ad

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট সংশোধিত নীতিমালা ২০১১

Views

 


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় 

বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা


বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট সংশোধিত নীতিমালা ২০১১


লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও নান্দনিক বিকাশ, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সহিষ্ণুতা ও মনোবল বৃদ্ধিসহ প্রতিযোগী মনোভাব গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে সরকার নিম্নরূপ "বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নমেন্ট সংশোধিত নীতিমালা ২০১১” প্রণয়ন করলেন।

১। শিরোনাম। এ নীতিমালা 'বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট সংশোধিত নীতিমালা ২০১১' এবং এ প্রতিযোগিতা "বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট” নামে অভিহিত হবে।


২। প্রতিযোগিতার ধরন ও পর্যায়:


(১) এ প্রতিযোগিতা ৫টি পর্যায়ে যথা: (ক) ইউনিয়ন ও পৌরসভা (খ) উপজেলা / সিটি কর্পোরেশন।।


এলাকাধীন থানা, (গ) জেলা, (ঘ) বিভাগ ও (ঙ) জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।


(২) ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। বিদ্যালয় ভিত্তিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন দল উপজেলা/থানা (সিটি কর্পোরেশনের এলাকাধীন) পর্যায়ে, উপজেলা / থানা (সিটি কর্পোরেশনের এলাকাধীন) পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন দল জেলা পর্যায়ে, জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন দল বিভাগীয় পর্যায়ে এবং বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন দল জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।


৩। খেলার মাঠ (১) খেলার মাঠের আয়তন: দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার এবং প্রস্থ ৪৫ মিটার হবে।

(২) ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ঠিক রেখে টুর্নামেন্ট কমিটি কর্তৃক নিজ নিজ এলাকার খেলার মাঠ নির্ধারণ করা যাবে।

(৩) মাঠের আয়তন অনুযায়ী গোল বার, গোল পোস্ট এবং পেনাল্টি এলাকা নির্ধারিত হবে।


81 অংশগ্রহণকারী দল:

(১) প্রাথমিক বিদ্যালয়ভিত্তিক প্রতিটি দল গঠিত হবে। নিম্নবর্ণিত বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রদের দ্বারা গঠিত দল এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। 

(ক) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,

(খ) রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, 

(গ) পরীক্ষণ বিদ্যালয়

(ঘ) কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও

(ঙ) শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়।


(২) এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য কোন এন্ট্রি/রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদান করতে হবে না।


৫। টুর্নামেন্ট কমিটি।

টুর্নামেন্ট এর খেলা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন ও পরিচালনার জন্য ইউনিয়ন ও পৌরসভা, উপজেলা/ থানা (সিটি কর্পোরেশন এলাকাধীন), জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায়ে নিম্নরূপ টুর্নামেন্ট কমিটিসমূহ গঠিত হবে।

কর্মপরিধি :

সিটি করপোরেশন এলাকাধীন থানা পর্যায়ে সকল খেলা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন পরিচালনা ও

এতদসংক্রান্ত সকল কার্য সম্পাদন। কমিটি প্রয়োজনবোধে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।

(৬) পৌরসভা কমিটি।


১. মেয়র, পৌরসভা -সভাপতি

২. পৌরসভার কাউন্সিলর (সকল) -সদস্য

৩. মেডিকেল অফিসার (উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্তৃক মনোনীত) - সদস্য

8. থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-সদস্য

৫. এস. এম. সি-এর সভাপতি (সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়)-সদস্য

৬. প্রধান শিক্ষক (সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় )-সদস্য

৭. কার শিক্ষক ১ (এক) জন (উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক মনোনীত) 

৮. কমান্ডার, পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল-সদস্য

৯. ক্রীড়া শিক্ষক ১ (এক) জন (উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত)-সদস্য

১০. ক্রীড়ানুরাগী ২ (দুই) জন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত)-সদস্য

১১. সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক মনোনীত)- সদস্য সচিব


১. কর্মপরিধিঃ


১।  পৌরসভা পর্যায়ে সকল খেলা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন ও পরিচালনা করা এবং এতদসংক্রান্ত যাবতীয়

কার্য সম্পাদন।

২। কমিটি প্রয়োজনবোধে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।



(৭) ইউনিয়ন কমিটি:


১. ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান -সভাপতি


২. ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (সকল)- সদস্য

৩. কমান্ডার, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল - সদস্য

৪. ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা- সদস্য


৫. উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা- সদস্য


৬. স্বাস্থ্য পরিদর্শক- সদস্য


৭. এস. এম. সি-এর সভাপতি (সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়) ৮. প্রধান শিক্ষক (সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়)।- সদস্য


৯. কমান্ডার, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল- সদস্য


১০. কার শিক্ষক ১ (এক) জন (উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক মনোনীত)- সদস্য


১১. ক্রীড়া শিক্ষক ১ (এক) জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত)- সদস্য


১২. ক্রীড়া অনুরাগী ২ (দুই) জন (উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত)- সদস্য


১৩. সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক মনোনীত) - সদস্য সচিব


কর্মপরিধিঃ

১. ইউনিয়ন পর্যায়ে সকল খেলা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন ও পরিচালনা করা এবং এতদসংক্রান্ত যাবতীয়

কার্য সম্পাদন।


২। কমিটি প্রয়োজনবোধে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।


৬। খেলার নিয়ম কানুনঃ

এ প্রতিযোগিতার সকল বেলা প্রণীত নীতিমালা ও টুর্নামেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নকআউট পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে।


খেলা পরিচালনায় এ নীতিমালার আওতায় সমাধানযোগ্য নয় এমন কোন সমস্যা বা জটিলতা দেখা দিলে

তা ফিফা ও বাফুফের বিধি ও উপবিধি অনুসারে নিষ্পত্তি করতে হবে।



৭। দল গঠন


১)  প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রদের মধ্যে থেকে ১৭জন খেলোয়াড় ও এসএমসি কর্তৃক মনোনীত ২ জন কর্মকর্তা (ম্যানেজার এ প্রশিক্ষক) নিয়ে দল গঠিত হবে। ইউনিয়ন ও পৌরসভা এবং উপজেলা / থানা দলের ম্যানেজার ও প্রশিক্ষক-কে সংশিষ্ট কমিটি মনোনীত করবে। এ সকল ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া যেতে পারে।


(২) খেলোয়াড়দের বয়স হবে সর্বোচ্চ ১২ (বার) বছর। উপজেলা পর্যায় থেকে যে দল জেলা পর্যায়ে যাবে সে দলের খেলোয়াড়দের ছবিসহ বয়স সংশিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রত্যয়ন করবেন। জেলা পর্যায় থেকে যে দল বিভাগীয় পর্যায়ে যাবে সে দলের খেলোয়াড়দের ছবিসহ বয়স সংশিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক, জেলার সিভিল সার্জন এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রত্যয়ন করবেন। 

(৩)  গোলরক্ষকসহ মোট ১১ জন খেলবে।


৮। খেলার মাঠে প্রবেশ


(১) ১৭ জন খেলোয়াড়, ২ জন কর্মকর্তা এবং ২জন সহকারী মাঠে প্রবেশ করাতে পারবে। খেলার সময় অতিরিক্ত ৬ জন খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও সহকারীগণ তাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করবেন। 


(২) খেলোয়াড় আহত হলে রেফারী'র অনুমতি সাপেক্ষে সর্বমোট ২ জন সাহায্যকারী মাঠে প্রবেশ করতে পারবে।


(৩) রেফারীর আহবানে চিকিৎসক মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন।


৯। খেলোয়াড়দের তালিকা:


(১) খেলার নির্ধারিত তারিখের ৭ (সাত) দিন পূর্বে প্রধান শিক্ষক টুর্নামেন্ট কমিটির নিকট খেলোয়াড়দের

তালিকা (২ কপি) প্রদান করবেন।


(২) খেলা শুরুর ১ (এক) ঘন্টা পূর্বেই টুর্নামেন্ট কমিটি রেফারীর নিকট খেলোয়াড়দের তালিকা (১ কপি)

প্রদান করবে।

ক(৩) অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়গণ বুট ব্যবহার করতে পারবে না।


১০। জার্সির রং


(১) যদি কোন দলের জার্সির বা বিপক্ষ দলের জার্সির রঙের সংগে প্রায় মিলে যায় যা রেফারীর খেলা পরিচালনায় সমস্যা হতে পারে, সে ক্ষেত্রে টসের মাধ্যমে জার্সি পরিবর্তন করা যাবে। 

