Views
সরকারি চাকরিতে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়সমূহ
✍️ ভূমিকা
সরকারি চাকরি শুধু একটি পেশা নয়—এটি একটি দায়িত্ব, একটি অঙ্গীকার, একটি আস্থা। একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর আচরণ, নীতি, সততা, এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের ওপরই নির্ভর করে সরকারের ভাবমূর্তি। তাই চাকরিজীবনে সঠিক আচরণ ও নীতিমালা অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি। নিচে সরকারি চাকরিতে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
🔷 করণীয় বিষয়সমূহ
(ক) ব্যক্তিগত আচরণ
✅ চাকরিতে যোগদানের পর নিজের দায়িত্ব, কর্তব্য ও অধিকার সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করা।
✅ প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সাথে কাজ করা।
✅ পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে কোনো প্রকার অনৈতিক সুবিধা না নেওয়া।
✅ অফিসে কথা, পোশাক ও আচরণে সংযম ও শালীনতা বজায় রাখা।
✅ সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করা।
✅ নীতি ও সততার প্রশ্নে নির্ভয়ে কাজ করা।
✅ সত্যবাদী, স্পষ্টবাদী ও সহনশীল হওয়া।
✅ নিজের ভুল স্বীকারে সাহসী হওয়া এবং উন্নতির জন্য সচেষ্ট থাকা।
✅ চাটুকারিতা ও তোষণ থেকে বিরত থাকা।
✅ সর্বদা প্রাণবন্ত, হাসিখুশি ও কৃতজ্ঞ থাকা।
(খ) উর্ধ্বতন ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার প্রতি আচরণ
✅ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার আইনানুগ আদেশ মেনে চলা।
✅ ভুল ধরিয়ে দিলে বিনয়ের সাথে সংশোধন করা।
✅ অফিসে প্রবেশের সময় সালাম দেওয়া ও সৌজন্য প্রকাশ করা।
✅ প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক কথাবার্তা সীমিত রাখা।
✅ জরুরি কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত অবহিত করা।
✅ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বেআইনি নির্দেশ দিলে বিনয়ের সাথে অপারগতা জানানো।
✅ ভাল কাজের মাধ্যমে আস্থা অর্জন করা।
(গ) অধঃস্তন ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আচরণ
✅ অধঃস্তনদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
✅ তাদের মতামত ও কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করা।
✅ ত্রুটি হলে প্রকাশ্যে নয়, ব্যক্তিগতভাবে বুঝিয়ে বলা।
✅ প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
✅ সহকর্মীদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা দেখানো।
✅ ছুটি বা প্রয়োজনীয় বিষয়ে সহানুভূতিশীল হওয়া।
(ঘ) আনুষ্ঠানিক সভা বা ভোজসভায় আচরণ
✅ পোশাকের বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা মানা।
✅ সভাপতির অনুমতিক্রমে কথা বলা ও প্রশ্ন করা।
✅ সভায় সময়মতো উপস্থিত থাকা।
✅ শালীনতা বজায় রেখে আহার গ্রহণ করা।
✅ মতামত প্রদানে ভারসাম্য ও সৌজন্য বজায় রাখা।
(ঙ) সাধারণ জনগণের প্রতি আচরণ
✅ জনগণের প্রতি সম্মান ও সহানুভূতি প্রদর্শন করা।
✅ সেবাগ্রহীতার সমস্যাকে গুরুত্ব সহকারে শোনা ও সমাধানের চেষ্টা করা।
✅ নিজেকে জনগণের সেবক হিসেবে বিবেচনা করা।
✅ দর্শনার্থীদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করা।
(চ) সামাজিক দায়িত্ব
✅ দাপ্তরিক ক্ষমতার সুষ্ঠু ব্যবহার করা।
✅ ধর্মীয় বিষয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখা।
✅ সামাজিক যোগাযোগে ভদ্র ও নম্র থাকা।
✅ সততা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে সমাজে উদাহরণ সৃষ্টি করা।
✅ স্থানীয় সংস্কৃতি ও প্রথার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।
