ad

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ প্রধান শিক্ষকের বেতন কার্যকর নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের স্পষ্টীকরণ

Views

 


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ প্রধান শিক্ষকের বেতন কার্যকর নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের স্পষ্টীকরণ


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১০ম গ্রেড কোন তারিখ থেকে কার্যকর হবে—এই বিষয়ে অবশেষে স্পষ্ট মতামত দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং ৩২১৪/২০১৮ এর রায় অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের বেতন ০৯ মার্চ ২০১৪ তারিখ থেকে ১০ম গ্রেডে কার্যকর করা যেতে পারে।

রায়ের পটভূমি

২০১৮ সালে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। তাদের দাবি ছিল—

  1. ৩য় শ্রেণি থেকে ২য় শ্রেণিতে উন্নীতকরণের পর,

  2. প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ১১তম গ্রেড ও প্রশিক্ষণবিহীনদের ১২তম গ্রেড থেকে,

  3. ১০ম গ্রেড নির্ধারণ এবং

  4. গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষণা।

২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়। পরে সরকার পক্ষ আপিল করলেও ২০২২ সালে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে। তবে ২০২৫ সালের ১৩ মার্চ সিভিল রিভিউ পিটিশনের রায়ে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা বাতিল করা হয়। কিন্তু ১০ম গ্রেড প্রদানের কার্যকর তারিখের বিষয়ে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।

আদালতের পর্যবেক্ষণ

হাইকোর্ট তার রায়ে উল্লেখ করে—
Equal pay for equal work” নীতির আলোকে, আবেদনকারীরা ০৯.০৩.২০১৪ তারিখ থেকে গ্রেড-১০ পাওয়ার অধিকারী। অন্যথায় তা হবে সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি

এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে অর্থ মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের ১৯ জুন ৪৫ জন শিক্ষকের বেতন ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সম্মতি দেয়। তবে কার্যকর হওয়ার সুনির্দিষ্ট তারিখ না থাকায় বিষয়টি আবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত

আইন ও বিচার বিভাগ স্পষ্ট মতামতে জানিয়েছে—

  1. আদালতের রায়ের গর্ভে ০৯/০৩/২০১৪ তারিখ উল্লেখিত রয়েছে।

  2. আপিল বিভাগ কেবল সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা বাতিল করেছে।

  3. সুতরাং ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ০৯ মার্চ ২০১৪ তারিখ থেকে ১০ম গ্রেডে কার্যকর করা উচিত

পরবর্তী পদক্ষেপ

আইন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব দিয়েছে, অনুমোদন সাপেক্ষে এই মতামতের সত্যায়িত অনুলিপি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখায় পাঠানো যাবে। বিষয়টি উপদেষ্টা পর্যায়ে নিষ্পত্তিযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

👉 অর্থাৎ দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড উন্নীতকরণ ও কার্যকরের তারিখ নিয়ে জটিলতা কাটতে চলেছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

 আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণাল

য় আইন ও বিচার বিভাগ

 বিচার শাখা-৫

www.lawjusticediv.gov.bd

নম্বর: ১০.০০.০০০০.০০০.১৩৫.৩৩.০০৫১.২৫-২১৯

তারিখ: ১৮/০৯/২০২৫ খ্রি.

বিষয়: মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নম্বর-৩২১৪/২০১৮ এর রায় বাস্তবায়নের নিমিত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১০ম গ্রেড কোন তারিখ হতে কার্যকর হবে তা স্পষ্টীকরণ বিষয়ে আইনগত মতামত প্রদান প্রসঙ্গে।

সূত্র:প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিদ্যালয়-২ শাখা এর সস্মারক নং ৩৮.০০,০০০০,০০৮,০২,০১৩,২১-৩৭৫, তারিখ-১৪.০৮.২০২৫ খ্রি.

উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশিত হয়ে আইন ও বিচার বিভাগের মতামত অনুবিভাগ কর্তৃক গত ১৫/০৯/২০২৫ খ্রিঃ তারিখের ১০.০০.০০০০.০০০.১৩৫.৩৩.০০৫১.২৫ নং নথিতে প্রদত্ত মতামতের উদ্ধৃতাংশ এতদসংগে সংযুক্তক্রমে অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত প্রেরণ করা হল।

সংযুক্তি: ০২ (দুই) ফর্দ।

স্বাক্ষরিত

(কামরুল হাসান) 

সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন)

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

 আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়

 আইন ও বিচার বিভাগ 

উপসচিব (মতামত-৪) এর দপ্তর

নথি নং ১০.০০.০০০০.০০০.১৩৫.৩৩.০০৫১.২৫

বিষয়ঃ মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নম্বর ৩২১৪/২০১৮ এর রায় বাস্তবায়নের নিমিত্তে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১০ম গ্রেড কোন তারিখ হতে কার্যকর হবে তা স্পষ্টিকরণ বিষয়ে আইনগত মতামত প্রদান প্রসঙ্গে।

সূত্রঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিদ্যালয়-২ শাখা এর স্মারক নং ৩৮.০০.০০০০.০০৮.০২.০১৩.২১-৩৭৫, তারিখঃ ১৪
আগস্ট ২০২৫খ্রিঃ

১২। বিবেচ্য পত্র ও সংযুক্ত কাগজাদি সদয় অবলোকন করা যেতে পারে।

১৩। বিষয় সংক্ষেপঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক রিট পিটিশন নং ৩২১৪/২০১৮ এর মাধ্যমে ৩য় শ্রেণি থেকে ২য় শ্রেণিতে উন্নীত করে ১১তম ও ১২তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে ০৯/০৩/২০১৪ খ্রিঃ তারিখ থেকে নির্ধারণে উন্নীতকরণ এবং গেজেটেড কর্মকর্তা ঘোষণা করে সরকারি গেজেট প্রকাশের দাবিতে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নম্বর ৩২১৪/২০১৮ দায়ের করেন। মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ বিগত ২৫/০২/২০১৯ খ্রিঃ তারিখের প্রচারিত রায়ে উক্ত শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড প্রদান ও গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন, যা আপিল বিভাগ বিগত ০৬/০১/২০২২ খ্রিঃ তারিখে বহাল রাখে। তবে সিভিল রিভিউ পিটিশনে মাননীয় আপিল আদালত বিগত ১৩/০৩/২০২৫ খ্রিঃ তারিখের প্রচারিত রায়ে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা বাতিল করেন। পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয় বিগত ১৯/০৬/২০২৫ খ্রিঃ তারিখে ৪৫ জন আবেদনকারীর বেতন বিদ্যমান গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে সম্মতি দেয়। যেহেতু আদালত কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করেননি, তাই বেতন কার্যকর হওয়ার তারিখ নির্ধারণ বিষয়ে প্রত্যাশী মন্ত্রণালয় থেকে এ বিভাগের মতামত যাচনা করা হয়েছে।

১৪। মতামতঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে প্রেরিত বিবেচ্যপত্র ও সংযুক্ত কাগজাদি ও বিভিন্ন মামলার আদেশসমূহ পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ৩য় শ্রেনি থেকে ২য় শ্রেণিতে উন্নীত করে ১১তম (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২ তম (প্রশিক্ষণবিহীন) নির্ধারণের তারিখ থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত ও গেজেটেড কর্মকর্তা ঘোষণা করে সরকারি গেজেট প্রকাশের দাবিতে মাননীয় সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং ৩২১৪/১০১৮ দায়ের করেন। মাননীয় আদালত কর্তৃক বিগত ২৫/০২/২০১৯ খ্রিঃ তারিখে নিম্নরূপ আদেশ প্রদান করা হয়-

"Accordingly the Rule is disposed of.
The respondents are directed to grant the Grade-X Scale to the petitioners and to notify their names in the official gazette as Class-11 (Gazetted Officer) Head Teacher of the Government Primary School and also to grant the benefit of selection grade and time scale on completion of 4, 8 and 12 years service respectively, expeditiously."