(২) কোন খেলোয়াড় খেলা চলাকালীন সময়ে তার দল কর্তৃক প্রদত্ত নির্ধারিত জার্সি (জার্সি নম্বর

অপরিবর্তিত রেখে) পরিবর্তন করতে পারবে।

১১। খেলোয়াড় বদল:

প্রতিটি খেলায় তালিকাভূক্ত খেলোয়াড় হতে রেফারীর অনুমতি সাপেক্ষে যে কোন ৪ (চার) জন খেলোয়াড় পরিবর্তন করা যাবে।


১২। খেলার সময়:


খেলা মোট ৫০ মিনিট পরিচালিত হবে। প্রথমার্ধের ২৫ মিনিট পর ১০ মি: বিরতি থাকবে। নির্ধারিত সময়ে যদি খেলা অমিমাংসীত থাকে তাহলে নির্ধারিত সময়ের পর ৫+৫ = ১০ মি: অতিরিক্ত সময় খেলতে হবে। অতিরিক্ত সময়ে ফলাফল নির্ধারিত না হলে পেনাল্টি কিকের (টাই ব্রেকার) মাধ্যমে খেলার ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। অতিরিক্ত সময়ে খেলা চলাকালীন কোন বিরতি থাকবে না।


১০। রেফারী।


(১) ইউনিয়ন ও উপজেলা/থানা পর্যায়ে টুর্নামেন্ট কমিটি খেলা পরিচালনার জন্য রেফারী নিয়োগ করবে।

(২) জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ের খেলাসমূহ পরিচালনার জন্য টুর্নামেন্ট কমিটি বাফুফের তালিকাভূক্ত রেফারী নিয়োগ করবে।


(৩) প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে মাঠে রেফারার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। (৪) জেলা / বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে নিয়োজিত রেফারীদের যাতায়াত, খাবার ও অন্যান্য সম্মানী ভাতা নির্ধারিত হারে টুর্নামেন্ট কমিটি বহন করবে।

(8) জেলা/ বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে নিয়োজিত রেফারীদের যাতায়াত, খাবার ও অন্যান্য সম্মানী ভাতানির্ধারিত হারে টুর্নামেন্ট কমিটি বহন করবে।


১৪। ফিচার:

 টুর্নামেন্ট কমিটি যুক্তিযুক্ত সময়ের মধ্যে প্রতিযোগিতার সময়সুচি / ফিচার প্রণয়ন করবে। নির্ধারিত খেলার সময়সূচি / ফিচার অনুযায়ী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। তবে টুর্নামেন্টকমিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা বিশেষ কারণে খেলার তারিখ ও সময় পরিবর্তন করতে পারবে।


১৫। খেলার স্থান, তারিখ ও সময়:

খেলার স্থান (মাঠ), তারিখ ও সময় টুর্নামেন্ট কমিটি নির্ধারণ করবে।


১৬। ভাতা:

জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী দলসমূহকে টুর্নামেন্ট কমিটি কর্তৃক প্রতি খেলার জন্য দূরত্ব বিবেচনায় নির্ধারিত হারে এককালীন অনুদান প্রদান করা হবে। খেলা চলাকালীন কোন দল খেলায় বিরত থাকলে উক্ত দল কোন টিএ/ডিএ প্রাপ্য হবে না ।


১৭। অংশগ্রহণের ব্যর্থতা :


(1) কোন দল খেলা শুরু হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাঠে উপস্থিত না থাকলে রেফারী ১৫মি: অপেক্ষা করে উপস্থিত দলকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন। 


(2) কোন দল নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে খেলায় অংশগ্রহণ না করলে উক্ত বিদ্যালয় দলের ক্ষেত্রে শিক্ষকগণ এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভা এবং উপজেলা/থানা দলের ক্ষেত্রে সংশিষ্ট কমিটি দায়ী থাকবে। 


১৮। চুড়ান্ত খেলায় স্থান নির্ধারণ:


প্রতিযোগিতার কোন পর্যায়ে কোন অবস্থাতেই চূড়ান্ত খেলায় যুগ্ম-চ্যাম্পিয়নশীপ থাকবে না। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা অমিমাংসিত থাকলে সেক্ষেত্রে টাইব্রেকার এর মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে।


১৯। শৃঙ্খলা উপ-কমিটি :


