ad

ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময়ে ব্যাংক শাখায় বাধ্যতামূলক সেবা, অনীহায় শাস্তির হুঁশিয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের

Views



ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময়ে ব্যাংক শাখায় বাধ্যতামূলক সেবা, অনীহায় শাস্তির হুঁশিয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের

ঢাকা:
ছেঁড়া-ফাটা, ত্রুটিপূর্ণ ও ময়লাযুক্ত নোট বিনিময়ে কোনো ধরনের অনীহা দেখালে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের শাখাকে নিয়মিতভাবে নোট বিনিময় ও দাবিযোগ্য নোট সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর ২০২৫) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট (ডিসিএম) থেকে জারি করা পরিপত্র নং-০৪/২০২৫-এ এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরিপত্রে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (ডিসিএম) কে এম ইব্রাহিম।

নতুন প্রবিধান কার্যকর

পরিপত্রে জানানো হয়, চলতি বছরের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংক নোট প্রত্যর্পণ প্রবিধান, ২০২৫ জারি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ২০১২ সালের পুরোনো প্রবিধান বাতিল করা হয়েছে। নতুন প্রবিধানের আলোকে জনসাধারণের স্বাভাবিক নগদ লেনদেন নির্বিঘ্ন রাখতে ব্যাংকগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নোটের পাঁচ শ্রেণি নির্ধারণ

বাংলাদেশ ব্যাংক নোটের ব্যবহারযোগ্যতা ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে প্রচলিত নোটকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে। এগুলো হলো—

  1. পুনঃপ্রচলনযোগ্য (Re-issuable) নোট

  2. অপ্রচলনযোগ্য (Non-issuable) নোট

  3. ছেঁড়া-ফাটা/ত্রুটিপূর্ণ (Mutilated) নোট

  4. দাবিযোগ্য (Claimable) নোট

  5. আগুনে পোড়া (Charred) নোট

প্রতিটি শ্রেণির বৈশিষ্ট্য ও করণীয় বিস্তারিতভাবে পরিপত্রের পরিশিষ্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

ব্যাংক শাখায় সরাসরি বিনিময়যোগ্য নোট

পরিপত্র অনুযায়ী, অপ্রচলনযোগ্য ও ছেঁড়া-ফাটা নোটের সম্পূর্ণ বিনিময়মূল্য সরাসরি ব্যাংক শাখা থেকেই প্রদান করতে হবে, যদি—

  1. নোটের মোট অংশের ৯০ শতাংশের বেশি বিদ্যমান থাকে

  2. নোটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থেকে এটি আসল বলে নিশ্চিত হওয়া যায়

রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের ক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা এবং বেসরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে সমমানের কর্মকর্তা বিষয়টি যাচাই করবেন।

দুই খণ্ডে বিভক্ত নোট একই নোটের অংশ হলে এবং উল্টো পিঠে হালকা কাগজ সংযোজন করা থাকলে সেগুলোও বিনিময়যোগ্য হবে।

দাবিযোগ্য নোটে ব্যাংক শাখায় অর্থ দেওয়া যাবে না

নোটের ৯০ শতাংশ বা তার কম অংশ থাকলে, অতিরিক্ত জরাজীর্ণ, স্যাঁতসেঁতে বা দুইয়ের বেশি খণ্ডে বিভক্ত নোটকে দাবিযোগ্য নোট হিসেবে গণ্য করা হবে। এসব নোটের মূল্য ব্যাংক শাখা থেকে দেওয়া যাবে না।

এ ক্ষেত্রে ব্যাংক শাখা আবেদনপত্র (Form L-2) গ্রহণ করে নোটগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক আবেদন পাওয়ার ৮ সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে। দাবিমূল্য অনুমোদিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাবে অর্থ জমা দেওয়া হবে এবং পরে গ্রাহককে পরিশোধ করা হবে।

আগুনে পোড়া নোটে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন

আগুনে পোড়া নোটের ক্ষেত্রে ব্যাংক শাখা কোনো ভূমিকা রাখবে না। আবেদনকারীকে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকটস্থ অফিসের হেল্প ডেস্ক বা দাবি শাখায় যোগাযোগ করে আবেদন করতে হবে।