(বাংলা অর্থ)
("অনুযায়ী, বিধিটি নিষ্পত্তি করা হলো।

বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে, আবেদনকারীদের দশম শ্রেণীর স্কেল প্রদান করতে হবে এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর (গেজেটেড অফিসার) প্রধান শিক্ষক হিসেবে তাদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশ করতে হবে এবং যথাক্রমে ৪, ৮ এবং ১২ বছরের চাকরি সমাপ্তির পর সিলেকশন গ্রেড এবং টাইম স্কেলের সুবিধা দ্রুত প্রদান করতে হবে।")

মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের বিগত ২৫/০২/২০১৯ খ্রিঃ তারিখের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং ৩৫৬৪/২০১৯ দায়ের করে। আপীল বিভাগ বিগত ০৬/০১/২০২২ খ্রিঃ তারিখে হাইকোর্ট বিভাগের বিগত ২৫/০২/২০১৯ খ্রিঃ তারিখের রায় বহাল রেখে নিম্নরূপ আদেশ প্রদান করেন-

"Considering the facts and circumstances of the case, we find no legal infirmity in the impugned judgment and order factually and legally that calls for interference by this Court.
Accordingly, we find no merit in this petition and the same is dismissed."

বাংলা অর্থ)
("মামলার তথ্য ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে, আমরা বিতর্কিত রায় ও আদেশে বাস্তবিক ও আইনগতভাবে এমন কোনও আইনি দুর্বলতা খুঁজে পাই না যা এই আদালতের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানায়।
তদনুসারে, আমরা এই আবেদনে কোনও যুক্তি খুঁজে পাই না এবং এটি খারিজ করা হচ্ছে।")

সরকার পক্ষ উক্তরূপ আদেশের বিরুদ্ধে সিভিল রিভিউ পিটিশন নং ১২৪/২০২২ দায়ের করেন। মাননীয় আপিল বিভাগ বিগত ১৩/০৩/২০২৫ খ্রিঃ তারিখে নিম্নরূপ আদেশ প্রদান করেন-

"The judgment and order dated 25.02.2019 passed by the High Court Division in Writ petition no. 3214/2018 is modified to the extent that the writ petitioners-respondents shall not be entitled to selection grade and time scale benefits upon completion of 4. 8 and 12 years of service. However, this shall not bar them from receiving future benefits is selection grade and time scale are reintroduced.
With the above modification the Civil Review Petition No. 122 of 2024 is disposed of."

(বাংলা অর্থ)

"রিট পিটিশন নং ৩২১৪/২০১৮-তে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত ২৫.০২.২০১৯ তারিখের রায় এবং আদেশটি এমনভাবে সংশোধন করা হয়েছে যে রিট আবেদনকারী-প্রতিবাদীরা ৪.৮ এবং ১২ বছর চাকরি সম্পন্ন করার পরে সিলেকশন গ্রেড এবং টাইম স্কেল সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হবেন না। তবে, এটি তাদের ভবিষ্যতে সিলেকশন গ্রেড এবং টাইম স্কেল পুনঃপ্রবর্তনের সুবিধা পেতে বাধা দেবে না।
উপরোক্ত সংশোধনের মাধ্যমে ২০২৪ সালের সিভিল রিভিউ পিটিশন নং ১২২ নিষ্পত্তি করা হলো।"

পরবর্তীতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিগত ০৮/০৫/২০২৫ খ্রিঃ তারিখের ২৪৬ নম্বর স্মারকে প্রেরিত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিগত ১৯/০৬/২০২৫ খ্রিঃ তারিখের ০৭.০০.০০০০.০০০.১৬১.০৪.০০০৭.২৫-৯০ সংখ্যক স্মারক পত্রের মাধ্যমে রিট পিটিশন নং ৩২১৪/২০১৮ এ আবেদনকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন বিদ্যমান গ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-১০ এ উন্নীত করার সম্মতি জ্ঞাপন করা হয়। কিন্তু রিট পিটিশন ৩২১৪/২০১৮ এর আবেদনকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেড কোন তারিখ থেকে কার্যকর হবে এ বিষয়টি নির্ধারণ করাই প্রেরিত বিবেচ্যপত্রের মূল বিষয়।

প্রত্যাশী মন্ত্রণালয় হতে প্রেরিত বিবেচ্যপত্র ও সংযুক্ত রিট পিটিশন ৩২১৪/১০১৮ এর কাগজাদি পর্যালোচনায় দেখা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি বিগত ০৯/০৩/২০১৪ খ্রিঃ তারিখের গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩য় শ্রেণি থেকে ২য় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয় এবং আবেদনকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক উক্ত তারিখ থেকে ১০ম গ্রেড কার্যকরের দাবী করেছেন। মাননীয় সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং ৩২১৪/১০১৮ এর বিগত ২৫/০২/২০১৯ খ্রিঃ তারিখে প্রচারিত রায়ের নির্দেশক অংশে (operative portion) ১০ম গ্রেড কার্যকরের কোন সুনির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট রায়ের গর্ভে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ উল্লেখ করেছেন-

"We note that for the continuous appointment of a long period as permanent employees entitles the petitioners to equal pay with the other similarly situated permanent employees and the doctrine of "Equal pay for equal work" would apply on the premise of similar work and it does not mean there should be complete identity in all respect inasmuch as similar posts in two departments under one employer is entitled to same pay therefore under the same doctrine the petitioners are entitled to get the benefit of Grade-X with effect from 09.03.2014 otherwise it would be gross violation of the fundamental rights of the petitioners under Article 29 of the Constitution.