প্রত্যেক পর্যায়ে টুর্নামেন্টকমিটি ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি শৃংখলা উপ-কমিটি গঠন করবে। শৃংখলা উপ-কমিটি খেলোয়াড়/কর্মকর্তা/দল ও রেফারীদের ভূমিকা/আচরণ পর্যবেক্ষণ করবে এবং নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেঃ


(১) খেলা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং সংগঠিত অপরাধের বিষয়ে নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ ।

(২) খেলা শেষ হওয়ার পর প্রয়োজনে ৬ ঘন্টার মধ্যে নিয়ম লংঘনকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

(3) উপ-কমিটি কোন খেলোয়াড়কে টুর্নামেন্টচলাকালীন সময় পর্যন্ত খেলা থেকে বিরত রাখতে পারবে। যদি উপ-কমিটি এ ব্যাপারে অধিকতর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন মনে করে তাহলে টুর্নামেন্টকমিটির নিকট সুপারিশ প্রেরণ করবে।


২০। অভিযোগ/আপত্তি :

খেলা প্রসঙ্গে অভিযোগ/ আপত্তি থাকলে খেলা শেষ হওয়ার ১ (এক) ঘন্টার মধ্যে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা অফেরতযোগ্য ফিসহ প্রতিযোগিতার টুর্নামেন্টশৃংখলা উপ-কমিটির সভাপতি অথবা সদস্য-সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ/ আপত্তি দাখিল করতে হবে। এক্ষেত্রে শৃংখলা উপকমিটি সিদ্ধান্ত নিবে ৷


২১। আপীল :


শৃংখলা উপ-কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোন আপত্তি/আপীল থাকলে লিখিতভাবে সংশিষ্ট টুর্নামেন্ট কমিটির কাছে ১২ ঘন্টার মধ্যে দাখিল করতে হবে। টুর্নামেন্ট কমিটি ১২ ঘন্টার মধ্যে আপত্তি/আপীল বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবে। এ বিষয়ে টুর্নামেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।


২২। ম্যাচ কমিশনার :

প্রত্যেক খেলায় একজন ম্যাচ কমিশনার নিয়োজিত থাকবেন। টুর্নামেন্টকমিটি ফুটবল খেলায় অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে ম্যাচ কমিশনার নিয়োগ করবে। তিনি নিম্নলিখিত দায়িত্বসমূহ পালন করবেন:

(1)  খেলার সময় মাঠে খেলোয়াড়, কোচ, রেফারী, সমর্থক, কর্মকর্তাদের আচরণ পর্যবেক্ষণ। 

(২) বিভিন্ন তথ্য ও সমস্যা সুপারিশসহ নির্ধারিত ফরমে খেলা সংক্রান্ত প্রতিবেদন টুর্ণামেন্ট-এর সদস্য

সচিবের নিকট প্রেরণ করবেন।


২৩। পাতানো খেলা:

কোন দল পাতানো খেলায় অংশগ্রহণ করলে এবং তা শৃংখলা উপ-কমিটি কর্তৃক সনাক্ত হলে টুর্নামেন্টকমিটি ঐ দল/দলসমূহকে ২(দুই) বছরের জন্য এ টুর্নামেন্টের সকল খেলা থেকে বহিস্কার করতে পারবে।


২৪। পুরস্কার:


(১) জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত খেলার বিজয়ী (চ্যাম্পিয়ন), বিজিত (রানার আপ) ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী

দলকে যথাক্রমে গোল্ড কাপ, সিলভার কাপ ও ব্রোঞ্জ কাপ প্রদান করা হবে।

(২) টুর্নামেন্টকমিটি প্রতিটি পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলকে স্থানীয়ভাবে ক্রেষ্ট, মেডেল প্রদান

করতে পারবে।

(৩) চ্যাম্পিয়ন, রানার আপ ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলের সকল খেলোয়াড়কে মেডেল দেয়া হবে ।

(৪) শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ গোলদাতাকেও মেডেল দেয়া হবে ।


২৫। কাপ:

(১) জাতীয়ভাবে চ্যাম্পিয়ন দলকে খেলার শেষে গোল্ডেন কাপ হাতে দেয়া

হবে। অতপর গোল্ডেন কাপ ফেরৎ নিয়ে কাপ-এর রেপিকা প্রদান করা হবে।


(২)  রানার আপ দলকে সিলভার কাপ-এর রেপিকা প্রদান করা হবে।


(৩)তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে ব্রোঞ্জ কাপ-এর রেপিকা প্রদান করা হবে; 

