স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম যুক্ত করার আহ্বান জানালেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম যুক্ত করার আহ্বান জানালেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম যুক্ত করার আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
“ডিম খেলে ক্যান্সার কমে — এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে”
বিস্তারিত প্রতিবেদন:
ঢাকা, ২৫ আশ্বিন (১০ অক্টোবর):
স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, “আমাদের স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে বর্তমানে দুধ দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ডিমও যুক্ত করতে হবে। কারণ দেশের অনেক দরিদ্র শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। স্কুল পর্যায়ের খাবার তালিকায় ডিম যুক্ত হলে তা অপুষ্টি দূরীকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-তে বিশ্ব ডিম দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল ও ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াপসা-বিবি) বাংলাদেশ শাখা।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “ডিম এমন একটি খাবার, যা দেশের প্রায় সব শ্রেণির মানুষের খাদ্য তালিকায় রয়েছে। এর উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোগ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে মানুষের সম্পৃক্ততা আছে। গরুর মাংস সবাই ক্রয় করতে না পারলেও ডিম এমন একটি সাশ্রয়ী খাদ্য যা সকলের নাগালের মধ্যে।”
তিনি আরও বলেন, “শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে ছয় বছর বয়সের মধ্যেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি। তাই স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম যুক্ত করা সময়ের দাবি।”
ফরিদা আখতার জানান, দেশের ৮০ শতাংশ ডিম প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে আসে। বিশেষ করে গ্রামীণ নারীরা নিজের পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে পুষ্টি সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
তিনি কৃষিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে মুরগি পালন হুমকির মুখে পড়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং হাওড় অঞ্চলের হাঁসের ডিমের প্রচার বাড়ানোর আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমাদের কমপ্লিট ফুড বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। সবজি, মাছ, মাংসের পাশাপাশি ডিমের গুরুত্বও তুলে ধরতে হবে। এখন ক্যান্সারের হার অনেক বেড়েছে — প্রায় ঘরে ঘরে নারীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। ডিম খেলে ক্যান্সার কমে — এই বৈজ্ঞানিক তথ্যটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।”
ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে তিনি বলেন, “মৌসুমভেদে ডিমের দাম ওঠানামা করে। কিন্তু অনেক সময় মধ্যস্বত্বভোগীদের অনিয়মের কারণে দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। তাই নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে হবে এবং ডিমের দাম বাড়ানোর পেছনে যারা অসাধুতা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক এবং ওয়াপসা বিবির সাবেক সভাপতি মসিউর রহমান। আলোচনায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন ও অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান সিকদার।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের ডিম উৎপাদন আরও বৃদ্ধি ও টেকসই করার পাশাপাশি পুষ্টি সচেতনতা বাড়াতে সরকার ও বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সংবাদ প্রস্তুত:
স্বাক্ষরিত /-
মোঃ মামুন হাসান
সিনিয়র তথ্য অফিসার (তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা)
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়,
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
উপদেষ্টার দপ্তর
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা
www.mofl.gov.bd
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম যুক্ত করতে হবে-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ঢাকা, ২৫ আশ্বিন (১০ অক্টোবর):
স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আমাদের স্কুল ফিডিংয়ে দুধ দেওয়া হচ্ছে সেখানে ডিমও যুক্ত করতে হবে। কেননা অনেক দারিদ্র ছেলে-মেয়ে পুষ্টির যোগান পায় না। সেক্ষেত্রে স্কুলের খাবার তালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্ত করা হলে শিক্ষার্থীদের অপুষ্টি দূরীকরণে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
উপদেষ্টা আজ সকালে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) তে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল ও ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সাযেন্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখার আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ডিম এমন এক খাবার যা দেশের প্রায় সব শ্রেণির মানুষ কোনো না কোনোভাবে এ সাথে জড়িত। এর উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোগ পর্যন্ত প্রত্যেক স্তরে মানুষের অংশগ্রহণ রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, গরুর মাংস সবাই ক্রয় করতে না পারলেও ডিম এমন একটি সাশ্রয়ী খাদ্য যা সকলের নাগালে।
উপদেষ্টা বলেন, শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে ছয় বছর বয়সের মধ্যেই প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দেওয়া জরুরি। তাই স্কুল ফিডি প্রোগ্রামে ডিম যুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ ডিম প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে আসে। গ্রামীণ দরিদ্র নারীরাও দু-একটি করে মুরগি পালন করে নিজেদের পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে পুষ্টি সরবরাহে অবদান রাখছেন
কৃষিতে কীটনাশক ব্যবহারে মুরগি পালন হুমকির মুখে পড়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন উপদেষ্টা। তাছাড়া হাওড়ের হাঁসের ডিমের কথা প্রচার করা হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি সংশ্লিষ্টদের হাওড়ের হাঁসের ডিমের বিষয়ে প্রচার বাড়ানোর আহ্বান জানান। পুষ্টি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের কমপ্লিট ফুড সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে। সেখানে সবজি, মাছ ও মাংসের কথাও বলতে হবে। ক্যান্সার অনেক বেড়ে গেছে। প্রায় ঘরে ঘরে নারীরা ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। ডিম খেলে ক্যান্সার কমে- এই বার্তাটি ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, মৌসুমভেদে ডিমের দর ওঠা-নামা করে। অনেক সময় অনিয়ম ও অপ্রয়োজনে মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত বদলের কারণে দাম বৃদ্ধি পায়। এ প্রেক্ষাপটে ডিমের বাজারকে গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিতভাবে রিপোর্ট এবং বাজার পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে হবে। তিনি বলেন, ডিমের মূল্য বাড়ানোর সাথে জড়িত অনিয়ম ও অসাধু কাজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক এবং ওয়াপসা বিবির সাবেক সভাপতি মসিউর রহমান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন ও অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান সিকদার।
স্বাক্ষরিত /-
মো: মামুন হাসান
সিনিয়র তথ্য অফিসার
(তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা)
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়,
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
No comments
Your opinion here...