ad

জোরপূর্বক পদত্যাগকৃত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালুর নির্দেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

Views



জোরপূর্বক পদত্যাগকৃত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালুর নির্দেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

👉জোরপূর্বক পদত্যাগকৃত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালুরঃ নির্দেশ  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জোরপূর্বক পদত্যাগকৃত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পুনরায় চালু করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে এসব শিক্ষকদের নাম ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (EFT) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ০৭ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে জারি করা স্মারক ৩৭.০০.০০০০.০০০.০৭২.৪৪.০০০২.২৫.৩২ নম্বরের এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

পত্রে বলা হয়েছে, “জোরপূর্বক পদত্যাগকারী শিক্ষকগণের তদন্ত চলমান অবস্থায় যাদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে, তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।” তাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত ও আইনানুগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বেতন-ভাতা চালু রাখা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়।

একই সঙ্গে নির্দেশে বলা হয়েছে, “জোরপূর্বক পদত্যাগকৃত শিক্ষকদের EFT-তে নাম অন্তর্ভুক্তকরণ ও বেতন-ভাতা চালুর বিষয়ে কোনো রকম অসহযোগিতা বা বাধা প্রদান করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এই নির্দেশনাটি ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরেকটি স্মারকের (নং: ৩৭.০০.০০০০.০৭২.১৮.০০৩.২৪.০৪) আলোকে জারি করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছিল—

“জোরপূর্বক পদত্যাগের ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে যৌক্তিক অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিষয়ে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে হবে। তদন্ত প্রতিবেদন আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বেতন-ভাতা চালু থাকবে।”

এই প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (DSHE) এর সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম মোসলেম ডাদ্দন স্বাক্ষরিত একটি আদেশের মাধ্যমে অধিদপ্তরের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

🔹 মূল সিদ্ধান্তসমূহ সংক্ষেপেঃ

  1. জোরপূর্বক পদত্যাগকৃত শিক্ষকরা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেতন-ভাতা পাবেন।

  2. তাদের EFT তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

  3. নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  4. জেলা, উপজেলা ও শিক্ষা বোর্ড পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দিতে হবে।

🔹 পটভূমিঃ

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক পদত্যাগ, হেনস্তা ও বেতন বন্ধ সংক্রান্ত অভিযোগ বৃদ্ধি পায়। বিষয়টি নিয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষকের বেতন বন্ধ রাখা যাবে না।

🔹 উপসংহারঃ

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনা জোরপূর্বক পদত্যাগে ক্ষতিগ্রস্ত বহু শিক্ষকের জন্য স্বস্তির বার্তা বয়ে এনেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তারা আবারও নিয়মিত বেতন-ভাতা পেতে শুরু করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

 শিক্ষা মন্ত্রণালয় 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ

বেসরকারি মাধ্যমিক-১ শাখা

shed.gov.bd

স্মারক নম্বর: ৩৭.০০.০০০০.০০০.০৭২.৪৪.০০০২.২৫.৩২

তারিখ: ২২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ০৭ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিষয়: জোরপূর্বক পদত্যাগকৃত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের EFT তে নাম অন্তর্ভুক্তকরণসহ বেতন ভাতা প্রদান।

উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের গত ১৪০১/২০২৫ তারিখের/৩৭.০০.০০০০.০৭২.১৮.০০৩.২৪.০৪ সংখ্যক পত্রের আদেশ অনুযায়ী জোরপূর্বক পদত্যাগকারী শিক্ষকগণের তদন্ত চলমান অবস্থায় যাদের বেতন ভাতাদি চালু করা হয়নি সে সকল শিক্ষকগণের বেতন ভাতাদি চালু করার জন্য এ বিভাগে আবেদন করেছেন। বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন মর্মে আবেদনে উল্লেখ করেছেন। ফলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তপূর্বক আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের বেতনভাতা চালু করা প্রয়োজন।-

২। এমতাবস্থায়, জোরপূর্বক পদত্যাগকৃত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষপ্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের/ EFT তে নাম 'অন্তর্ভুক্তকরণসহ বেতন ভাতা চালুকরণ এবং বেতন ভাতা চালুকরণে অসহযোগিতা বা বাধা প্রদান করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

সংযুক্তি: বর্ণনা মোতাবেক।

সকল সংযুক্তিসমূহ:

(১) 4

স্বাক্ষরিত

সাইয়েদ এ.জেড. মোরশেদ আলী 

উপসচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব)

(একই তারিখ ও স্মারকের স্থলাভিষিক্ত)

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ

বেসরকারি মাধ্যমিক-১ শাখা

বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা

www.shed.gov.bd

স্মারক নম্বর: ৩৭.০০.০০০০.০৭২.১৮.০০৩.২৪.০৪

তারিখ: ৩০ পৌষ ১৪৩১ ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

বিষয়: বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজ, কলেজ) অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ, হেনস্তা ও বেতন ভাতা প্রসংগে।

সূত্র: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার স্মারক নং: ৩৭.০০,০০,০০০০.০৬১.০১৮.১৬.২০১৬-১৯৯,

তারিখ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪।

উপর্যুক্ত বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজ, কলেজ) অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ, হেনস্তা বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে সূত্রোক্ত স্মারকের মাধ্যমে একটি পত্র/আদেশ জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি সকল জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মহোদয়ের সভাপতিত্বে গত ১৭/১২/২০২৪ তারিখে উল্লিখিত বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়ে জুম লিংক এর মাধ্যমে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় অন্যান্য সিদ্ধান্তের সাথে উল্লিখিত বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়:

"জোরপূর্বক পদত্যাগ এর পেছনে যাদের বিরুদ্ধে যৌক্তিক অভিযোগ রয়েছে তাদের বিষয়ে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় যথাযথ নির্দেশনা জারী করবে। তদন্ত প্রতিবেদন আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বেতন-ভাতা চালু থাকবে।"

২। এমতাবস্থায়, উল্লিখিত সিদ্ধান্তের আলোকে জরুরীভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

স্বাক্ষরিত

(সাইয়েদ এ.জেড. মোরশেদ আলী) 

উপসচিব

মহাপরিচালক

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর

শিক্ষা ভবন, ঢাকা।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

 মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর

 বাংলাদেশ, ঢাকা

www.dshe.gov.bd

স্মারক নং- ৩৭.০২.০০০০.১০৭.৩১.৫৫২.২০২৫-১৮৮৯

শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, বেসরকারি মাধ্যমিক-১ শাখা কর্তৃক প্রেরিত উল্লিখিত পত্রের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

স্বাক্ষরিত

(এস এম মোসলেম ডাদ্দন) 

সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২)





No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.