ad

শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড এর জন্য প্রস্তুতি - তারা ব্যাজ

Views

 


শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড এর জন্য প্রস্তুতি - তারা ব্যাজ


আপন শক্তিঃ 

১) তারা ব্যাজ অর্জনের সময় সীমা কত? 

  উত্তরঃ তারা ব্যাজ অর্জনের সময় সীমা ৪ থেকে ৬ মাস। 

২) স্বাধীনতা দিবস কবে? 

  উত্তরঃ স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ।

৩) কে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন? 

  উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। 

৪) ২৬ মার্চ কেনো স্বাধীনতা দিবস? 

  উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বলে। 

৫) জাতীয় সংগীতের রচয়িতা কে? 

  উত্তরঃ জাতীয় সংগীতের রচয়িতা বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর। 

৬) জাতীয় সংগীত কত লাইন গাওয়া হয়? 

  উত্তরঃ প্রথম দশ লাইন। 

৭) জাতীয় সংগীত কীভাবে গাওয়া হয়? 

  উত্তরঃ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সঠিক সুরে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। 

৮) আমার সোনার বাংলা - আমি তোমায় ভালোবাসি গানটিকে কেনো জাতীয় সংগীত করা            হয়েছে? 

  উত্তরঃ এ গানে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং দেশের                 প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে সেজন্য। 

৯) মহামান্য রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত কত লাইন গাওয়া হয়? 

  উত্তরঃ প্রথম চার লাইন। 

চেষ্টা করিঃ 

১) স্কোয়ার বো কি কাজে ব্যবহার করা হয়? 

  উত্তরঃ স্কোয়ার বো জুতার ফিতা ও প্যাকেট বাঁধতে ব্যবহার করা হয়। 

২) বড়শী গেরো কী কী কাজে ব্যবহার করা হয়? 

  উত্তরঃ গরু-ছাগলের খুঁটি বাঁধতে এবং পতাকা দন্ডের সাথে পতাকাএ রশি বাঁধতে বড়শি গেরো ব্যবহার করা হয়। 

৩) তারা ব্যাজ অর্জনের জন্য কত টাকা সঞ্চয় করতে হয়? 

  উত্তরঃ তারা ব্যাজ অর্জনের জন্য ১০ টাকা সঞ্চয় করতে হয়। 

৪) কীভাবে তারা ব্যাজের জন্য ১০ টাকা সঞ্চয় করবে? 

  উত্তরঃ (ক) টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে 

           (খ) বাড়িতে সবজী লাগিয়ে 

           (গ) বাড়িতে হাঁস - মুরগি পালন করে 

৫) একটি ষষ্ঠকে সদস্য সংখ্যা কতজন? 

  উত্তরঃ একটি ষষ্ঠকে সদস্য সংখ্যা ০৬ জন।

৬) তোমার ইউনিট লিডারের নাম কী? 

  উত্তরঃ আমার ইউনিট লিডারের নাম জনাব মোছাঃ হোসনে আরা। 

           ( নিজ নিজ ইউনিট লিডারের নাম ব্যবহার করবে) 

৭) ইংরেজিতে তোমার বন্ধুর সাথে ১০টি বাক্যে নিজ ষষ্ঠক, বিদ্যালয় ও লেখাপড়া বিষয়ে              কথোপকথন কর। 

  উত্তরঃ (1) I am Prity.

           (2) I am in class five. 

           (3) I am a member of Cub Scout group. 

           (4) I am a member of red sixer. 

           (5) My sixer has six member. They are Moriom, Jannatul Busra,                       Sumaya, Afrin Jahan, Nusrat and Me. 

          (6) My school name is Majhira Model Government Primary School. 

          (7) My favourite subject is Mathematics.

          (8) I go to school regularly.

          (9) The result of our school is very good. 

          (10) I love my school very much. 

            ( নিজ নিজ ষষ্ঠক ও বিদ্যালয়ের পরিচয় দিবে ) 

থাকবো ভালোঃ 

১) সালাত বা নামাজ কয় ওয়াক্ত ও কী কী? 

  উত্তরঃ ৫ ওয়াক্ত। যথা - ফজর, যোহর , আসর, মাগরিব ও এশা। 

২) ফজরের সালাত কখন পড়তে হয়? 

  উত্তরঃ ফজর সালাতের সময় শুরু হয় সুবহি সাদিক হওয়ার সাথে সাথে এবং সূর্য উদয়ের পূর্ব            পর্যন্ত এর সময় থাকে। 

৩) ফজরের সালাত কয় রাকাত? 

  উত্তরঃ ফজরের সালাত চার রাকাত। ( ২ রাকাত সুন্নত ও ২ রাকাত ফরজ ) 

৪) যোহরের সালাত কখন পড়তে হয়? 

  উত্তরঃ দুপুরের সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়লেই যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়। ছায়া আসলি                বাদে কোনো বস্তুর ছায়া দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত এর সময় থাকে। 

৫) যোহরের সালাত কত রাকাত ও কী কী? 

  উত্তরঃ যোহরের সালাত চার রাকাত সুন্নত, চার রাকাত ফরজ ও এরপরে দুই রাকাত সুন্নত                নিয়ে গঠিত। কেউ কেউ পরে দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করে। 

৬) চার রাকাত সুন্নত ও চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায়ের পার্থক্য কী? 