জালনোটে আইনানুগ ব্যবস্থা

জালনোট বা একাধিক নোটের অংশ সংযোজন করে তৈরি করা Built-up নোট উপস্থাপনকারীর বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন ও ২০০৭ সালের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পরিপত্রে স্পষ্ট করা হয়েছে।

দৃশ্যমান নোটিশ টানানোর নির্দেশ

প্রতিটি ব্যাংক শাখায় জনসাধারণের সহজে নজরে আসে—এমন স্থানে নোটিশ টানাতে হবে। সেখানে উল্লেখ থাকবে—

  1. কোন নোট সরাসরি বিনিময়যোগ্য

  2. কোন নোট বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে

  3. জালনোট উপস্থাপনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে

মাসিক পরিবীক্ষণ বাধ্যতামূলক

ব্যাংক শাখাগুলোতে কতগুলো অপ্রচলনযোগ্য, ছেঁড়া-ফাটা ও দাবিযোগ্য নোট গ্রহণ করা হয়েছে—সে সংক্রান্ত তথ্য মাসিক ভিত্তিতে প্রধান কার্যালয় থেকে পরিবীক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এই নতুন নির্দেশনার ফলে সাধারণ মানুষ ছেঁড়া-ফাটা নোট নিয়ে ভোগান্তি ছাড়াই ব্যাংকিং সেবা পাবেন এবং দেশের নগদ লেনদেন ব্যবস্থা আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক

(সেন্ট্রাল ব্যাংক অব বাংলাদেশ)

প্রধান কার্যালয়

মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ বাংলাদেশ।

তারিখ: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ডিসিএম পরিপত্র নং-০৪/২০২৫

ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা

বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংক

প্রিয় মহোদয়,

ছেঁড়া-ফাটা/ত্রুটিপূর্ণ নোট, দাবিযোগ্য নোট গ্রহণ এবং উহার বিনিময়মূল্য প্রদান/নিষ্পত্তি প্রসঙ্গে।

শীর্ষক বিষয়ে বিগত ০৯/১০/২০২৫ তারিখের ডিসিএম পরিপত্র নং-০২/২০২৫ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে।

২। বিগত ০৯/১০/২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক নোট প্রত্যর্পণ প্রবিধান, ২০২৫ (Bangladesh Bank Note Refund Regulations, 2025) জারি করা হয় এবং Bangladesh Bank (Note Refund) Regulations- 2012 রহিত করা হয়।

৩। জনসাধারণের স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু নগদ লেনদেন অব্যাহত রাখার স্বার্থে আপনাদের ব্যাংক শাখা কর্তৃক বিধি মোতাবেক ছেঁড়া-ফাটা/ত্রুটিপূর্ণ ও ময়লাযুক্ত নোটের বিনিময়মূল্য প্রদান ও দাবিযোগ্য নোট সংক্রান্ত সেবা নিয়মিতভাবে প্রদান করতে হবে। এ ধরনের সেবা প্রদানে কোনো ব্যাংক শাখার অনীহা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৪। বাংলাদেশ ব্যাংক নোট প্রত্যর্পণ প্রবিধান, ২০২৫ এর আলোকে ও সময়োপযোগিতার নিরীখে নোটের শ্রেণিবিভাগ, বৈশিষ্ট্য ও করণীয় সম্পর্কে এ সার্কুলারে বর্ণিত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণের পরামর্শ দেয়া হলো।

৫। নোটের ব্যবহার উপযোগিতা ও বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে প্রচলনে থাকা নোটসমূহকে নিম্নরূপভাবে শ্রেণিবিন্যাস করা হলো:

(ক) পুনঃপ্রচলনযোগ্য (Re-issuable) নোট;

(খ) অপ্রচলনযোগ্য (Non-issuable) নোট;

(গ) ছেঁড়া-ফাটা/ত্রুটিপূর্ণ (Mutilated) নোট;

(ঘ) দাবিযোগ্য (Claimable) নোট; এবং

(ঙ) আগুনে পোড়া (Charred) নোট।

উপরোক্ত নোটের বৈশিষ্ট্য পরিশিষ্ট 'ক'-তে বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হলো।

