মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সারা বছরব্যাপী সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম চালুর নির্দেশ
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সারা বছরব্যাপী সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম চালুর নির্দেশ
ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫:
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক, শারীরিক ও নৈতিক বিকাশ নিশ্চিত করতে সারা বছরব্যাপী সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারি ২০২৬ থেকে এই কার্যক্রম কার্যকর হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শারীরিক শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক স্মারকে জানানো হয়, সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম একাডেমিক শিক্ষার পরিপূরক হিসেবে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পরিকল্পিতভাবে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যে কার্যক্রমগুলো পরিচালিত হবে
নির্দেশনায় তিনটি প্রধান খাতে সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে—
ক) ক্রীড়া প্রতিযোগিতা:
ফুটবল, ভলিবল, দাবা, ক্রিকেট ও দৌড়।
খ) সহ-পাঠ্য প্রতিযোগিতা:
বাংলা ও ইংরেজিতে বক্তৃতা, উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক, কুইজ এবং দেয়ালিকা তৈরি।
গ) সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা:
কোরআন তেলাওয়াত, সঙ্গীত (হামদ ও নাত, নজরুল সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত ও লোকগীতি), আবৃত্তি, একক অভিনয়, নৃত্য ও গ্রাফিতি অঙ্কন।
হাউজ ভিত্তিক কার্যক্রম ও ক্লাব পরিচালনা
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৪টি হাউজ ভিত্তিক সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে এবং তা নির্ধারিত ক্লাস রুটিনের সঙ্গে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি বয়েজ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্ল গাইডস, বিজ্ঞান ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব, স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্লাব কার্যক্রমকে গুরুত্বের সঙ্গে চালু রাখতে বলা হয়েছে।
ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও মনিটরিং
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে একাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের একটি বার্ষিক ক্যালেন্ডার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে প্রণয়ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রমের সার্বিক মনিটরিং করবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শারীরিক শিক্ষা বিভাগ।
প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দায়িত্ব
স্মারকে আরও উল্লেখ করা হয়, উল্লিখিত সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের সুস্থ মানসিকতা, শারীরিক সক্ষমতা ও নেতৃত্বগুণ বিকাশ লাভ করে।
এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের বহুমুখী প্রতিভা বিকাশে নতুন গতি সঞ্চার হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর
শারীরিক শিক্ষা বিভাগ
বাংলাদেশ, ঢাকা
www.dshe.gov.bd
তারিখ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রি.
স্মারক নং-৩৭.০২.০০০০.১১২.০৬.০০১.২০/৫৭০৯/৩
বিষয়: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা।
উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম একাডেমিক শিক্ষার পরিপূরক হিসেবে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করলে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ নিশ্চিত হবে। সেই লক্ষ্যে মাউশির আওতাধীন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিম্নোল্লিখিত সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম;
ক) ক্রীড়া প্রতিযোগিতা:
১. ফুটবল
২. ভলিবল
৩. দাবা
৪. ক্রিকেট
৫. দৌড়
খ) সহ-পাঠ্য
১. বক্তৃতা (বাংলা ও ইংরেজি)
২. উপস্থিত বক্তৃতা
৩. বিতর্ক (বাংলা ও ইংরেজি)
৪. কুইজ
৫. দেয়ালিকা তৈরি
গ) সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
১. কোরআন তেলাওয়াত
২. সঙ্গীতঃ হামদ ও নাত, নজরুল সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, লোকগীতি
৩. আবৃত্তি
৪. একক অভিনয়
৫. নৃত্য
৬. গ্রাফিতি অঙ্কন
সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম জানুয়ারি ২০২৬ হতে শুরু হয়ে সারা বছরই চলমান থাকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে হাউজ ভিত্তিক (৪টি হাউজে) সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম নির্ধারিত ক্লাস রুটিনের সাথে সমন্বয় করে স্কুল ও কলেজে সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম গতিশীল করতে হবে।
সকল প্রতিষ্ঠান প্রধান উল্লিখিত সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বয়েজ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্ল গাইডস, বিজ্ঞান ক্লাব, বির্তক ক্লাব, স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা ক্লাব ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনায় যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ একাডেমিক কার্যক্রমের সাথে সমন্বয় করে তার সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম এর একটি ক্যালেন্ডার ২৭/১২/২০২৫ খ্রি. তারিখের মধ্যে প্রণয়ন করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শারীরিক শিক্ষা বিভাগ সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম সমূহ মনিটরিং করবে।
উল্লিখিত কার্যক্রম পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য নিদেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
স্বাক্ষরিত
(প্রফেসর মো: শহিদুল ইসলাম)
উপপরিচালক (শারীরিক শিক্ষা)
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ, ঢাকা।



No comments
Your opinion here...