  উত্তরঃ চার রাকাত সুন্নত নামাজে শেষ দুই রাকাতে সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা বা আয়াত                পড়তে হয় কিন্তু চার রাকাত ফরজ নামাজে শেষ দুই রাকাতে সূরা ফাতিহার পর অন্য                কোনো সূরা পড়তে হয়না। 

৭) সূরা ফাতিহার আয়াত কয়টি? বাংলায় অনুবাদ কর। 

  উত্তরঃ সূরা ফাতিহার আয়াত সাতটি। 

                                 # বাংলায় অনুবাদ 

*পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ তা আলার নামে শুরু করছি* 

১.যাবতীয় প্রংশসা আল্লাহ তা আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা

২. যিনি অত্যন্ত মেহেরবান ও দয়ালু,

৩. যিনি বিচার দিনের মালিক,

৪. আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য        প্রার্থনা করি

৫. আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,

৬. সে সমস্ত লোকের পথ যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছো

৭. তাদের পথ নয়যাদের প্রতি তোমার গজব নাজেল হয়েছে এবং যাহারা      পথভ্রষ্ট হয়েছে। ( তুমি কবুল করো ) 


 ৮) কালিমা শাহাদৎ অর্থসহ লিখ। 

  উত্তরঃ  اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه، وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُهوَرَسُولُه

          

 উচ্চারণ : আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারিকালাহু                        ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু |


  অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ ইবাদতের উপযুক্ত              না এবং আল্লাহর কোন অংশীদার নেই | আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি               যে, হযরত মুহাম্মদ(সাঃ ) আল্লার শ্রেষ্ঠ বান্দা এবং আল্লাহ প্রেরিত                 রসূল |



 ৯) তুমি ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কীভাবে করো?  তা ৫টি বাক্যে লিখ। 

  উত্তরঃ (১) নিজের পোশাক নিজে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করি। 

           (২) নিজের হাত, পা, দাঁত, চোখ, চুল, নখ ইত্যাদি পরিষ্কার করি।

           (৩) নিজের বিছানাপত্র গুছিয়ে রাখি। 

           (৪) পড়ার টেবিল সুন্দর করে গুছিয়ে রাখি। 

           (৫) নিজের বই-খাতা গুছিয়ে রাখি। 


জানবো জগৎটাকেঃ
১) কোনো আগন্তুককে তোমার এলাকার কী কী স্থান চিনতে সাহায্য করতে পারবে?
উত্তরঃ রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, বিমানবন্দর, সমুন্দ্র বন্দর, লঞ্চঘাট,
খেয়াঘাট, হাসপাতাল,থানা ইত্যাদি চিনতে সাহায্য করতে পারব।
২) কম্পিউটার ইতিহাসের প্রথম যন্ত্রের নাম কী?
উত্তরঃ এব্যাকাস।
৩) কম্পিউটারের জনক কে?
উত্তরঃ কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজ।
৪) কম্পিউটারের মূল অংশগুলো কী কী?
উত্তরঃ কম্পিউটারের মূল অংশগুলো হলো - মনিটর, সিপিইউ, কী বোর্ড ও
মাউস।
৫) আধুনিক যুগকে কীসের যুগ বলা হয়?
উত্তরঃ কম্পিউটারের যুগ বলা হয়।
৬) মনিটরের কাজ কী?
উত্তরঃ (১) মনিটর কম্পিউটারের আউটপুট ডিভাইস।
(২) কম্পিউটারের ভিতরে যে সব উপাত্ত থাকে তা মনিটরের
মাধ্যমে দেখা যায়।
(৩) কম্পিটারের কাজ শেষে ফলাফল মনিটরে প্রদর্শিত হয়।
৭) সিপিইউ (CPU) কী?
উত্তরঃ CPU এর পূর্ণ রুপ হলো Central processing unit । সিপিইউ হলো
কম্পিউটারের প্রধান অংশ। যে কোনো জটিল গাণিতিক কাজ
করা হয় এর মাধ্যমে।
৮) কী বোর্ড এর কাজ কী?
উত্তরঃ (১) কী বোর্ড কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস।
(২) কী বোর্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত কম্পিউটারে ঢোকানো
হয়।
(৩) কী বোর্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারের টাইপ করা হয় ও বিভিন্ন
নির্দেশ প্রদান করা হয়।
৯) মাউস এর কাজ কী?
উত্তরঃ (১) মাউস কম্পিউটারের একটি ইনপুট ডিভাই।
(২) মাউসের মাধ্যমে কম্পিউটারে সহজে নির্দেশ প্রদান করা যায়।
(৩) মাউসের মাধ্যমেও বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত কম্পিউটারে ঢোকানো
হয়।
১০) তুমি পরিবেশকে কি কি উপায়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে?
উত্তরঃ আমি পরিবেশকে যেভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখব -
(১) ঘরবাড়ির ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলব।
(২) বাড়ির আশে পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করব।
(৩) যেখানে সেখানে কফ-থুতু ফেলব না।
(৪) কাশি ও হাঁচির সময় নাকে মুখে রুমাল ব্যবহার করব।
(৫) রাস্তায় কোনো কলার খোসা, কাঁটা, ইট ইত্যাদি পরে থাকলে তা
সরিয়ে ফেলব।
(৬) বিদ্যালয়ের কক্ষ এবং মাঠ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখব।
(৭) বিদ্যালয়ের দেয়ালে, বেঞ্চে কোনো কিছু লেখা থেকে বিরত
থাকব।

আনন্দ উল্লাসঃ 

১) তারা ব্যাজ স্তরে কোন কোন দেশ গান শিখতে হয়? 

  উত্তরঃ (১) ধন ধান্য ..........আমাদের এই বসুন্ধারা। 

          (২) ও আমার দেশের মাটি ........... ঠেকাই মাথা। 

২) তারা স্তরে কয়টি ছড়া বলতে হয়? 

  উত্তরঃ যে কোনো ২টি।

৩) তারা স্তরে কয়টি খেলা জানতে হয়? 

  উত্তরঃ ২টি খেলা।

          ১টি দেশী। যেমন - কাবাডি, দাড়িয়াবান্ধা অথবা সদস্য স্তরে শেখা হয়নি এমন ১টি। 

         ১টি বিদেশী। যেমন - ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, টেনিস ইত্যাদি। 

৪) তারা স্তরে কমপক্ষে কতটি প্যাক মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে হয়? 

