বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হবে আরও স্বচ্ছ ও ডিজিটাল — প্রকাশিত হলো নতুন ‘শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা ২০২৬’
বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হবে আরও স্বচ্ছ ও ডিজিটাল — প্রকাশিত হলো নতুন ‘শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা ২০২৬’
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ, ন্যায়সংগত ও যুগোপযোগী করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ নতুন ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি নীতিমালা-২০২৬’ প্রকাশ করেছে। ১৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে জারি করা এই নীতিমালায় ভর্তি বয়স থেকে শুরু করে ডিজিটাল লটারি, ক্যাচমেন্ট এরিয়া, সংরক্ষিত আসন, ভর্তি ফি, শিক্ষক-কর্মচারী কোটা—সকল বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
যে শ্রেণিতে ভর্তি করা যাবে
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।
ভর্তি যোগ্য বয়স
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী:
১ম শ্রেণির বয়স হতে হবে ৬+
-
সর্বনিম্ন বয়স ০৫ বছর (জন্ম তারিখ ০১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত)
-
সর্বোচ্চ বয়স ০৭ বছর (জন্ম তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত)
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ৫ বছর বয়স ছাড় পাবে।
ভর্তি প্রক্রিয়া পুরোপুরি ডিজিটাল লটারি
১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া কেবল ডিজিটাল লটারি মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
ঢাকা মহানগরীর ভর্তি কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির আয়োজন করবে।
অনলাইনে আবেদন
-
সফটওয়্যারের যথার্থতা যাচাই
-
নির্বাচিত প্রার্থী ও অপেক্ষমান তালিকা প্রস্তুত
-
নির্ধারিত তারিখে ভর্তি না হলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি
ক্যাচমেন্ট এরিয়া — ৪০% আসন সংরক্ষণ
ঢাকা মহানগরে প্রতিটি বেসরকারি স্কুলে:
ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০% আসন সংরক্ষিত
-
স্কুল সংলগ্ন ৩টি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট হিসেবে ধরা হবে
-
জরিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থী তথ্য সংগ্রহ বাধ্যতামূলক
ভর্তি ফি ও অন্যান্য ফি নির্ধারণ
ফি আদায়ে কঠোর নির্দেশনা:
মফস্বল: সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা
-
উপজেলা পৌরসভা: ১,০০০ টাকা
-
জেলা পৌরসভা: ২,০০০ টাকা
-
মেট্রোপলিটন (ঢাকা ছাড়া): ৩,০০০ টাকা
-
ঢাকা মহানগরীতে এমপিও প্রতিষ্ঠান: সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা
-
আংশিক এমপিও/নন-এমপিও: বাংলা মাধ্যমে ৮,০০০ এবং ইংরেজি মাধ্যমে ১০,০০০ টাকা অফেরতযোগ্য
-
উন্নয়ন খাতে সর্বোচ্চ ৩,০০০ টাকা
অতিরিক্ত ফি নিলে এমপিও বাতিল পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
সংরক্ষিত আসনসমূহ
নীতিমালায় কয়েকটি বিশেষ কোটা রাখা হয়েছে:
মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কোটা — ৫%
-
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন — ২%
-
লিল্লাহ বোর্ডিং শিক্ষার্থী — ১%
-
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তান — মোট ১%
-
যমজ সন্তান — ২%
-
সহোদর/সহোদরা — ৩%
-
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বদলি জনিত ভর্তি — অতিরিক্ত ৫% আসন
কোনো কোটা থেকে উপযুক্ত শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে আসন সাধারণ কোটা দিয়ে পূরণ করতে হবে। কোনো আসন শূন্য রাখা যাবে না।
শিক্ষক-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য বিশেষ সুবিধা
বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের ভর্তি-যোগ্য সন্তানদের জন্য অতিরিক্ত সংরক্ষিত আসন থাকবে।
বালক-বালিকা স্কুলের ধরন অনুযায়ী নিকটতম উপযোগী বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ডিজিটাল লটারির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক
প্রযুক্তিগত সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান আবেদন ও লটারির সব তথ্য ভর্তি কমিটিকে সরবরাহ করবে
-
লটারিতে সফটওয়্যার যাচাই অত্যাবশ্যক
-
নির্বাচিত তালিকা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করতে হবে
-
তালিকার বাইরে কাউকে ভর্তি করা যাবে না
কঠোর আইনগত ব্যবস্থা
নীতিমালা লঙ্ঘন করলে—
একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিল
-
এমপিও বাতিল
-
প্রয়োজন হলে আইনগত ব্যবস্থা
এর পাশাপাশি ভর্তি কার্যক্রম শেষে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ভর্তি প্রতিবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে জমা দিতে হবে।
অসুবিধা দূরীকরণ
নীতিমালা বাস্তবায়নের সময় কোনো অস্পষ্টতা দেখা দিলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবে।
সারসংক্ষেপ
এই নতুন নীতিমালা বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। ভর্তি প্রক্রিয়ার ডিজিটালাইজেশন, নির্দিষ্ট ফি কাঠামো, সংরক্ষিত কোটা, ক্যাচমেন্ট এরিয়া—সব মিলিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া আগের চেয়ে অনেক বেশি সুশৃঙ্খল হবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ
বেসরকারি মাধ্যমিক-১ শাখা
shed.gov.bd
তারিখ: ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ১৯ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