৬। ব্যাংকের শাখায় অপ্রচলনযোগ্য (Non-issuable) ও ছেঁড়া-ফাটা/ত্রুটিপূর্ণ (Mutilated) নোটের সম্পূর্ণ বিনিময়মূল্য প্রদানযোগ্য। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, নিম্নবর্ণিত ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে:

(ক) ব্যাংক শাখার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১ম শ্রেণির কর্মকর্তা এবং বেসরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে পদমর্যাদার দিক থেকে উক্ত মর্যাদার সমান) নিশ্চিত হবেন যে উপস্থাপিত নোটে আসল নোট হিসেবে সন্দেহাতীতভাবে শনাক্ত হবার মতো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং নোটটিতে সম্পূর্ণ নোটের ৯০% এর বেশি অংশ বিদ্যমান।

চলমান পাতা/০২

(খ) উপস্থাপিত নোট দুই খণ্ডে খণ্ডিত হলে খণ্ড দুটি সন্দেহাতীতভাবে একই নোটের অংশ হতে হবে। এক্ষেত্রে, জমাগ্রহণ কালে নোটের বিচ্ছিন্ন খণ্ড দুটোর উল্টো পিঠে যথাসম্ভব সরু আকারের হালকা সাদা কাগজ এমনভাবে জোড়া লাগাতে হবে যাতে আসল নোট হিসেবে শনাক্তকরণের জন্য নোটটির পরীক্ষণে অসুবিধা না হয়। দুই খণ্ডে বিচ্ছিন্ন হয়নি কিন্তু পরীক্ষণকালে নাড়াচাড়ায় বিচ্ছিন্ন হতে পারে- এমন জীর্ণ নোটেরও উল্টো পিঠে অনুরূপভাবে যথাসম্ভব সরু আকারের হালকা সাদা কাগজ লাগাতে হবে যাতে আসল নোট হিসেবে শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষণে অসুবিধা না হয়।

৭। দাবিযোগ্য (Claimable) নোটের বিনিময়মূল্য ব্যাংক শাখায় প্রদানযোগ্য নয়। এ ধরনের নোটের বিনিময় মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রদেয় হবে। মূল্য সংগ্রহের জন্য এসব নোট বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণের ডাক বা ক্যুরিয়ার মাশুল নোট জমাদানকারী থেকে আদায়যোগ্য হবে। দাবিযোগ্য নোট গ্রহণপূর্বক তা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণে ও তার মূল্য সংগ্রহের জন্য নিম্নবর্ণিত ব্যবস্থা অনুসরণীয় হবে:

(ক) নোটের মূল্যমান, নম্বর, জমাদানকারীর নাম ও পূর্ণ ঠিকানা সম্বলিত আবেদন পত্রের (Form L-2) সাথে ব্যাংক শাখা দাবিযোগ্য নোট গ্রহণ করবে। পরীক্ষণকালে নাড়াচাড়ায় বিচ্ছিন্ন হতে পারে এরকম নোটের উল্টো পিঠে যথাসম্ভব সরু আকারের হালকা সাদা কাগজ এমনভাবে লাগাতে হবে যাতে আসল নোট হিসেবে শনাক্তকরণের জন্য নোটটির পরীক্ষণে অসুবিধা না হয়। নোটের কোনো অংশ বিদ্যমান না থাকলে সেখানে কোনো কাগজ লাগানো যাবে না।

(খ) জমাদানকারীর আবেদনপত্র (Form L-2 এর প্রথম অংশ) সহ গৃহীত নোট শাখার ফরওয়ার্ডিং পত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকটস্থ কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক (কারেন্সি)/ নির্বাহী পরিচালক বরাবর বাহকের মাধ্যমে কিংবা প্রাপ্তি স্বীকার স্লিপ সম্বলিত রেজিস্ট্রি ডাক/ক্যুরিয়ারযোগে প্রেরণ করতে হবে।

(গ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কার্যালয় কর্তৃক আবেদনপত্র প্রাপ্তির ০৮ (আট) সপ্তাহের মধ্যে নোটটির মূল্য প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে এবং মূল্য প্রদানযোগ্য হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাবে মূল্য আকলন করা হবে ও এ সংক্রান্ত এডভাইস প্রেরণ করা হবে।