  উত্তরঃ কমপক্ষে ১০টি। 

৪) মুগলি কে? 

  উত্তরঃ বাঘের গুহায় লালিত মানব শিশু হলো মুগলি। 

 


মুগলির গল্প ও কাব স্কাউটিং | Cub Scouting & Jungle Book

রুডিয়ার্ড কিপলিং (Rudyard Kipling) এর বিখ্যাত বই “দি জাঙ্গল বুক” (The In এর ভাবধারা কাবিং এর পটভূমি। এখনও বিশ্বের অনেক দেশে এ ভাবধারায় কাবিং প্রােগ্রাম পরিচালি বাংলাদেশের বর্তমান কাবিং প্রােগ্রাম মুগলির কাহিনীর ভিত্তিতে পরিচালিত না হলেও এ প্রােগ্রাম বুঝতে হলে তা গল্প সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিৎ।
প্রচীন কালের কথা, ভারতের মধ্য প্রদেশের ‘মিওনি' নামক এক পর্বতের চূড়ায় গভীর জঙ্গল চি. জঙ্গলে এক বৃদ্ধ বাঘ বাস করত। জঙ্গলের সকল প্রাণী তাকে শের খাঁ বলে জানত। আসলে শের খাঁ নাতে অত্যন্ত ভীরু। শের খা শিকারের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে বনের এক প্রান্তে ঝােপের পাশে এক কুড়ে ঘরের দিকে, রাতে ঘুমন্ত লােককে টেনে বের করে শিকার করা যায় কিনা, মােটাসােটা মানুষের বাচ্ছা পেলেতাে কথাই নেই। শিকারের আশায় কুড়ে ঘরের দিকে এক দৃষ্টিতে শের খা আগাতে থাকে।
দৃষ্টি তার কোথায় সে এস কুড়েঘরাট ছিলে এক কাঠুরিয়ার। শীতের রাতে কাঠুরিয়া ঘরের সামনে আগুন জ্বালিয়ে রেখেছিল । শেরখান জ্বলন্ত আগুনের অঙ্গারের ওপর পরলো। সে সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে গর্জন করে ওঠল । শব্দে শুনে কাঠুরিয়া ও তার পরিবার জেগে উঠে ঘরের বাইরে এল । ইতিমধ্যে শেরখা খোড়াতে খোড়াতে স্থান ত্যাগ করল । শুনে কাঠুরিয়ার ছােট শিশু-পুত্র নাথু ঘরের বাইরে ঝােপে লুকানাের জন্য দৌড়ে যাচ্ছে। সামনেই দাড়িয়ে ছিল এক ধুসর বর্ণের নেকড়ে বাঘ। নেকড়ে বাঘ খুব সাহসী ও দয়ালু। নেকড়ে যখনই দেখল শিশুটি তাকে দেখে ভয় পাচ্ছে না, তখন তার দয়া হল। নেকড়ে শিশুটিকে ধরে তার গুহায় নিয়ে গেল । গুহায় নেকড়ের বাচ্চাদের সংগে মিলে বাচ্চাটি খেলা করতে থাকে এবং মা নেকড়ে তাকে নিজ বাচ্চার মতাে লালন করতে থাকে।
সেই বনে “তবাকী” নামক এক মিথ্যাবাদী ও চাটুকার খেক শিয়াল বাস করত। শিয়াল আগেই জানতে পেরেছিল যে, কাঠুরিয়ার ছেলে নাথু’ নেকড়ের গুহায় আছে। সে শেরখাকে সংবাদটি জানাতে তার কাছে গেল এবং খুব অনুনয় বিনয় করে বলল, মহারাজ আপনার শিকার মানব শিশু এখন নেকড়ের গুহায় । আপনি যখন তাকে শিকার করবেন, তখন পুরস্কার স্বরূপ আমাকে দু'এক টুকরা মাংস, দেবেন ।
তাবাকীর কথা শুনে শেরখা গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে নেকড়ের গুহার দিকে ছুটল। কিন্তু নেকড়ের গুহার মুখ ছােট থাকায় শের খা মাথা ঢুকিয়ে শিকার ধরতে পারল না । নেকড়ে নাথুকে দিল না। নেকড়ে গলা ঝাড়া দিয়ে শের খাকে বলল সে যেন আর মানুষ শিকার না করে। রাগে-অপমানে শেরখা নেকড়েকে দেখে নেবে বলে ভয় দেখিয়ে ফিরে গেল। নাথু নেকড়ের গুহায় আস্তে আস্তে বড় হতে লাগল । নেকড়ে এ মানব শিশুর নাম রাখল “মুগলি”। নেকডে জঙ্গলে মুগলিকে শিকার ধরার কৌশল, শত্রুর হাত থেকে আত্মরক্ষার কৌশল শিখাতে লাগল।
সে বনে প্রত্যেক পূর্ণিমার রাতে পাহাড়ের চূড়ায় জঙ্গলের সব জন্তু জানােয়ারদের একটি দল সভা হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জঙ্গলের সর্দার “আকেলা” নামক এক নেকড়ে বাঘ। তার পরামর্শদাতা ছিল জঙ্গলের প্রাণীদের আইন কানুন শিক্ষক ভালুক “বালু”। এই বনে এক চিতা বাঘ ছিল যার নাম বাঘেরা। বালু ও বাঘেরা মুগলীকে খুবই পছন্দ করত।
এক নির্দিষ্ট পূর্ণিমার রাতে বালু ও বাঘেরার পরামর্শে নেকড়ে মুগলিকে দল সভায় নিয়ে গেল। আর নেকড়ের সব কথা শুনল। আকেলা বলল মানুষের বাচ্চাকে বনের পশুর দলে নেয়া যায় না। উপায় না দেখে, অন্যান্য পশুর মতামত জানার জন্য আকেলাকে অনুরােধ করল । সকলের মতামত নিয়ে বালু ও বাঘেরা মুগলিকে দলভুক্ত করার জন্য অনুরােধ করল। তারা এও বলল যে, তারা বনের আইন-কানুন তাকে শেখাবে। মুগলি দলভুক্ত হলাে। প্রথমে তারা মুগলিকে শিকার ধরার কৌশল এবং কিভাবে শিকারের অপেক্ষায় চুপেচুপে গুড়ি মেরে অপেক্ষা করতে হয় তাও শিখাল। বনের আইনও শিখাল । বাঘেরা শেখায় শিকাৰ ধৰাৰ কৌশল আর কাজ ভালুক বালু’ শেখায় বনের আইন।
এদিকে মুগলির, পেছনে তাবাকী সব সময় লেগে আছে। সে শের খাকে বদ পরামর্শ দিতে লাগল । মুগলিকে দলে রাখলে লাভের বদলে লােকসানই হবে। কথাটা শেরখার পছন্দ হলাে, কথাটি অনেক নেকড়ের মনে বেখাপাত করল। তারা মুগলির বিপক্ষে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল । দেয়ালেরও কান আছে কথাটি বালু ও বাঘেরা জেনে ফেলল। মুগলিকে যত শীঘ্র বন্য পশু পাখির গােপনভাষা ‘গুরুমন্ত্র’ শেখাতে হবে।
