ad

২০২৬ শিক্ষাবর্ষে স্কুল ভর্তি: ডিজিটাল লটারি সম্পন্ন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষের নির্দেশ

Views

 


২০২৬ শিক্ষাবর্ষে স্কুল ভর্তি: ডিজিটাল লটারি সম্পন্ন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) আজ বৃহস্পতিবার জারি করা একটি অফিস আদেশে ভর্তি-সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা প্রকাশ করেছে।

ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান শেষে নির্বাচিত শিক্ষার্থী, ১ম অপেক্ষমাণ এবং ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভর্তির সময়সূচি

  1. নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি:
    ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

  2. ১ম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি:
    আসন শূন্য থাকলে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

  3. ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি:
    আসন শূন্য থাকলে ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

মাউশি নির্দেশনায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সমস্ত ভর্তি কার্যক্রম অবশ্যই ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে শেষ করতে হবে।

ডিজিটাল যাচাই ও আবেদনের নিয়ম

আদেশে জানানো হয়, প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক https://gsa.teletalk.com.bd পোর্টালে লগ-ইন করে প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারীদের তালিকা, নির্বাচিত শিক্ষার্থী এবং অপেক্ষমাণ তালিকার তথ্য যাচাই করতে পারবেন।

বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—
যদি কোনো আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকে এবং তা যাচাইয়ে প্রমাণিত হয়, তবে তার নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে।

এছাড়া বিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইট ও নোটিশ বোর্ডে নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

যে কাগজপত্র যাচাই বাধ্যতামূলক

ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় শিক্ষার্থীদের নিম্নোক্ত নথি যাচাই করতে হবে:

  1. জন্ম সনদের মূল কপি

  2. জন্ম সনদের অনলাইন কপি (অনলাইনে যাচাইসহ)

  3. পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি

মিথ্যা তথ্য প্রমাণিত হলে সেই শিক্ষার্থীকে কোনো অবস্থাতেই ভর্তি করা যাবে না।

কোটা যাচাইয়ের কঠোর নির্দেশনা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী সব ধরনের কোটা (প্রতিবন্ধী, পোষ্য, মুক্তিযোদ্ধা ইত্যাদি) যাচাই করে ভর্তি নিতে হবে।

  1. কোটা অনুযায়ী নির্বাচিতদের দিয়ে শূন্য আসন পূরণ না হলে

  2. ১ম অপেক্ষমাণ → তারপর ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শূন্য আসন পূরণ করতে হবে

  3. তবুও আসন শূন্য থাকলে সাধারণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ভর্তি করতে হবে

কোনো অবস্থাতেই আসন শূন্য রাখা যাবে না, বলা হয়েছে আদেশে।

নিয়ম ভঙ্গ করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী

মাউশি আরও জানিয়েছে, নির্দেশনা অনুসরণ না করে কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হলে এবং তা পরবর্তীতে প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান সরাসরি দায়ী থাকবেন।

ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও উপপরিচালক (মাধ্যমিক) মোঃ ইউনুছ ফারুকী স্বাক্ষরিত এ আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে জারি করা হয়েছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

 মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর 

বাংলাদেশ, ঢাকা

www.dshe.gov.bd

তারিখ: ১১/১২/২০২৫ খ্রি.

স্মারক নং- ৩৭.০২.০০০০.১০৭.৩১.৩৩৩.২০২১ (অংশ-৪).২১৮৬

বিষয়: সারাদেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি (মহানগরী, জেলার সদর উপজেলা এবং অন্যান্য উপজেলা সদরে অবস্থিত) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত।

সূত্র: ১। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং- ৩৭.০০.০০০০.০৭১.২২.১৪৬.২৪.৩৪৫; তারিখ: ২০ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

২। মাউশি'র স্মারক নং-৩৭.০২.০০০০.১০৭.৩১.৩৩৩.২০২১ (অংশ-৪).৬৩; তারিখ: ১৪/১১/২০২৫ খ্রি.

৩। মাউশি'র স্মারক নং- ৩৭.০২.০০০০.১০৭.৩১.৩৩৩.২০২১ (অংশ-৪),৬৪: তারিখ: ১৪/১১/২০২৫ খ্রি.

উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত পত্রসমূহের আলোকে জানানো যাচ্ছে যে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি (মহানগরী, জেলার সদর উপজেলা এবং অন্যান্য উপজেলা সদরে অবস্থিত) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি/প্রথম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া ১১/১২/২০২৫ তারিখ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান পরবর্তী শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত তালিকা এবং ১ম অপেক্ষমাণ ও ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা হয়েছে। ফলাফল শিটে নির্বাচিতদের তালিকা অনুযায়ী ১৭/১২/২০২৫ থেকে ২১/১২/২০২৫ তারিখের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচিত তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ১ম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ২২/১২/২০২৫ থেকে ২৪/১২/২০২৫ তারিখের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। ১ম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ২৭/১২/২০২৫ থেকে ৩০/১২/২০২৫ তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। তবে আবশ্যিকভাবে ভর্তির সকল কার্যক্রম ৩০/১২/২০২৪ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি গ্রহণের সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে:

১) ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ https://gsa.teletalk.com.bd লিংকে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের User ID ও Password দিয়ে Login করে ডাউনলোড অপশনটি Click করার পর তাঁর প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারীদের তালিকা পেয়ে যাবেন। ডিজিটাল লটারিতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত, ১ম অপেক্ষমাণ ও ২য় অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীদের আবেদন সংক্রান্ত তথ্য এই লিংক থেকে যাচাই করতে পারবেন। লিংকে তথ্যাদি টাইপ করে Submit করলে আবেদনকারী কতবার আবেদন করেছে তা জানা যাবে। এক্ষেত্রে কোন আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। সকল শিক্ষা

প্রতিষ্ঠান তাঁদের ওয়েবসাইটে এবং নোটিশ বোর্ডে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত তালিকা এবং ১ম ও ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রদর্শন করবেন;

২) ভর্তিকালীন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে;

৩) নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের মূল কপি, জন্ম সনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে;

৪) মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কোন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না;

৫) শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারিকৃত ভর্তি নীতিমালায় যে সকল কোটা সংরক্ষণের নির্দেশনা রয়েছে ভর্তির সময় উক্ত কোটাসমূহে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। নির্বাচিত তালিকার মধ্য থেকে কোটার শূন্য আসন পূরণ না হলে পর্যায়ক্রমে ১ম ও ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা হতে ক্রমানুসারে কোটার শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। এরপরও যদি কোটার শূন্য আসন পূরণ না হয় সেক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচিতদের মধ্য থেকে তালিকার ক্রমানুসারে উক্ত শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না;

৬) সর্বোপরি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারিকৃত ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে;

৭) উপরোল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরবর্তীতে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।

যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।

স্বাক্ষরিত

(মো: ইউনুছ ফারুকী)

উপপরিচালক (মাধ্যমিক)

সদস্য সচিব

ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি। 



No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.