নম্বর: ৩৭.০০.০০০০.০০০.০৭২.৪৪.০০০২.২৫.৬২
বিষয়: বেসরকারি স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর)
শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা
ভর্তির কার্যক্রম অধিকতর স্বচ্ছ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে বেসরকারি স্কুল স্কুল এন্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা করা হলো:
২.০ যে সকল শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে: সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের এন্ট্রি শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে সাধারণভাবে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।
৩.০ শিক্ষার্থীর বয়স: জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ১ম শ্রেণীতে শিক্ষার্থীর বয়স ৬+ ধরে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাঙ্খিত শিক্ষাবর্ষের ০১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ০৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ০৭ বছর পর্যন্ত হবে (যেমন: ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোন শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ০৫ বছর হবে অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ০১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ০৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্ম তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত) পরবর্তী শ্রেণিসমূহে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সাথে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ০৫ (পাঁচ) বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেয়া যাবে।
৪.০ শিক্ষাবর্ষ: শিক্ষাবর্ষ হবে ০১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতি শ্রেণি শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে ৫৫ জন।
৫.০ ভর্তি প্রক্রিয়ার ধাপসমূহের তারিখ ও সময় নির্ধারণ:
৫.১ কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে;
৫.২ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
৬.০ শূন্য আসন নিরুপণ: প্রতিষ্ঠান প্রধান বিভিন্ন শ্রেণির শূন্য আসনের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারণ করবেন। কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধান কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত সফটওয়্যারে তাঁর প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিভিত্তিক শূন্য আসনের সংখ্যাসহ অন্যান্য তথ্য আপলোড করবেন।
৭.০ ভর্তির জন্য আবেদন এবং শিক্ষার্থী নির্বাচনের পদ্ধতি:
৭.১ ঢাকা মহানগরীর ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী নির্ধারিত সফটওয়্যারে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে;
৭.২ ঢাকা মহানগরীর ভর্তি কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটাল লটারির যাবতীয় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পাদন করবে। বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ভর্তির আবেদন ও আবেদনের ফি গ্রহণ এবং ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের পূর্বে অন্য একটি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সফটওয়ারের যথার্থতা যাচাইকরণ নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা প্রস্তুত করার পাশাপাশি শূন্য আসনের সমান সংখ্যক অপেক্ষমান তালিকাও প্রস্তুত করতে হবে। ভর্তি কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে তালিকার ক্রমানুসারে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রকাশিত ফলাফলের তালিকার ক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। শিক্ষাবর্ষের কোনো সময়ে আসন শূন্য হলে প্রকাশিত অপেক্ষমান তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ভর্তি করে আসন পূরণ করতে হবে। শিক্ষাবর্ষের কোনো সময়ই এন্ট্রি/প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না;
৭.৩ ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উক্ত তালিকা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি কমিটি কাগজপত্র যাচাইপূর্বক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে,
৭.৪ সারাদেশের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী নির্বাচনের জন্য ডিজিটাল লটারির বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর ভর্তি কমিটি কর্তৃক কেন্দ্রীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবে। ঢাকা মহানগরীর ভর্তি কমিটি জাতীয় পত্রিকায়/ওয়েবসাইট ইত্যাদিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি/সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারবে;
৭.৫ যৌক্তিক কোনো কারণে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের সঙ্গে সংযুক্ত হতে না পারলে; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি গ্রহণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে লটারির দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি/মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি/সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটির প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
৮.০ ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান ও ফলাফল তৈরি:
৮.১ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান আবেদন ও ডিজিটাল লটারির ফলাফল প্রকাশের যাবতীয় তথ্য ঢাকা মহানগরীর ভর্তি কমিটির নিকট প্রদান করবে;
৮.২ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে ডিজিটাল লটারির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে;
৮.৩ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম/এন্ট্রি শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অনলাইনে প্রাপ্ত আবেদন থেকে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত প্রথম ডিজিটাল লটারির সমসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথম অপেক্ষমান তালিকা নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে লটারির মাধ্যমে দ্বিতীয় অপেক্ষমান তালিকা প্রস্তুত করতে হবে;
৮.৪ ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিকট প্রেরণ করবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে প্রাপ্ত নির্বাচিতদের তালিকা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে এবং নির্বাচিতদের তালিকা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দিবে। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকার বাইরে কাউকে ভর্তি করা যাবে না।
৯.০ ঢাকা মহানগরীর স্কুলসমূহে ভর্তি:
৯.১ আবেদনে বিদ্যালয় পছন্দক্রম: বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ০৫টি
বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে ০২টি পছন্দক্রম (০২টি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে গণ্য হবে। বিদ্যমান অন-লাইন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে যে কোন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে নিশ্চিত (নিশ্চয়ন) করতে হবে। বিষয়টি সফট্ওয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণের জন্য একটি উপ-কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ভর্তির আবেদন ফি সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের ন্যায় ধার্য করা হবে।
৯.২ ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি স্কুলসমতূহে ভর্তির ক্ষেত্রে স্কুল সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০% আসন সংরক্ষণ করতে হবে;
৯.৩ ঢাকা মহানগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সহায়তায় প্রত্যেক স্কুলের ক্যাচমেন্ট এরিয়া (স্কুল সেবা অঞ্চল) নির্ধারণ করবেন। বিদ্যালয় সংলগ্ন ০৩ (তিন) টি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারিত হবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্ধারণ নিয়ে একাধিক স্কুলের মধ্যে মতদ্বৈততা বা জটিলতা দেখা দিলে থানা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিষয়টি সমাধান করবেন। ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্ধারণ সঠিকভাবে করতে হবে এবং কোনো এলাকা বাদ না পড়ে সেই দিকে সতর্ক থাকতে হবে। থানা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হলে জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট আবেদন করা যাবে। জেলা শিক্ষা অফিসারের সিদ্ধান্ত চড়ান্ত বিবেচিত হবে;
৯.৪ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পূর্বে ক্যাচমেন্ট এলাকা জরিপ করে সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবে এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির উদ্দেশ্যে প্রাথমিক সমাপনী বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীর তথ্যের জন্য জরিপ ছাড়াও ক্যাচমেন্ট এরিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে 'প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট' পরীক্ষায় পাশ করা শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবে। স্কুলের ভর্তির বিজ্ঞপ্তির তারিখে শিক্ষার্থী যে এলাকায় বসবাস করবে সেই এলাকায়ই তার ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে বিবেচিত হবে।
১০.০ আবেদন, ভর্তি ও অন্যান্য ফি:
১০.১ শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচিত হওয়ার কারণে ভর্তির অনলাইন আবেদন ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে গ্রহণ করতে হবে;
১০.২ দরিদ্র, মেধাবী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ উল্লিখিত ফি মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে;
১০.৩ সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এম.পি.ও. ভুক্ত, আংশিক এম.পি.ও ভুক্ত এবং এম.পি.ও বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে 'বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ও ডিগ্রী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক স্তর) এর টিউশন ফি নীতিমালা-২০২৪' গত ২৭/১০/২০২৪ তারিখে ৩৭.০০.০০০০.০৭২.২২.০০০৩.২৩.২২৪ নং স্মারকে জারিকৃত পরিপত্র অনুসরণ করতে হবে;
১০.৪ সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে মফস্বল এলাকায় ৫০০/- (পাঁচশত)-পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১,০০০/- (এক হাজার)-পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২,০০০/- (দুই হাজার)-ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকার বেশি হবে না;
