অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের গৃহঋণ পরিশোধে চাপ নয়: অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের গৃহঋণ পরিশোধে চাপ নয়: অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ
উপশিরোনাম:
ঋণ পুনঃতফশিলীকরণে গ্রাহকের সম্মতি ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নয়, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর প্রতি কঠোর নির্দেশনা
বিস্তারিত প্রতিবেদন:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ
প্রশাসন, পরিকল্পনা ও টিডিএম
প্রশাসন-৪ (ঋণ) অধিশাখা
তারিখ: ১১ নভেম্বর ২০২৫
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের পর ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহীত গৃহ নির্মাণ ঋণ পরিশোধে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর চাপ প্রয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে অর্থ মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনায় বলেছে, অবসরোত্তর ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই ঋণগ্রহীতাকে চাপ দেওয়া যাবে না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-৪ (ঋণ) অধিশাখা থেকে ১১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে জারি করা স্মারক নং ০৭.০০.০০০০.২৩৭.৩০.১০৪.২২-৫০১ অনুযায়ী বলা হয়েছে, “গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা ২০১৮ (সংশোধিত)”–এর ৭.৩(খ)(৬) উপানুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, অবসর গ্রহণের পর ঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলে, সুদের হার অপরিবর্তিত রেখে বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও গ্রাহকের পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে ঋণ পুনঃতফশিলীকরণ (Re-schedule) করা যাবে।
অর্থাৎ, গ্রাহকের সম্মতি ছাড়া ঋণ পুনঃতফশিলীকরণের কোনো সুযোগ নেই।
এছাড়া, নীতিমালার ১২ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নীতিমালা বাস্তবায়নে কোনো অস্পষ্টতা দেখা দিলে তা সরকার ও বাস্তবায়নকারী সংস্থার আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদানের আগে সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাট বা বাড়ি বাস্তবায়নকারী সংস্থার কাছে রেজিস্টার্ড দলিলমূলে বন্ধক (mortgage) রাখা হয়। পাশাপাশি ঋণগ্রহীতা যেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বেতন ও সরকারি ভর্তুকি গ্রহণ করেন, সেই একই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবসরোত্তর পেনশন ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাও প্রদান করা হবে। ফলে ঋণটি সম্পূর্ণ নিরাপদ অবস্থায় রয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে, সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১৮ (সংশোধিত) এবং পূর্বে জারিকৃত নির্দেশনা অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সব বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে নির্দেশনা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
নথিতে স্বাক্ষর করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মোঃ আতিয়ার রহমান।
সংক্ষেপে মূল বার্তা:
🔹 অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ঋণ পরিশোধে জোর বা চাপ নয়।
🔹 গ্রাহকের সম্মতি ছাড়া পুনঃতফশিলীকরণ (Re-schedule) করা যাবে না।
🔹 গৃহঋণ সম্পূর্ণ নিরাপদ; বন্ধক ও ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রিত।
🔹 বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্পষ্ট নির্দেশনা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ
প্রশাসন, পরিকল্পনা ও টিডিএম
প্রশাসন-৪ (ঋণ) অধিশাখা
www.mof.gov.bd
নম্বর- ০৭,০০,০০০০.২৩৭.৩০.১০৪.২২-৫০১
তারিখঃ ২৬ কার্তিক, ১৪৩২ বঃ
১১ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিঃ
বিষয়ঃসরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের অবসর গ্রহণ এবং পিআরএল সমাপ্তির পর ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহীত ঋণের কিস্তি পরিশোধ প্রসঙ্গে।
সরকারি কর্মচারী অবসরে গেলে তাদের গৃহীত ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ আংশিক/সম্পূর্ণ পরিশোধের বিষয়ে বাস্তবায়নকারী সংস্থা কর্তৃক চাপ দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, যা অনভিপ্রেত ও কাম্য নয়। উল্লেখ যে, সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা' ২০১৮ (সংশোধিত)-এর ৭.৩ এর খ (৬) উপানুচ্ছেদ অনুযায়ী "অবসর গ্রহণের পর ঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলে সুদের হার অপরিবর্তিত রেখে বাস্তবায়নকারী সংস্থা-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অপরিশোধিত ঋণ পূন:তফশিলীকরণ (Re-Schedule) করা যাবে" মর্মে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। উক্ত নীতিমালার ১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী "নীতিমালা বাস্তবায়নে কোন অস্পষ্টতা দেখা দিলে সরকার এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা যাবে" মর্মে নির্দেশনা রয়েছে। এক্ষেত্রে বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঋণ গ্রহীতার সম্মতি ব্যতিত ঋণ পুনঃতফশিলীকরণ (Re-Schedule) করার কোন সুযোগ নেই।
০২। গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদানের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাট/বাড়ি বাস্তবায়নকারী সংস্থার বরাবর রেজিস্টার্ড দলিলমূলে বন্ধক (mortgage) রাখা হয়। এছাড়া ঋণগ্রহীতা IBAS সিস্টেমে যে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বেতন-ভাতা ও ঋণের সরকারি ভর্তুকি গ্রহণ করছেন, সে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে তার অবসরোত্তর পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্ত হবেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে ঋণটি সম্পূর্ণ নিরাপদ।
০৩। এমতাবস্থায়, সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা' ২০১৮ (সংশোধিত) এবং সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে নির্দেশনা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
স্বাক্ষরিত
(মোঃ আতিয়ার রহমান)
সহকারী সচিব।



No comments
Your opinion here...