বালু মুগলিকে ‘গুরুমন্ত্র শিখাচ্ছিল। পাঠ যখন চলছিল তখন মুগলি খুবই অমনােযােগী থাকায় বালু রেগে গিয়ে মগলিকে (অসাবধানতা বসত) চড় ঘুষি মারল। সে মনের ক্ষোভে এবং দুঃখে কান্না জুড়ে ছিল এবং বালুকে না বলে বনের মধ্যে কোথায় মিলিয়ে গেল। বানর দল মুগলিকে পেয়ে তাকে নিয়ে হৈ চৈ শুরু করল। এগাছ থেকে ও গাছে নিয়ে লাফিয়ে বেড়াতে লাগল । মুগলি খুবই ক্লান্ত হল এবং তার এ সব ভাল লাগলনা। বালুর জন্য তার মন চঞ্চল হয়ে উঠল। সে বানরের কাছ থেকে। বিদায় নিয়ে বালুর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হল। বালু ও বাঘেরাও মুগলিকে খুঁজছিল । বাঘেরা বলল ছােট শিশু তাকে মারা ঠিক হয়নি। ইতিমধ্যে মুগলি গাছের উপর থেকে বলে উঠল যে কে বলে আমি ‘গুরুমন্ত্র শিখিনি। এই শােন বলছি বলে ‘গুরুমন্ত্র’ বলতে লাগল।
ইতােমধ্যে মুগলি গাছের ওপর লতা পাতা দিয়ে ঘর তৈরি করে সেখানে থাকত। একদিন মুগলি ঘুমিয়ে আছে। বানর দল তাকে সেখান থেকে নিয়ে গাছের মগডালে উঠে সেখান থেকে এ গাছ ও গাছ লাফিয়ে চার মাইল পথ অতিক্রম করল । ইতােমধ্যে টানা হেচড়া করে মুগলিকে নিয়ে লাফ ঝাপ দিয়ে প্রকান্ড ‘ভাঙ্গা কেল্লার দিকে চলল । মুগলি যেতে যেতে গুরুমন্ত্র (বনের ডাক) দিতে লাগল। আকাশের চিলের রাজা র্যাস সে ডাক শুনল । র্যাস সোঁ সোঁ করে নিচে নেমে আসল এবং দেখল। বানরের দল মুগলিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পরে বালু ও বাঘেরাকে সে সংবাদ দিল । বালু ও বাঘেরা কেল্লার দিকে ছুটল।
যেতে যেতে পথে পেল বৃদ্ধ অজগরকে যার নাম ‘কা’ বালু ও বাঘেরা বানর শিকার ধরার জন্য কা' কে সংগে যাবার অনুরােধ করল। বানররা তাকে হলদে পােকা বলেছে। এ বলে ‘কা’ কে খেপাল। এ কথা শুনে কা’ তাে রেগে গেল। তখন সে হিস হিস শব্দ। করে বলল, বানরদেরকে একটু শিক্ষা দেয়া দরকার।
এই বলে সংগে “কা” চলল। বাঘেরা আগে চলল । সে ভাঙ্গা কেল্লার ওপর হাজার হাজার বানরের পাল জড়াে হয়ে চেঁচামেচি করছে দেখে ভাবল মুগলি এখানেই আছে। সে ঝাপিয়ে পড়ল বানর দলের ওপর। কিন্তু একা পারবে কি করে। পরে একান্ত চৌবাচ্চার পানিতে লাফিয়ে আত্মরক্ষা করল । ইতি মধ্যে বালু ও কাছে এসে পৌছাল। প্রচন্ড যুদ্ধ হল। মুগলি হাতছাড়া হবে ভেবে বানররা মুগলিকে একটি বদ্ধ ঘরে ফেলে দিল । সে ঘরে ছিল বিষাক্ত সাপের বাস। সাপ দলবেধে মুগলিকে কামড়াতে আসল। মুগলি বনের ডাক দিল। সাপ আর কিছু বলল না। বালু ও বাঘেরার সংগে যখন বানরের ঘাের যুদ্ধ চলছিল তখন “কা” ছাদের ওপর ওঠল এবং বানরের দলের ভেতর এসে ভীষণভাবে ছােবল দিতে লাগল। ভয়ে সব বানর পালিয়ে গেল। বানরের দল যখন পালাল “কা” তার শরীরের শক্তি দিয়ে দেয়াল ছিদ্র করে ভেঙ্গে মুগলিকে ঘরের ভিতর হতে বের করল। “কা” পুনরায় খােলা ছাদে এসে তার প্রিয় খাদ্য বানর ধরে খেতে লাগল । পরে সবাই মুগলিকে নিয়ে বনে চলে গেল।
পরবর্তী সময়ে নেকডের সহযােগিতায় মুগলি শেরখাকে হত্যা করে তার গায়ের চামড়া খুলে ফেলে। মাড়ি সরিন রাতে দল সভায় বৃত্তের মাঝখানে সে চামড়া রেখে দেয়। নেকড়ের দল বৃত্তের চতুর্দিকে দাড়িয়ে মহাগর্জন দেয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, নেকড়ের দল সভাই হচ্ছে কাবদের Pack Meeting । জঙ্গলের নেকড়ে দল যখন একত্রিত হত তাদের সরদার আকেলা মধ্যস্থলে একটি শিলার উপর দাড়াত। ঐ শিলাকে সভা শিলা (Council Rock) বলা হত। অন্যান্য নেকড়েরা তার চারিদিকে গােল হয়ে দাঁড়াত।
কাব দল কাব লিডার (আকেলা) কে নিয়ে বৃত্ত তৈরি করে। কাবেরা বৃত্তের চারপাশে ষষ্ঠক ভিত্তিক দাড়ায়। বৃত্তের যেখানে কাব লিডার দাঁড়ায় সেখানকেই সভা শিলা (Council Rock) বলে ।
সভা শিলা হতে ৩, ৪ বা ৫ কদম দূরে ( আনুমানিক ৩ ফুট ব্যাসার্ধ) অথবা কাধে কাধ মিলিয়ে গােল হয়ে বত্তে দাড়ালে তাকে শৈল মন্ডলী ( Rock Meeting or Assembel Circle) বলে। কারাে কোথাও একত্রিত (Fall in) হতে হলে তাদের সব সময় শৈলমন্ডল (Rock Meeting) এ দাড়াতে হয়।
আবার গ্রান্ড হাউল (গ্রান্ড ইয়েল) অথবা খেলাধুলার সময় শৈল মন্ডলী থেকে আনুমানিক তিন কদম দূরে ( দুই পাশে দুই হাত প্রসারিত করে অথবা সভা শিলা থেকে ৬ ফুট ব্যাসার্ধ বা প্রয়ােজন হলে আরাে পেছনে সরে বৃত্তাকারে দাঁড়াতে হয়। এই পদ্ধতিকে বৃহৎ মন্ডলী (Parade Circle) বলে।