১০.৫ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এম.পি.ও. ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকার অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে পারবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত আংশিক এম.পি.ও. ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং এম.পি.ও. বহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৮,০০০/- (আট হাজার) টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা গ্রহণ করতে পারবে। উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এক ক্লাস থেকে পরবর্তী ক্লাসে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে পুন:ভর্তির ফি নেওয়া যাবে না;
১০.৬ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক/কর্মচারীগণের অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিলের জন্য ভর্তিকালীন সময়ে শিক্ষার্থী প্রতি ১০০/-টাকা গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট হিসাব খাতে জমা দিতে হবে। ৭০/- টাকা অবসর এবং ৩০/- কল্যাণ তহবিলের সংশ্লিষ্ট হিসাব খাতে জমা প্রদান করতে হবে।
১১.০ ভর্তির ফি বাবদ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অর্থের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না, করলে সরকার এম.পি.ও. বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
১২.০ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানকে শ্রেণিভিত্তিক আবেদনকারীর সংখ্যা ভর্তি কমিটির নিকট জমা প্রদান করতে হবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির বাইরের প্রতিষ্ঠানসমূহের অনলাইন আবেদন ফরম জমাদানের সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয় কর্তৃক শ্রেণিভিত্তিক বিক্রয় ও জমাকৃত আবেদন ফরমের সংখ্যা নির্ধারিত ছকে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটির নিকট প্রেরণ করতে হবে। মহানগরী ও জেলা সদরের সদর উপজেলা পর্যায়ের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য আবশ্যিকভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে ডিজিটাল লটারির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির বাইরের প্রতিষ্ঠানসমূহ মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটির সদস্যের উপস্থিতিতে লটারি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। ডিজিটাল লটারির কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
১৩.০ আসন সংরক্ষণ:
১৩.১ মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্য ৫% আসন সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধা সনদ যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে উক্ত আসনে ভর্তি করতে হবে। কোন অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।
১৩.২ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা শর্তে ভর্তির ক্ষেত্রে ২% আসন সংরক্ষিত থাকবে। তবে ভর্তির সময় এতদসংক্রান্ত প্রমাণস্বরূপ যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন দাখিল করতে হবে। উক্ত আসনে কোন শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে শূন্য আসন পূরণ করতে হবে।
১৩.৩ শিক্ষার মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সারাদেশে লিল্লাহ বোর্ডিং এ অবস্থানরত সকল শিশুকে নিকটস্থ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যথাযথ প্রত্যয়ন সাপেক্ষে ভর্তি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ১% আসন সংরক্ষণ থাকবে;
১৩.৪ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তান ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ০.৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে ও তফসিল-ক এ বর্ণিত অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মকর্তা/ কর্মচারীর সন্তান ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ০.৫ শতাংশ সর্বসাকুল্যে ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর জন্য সংরক্ষিত ০.৫ শতাংশ আসনের বিপরীতে যোগা সন্তান না পাওয়া গেলে তা তফসিল-ক এ অন্তর্ভুক্ত অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীর সন্তান কোটা থেকে পূর্ণ করা যাবে এবং একইভাবে, তফসিল-ক এ বর্ণিত অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মকর্তা/ কর্মচারীর সন্তানের জন্য সংরক্ষিত ০.৫ শতাংশ আসনে যোগ্য সন্তান না পাওয়া গেলে তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর কর্মকর্তা/ কর্মচারীর যোগ্য সন্তান কোটা থেকে পূরণ করতে হবে। পারস্পরিভাবে আসন পুরণ করা সম্ভবনা হলে তা সাধারণ কোটা থেকে পূরণ করতে হবে। কোনক্রমে আসন শূণ্য রাখা যাবে না। তফসিল-ক এ বর্ণিত অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/ কর্মচারীর সন্তান ভর্তির আবেদনের সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। লটারির সময় উক্ত আসনের জন্য পৃথক ড্যাস বোর্ডের আবেদনসমূহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-১ শাখার কর্মকর্তা (সরকারি স্কুল ও বেসরকারি স্কুল) কর্তৃক যাচাইপূর্বক লটারি করতে হবে।
১৩.৫ ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি স্কুলসমূহে ভর্তির ক্ষেত্রে স্কুল সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০% আসন সংরক্ষণ করতে হবে। অবশিষ্ট আসনসমূহ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ম শ্রেণি থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ৪০% আসন সংরক্ষণ প্রযোজ্য হবে না। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় অবস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা যে কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।
