ad

১ বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ হতে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ ও আদায় বিষয়ক নির্দেশাবলি (১৩/০৪/২৩)।

Views

 


১ বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ হতে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ ও আদায় বিষয়ক নির্দেশাবলি (১৩/০৪/২৩)।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
ভূমি মন্ত্রণালয়
ভূমি সেবা ডিজিটাইজেশন মনিটরিং সেল বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকা-১০০০
www.minland.gov.bd


নম্বর: ৩১.০০.০০০০.০৫৭.৩২.০০১.২৩.২ তারিখ : ১৩ এপ্রিল ২০২৩
পরিপত্র বিষয়: অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ ও আদায় বিষয়ক নির্দেশাবলী। আগামী পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ হতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় কার্যক্রমকে অধিকতর জনবান্ধব এবং ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমকে পুরোপুরি অনলাইন করার লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৩০ জুন ২০১৫ তারিখের প্রজ্ঞাপন নং ৩১.০০.০০০০.০৪৪.৩৯.০২৫.১৫-৭৭ এর পরিপূরক হিসেবে নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো। ১. অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদে নাগরিক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে করণীয়: ১.১ একজন ভূমি মালিক নাগরিক নিবন্ধন করে খতিয়ান যুক্ত করার সর্বোচ্চ ৭ কার্য দিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নিজ দাপ্তরিক আইডি থেকে উক্ত হোল্ডিং যাচাই ও সমন্বয় পূর্বক অনুমোদন করবেন। এর ব্যত্যয় হলে তা অদক্ষতা হিসেবে গণ্য করা হবে ১.২ নাবালক বা প্রবাসী ভূমি মালিকের জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে তাদের নাগরিক নিবন্ধনে নাবালক বা প্রবাসী জন্ম নিবন্ধন বা পাসপোর্ট দিয়ে নাগরিক নিবন্ধনে ব্যবস্থা করতে হবে। নাবালক বা প্রবাসীর আইনানুগ অভিভাবক বা প্রতিনিধির মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ব্যবস্থা করবেন। ১.৩. খতিয়ানের রেকর্ডও মালিকের নাম জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে মিল না থাকা এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে রেকর্ডে স্বামীর নাম জাতীয় পরিচয় পত্রে পিতার নাম ইত্যাদির কারণে ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদের আবেদন বাতিল করা যাবে না। ২. মালিকের নামে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়: ২.১ শুধু হোল্ডিং ধারী ভূমি মালিকের নামে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করতে হবে। ২.২ ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদকারী বা ভাড়াটিয়ার নাম দাখিলায় যুক্ত করা যাবে না। ৩. ব্যক্তির ক্ষেত্রে আংশিক ভূমি উন্নয়ন কর আদায়: যৌথ মালিকানার ক্ষেত্রে কোন একজন মালিক নিজ অংশের ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদ করতে চাইলে নামজারীর (মিউটেশন) মাধ্যমে আলাদা হোল্ডিং তৈরি করতে হবে। ৪. জমির ব্যবহার ভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর আদায়: ৪.১ গ্রামের বাড়ি গুলো পাকাভিটির নাহলে কৃষিজমি হিসেবে গণ্য করে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করতে হবে। কিন্তু যদি রেকর্ডে বাড়ি উল্লেখ থাকে কিংবা বাস্তবে বাড়িটি পাকা ভিটির হয়, তাহলে আবাসিক হারে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারিত হবে। ৪.