We further note that the Apex Court has already observed in several cases that right accrued under the previous law/rules/order cannot be changed or altered by any subsequent actions. Since all the petitioners have acquired right to get grade-

X scale long before the pay order of 2015 came into force, they now cannot be denied the said grade-X.
Against the facts and the circumstances narrated hereinabove, we are inclined to dispose of the Rule."

(বাংলা অর্থ)
আমরা লক্ষ্য করছি যে দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী কর্মচারী হিসেবে ক্রমাগত নিয়োগের ফলে আবেদনকারীরা অন্যান্য একই অবস্থানে থাকা স্থায়ী কর্মচারীদের সাথে সমান বেতনের অধিকারী হন এবং "সমান কাজের জন্য সমান বেতন" মতবাদ একই কাজের ভিত্তিতে প্রযোজ্য হবে এবং এর অর্থ এই নয় যে সকল ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ পরিচয় থাকা উচিত কারণ এক নিয়োগকর্তার অধীনে দুটি বিভাগে একই পদ একই বেতনের অধিকারী। তাই একই মতবাদের অধীনে আবেদনকারীরা ০৯.০৩.২০১৪ থেকে গ্রেড-১০ এর সুবিধা পাওয়ার অধিকারী, অন্যথায় এটি সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদের অধীনে আবেদনকারীদের মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন হবে।

আমরা আরও লক্ষ্য করছি যে সর্বোচ্চ আদালত ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় পর্যবেক্ষণ করেছেন যে পূর্ববর্তী আইন/নিয়ম/আদেশের অধীনে অর্জিত অধিকার পরবর্তী কোনও পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিবর্তন বা পরিবর্তন করা যাবে না। যেহেতু সমস্ত আবেদনকারী ২০১৫ সালের বেতন আদেশ কার্যকর হওয়ার অনেক আগে থেকেই গ্রেড-

X স্কেল পাওয়ার অধিকার অর্জন করেছেন, তাই এখন তাদের উক্ত গ্রেড-১০ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।

উপরে বর্ণিত তথ্য এবং পরিস্থিতির বিপরীতে, আমরা এই নিয়মটি বাতিল করতে আগ্রহী।"

অর্থাৎ মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ উল্লেখিত রায়ের গর্ভে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেড কার্যকরের তারিখ ০৯/০৩/২০১৪ খ্রিঃ সুনির্দিষ্ট করেছেন। আপিল বিভাগ সিভিল রিভিউ পিটিশন নং ১২৪/২০২২ এর বিগত ১৩/০৩/২০২৫ খ্রিঃ তারিখের প্রচারিত রায়ে শুধুমাত্র সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা বাতিল করা হয়, কিন্তু ১০ম গ্রেড প্রদানের তারিখ বিষয়ে কোন পরিবর্তন বা সংশোধন করা হয়নি।
এমতাবস্থায় রিট পিটিশন নং ৩২১৪/২০১৮ এর রায়ের পর্যবেক্ষন ও আদেশসমূহের মর্মানুযায়ী আবেদনকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১০ম গ্রেড বিগত ০৯/০৩/২০১৪ খ্রিঃ তারিখ হতে কার্যকর করা যেতে পারে মর্মে এ বিভাগ মনে করে।
১৫। নোটানুচ্ছেদ-১৪ এর মতামত সদয় অনুমোদিত হলে মূল নথিটি রেখে মতামতের একটি সত্যায়িত ছায়ালিপি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিদ্যালয়-২ শাখা এ প্রেরণের জন্য এ বিভাগের বিচার শাখা-৫ এ প্রেরণ করা যেতে পারে।
১৬। বিষয়টি মাননীয় উপদেষ্টা পর্যায়ে নিষ্পত্তিযোগ্য।










No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.