আমিও পারিঃ 

১) পারদর্শিতা ব্যাজের কোন গ্রুপটি আবশ্যিক? 

  উত্তরঃ সূর্য গ্রুপ আবশ্যিক। 

২) সূর্য গ্রুপে কয়টি ও কী কী ব্যাজ আছে? 

  উত্তরঃ সূর্য গ্রুপে ৪টি ব্যাজ আছে। যথা - 

          (১) জনস্বাস্থ্য                  (২) সাঁতার 

          (৩) নিরাপত্তা                 (৪) পরিবেশ সংরক্ষণ 


৩) রংধনু গ্রুপকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে? এগুলো কী কী? 

  উত্তরঃ রংধনু গ্রুপকে ৭টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা - 

         (১) বেগুনী ( নাগরিকত্ব )                (২) নীল ( খেলাধুলা ) 

         (৩) আকাশি ( কারুশিল্প )              (৪) সবুজ ( ব্যক্তিগত দক্ষতা ) 

         (৫) হলুদ ( প্রাণির যত্ন )                 (৬) কমলা ( গাছের যত্ন ) 

         (৭) লাল ( প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ ) 


৪) তারা স্তরে সূর্য গ্রুপ থেকে কয়টি ব্যাজ অর্জন করতে হবে? 

  উত্তরঃ তারা স্তরে সূর্য গ্রুপের ৪টি ব্যাজের মধ্যে যে কোনো ১টি ব্যাজ অর্জন করতে হবে। 

৫) তারা স্তরে রংধনু গ্রুপ থেকে কয়টি ব্যাজ অর্জন করতে হবে? 

  উত্তরঃ তারা স্তরে রংধনু গ্রুপের বেগুনী ( নাগরিকত্ব ) থেকে ৭টি ব্যাজের মধ্যে যে কোনো ১টি             ব্যাজ অর্জন করতে হবে। 

৬) বেগুনীতে কয়টি ও কী কী ব্যাজ আছে? 

  উত্তরঃ বেগুনীতে ৭টি ব্যাজ আছে। যথা - 

          (১) সমাজ সেবা                          (২) প্রাথমিক প্রতিবিধান 

          (৩) স্বাক্ষরতা                             (৪) কৃষ্টি 

          (৫) স্বাস্থ্য সচেতনতা                    (৬) শিশু অধিকার 

          (৭) নিরাপদ খাবার 


৭) তারা ব্যাজে মোট কয়টি পারদর্শিতা ব্যাজ অর্জন করতে হয়? 

  উত্তরঃ তারা ব্যাজে মোট ২টি পারদর্শিতা ব্যাজ অর্জন করতে হয়। 

ক্যাম্পিংঃ 

১) কাব স্কাউট অন কী? 