✅ গরিব ও অসহায়দের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করা।
🔴 বর্জনীয় বিষয়সমূহ
❎ দায়িত্বে অবহেলা করা বা নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করা।
❎ অফিসের কাজে পরিবার বা বন্ধুদের প্রভাব খাটানো।
❎ মিথ্যা কথা বলা বা ধর্মীয় গোড়ামি করা।
❎ সহকর্মীদের কাছ থেকে ধার নিয়ে ফেরত না দেওয়া।
❎ অফিসে নেতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করা।
❎ সময়মতো অফিসে উপস্থিত না হওয়া।
❎ অফিসে ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য অন্যকে তোষামোদ করা।
❎ দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা বা অন্যায়কে সহ্য করা।
❎ দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকা।
❎ অশালীন আচরণ বা শারীরিক অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করা।
❎ মহিলা সহকর্মীদের প্রতি অনুপযুক্ত মনোভাব প্রকাশ করা।
❎ কর্মস্থলে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা অবহেলা করা।
🕊️ উপসংহার
একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর আচরণ শুধু তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিকেই নয়, বরং পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থার ভাবমূর্তিকেও প্রভাবিত করে। তাই করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো মেনে চলা মানেই—একটি সুশাসিত, দক্ষ ও সেবা-নির্ভর প্রশাসনিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা।
সরকারি চাকরিতে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়সমূহ।
করণীয় বিষয়সমূহ:
(ক) ব্যক্তিগত আচরণ
✅চাকুরীতে প্রবেশের পরপরই নিজ দায়িত্ব, কর্তব্য, অধিকার ও সুযোগ সুবিধ
✅সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করা।
✅প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে কাজ করা।
✅একাগ্রচিত্তে কাজ করা ও মনোযোগী হওয়া।
✅পরিবার-পরিজন ও নিকট আত্মীয়দেরকে বিধি বহির্ভূতভাবে কোন সুযোগ সুবিধা না দেয়া।
✅অফিসে কথা-বার্তা, হাঁটা-চলা, বসার মধ্যে পরিশীলতা ও সংযমবোধ বজায় রাখা।
✅যে কোন ধরনের পোস্টিংয়ে হতাশ না হয়ে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা।
✅সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে কাজ করে কর্মক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রমাণ করা।
✅নিজের গুণাবলীর উৎকর্ষ সাধন এবং বিকাশের জন্য সচেষ্ট থাকা।
✅নীতি ও সততার প্রশ্নে নির্ভয়ে কাজ করা
✅ব্যক্তিগত চাল-চলন এবং পোশাক-পরিচ্ছদে সজাগ দৃষ্টি রাখা।
✅কথায় ও কাজে মিল থাকা।
✅ন্যায়পরায়ণ হওয়া।
✅সকল সময়ে প্রাণবন্ত ও হাসিখুশী থাকা।
✅কারও উপকার পেলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
✅সকল সময়ে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করা।
✅নিজের ভুল হতে পারে এরুপ মনোভাব পোষণ করা।
✅নির্মল চরিত্রের অধিকারী হওয়া।
✅ভ্রমণকালে রুচিশীল পোশাক পরিধান করা।
✅নিজের সুবিধা আদায়ের জন্য চাটুকারিতা না করা।
✅সত্যবাদী এবং' স্পষ্টবাদী হওয়া।
✅যে কোন পরিস্থিতিতে সহনশীল হওয়া।
✅ব্যক্তিগত ক্ষোভকে বশীভূত করা।
করণীয় বিষয়সমূহ:
(খ)) উর্ধ্বতন ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার প্রতি আচরণ
✅একজন জুনিয়র কর্মকর্তাকে তাঁর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ন্যায়সংগত ও আইনানুগ আদেশ মেনে চলা।
✅উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভুল ধরিয়ে দিলে জুনিয়র কর্মকর্তার উচিৎ ভুল শুধরিয়ে নেয়া।