(ঘ) বাংলাদেশ ব্যাংক হতে দাবিমূল্য প্রাপ্তির পর ব্যাংক শাখা কর্তৃক প্রাপ্তি স্বীকার পত্রে (Form L-2 এর দ্বিতীয় অংশ) আবেদনকারীর স্বাক্ষর গ্রহণকরতঃ দাবিমূল্য প্রদান করতে হবে।

(ঙ) আবেদনকারীকে দাবিমূল্য প্রদান করার পর প্রাপ্তি স্বীকারপত্রটি বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করতে হবে এবং তৃতীয় অংশটি শাখায় সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া, শাখায় এ সংশ্লিষ্ট একটি স্থায়ী রেজিস্টার সংরক্ষণ (সংরক্ষণকাল: ১০ বছর) করতে হবে।

৮। আগুনে পোড়া (Charred) নোটের বিনিময়মূল্য ব্যাংক শাখায় প্রদানযোগ্য নয়। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকটস্থ অফিসের হেল্প ডেস্ক/দাবি শাখায় যোগাযোগ করতে হবে এবং Form L-2 পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

৯। জালনোট উপস্থাপনকারীকে এবং একাধিক নোটের বিভিন্ন অংশ সংযোজন করে Built-up নোট উপস্থাপনকারীর বিষয়ে ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সী ম্যানেজমেন্ট এন্ড পেমেন্ট সিস্টেমস এর ০৪/০৭/২০০৭ তারিখের পরিপত্র নং-জালনোটঃ ১ (পলিসি)/২০০৭-১৯১ অনুসরণ করতে হবে।

১০। ব্যাংকের প্রত্যেক শাখায় জনসাধারণের সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে 'ছেঁড়া-ফাটা/ত্রুটিপূর্ণ ও ময়লা নোট বিনিময় ও দাবিযোগ্য নোট সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হয়' মর্মে নোটিশ স্থাপন করতে হবে। নোটিশে উল্লেখ থাকবে যে:

.

*** অল্প মরিচা/রং/তেল/কালিযুক্ত, ছেঁড়া/টেপযুক্ত, ছিদ্রযুক্ত ও ময়লা নোট, দুই খণ্ডে খণ্ডিত (নোটের সম্পূর্ণ অংশ বিদ্যমান) এবং নোটের ৯০% এর অধিক অংশ বিদ্যমান থাকলে সম্পূর্ণ বিনিময়মূল্য কাউন্টারের মাধ্যমে প্রদান করা যাবে।

*** নোটের উপস্থিত অংশের পরিমাণ নোটের সম্পূর্ণ আয়তনের ৯০% বা তার কম, স্যাঁতসেঁতে, অধিক জরাজীর্ণ, অত্যধিক তেল/রং/কালি/মরিচা ইত্যাদি দ্বারা বিকৃত, দুই এর অধিক খণ্ডে খণ্ডিত ও বিকৃত নোটের বিনিময় মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রদেয় হবে। মূল্য সংগ্রহের জন্য এসব নোট বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণের ডাক বা ক্যুরিয়ার মাশুল নোট জমাদানকারী থেকে আদায়যোগ্য হবে।

*** জালনোট বা একাধিক নোটের বিভিন্ন অংশ সংযোজন করে Built-up নোট উপস্থাপনকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১১। ব্যাংক শাখাগুলো কর্তৃক অপ্রচলনযোগ্য, ছেঁড়া-ফাটা/ত্রুটিপূর্ণ ও দাবিযোগ্য নোট গ্রহণের তথ্যাদি মাসিক ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়/প্রিন্সিপাল অফিস থেকে পরিবীক্ষণ করতে হবে।

১২। ইতঃপূর্বে জারিকৃত ১৪/০১/২০১৩ তারিখের পরিপত্র নং-ইহিশাঃ২৩ (পলিসি)/২০১৩-১৫ রহিত করা হলো।

স্বাক্ষরিত

আপনাদের বিশ্বস্ত,

(কে এম ইব্রাহিম)

পরিচালক (ডিসিএম)






No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.