  উত্তরঃ কাব স্কাউট অন কাব স্কাউটদের একান্ত নিজস্ব অনুষ্ঠান। ইহা কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয় বা ধর্মের কোনো বিকল্প নয়। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ধর্মীয় মহাপুরুষগণের জীবনী আলোচনা করা হয়। তাঁদের ঘটনাবহুল জীবনের সাথে কাব স্কাউট আইন ও প্রতিজ্ঞার মিল রয়েছে এমন বিষয় উপস্থাপন করা হয়। 

২) একটি কাব স্কাউট ওনের নমুনা কর্মসূচী লেখ। 


স্কাউটস ওন এর নমুনা কর্মসূচি :

তারিখ……………………………

বিষয়দায়িত্ব
স্কাউটস ওন এর ব্যাখ্যা ও উদ্বোধন ঘােষণাইউনিট লিডার
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতকাব স্কাউট 
গীতা পাঠকাব স্কাউট 
হামদকাব স্কাউট 
উপাখ্যানকাব স্কাউট 
নাতকাব স্কাউট 
উপাখ্যানকাব স্কাউট 
কাব স্কাউট আইন পাঠপ্রশিক্ষক/সহকারী ইউনিট লিডার
ভক্তিমূলক গানকাব স্কাউট 
উপাখ্যানকাব স্কাউট 
পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠকাব স্কাউট 
উপাখ্যানকাব স্কাউট 
কীর্তনকাব স্কাউট 
প্রতিজ্ঞা পূনঃপাঠইউনিট লিডার
স্কাউটস ওন এর মূল্যায়নইউনিট লিডার
নিরব প্রার্থনাইউনিট লিডা

         আপন শক্তিঃ 

১) চাঁদ ব্যাজ অর্জনের সময়সীমা কত? 

  উত্তরঃ চাঁদ ব্যাজ অর্জনের সময়সীমা ৪ থেকে ৬ মাস। 

২) ইংরেজিতে কাব আইন লিখ। 

  উত্তরঃ (1) Obey the elders. 

          (2) Don't do anything whimsically.

৩) বিজয় দিবস কবে? 

  উত্তরঃ বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর। 

৪) কেনো বিজয় দিবস পালন করা হয়? 

  উত্তরঃ পাকিস্তানী হানাদারদের সাথে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের             বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় বলে ঐ দিন বিজয় দিবস পালন করা               হয়। 

৫) জাতীয় পতাকার লাল বৃত্তের মাপ কত? 

  উত্তরঃ জাতীয় পতাকার লাল বৃত্তটির ব্যাসার্ধ পতাকার দৈর্ঘের পাঁচ ভাগের এক ভাগ। 

৬) জাতীয় পতাকার মাপ কত? 

  উত্তরঃ (১) ভবনের জন্য - 

               ৩ মিটার × ১.৮০ মিটার বা ১০ ফিট × ৬ ফিট 

          ১.৫ মিটার × ৯০ সেন্টিমিটার বা ৫ ফিট × ৩ ফিট

              ১.২৫ মিটার × ৪৫ সেন্টিমিটার বা ২.৫০ ফিট × ১.৫০ ফিট

   (২) মোটর গাড়ির ব্যবহারের জন্যঃ 

    বড় ধরণের গাড়িতেঃ  ৩৭.৫ সেন্টিমিটার × ২২.৮ সেন্টিমিটার বা ১৫ ইঞ্চি × ৯ ইঞ্চি

    মাঝারী বা ছোট গাড়িতেঃ ২৫.৩ সেন্টিমিটার × ১৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চি × ৬ ইঞ্চি 

৭) জাতীয় পতাকার যত্ন কীভাবে নিতে হয়? 

  উত্তরঃ (১) দড়িতে বেঁধে পতাকা উড়াতে হবে। 

          (২) কোনো অবস্থায় পতাকা মাটি স্পর্শ করবে না। 

          (৩) পতাকা নামানোর পর সুন্দর ভাবে ভাজ করে রাখতে হবে। 

৮) জাতীয় পতাকার রং কয়টি ও কী কী? রংয়ের তাৎপর্য কি? 

  উত্তরঃ জাতীয় পতাকার রং দুইটি। যথা - লাল ও সবুজ। 

         (১) সবুজ অংশঃ তারুন্যের উদ্দীপনা এবং গ্রাম বাংলার সবুজ পরিবেশের প্রতীক। 

         (২) লাল বৃত্তঃ উদীয়মান সূর্য এবং রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক। 

৯) একটি জাতীয় পতাকা সঠিক ভাবে অংকন করে রং কর। 

  উত্তরঃ সঠিক মাপ অনুযায়ী নিজে নিজে চেষ্টা কর। 


চেষ্টা করিঃ 

১) চাঁদ ব্যাজ স্তরে কয়টি ও কী কী গেরো শিখতে হয়? 

  উত্তরঃ চাঁদ ব্যাজ স্তরে ২টি গেরো শিখতে হয়। যথা - 

          (১) তাঁবু গেরো ( Round turn and two half hitches ) 

          (২) পাল গেরো ( Sheet bend ) 

২) তাঁবু গেরো কী কী কাজে ব্যবহার করা হয়? 

  উত্তরঃ  (১) তাঁবু পেগের সাথে বাঁধতে। 

           (২) বড় নৌকা ঘাটে বাঁধতে। 

৩) পাল গেরো কী কী কাজে ব্যবহার করা হয়? 

  উত্তরঃ  (১) নৌকার পাল বাঁধতে। 

           (২) পতাকা দড়ির সাথে বাঁধতে। 

           (৩) চিকন ও মোটা রশি জোড়া লাগাতে। 

৪) কোন স্তরে জামার বোতাম সেলাই করতে হয়? 

  উত্তরঃ চাঁদ ব্যাজ স্তরে। 

৫) প্রাথমিক প্রতিবিধান কাকে বলে? 

  উত্তরঃ হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনায় কেহ আহত হলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পূর্বে                                 তাৎক্ষণিক ভাবে যে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে প্রাথমিক প্রতিবিধান বলা হয়। 

৬) ব্যান্ডেজ কত প্রকার ও কী কী? 

  উত্তরঃ ব্যান্ডেজ ২ প্রকার। যথা - 

           (১) রোলার ব্যান্ডেজ 

           (২) ত্রিকোণী ব্যান্ডেজ 

৭) রক্ত বন্ধ করার প্রাথমিক প্রতিবিধান কি? 