✅উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চেম্বারে ঢুকলে বা অফিসের অন্যত্র দেখা হলে প্রথমেই ছালাম দেয়া এবং ✅সৌজন্যমূলক আচরণ করা।
✅উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ও প্রাসংগিক কথা বলা।
✅জরুরী কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিয়মিতভাবে অবহিত করা।
✅হাঁটার সময় যথাযথ দূরত্ব বজায় রেখে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পাশাপাশি হাঁটা
✅সিনিয়রদের সাথে অযথা তর্ক না করে বিনয় ও শ্রদ্ধার সাথে নিজের মতামত তুলে ধরা।
✅নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার প্রতি অনুগত থাকা।
✅উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরামর্শ গ্রহণের মানসিকতার উপর নির্ভর করে তাকে প্রয়োজনে পরামর্শন দিয়ে সহযোগিতা করা।
✅উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে অধঃস্তন কর্মকর্তার সাক্ষাতের ক্ষেত্রে এমন কোন প্রতিবন্ধকতা না রাখা যার ফলে দাপ্তরিক কাজের গতি ব্যাহত হয়।
✅অফিস চলাকালীন সময়ে জরুরী প্রয়োজনে বস এর অনুমতি নিয়ে অফিস ত্যাগ করা।
✅ভাল কাজের দ্বারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আস্থা অর্জন করা।
✅উর্ধ্বতন অফিসার অফিস কক্ষে এলে দাঁড়িয়ে সম্মান জানানো।
✅নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা ডেকে পাঠালে যথা সম্ভব দ্রুত হাজির হওয়া।
✅উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বেআইনী আদেশ দিলে বা কাজ করতে বললে নিজের বুদ্ধি –বিবেচনা বিনয় ও দৃঢ়তা নিয়ে সে কাজ থেকে বিরত থাকা এবং বিনয়ের সাথে অপারগতা জানানো।
করণীয় বিষয়সমূহ:
গ) অধঃস্তন ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আচরণ
✅অধঃস্তন কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিধি অনুযায়ী প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া।
✅অধঃস্তনদের মতামতের এবং কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করা।
✅অধঃস্তন কর্মকর্তা দাপ্তরিক কাজে ত্রুটি করলে প্রশাসনিক পর্যায়ে তাকে আলাদাভাবে ডেকে সংশোধনের জন্য বুঝিয়ে বলা।
✅দক্ষ লোককে কাজে লাগানো এবং কর্মবিমুখ ব্যক্তিকে কর্মোৎসাহী করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও প্রেষণার ব্যবস্থা করা।
✅অধঃস্তন কর্মকর্তাদের সাথে সৌহার্দমূলক ও সহমর্মিতামূলক আচরণ করা।
সহকর্মীকে তার সমস্যার ধরণ এবং সমস্যাগ্রস্ত সহকর্মীর পরামর্শ গ্রহণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে সাহায্য করা।
✅অধঃস্তনের কাজের সাফল্যে প্রশংসা করা।
✅কাজের ব্যাপারে অধঃস্তনদের যথাসম্ভব সহযোগিতা ও উপদেশ প্রদান করা।
✅অধঃস্তনদের দক্ষ করে তোলার জন্য সহযোগিতা করা।
✅অধীনস্তদের মাঝে কর্মবন্টন তদারকী করা।
✅অধঃস্তনদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের উপযোগী তৈরী করে নেয়া।
✅প্রণোদনার মাধ্যমে অধঃস্তনদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য জাগিয়ে তোলা।
✅কাজের সুবিধার্থে মাঝ মাঝে অধঃস্তনদের অফিস কক্ষে যাওয়া।
✅প্রধান অফিসে কর্মরত থাকলে মাঠ পর্যায় থেকে আসা সহকর্মীর কাজ সর্বাগ্রে করে দেয়া।
✅সহকর্মীদের ছুটি মঞ্জুরের ক্ষেত্রে সহানুভুতি প্রদর্শন করা।
করণীয় বিষয়সমূহ:
ঘ) আনুষ্ঠানিক সভা বা ভোজসভায় আচরণ
✅পোশাকের ব্যাপারে সরকারী নির্দেশাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করা।
✅কোন আলোচনা বা মিটিং-এ সভাপতির অনুমতিক্রমে কথা বলা।
✅কোন আনুষ্ঠানিক সভায় বক্তার বক্তব্য ধৈর্য্য সহকারে শ্রবণ করা এবং তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর ✅অনুমতিক্রমে তাকে প্রশ্ন করা।