১৪.০ কোন প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর। যমজ ভাই/বোন যদি পূর্ব থেকে অধ্যয়নরত থাকে অথবা যে সকল যমজ ভাই/বোন নতুন আবেদন করবে তাদের জন্য ২ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তবে এ সুবিধা কোন দম্পতির মোট ০৩ (তিন) সন্তান পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে। কোন প্রতিষ্ঠানে যমজ ভাই/বোন এর আবেদন পাওয়া না গেলে উক্ত ২ শতাংশ আসন সহোদর/সহোদরার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
১৫.০ কোন প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা যদি পূর্ব থেকে অধ্যয়নরত থাকে অথবা যে সকল সহোদর/সহোদরা নতুন আবেদন করবে তাদের জন্য ৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তবে এ সুবিধা কোন দম্পতির মোট ০৩ (তিন) সন্তান পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে। প্রতিষ্ঠানে সহোদর/সহোদরার আবেদন পাওয়া না গেলে উক্ত ৩ শতাংশ আসন যমজ ভাই/বোনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে সহোদর/সহোদর'র জন্য নির্ধারিত কোন আসন শূন্য থাকলে যমজ সন্তানদের ভর্তির মাধ্যমে আসন পুরণ করতে হবে। অনুরুপভাবে যমজ ভাই/বোন-এর জন্য নির্ধারিত কোন আসন শূনা থাকলে সহোদর/সহোদরা দ্বারা পূরণ করা যাবে। কোন অবস্থায় আসন শূণ্য রাখা যাবেনা। যমজ ভাই-বোন কিংবা সহোদর ভাই-বোন এর নির্ধারিত কোটার আসনে শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে সাধারন কোটা থেকে উক্ত আসনে ভর্তি করতে হবে।
১৬.০ শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থী ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করবেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ড নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্যাদি হালনাগাদ করবে।
১৭.০ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/কর্মচারীগণের ভর্তির উপযুক্ত সন্তান সংখ্যার সমসংখ্যক আসন স্ব স্ব বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত সংরক্ষিত থাকবে। তবে শিক্ষক/কর্মচারীগণের বেসরকারি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে নিকটতম বেসরকারি বালিকা/সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। শিক্ষক/কর্মচারীগণের মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালক হলে নিকটতম বেসরকারি বালক/সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। একইভাবে শিক্ষক/কর্মচারীগণের যদি সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকে তাহলে তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তানের ভর্তির জন্য কর্মরত বিদ্যালয়েই অতিরিক্ত আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। তবে কর্মরত বিদ্যালয়ে ভর্তির উপযুক্ত কাঙ্খিত শ্রেণি না থাকলে নিকটতম বালক/বালিকা/সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অতিরিক্ত আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে ভর্তি কমিটিকে অবহিত করবেন।
১৮.০ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারীদের এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সন্তানদের (যদি থাকে) তাদের ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ভর্তির সুযোগ থাকবে। তবে পোষ্য বা আত্মীয়-স্বজন বা ম্যানেজিং কমিটির জন্য কোনো আসন সংরক্ষণ থাকবে না।
১৯.০ শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ড নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্যাদি হালনাগাদ করবে।
২০.০ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর আন্তঃজেলা/আন্তঃউপজেলা বদলির কারণে বদলিকৃত কর্মস্থলের উপপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অঞ্চল অথবা যে জেলায় উপপরিচালক নাই; সেখানে জেলা শিক্ষা অফিসারের প্রত্যয়নক্রমে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের ভর্তির সুযোগ থাকবে। তবে ক্যাচমেন্ট এরিয়া বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিদ্যালয় নির্বাচন করে শিক্ষার্থীর ভর্তির প্রত্যয়ন পত্র দিবেন। আন্তঃজেলা/আন্তঃউপজেলা বদলিজনিত কারণে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীর সন্তানদের ভর্তির জন্য প্রতি শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ সারা বছর সংরক্ষিত রাখা যেতে পারে।
২১.০ ভর্তির নীতিমালা ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো অবস্থায় শূন্য আসনের বাহিরে ভর্তি করা যাবে না।
২২.০ ভর্তি কার্য সম্পাদন শেষে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রদত্ত শূন্য আসনের বিপরীতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর একত্র করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে দাখিল করবে।
২৩.০ ভর্তি কমিটি: বেসরকারি স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কি না তা নিম্নোক্ত কমিটিসমূহ তদারকি করবে:
২৪.০ এ নির্দেশনার কোনোররূপ ব্যত্যয় ঘটানো হলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কষেত্রে পাঠদানের অনুমতি বা একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিলসহ প্রতিষ্ঠানের এম.পি.ও. ভুক্তি বাতিল করা হবে।
২৫.০ অসুবিধা দূরীকরণ:
এ নীতিমালা প্রয়োগকালীন কোনো অস্পষ্টতা/অসুবিধা পরিলক্ষিত হলে তা দূরীকরণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক নিষ্পত্তি করতে হবে।
স্বাক্ষরিত
রেহানা পারভীন
সচিব









No comments
Your opinion here...