই ক্ষেত্রে আর সমস্যা থাকার কথা নয়।
সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার পদে আবেদনের ক্ষেত্রে তথ্য পূরণ করার সময় যে তথ্যগুলো নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষক মেসেজ দিচ্ছেন তাদের জন্য:
Employed on : Regular Basis Under Revenue Budget
Designation/Post: Assistant Teacher / Head Teacher
Organization : নিজ বিদ্যালয়ের নাম(Goeshpur Government Primary School ) under Ministry of Primary and Mass Education
Address : নিজ বিদ্যালয়ের ঠিকানা( ওয়ার্ড ,ইউনিয়ন, পোস্ট অফিস, উপজেলা, জেলা ইংরেজিতে )
Leanth of service : Month : যে মাসে চাকরি শুরু করেছেন Year: যে বছরে চাকরি শুরু করেছেন । to এখানে Month , Year এ click না করে Till Date এ টিক দিতে হবে । কারণ আপনি বর্তমানে এই Ministry র অধীনে চাকরিরত আছেন।
Last Drawn Salary : আপনার বাড়ি ভাড়া, যদি শিক্ষাগাতা পেয়ে থাকেন শিক্ষা ভাতা ও মেডিকেল ভাতা বাদে জুন ২০২৩ মাসের জন্য যে বেসিক টাকা পেয়েছেন তা হবে ।
Pay Scale : 2015
Grade : 13 বা অর্থাৎ বর্তমানে আপনি যে গ্রেডে চাকরি করছেন সেই গ্রেড এখানে বসবে। সিনিয়র কোন শিক্ষক টাইম স্কেল পেয়ে উচ্চতার গ্রেডে থাকতে পারেন।

No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.