২ একই দাগের জমি আংশিক কৃষি ও আংশিক অকৃষি (শিল্প, বাণিজ্য ইত্যাদিল কাজে ব্যবহৃত হলে ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী হাহাহারি ভাবে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণপূর্বক আদায় করতে হবে। ৫. অগ্রিম ভূমি উন্নয়ন কর আদায়: ৫.১ কোন ভূমি মালিক ইচ্ছে করলে বকেয়া ও হালসন এর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার পর পরবর্তী তিন বছরের ভূমি উন্নয়ন কর অগ্রিম প্রদান করতে পারবেন। ৫.২ পরিশোধিত অগ্রিম এর মেয়াদ এর মধ্যে ভূমি ব্যবহারের ধরনের পরিবর্তন বা সরকারি নির্দেশনার কারণে ভূমি উন্নয়ন করে দাবি বেড়ে গেলে বর্ধিত হারে ভূমি উন্নয়ন কর বকেয়া হিসেবে আদায়যোগ্য হবে। ৫.৪ একই হোল্ডিং এ হালশন পর্যন্ত বা একাধিক বছরের অগ্রিম ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধিত থাকা অবস্থায় আংশিক হস্তান্তর বা উত্তরাধিকার সূত্রের নামজারি (মিউটেশন) হলে নতুন হোল্ডিং ধারী হোল্ডিং গ্রহণের তারিখ থেকে নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করবেন। ৬. সংস্থার ক্ষেত্রে আংশিক ভূমি উন্নয়ন কর আদায়: সংস্থার ক্ষেত্রে ভূমি উন্নয়ন কর বছরভিত্তিক আংশিক আদায় করা যাবে। আংশিক আদায়ের পর বকেয়া থাকলে ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমে বকেয়া দাবি প্রদর্শিত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ভূমি উন্নয়ন কর কোনক্রমেই মাস ভিত্তিক আদায় করা যাবে না। ৭. মওকুফ দাখিলা ৭.১ ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষি জমির ক্ষেত্রে হোল্ডিং প্রতি ১০ টাকার মওকুফ দাখিলা প্রতি বছর একবারই আদায়যোগ্য হবে। এক্ষেত্রে হোল্ডিং এ একাধিক অংশীদার থাকলে প্রত্যেকে আলাদা আলাদাভাবে দশ টাকার মওকুফ দাখিলা সংগ্রহ করতে পারবেন। ৭.২ কৃষি জমির অবিভক্ত খতিয়ান বা হোল্ডিং ২৫ বিঘার উর্ধ্বে হওয়া সত্ত্বেও অংশীদারদের প্রত্যেকের অংশ আলাদা করে বিবেচনা করা যাবে না। কোন অংশীদার নিজের অংশ আলাদা করতে চাইলে স্বীয় নামে হোল্ডিং খুলে মওকুব দাখিলা সংগ্রহ করবেন। ৭.৩ নিষ্কর ও ইকোনমিক জোনের ভূমি উন্নয়ন করে বিষয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এতৎ সংক্রান্ত নির্দেশনা সমূহ যাচাইয়ের মাধ্যমে নিষ্কর এলাকা নির্ধারণ করবেন। নিষ্কর হোল্ডিং এর ক্ষেত্রে প্রতিবছর 10 টাকা দিয়ে মওকুফ দাখিলা নিতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইন দাখিলায় "অনুমোদিত মওকুফ" লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে। ৮. পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ক১৪ এপ্রিল ২০২৩) তারিখ হতে ৭কার্য দিবসের মধ্যে সকল ভূমি অফিসে সংরক্ষিত অব্যাহত ও আংশিক ব্যবহার সকল দাখিলা বহি প্রত্যাহার করে কালেক্টর জেলার ট্রেজারিতে সংরক্ষণ করবেন এবং এর বিবরণী ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবেন। ৯. পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (১৪ এপ্রিল ২০২৩) থেকে শতভাগ অনলাইনে আদায়ের স্বার্থে ইউনিয়নভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমে ধাপ ও অঞ্চল নির্ধারণ করে প্রত্যেকটি হোল্ডিং এর দাবি এবং মৌজা ভিত্তিক দাবি শতভাগ অনলাইনে এন্ট্রি দিবেন। ১০. জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে স্বাক্ষরিত মোঃ খলিলুর রহমান সচিব ফোন: +৮৮০২৯৫৫৫০৪৩ ফ্যাক্স: +৮৮০২৯৫৪০০২৫ ইমেইলঃ secretary@minland.gov.bd




PDF Download

No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.