(৪) তিনটি দলকে আর্থিক পুরস্কারও দেয়া যেতে পারে;


(৫) কোন দল পরপর তিনবার চ্যাম্পিয়ান/ রানার আপ হলে যথাক্রমে গোল্ড কাপ ও সিলভার কাপ প্রদান করা হবে।


২৬। খেলা স্থগিত/পরিত্যক্ত


প্রাকৃতিক দুর্যোগ/প্রতিকূল আবহাওয়া/অতিবৃষ্টি/দুর্ঘটনা/মাঠের বাহিরে বা ভিতরে গোলযোগের কারণে খেলা না হলে রেফারী ৩০ মিনিট পর্যন্ত সাময়িকভাবে খেলা বন্ধ রাখতে পারবেন। এর পরও যদি খেলা পরিচালনা করা সম্ভব না হয় তবে রেফারী শেষ বাঁশি বাজিয়ে খেলা স্থগিত/পরিত্যক্ত ঘোষণা করবেন যা পরবর্তী দিবসের নির্ধারিত খেলার আগেই টুর্নামেন্ট কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে উভয় দলকে ঐদিন (বাতিলকৃত খেলার দিন) জানিয়ে দেয়া হবে ।


(1) যদি কোন দল নির্ধারিত খেলায় অংশগ্রহণে বিরত থাকে তাহলে সে দল প্রতিযোগিতা হতে সরাসরি বাতিল হয়ে যাবে। এরূপক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। 

(2) যদি কোন দল পূর্ণ সময় পর্যন্ত খেলতে অসম্মতি জ্ঞাপন করে এবং খেলা শেষ হওয়ার পূর্বে খেলার মাঠ পরিত্যাগ করে অথবা মাঠে অবস্থান করে রেফারীর আদেশ অমান্য করে, খেলায় অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকে বা খেলা পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে তা'হলে সে দলকে টুর্নামেন্টহতে বহিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি অপর দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। 

(3) কোন দল পূর্ণ সময় পর্যন্ত খেলতে অসম্মতি জ্ঞাপন করলে টিএ এবং ডিএসহ কোন আর্থিক সুবিধা পাবে না।


২৭ । তহবিল ও হিসাব:


বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট তহবিল নামে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি তহবিল গঠিত হবে। সরকারী/বেসরকারী অনুদানের মাধ্যমে এ তহবিল গঠিত হবে এবং টুর্নামেন্টের কাজে এ তহবিল ব্যয় করা যাবে। স্টিয়ারিং কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি ও নিয়মে তহবিলের একটি ব্যয় হিসাব থাকবে এবং তা পরিচালিত হবে।


২৮। বিবিধ

টুর্নামেন্ট কমিটি নিম্নলিখিত বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে:

১) শিশুদের উপযোগী বল-এর ব্যবস্থাকরণ। এক্ষেত্রে বলের সাইজ ৪ নম্বর অথবা ডি.আর সাইজ ৫ নম্বর হবে।

(২) প্রতিযোগিতার মাঠে ২-৩ টা বল সরবরাহকরণ ।

(৩) গোলবারের পিছনে অবশ্যই নেট স্থাপন ।


২৯। পৃষ্ঠপোষকতাঃ টুর্নামেন্ট কমিটিসমূহ নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে খেলা পরিচালনায় পৃষ্ঠপোষকতা ও আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করতে পারবে । 


৩০। সংশোধনঃ টুর্নামেন্ট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনবোধে জাতীয় টুর্নামেন্ট কমিটি এ নীতিমালার সঙ্গে সংগতি রেখে যে কোন নিয়ম কানুন সংশোধন/সংযোজন/পরিবর্তন/পরিবর্ধন করতে পারবে।

৩১। নীতিমালার হেফাজত: বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টে-এর সকল খেলায় এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। এ নীতিমালায় নেই এমন কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার জাতীয় টুর্নামেন্টকমিটির থাকবে।




(জামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী) 

উপসচিব (বিদ্যালয়) 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

ও সদস্য-সচিব

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট






















পিডিএফ ডাউনলোড







No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.