শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ছাড়পত্র প্রদানের সময়ে জন্ম নিবন্ধন অনুসারে জন্ম তারিখ লিপিবদ্ধকরণ প্রসঙ্গে DPE এর নির্দেশনা। (০২/০৩/২০২৩)
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ছাড়পত্র প্রদানের সময়ে জন্ম নিবন্ধন অনুসারে জন্ম তারিখ লিপিবদ্ধকরণ প্রসঙ্গে DPE এর নির্দেশনা। (০২/০৩/২০২৩)
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
সেকশন -২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬
www.dpe.gov.bd
স্মারক নম্বর: ৩৮.০১.০০০০.৪০০.১৯.০৩১.২১.৮৬
তারিখ: ০২/০৩/২০২৩
বিষয়: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে ছাড়পত্র প্রদানের সময় জন্ম নিবন্ধন অনুসারে জন্ম তারিখ লিপিবদ্ধকরণ।
সূত্র: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পত্র নম্বর ৩৮.০০.০০০০.০০৮.৯৯.০০১.১৬.৪০ তারিখ: ১৩/০২/২০২৩ খ্রী:
উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মহোদয়ের ডিও পত্রসহ সুত্রস্থ পত্রানুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ছাড়পত্র প্রদানের সময় জন্ম নিবন্ধন অনুসারে জন্ম তারিখ লিপিবদ্ধকরণ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
স্বাক্ষরিত (০২/০৩/২০২৩)
নাসরিন সুলতানা
সহকারী পরিচালক
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
মোহাম্মদ ইব্রাহিম
সচিব
স্থানীয় সরকার বিভাগ।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
ডি ও নং ৪৬.০০.০০০০.০১৮.৯৯.০২৩.১৯.৪১
তারিখ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩
প্রিয় সহকর্মী,
আপনি অবগত আছেন যে সরকার দেশের সকল নাগরিকের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০৪ এর ধারা ৮ ( ১) অনুযায়ী শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মের তথ্য নিবন্ধকের নিকট সরবরাহের জন্য বাধ্যবাধকতা রয়েছে। শিশুর জন্মের পর জন্ম সংক্রান্ত তথ্য যথা জন্ম তারিখ, জন্মের স্থান, পিতা মাতার নাম, ধর্ম ও সংশ্লিষ্ট তথ্য নিবন্ধক অনলাইনে লিপিবদ্ধ করেন এবং এ সকল তথ্যের ভিত্তিতে ব্যক্তির চাহিদা মোতাবেক জন্ম সনদ প্রদান করে থাকেন।
২। রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য জন্ম সনদ প্রাথমিক সনদ হিসেবে বিবেচিত হয়। জন্ম নিবন্ধনের সময় জন্ম সনদে উল্লেখিত তারিখ প্রত্যেক নাগরিকের বয়স গণনার আইনগত ভিত্তি। বর্তমানে প্রতিটি শিশুর প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির সময় জন্ম সনদে উল্লিখিত তারিখ ব্যবহার করতে হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স প্রমাণের জন্য শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক হওয়ায় অনেক অভিভাবক শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদের বয়স প্রয়োজনমতো কমানো বা বাড়ানোর চেষ্টা করেন। ভর্তির সময় পঞ্চম শ্রেণি তথা পূর্বের পিএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার নিবন্ধনের সময় বয়স পরিবর্তনের প্রবণতার লক্ষ্য করা যায়। ফলে শিশুদের স্কুলে ভর্তি, পিএসসি, ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি, জে এস সি এবং এসএসসি পরীক্ষা নিবন্ধনের সময় বয়স সংশোধনের বিপুল পরিমাণ আবেদন নিবন্ধক কার্যালয়গুলোতে জমা হয় যা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সিস্টেমের (BDRIS) উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছে। সরকারি ইতোমধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি (Unique ID) প্রদানের কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ইউনিক আইডি পরবর্তীতে NID বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর হিসেবে ব্যবহৃত হবে। কিন্তু জন্ম নিবন্ধন সনদে উল্লেখিত জন্ম তারিখ বারবার সংশোধনের এই প্রবণতা ইউনিক আইডি প্রদান কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ডাটাবেজে শুদ্ধতা আনয়নের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদে জন্ম তারিখ পরিবর্তনের অনৈতিক প্রবণতা বন্ধ করে জন্ম নিবন্ধনের তারিখ অপরিবর্তনীয় রাখা অতীব প্রয়োজন।
৩। বর্ণিতাবস্তায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সমপর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সময় ভর্তি সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে শিক্ষকগণ যাতে শিশুর জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন অনুসারে জন্ম তারিখ লিপিবদ্ধ করেন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বা সমপর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে শিক্ষা ছাড়পত্র প্রদানের সময় ছাড়পত্রের সনদে ভর্তির সময় প্রদত্ত জন্মতারিখ যাতে উল্লেখ করা হয় সেই মর্মে আপনার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানে আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।
স্বাক্ষরিত
মোহাম্মদ ইব্রাহিম
সচিব
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
No comments
Your opinion here...