✅শিষ্টাচার ও শালীনতা বজায় রেখে আহার গ্রহণ করা।
✅যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকা।
✅কোন কারণে সভায় না গেলে অপারগতার কারণ আগেই জানিয়ে দেয়া।
✅সুচিন্তিত ও স্বচ্ছ মতামত প্রদান করা।
✅কোন অনুষ্ঠানে বা সভায় একতরফা কথা না বলে অন্যকেও কথা বলার সুযোগ দেয়া।
✅সভায় সাবলীল ও প্রাঞ্জলভাবে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করা।
✅নিঃশব্দে খাওয়া।
করণীয় বিষয়সমূহ:
ঙ) সাধারণ জনগণের প্রতি আচরণ
✅একজন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী সবার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবেন।
✅জনসাধারণনের প্রতি মনোযোগ ও গুরুত্ব প্রদর্শন করা।
✅সকলের সাথে ব্যবহারে বিনয়ী হওয়া।
✅অপেক্ষারত সাক্ষাৎপ্রার্থী সামনে বসে থাকলে ফোনে কথা সংক্ষিপ্ত করে তার সাথে কথা বলা।
✅দর্শণার্থীদের সমস্যা মনোযোগ সহকারে শুনে সমাধানের জন্য সম্ভাব্য প্রচেষ্ঠা করা।
✅নিজেকে জনগণের সেবক মনে করা।
করণীয় বিষয়সমূহ:
চ) সামাজিক দায়িত্ব।
✅দাপ্তরিক ক্ষমতার সতর্ক ও সুষ্ঠু প্রয়োগ।
✅ধর্মীয় বিষয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা।
✅ছুটিতে গ্রামের বাড়ীতে গেলে প্রতিবেশীদের খোঁজ খবর নেওয়া।
✅সকলের সাথে সম্ভাব বজায় এবং সতর্কতার সাথে বন্ধু নির্বাচন করা।
✅সামর্থ্য অনুযায়ী সামাজিক দায়িত্ব পালন করা।
✅সামাজিক সমাবেশে নিজের উদ্যোগে পরস্পর পরিচিত হওয়া।
✅ব্যক্তিগত পর্যায়ের সকল ঘরোয়া অনুষ্ঠান সহজভাবে সম্পন্ন করা ও বাহুল্য খরচ না করা।
✅সততা ও কর্মদক্ষতা দ্বারা সকলের কাছে আদর্শবান হওয়া।
✅বিজ্ঞজনদের সাথে পরামর্শ করা।
✅ভ্রমণে স্থানীয় রীতিনীতি ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
✅নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের/সার্ভিসের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য সচেতন থাকা।
✅গরীবদের প্রতি সহমর্মিতা পোষণ করা।
বর্জনীয় বিষয়সমূহঃ
❎নিজের খেয়াল-খুশীমত কাজ করা
❎নিজ দায়িত্ব/কর্তব্য সম্পর্কে অস্পষ্ট ধারনা রাখা
❎অফিসের কাজে পরিবার-পরিজন দ্বারা প্রভাবিত হওয়া
❎নিজের যে গুণ আছে তার উৎকর্ষ সাধনে অবহেলা করা
❎মিথ্যা কথা বলা ও ধর্ম নিয়ে গোড়ামি বা কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাব পোষণ
❎অফিস সহকর্মীদের কাছ থেকে টাকা ধার নেয়া ও ফেরৎ না দেয়া
❎কর্মক্ষেত্রে নিজের ব্যবহার দ্বারা পরিবেশ নষ্ট করা
❎কাজের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব দেখানো
❎জরুরী কাজ অসম্পাদিত অবস্থায় ফেলে রাখা
❎নানা অজুহাতে প্রতিদিন অফিসে দেরীতে আসা
❎পরিদর্শনের বিষয় অবহেলা করা
❎অফিসে একলা চল নীতি গ্রহণ করা
❎অফিসে অফিসের টাকায় নিয়মিত খানাপিনা করা
❎দুর্নীতিবাজদের সাথে সম্পর্ক রাখা ও কারও ভয়ে অন্যায়কে অন্যায় না বলা
❎দলীয় রাজনীতি সমর্থন করা
❎যেখানে সেখানে থু-থু ও ছেঁড়া কাগজপত্র ফেলা
❎উর্ধ্বতন অফিসারের সাথে কথা বলার সময় পকেটে হাত রাখা, দাঁত দিয়ে নখ কাটা, পা দোলানো ইত্যাদি
❎নতুন কর্মস্থলে যোগদান করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা না করা
❎আত্মকেন্দ্রিক হওয়া ও সামাজিক সমাবেশে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখা
❎মহিলা সহকর্মীদের প্রতি বেশী খাতির দেখানো
❎মহিলাদের প্রতি চারিত্রিক দুর্বলতা প্রদর্শন
❎কথায় ও কাজে বা ইশরায় অফিসের মহিলা সহকর্মীদের অবহেলা করা।
❎নিজের অজান্তে অফিসে সকলের সামনে দাঁত খেলাল করা, নাকের ময়লা বের করা ও কান পরিষ্কার করা।
No comments
Your opinion here...