ad

প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি শুরু জুন ২০২২ মাসে।

Views

 



প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি শুরু জুন ২০২২ মাসে।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে শুরু হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম। আগামী মাসে (জুন) বদলি শুরু হবে একই উপজেলা বা থানা পর্যায়ে। এরপর পর্যায়ক্রমে বদলির দ্বার খুলবে আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা, আন্তঃবিভাগ এবং যেকোনো উপজেলা বা জেলা থেকে সিটি কর্পোরেশনে। নানা কারণে দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ রয়েছে এই বদলি কার্যক্রম। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনে বদলি প্রক্রিয়ার পাইলটিং শুরুর ঘোষণা দিয়েও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তা শুরু করতে পারেনি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। অনুমোদিত শিক্ষক পদ ৪ লাখ ২৮ হাজার ৭০১টি। সহকারী শিক্ষকের ৪৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য সারাদেশে তিন ধাপে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা (সিলেট বাদে) গত ২০ মে অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে ৩ জুন। তিন ধাপে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
তাই এবার জুনেই অনলাইনে বদলি কার্যক্রম চালু হবে। এ পদ্ধতিতে কোনো একটি উপজেলায় বদলি কার্যক্রমের পাইলটিং শুরু হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সব শিক্ষকের বদলি কার্যক্রম চলবে। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি বন্ধ করে নির্দেশনা জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণজনিত কারণে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষকদের সব ধরনের বদলি বন্ধ রাখা সমীচীন। গত বছরের মার্চে অনলাইনে শিক্ষক বদলির প্রশিক্ষণ শেষে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় পাইলটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। পর্যায়ক্রমে শিক্ষক প্রশিক্ষণ দিয়ে সারাদেশে অনলাইনে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তবে মন্ত্রণালয় জানায়, করোনা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন কারণে পাইলটিং কার্যক্রমই শুরু করা সম্ভব হয়নি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, শিক্ষক বদলির বিদ্যমান পদ্ধতির ধাপগুলো বিশ্লেষণ করে সেবা দিতে বাস্তব সমস্যা, প্রতিবন্ধকতা, ধীরগতি এবং পদ্ধতিগত শূন্যতা নির্ণয় করা হবে অনলাইন আবেদনে। শিক্ষকরা তাদের শিক্ষক পিন (ই-প্রাইমারি সিস্টেম) ব্যবহার করে ওটিপি অথেনটিকেশনের মাধ্যমে লগইন করে নিজস্ব ইউআইয়ে (ইউজার ইন্টারফেস) প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের তথ্যাদি আগে থেকেই ডাটাবেজে সংরক্ষণ থাকায় শুধু বদলির ক্ষেত্র আন্তঃউপজেলা, আন্তঃজেলা, আন্তঃবিভাগ এবং অন্তঃসিটি কর্পোরেশন এবং বদলির কারণ সিলেক্ট করে বদলির আবেদন করা যাবে। মাসিক রিটার্ন, চাকরি বইয়ের ফটোকপি ইত্যাদি সংযুক্তির প্রয়োজন হবে না।
সঠিকভাবে আবেদন জমা দিলে আবেদনকারী আবেদনের একটি পিডিএফ কপি এবং অ্যাপ্লিকেশন ট্র্যাকিং নম্বর সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড একটি রিসিপ্ট পাবেন এবং মোবাইলে নোটিফিকেশন পাবেন। তাছাড়া শিক্ষক পিন ব্যবহার করে লগইন করে যে কোনো সময় নিজের ড্যাশবোর্ড থেকে আবেদনের বর্তমান অবস্থান জানতে পারবেন। সফটওয়্যারে প্রতিটি ধাপে সময় নির্ধারণ করা থাকবে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদনটি অগ্রসর হতে থাকবে। আবেদনকারীর বদলির প্রেক্ষাপটের আলোকে সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কোর নির্ধারিত হবে। ফলে আবেদনকারী একাধিক হলে অগ্রাধিকার তালিকাও সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে। তবে ক্ষেত্রমতে স্বামী/স্ত্রীর কর্মস্থলের বা স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র, বদলির কারণ কিংবা প্রেক্ষাপটের আলোকে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হতে পারে।
বিদ্যমান বদলির নীতিমালার শর্তাবলির আলোকে এমনভাবে সফটওয়্যারে সবকিছু সেট করা হয়েছে, যেন অযাচিত কিংবা বদলির শর্ত পূরণ করে না এমন কেউ আবেদন করতে না পারেন। শূন্যপদের সব তথ্য ডাটাবেজে থাকায় শিক্ষকরা আবেদনের সময়ই বিদ্যমান সব শূন্যপদ দেখতে পাবেন এবং এক বা একাধিক বিদ্যালয় বাছাই করে আবেদন করতে পারবেন।
( সংগৃহীত )


No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.