  উত্তরঃ (১) কাটা বা ক্ষত স্থানে জীবাণু মুক্ত তুলা ও স্যাভলন দিয়ে চেপে ধরে রাখা। 

           (২) দূর্বা ঘাসের রস করে ক্ষত স্থানে লাগানো। 

           (৩) গাঁদাফুল গাছের পাতার রস ক্ষত স্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। 

৮) কীভাবে কাটা ও ক্ষতের যত্ন নিতে হয়? 

  উত্তরঃ কাটা ও ক্ষত স্থানে বিশুদ্ধ পানি দ্বারা পরিষ্কার করে এন্টিসেপটিক ক্রীম                                লাগিয়ে পরিষ্কার কাপড় বা ব্যান্ডেজ দ্বারা ক্ষতস্থান বেঁধে রাখা যাতে কোনো ময়লা                  ক্ষতস্থানে না লাগে। 

৯) আইন নৃত্য কী? 

  উত্তরঃ কাবের আইন ছন্দাকারে উচ্চারণ করে যে নৃত্য করা হয় তাকে আইন নৃত্য বলে। 

১০) আইন নৃত্যের শুরুতে কোন দিকে ঘরতে হয় এবং কোন পা সামনে দিতে হয়? 

  উত্তরঃ ডান দিকে ঘুরে বাম পা সামনে দিতে হয়। 

১১) আকেলা ( কাব লিডার ) ও তোমার পরিবারের তিন জনের মোবাইল নম্বর লিখ। 

  উত্তরঃ নিজে চেষ্টা কর। 

১২) তোমার শ্রেণি শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের নাম কী? 

  উত্তরঃ নিজে কর।

১৩) চাঁদ স্তরে কাব প্যাকের বাইরে কমপক্ষে কতজন বন্ধু তৈরি করতে হবে? 

  উত্তরঃ ৪ জন। 

থাকবো ভালোঃ 

১) আকাঈদ কী? 

  উত্তরঃ আকাইদ হলো আকিদা শব্দের বহুবচন। আকিদা অর্থ বিশ্বাস। আর আকাইদ মানে বিশ্বাসমালা। 

২) ইবাদত বলতে কী বোঝ? 

  উত্তরঃ ইবাদত শব্দের অর্থ আনুগত্য, দাসত্ব, বন্দেগি ইত্যাদি। আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য স্বীকার করে তাঁর                   যাবতীয় আদেশ, নিষেধ মেনে চলাকে বলে ইবাদত। 

৩) আসর এর নামাজ বা সালাত কয় রাকাত? 

  উত্তরঃ আসর এর সালাত ৪ রাকাত ফরজ। 

৪) আসর এর সালাত কখন পড়তে হয়? 

  উত্তরঃ যোহরের সময় শেষ হলেই আসরের সময় শুরু হয় এবং সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত বিদ্যমান                 থাকে। তবে সূর্যের রং হলুদ হওয়ার আগেই আসর সালাত আদায় করতে হয়। 

৫) মাগরিবেরব নামাজ কয় রাকাত? 

  উত্তরঃ মাগরিবের নামাজ তিন রাকাত ফরজ, দুই রাকাত সুন্নত। অর্থাৎ মাগরিবের নামাজ মোট                  পাঁচ রাকাত। 
৬) মাগরিবেরব নামাজ কখন পড়তে হয়? 

  উত্তরঃ সূর্যাস্তের পর থেকে মাগরিবের সময় শুরু হয় এবং পশ্চিম আকাশে যতক্ষণ লালিমা                   বিদ্যমান থাকে ততক্ষণ সময় থাকে। 

৭) সঞ্চয়ের প্রয়োজনীয়তা কী? 

  উত্তরঃ সঞ্চয় ভবিষ্যতের সম্বল। সঞ্চয় করতে অভ্যস্থ হলে অপচয় রোধ হয়। ভবিষ্যতে অভাব             অনাটনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 

৮) চাঁদ ব্যাজ স্তরে কত টাকা সঞ্চয় করতে হয়? 

  উত্তরঃ চাঁদ ব্যাজ স্তরে ১৫ টাকা সঞ্চয় করতে হয়। 

৯) চাঁদ ব্যাজ স্তরে তোমার কোন কোন জিনিসের যত্ন নেওয়া ও গুছিয়ে রাখা শিখতে হয়? 

  উত্তরঃ নিজের জামাকাপড়, বিছানাপত্র, বইখাতা, খেলনা ইত্যাদি। 

১০) তোমার বাড়ির আঙ্গিনায়, আশে-পাশে বা টবে একটি গাছ লাগিয়ে কীভাবে এর যত্ন নিবে? 

  উত্তরঃ (১) গাছ লাগানোর পর নিয়মিত গাছে পানি দিবো। 

          (২) গাছের চারপাশের আগাছা পরিষ্কার করব।

          (৩) গরু ছাগলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গাছের চারদিকে বেড়া দিবো। 

          (৪) পোকা মাকড়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য মাঝে মাঝে কীটনাশক ব্যবহার করতে                        হবে। 

          (৫) বছরে দুইবার গাছের গোড়ায় সার দিতে হবে। 

আনন্দ উল্লাসঃ 

১) চাঁদ স্তরে স্কাউটের কোন গান শিখতে হয়? 

  উত্তরঃ জগৎটাকে দু'হাত দিয়ে উর্ধ্বে তুলে ধরতে চাই,

          সমাজটাকে সবুজ ঘাসের মানুষ দিয়ে মুড়তে চাই। 

                      বিভেদ কারো থাকবে না 

                        হিংসা মনে রাখবেনা।

       

          বন্ধু হবো আমরা সবাই, আনন্দে দেশ ভরতে চাই, 

        গড়তে চাই, গড়তে চাই, সোনার এদেশ গড়তে চাই। 

                        দুঃখ ব্যাথা রাখবোনা 

                       মিথ্যে নিয়ে থাকবোনা। 

     

          ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়ে সুখের জগত গড়তে চাই,

         গড়তে চাই, গড়তে চাই, সোনার মানুষ গড়তে চাই। 

২) কিমস গেইম কী? 

