ad

One Day One Word কার্যক্রমের শিখন কৌশল

Views

নতুন নতুন শব্দ শেখা বা শব্দের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করে থাকি। কোনোটি আমাদের কাজে আসে, কোনোটি আসে না। সাধারণত আমরা খাতায় অনেক শব্দ লিখে চিন্তা করি যে প্রতিদিন ১০টি করে শব্দ শিখলে মাসে ৩০০টি, বছরে ৩৬৫০টি শব্দ শেখা হবে। কিন্তু বাস্তবে কি কখনও তা হয়ে ওঠে?
যদি আমাদের শৈশবের কথা চিন্তা করি, যখন প্রাথমিকে পড়াশোনা করতাম, প্রাথমিক স্তর শেষে আমরা ক’টা বাংলা আর ইংরেজি শব্দ অর্থসহ জানতাম? নিশ্চয়ই সংখ্যাটা হবে খুবই নগণ্য।
মানুষ যে কোনো কিছু শিখে মূলত চারটি উপায়ে- 1. Visual learning. বই পড়ে বা ছবি দেখে কোনো কিছু যে আয়ত্তে আনে তাকে বলা হয় Visual learner. 2. Auditory learning. একটা বিষয় অনেকবার পড়েও যখন মনে থাকে না, কিন্তু কেউ এসে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বললে মাথায় গেঁথে যায়। 3. Verbal বা Communicative learning. একটা জিনিস শেখার পর যখন কাউকে তা বোঝানোর সক্ষমতা অর্জন করে। 4. Kinaesthetic learning. চেয়ারে বসে না থেকে ছটফট, হইচই আর দৌড়ঝাঁপের মাঝেই শেখা। এটা শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি কাজে লাগানো যেতে পারে। প্রতিদিন একই জায়গায় বসে না পড়ে একেক দিন একেক জায়গায় পড়লে পড়ায় মনোযোগ বাড়ে এবং তা বেশিদিন মনে থাকে।

কোনো কিছু শেখার ক্ষেত্রে চারটি উপায়ই সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়। প্রাথমিক স্তরে একটি শিশুর মাঝে স্বভাবতই নতুন নতুন শব্দ জানা বা শেখার আগ্রহ কাজ করে। কিন্তু শিখন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ত্রুটির কারণে তারা অনেক সময় মাঝপথেই হোঁচট খায়।

শিশুদের বাংলা ও ইংরেজি শব্দ শেখানোর জন্য শ্রেণীশিক্ষক বর্ণমালা চার্ট, বর্ণ কার্ড, শব্দ কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। তাদের এই ফরমেটকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে one day one word learning কার্যক্রম।

এ কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিটি শিশু প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে বাংলা ও ইংরেজি শব্দ শিখবে। যদি শ্রেণীশিক্ষক সঠিকভাবে কাজটি করেন, প্রাথমিক স্তর শেষে দেখা যাবে একটি শিশুর ভাণ্ডারে ১ হাজারেরও বেশি বাংলা ও ইংরেজি শব্দ রয়েছে।

সাধারণত একটি শব্দ শিখলে তা পাঁচটি বিষয়কে স্পর্শ করে। সেগুলো হল- শব্দের অর্থ, শব্দের বানান, শব্দের উচ্চারণ, শব্দের ব্যবহার এবং শব্দ মুখস্থকরণ। তাহলে একটি শব্দ শেখা মানে শিশু শুধু শব্দটাই শিখবে এমন নয়, এর পাশাপাশি এই পাঁচটি বিষয়ও সে জানতে পারবে।

পরবর্তীকালে বাক্য গঠনের ক্ষেত্রেও এটা কাজে দেবে। শ্রেণীশিক্ষক এক্ষেত্রে একটি ফরমেট ব্যবহার করতে পারেন, যার মাধ্যমে তিনি পুঞ্জীভূত শব্দের হিসাব রাখবেন এবং প্রতিটি শ্রেণীর জন্য আলাদা আলাদা রেজিস্টার ব্যবহার করবেন। বছর শেষে শিক্ষার্থী ক’টি শব্দ শিখল তা জানা সহজ হবে।


এ প্রক্রিয়াটি যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি, তাহলে শিশুর শৈশব থেকেই ইংরেজি-ভীতি অনেকাংশে দূর হবে। মাতৃভাষার শব্দভাণ্ডারও মজবুত হবে।
Theme images by fpm. Powered by Blogger.