  উত্তরঃ স্মৃতি পরীক্ষার একটি খেলা। কমপক্ষে ২৪টি জিনিস দেখিয়ে ৩ মিনিট পর্যন্ত সে                       জিনিসগুলোর নাম লেখা। 

৩) একটি গল্প বল এবং অভিনয় দেখাও। 

  উত্তরঃ  উদাহরণ স্বরুপ একটি গল্প দেওয়া হলো - 

বুদ্ধিমান কাক :

একটা কাক উড়তে উড়তে  এমন একটা স্থানে   এসে পৌঁছালো যেখানে জল পাওয়া খুবই দুষ্কর।অথচ পিপাসায় তার গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর কাক একটা কলসি পেল।

কিন্তু কলসির কাছে গিয়ে সে হতাশ হলো শুধু ঠোঁট বাড়িয়ে চেষ্টা করল অনেকবার জল পান করার।কিন্তু জলের নাগাল না পেয়ে কাকটি চিন্তা করতে লাগল কী করা যায়! কলসির আশেপাশে কিছু নুড়িপাথর পড়েছিল ;সেগুলো দেখতে দেখতে হঠাৎ কাকের মাথায় একটি বুদ্ধি এল।

একটি একটি করে নুড়িপাথর নিয়ে কলসির মধ্যে ফেলতে লাগল সে ।পাথর জায়গা দখল করায় জল উঠে এল কলসির মুখের কাছে। তৃষ্ণার্ত কাকের প্রাণ খুশিতে ভরে উঠল।ঠোঁট ডুবিয়ে ডুবিয়ে প্রাণ ভরে জল পান করে সে তার তৃষ্ণা   মেটাল।

   ( নিজে নিজে কর)   

৪) চাঁদ স্তরে কমপক্ষে কতটি প্যাকমিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে হয়? 

  উত্তরঃ ১০টি। 

আমিও পারিঃ 

১) চাঁদ স্তরে কয়টি পারদর্শিতা ব্যাজ অর্জন করতে হয়? 

  উত্তরঃ চাঁদ স্তরে ৩টি পারদর্শিতা ব্যাজ অর্জন করতে হয়। 

২) চাঁদ স্তরে সূর্য গ্রুপ থেকে কতটি পারদর্শিতা ব্যাজ অর্জন করতে হয়? 

  উত্তরঃ তারা স্তরে অর্জনকৃত ১টি ছাড়া অন্য ৩টির মধ্যে থেকে যেকোনো ১টি। 

৩) চাঁদ স্তরে রংধনু গ্রুপের কয়টি ব্যাজ অর্জন করতে হয়? 

  উত্তরঃ চাঁদ স্তরে রংধনু গ্রুপের নীল থেকে ৬টি ব্যাজের মধ্যে যে কোনো ১টি ব্যাজ ও আকাশি            থেকে ৬টি ব্যাজের মধ্যে যেকোনো ১টি ব্যাজ অর্জন করতে হয়। 

৪) রংধনু গ্রুপের নীল ( খেলাধুলা ) স্তরে কয়টি পারদর্শিতা ব্যাজ আছে ও কী কী? 

  উত্তরঃ রংধনু গ্রুপে নীল স্তরে ৬টি ব্যাজ আছে। যথা - 

          (১) চিত্ত বিনোদন         (২) খেলাধুলা 

          (৩) ক্রীড়ক                 (৪) ক্রীড়াকুশলি 

          (৫) সংগ্রহ                  (৬) গৃহপরিচর্যা 

 

৫) রংধনু গ্রুপের আকাশি ( কারু শিল্প ) স্তরে কয়টি পারদর্শিতা ব্যাজ আছে ও কী কী? 

  উত্তরঃ রংধনু গ্রুপে আকাশি স্তরে ৬টি ব্যাজ আছে। যথা - 

          (১) খেলনা তৈরি          (২) মডেল তৈরি 

          (৩) নকশী তৈরি          (৪) সেলাই করা 

          (৫) চিত্রকলা               (৬) সস্তশিল্প 


৬) কাব হলিডে কী? 

  উত্তরঃ সাধারণ অর্থে হলিডে মানে ছুটির দিন। কাবেরা কোনো এক ছুটির দিনে সারাদিন

           ব্যাপী যখন কাব প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে তখন তাকে কাব হলিডে নামে অভিহিত

           করা হয়। 

৭) কাব হলিডের উদ্দেশ্যগুলো লেখ। 

  উত্তরঃ (১) কাবদের একঘেয়েমি দূর করা। 

           (২) প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে নতুনত্ব আনা। 

           (৩) নতুন স্থান পরিদর্শনের সুযোগ সৃষ্টি।

           (৪) অভিভাবকদের কাবিং সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। 

           (৫) কাবদের দক্ষতার মান যাচাই করা। 

           (৬) আনন্দঘন পরিবেশে বৈচিত্রপূর্ণ কার্যক্রমে কাবদের সম্পৃক্ত করা। 

৮) কাব হলিডের নমুনা কর্মসূচী লেখ। 

  উত্তরঃ কাব হলিডে ৫টি পর্বে ভাগ করে পরিচালনা করা হয়। যথা - 

            প্রথম পর্বঃ উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান 

           দ্বিতীয় পর্বঃ ষ্টেশন ভিত্তিক কার্যক্রম ( দক্ষতা ব্যাজের স্তর ভিত্তিক অনুশীলন )। 

           তৃতীয় পর্বঃ নামাজ ও খাবারের বিরতি 

            চতুর্থ পর্বঃ কাব কার্ণিভাল 

           পঞ্চম পর্বঃ সমাপনী অনুষ্ঠান। 

কাব স্কাউট বই ডাউনলোড লিঙ্ক


কাব স্কাউট বই ডাউনলোড লিঙ্ক ২

No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.