ad

ভোটার তালিকা আইন ২০০৯-এ বড় পরিবর্তন: রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি, নতুন হালনাগাদ সময় ও নিয়ম চালু

Views


ভোটার তালিকা আইন ২০০৯-এ বড় পরিবর্তন: রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি, নতুন হালনাগাদ সময় ও নিয়ম চালু


বিস্তারিত সংবাদ প্রতিবেদন:

ঢাকা, ২৪ জুলাই ২০২৫:
ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। আজ ২৪ জুলাই ২০২৫ (০৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ) তারিখে এই অধ্যাদেশ বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়।

এই অধ্যাদেশটি “ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” নামে পরিচিত হবে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।

নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে ভোটার তালিকা আইনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা সংশোধন করা হয়েছে — ধারা ৩ এবং ধারা ১১


🔹 কী পরিবর্তন আনা হয়েছে?

১. ধারা ৩ এর সংশোধন:

আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য “জানুয়ারি মাসের পহেলা তারিখ” নির্ধারিত থাকলেও এখন তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন শব্দ —
👉 “বা কমিশন কর্তৃক ঘোষিত অন্য কোনো তারিখ”।
এর মানে, নির্বাচন কমিশন চাইলে প্রয়োজন অনুসারে ভিন্ন কোনো তারিখও নির্ধারণ করতে পারবে।

২. ধারা ১১ এর নতুন উপ-ধারা (১):

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমায়, অথবা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।

এই হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত থাকবে:

  1. ✅ যাঁরা পূর্ববর্তী ২ জানুয়ারি বা ঘোষিত অন্য তারিখ পর্যন্ত ১৮ বছর পূর্ণ করেছেন এবং এখনো তালিকাভুক্ত নন, তাঁদের অন্তর্ভুক্তি।

  2. ❌ মৃত্যুবরণকারী বা অযোগ্য ভোটারদের নাম কর্তন।

  3. 🔁 বসবাস পরিবর্তনের কারণে ভোটার এলাকা পরিবর্তন হওয়া নাগরিকদের নাম স্থানান্তর।

তবে, এই হালনাগাদ যদি কোনো কারণে নির্ধারিত নিয়মে না হয়, তাহলেও ভোটার তালিকার বৈধতা বা ধারাবাহিকতা ব্যাহত হবে না।


🔸 কেন এই অধ্যাদেশ?

এই সংশোধন আনা হয়েছে এমন সময়, যখন সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির মতে, "আশু ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান"। সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশ জারি করেন।


বিশ্লেষণ:
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনকে অধিকতর নমনীয়তা ও সময় ব্যবস্থাপনার সুযোগ দিতেই এই সংশোধন আনা হয়েছে। এতে করে হালনাগাদ কার্যক্রম আরও কার্যকর ও বাস্তবভিত্তিক হবে।


📌 গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  1. অধ্যাদেশ নং: ৩৯, ২০২৫

  2. আইন সংশোধিত: ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯

  3. জারিকৃত: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন

  4. তারিখ: ২৪ জুলাই ২০২৫


শেষ কথা:
নতুন এই অধ্যাদেশ ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়ায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা ও সময় ব্যবস্থাপনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 বাংলাদেশ গেজেট 

অতিরিক্ত সংখ্যা

কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত

বৃহস্পতিবার, জুলাই ২৪, ২০২৫

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মুদ্রণ ও প্রকাশনা শাখা

বিজ্ঞপ্তি

তারিখ: ০৯ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। ২৪ জুলাই, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।

নং ৩৯ (মুঃ ও প্রঃ)। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ০৯ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ/২৪ জুলাই, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে প্রণীত নিম্নে উল্লিখিত অধ্যাদেশটি এতদ্দ্বারা জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করা হইল।

অধ্যাদেশ নং ৩৯, ২০২৫

ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত

অধ্যাদেশ

যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে, ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; এবং

যেহেতু সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া অবস্থায় রহিয়াছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট ইহা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইয়াছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে;

সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করিলেন, যথা:-

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন। (১) এই অধ্যাদেশ ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ,

২০২৫ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

২। ২০০৯ সনের ৬ নং আইনের ধারা ৩ এর সংশোধন। ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ৩ এর দফা (জ) তে উল্লিখিত "জানুয়ারী মাসের পহেলা তারিখ” শব্দগুলির পর "বা কমিশন কর্তৃক ঘোষিত অন্য কোন তারিখ” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে।

৩। ২০০৯ সনের ৬ নং আইনের ধারা ১১ এর সংশোধন। উক্ত আইনের ধারা ১১ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

"(১) কম্পিউটার ডাটাবেজে সংরক্ষিত বিদ্যমান সকল ভোটার তালিকা, প্রতি বৎসর ২ জানুয়ারি হইতে ২ মার্চ পর্যন্ত বা তফসিল ঘোষণার পূর্বে ধারা ৩ এর দফা (জ) এর অধীন ঘোষিত সময়কালের মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিম্নরূপে হালনাগাদ করা

হইবে, যথা:-

(ক) পূর্বের বৎসরের ২ জানুয়ারী বা ধারা ৩ এর দফা (জ) এর অধীন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত অন্য কোনো তারিখ হইতে যিনি ১৮ বৎসর বয়স পূর্ণ হইবার কারণে ভোটার হইবার যোগ্য হইয়াছেন অথবা যোগ্য ছিলেন, কিন্তু ধারা ১০ এর অধীন তালিকাভুক্ত হন নাই, তাহাকে ভোটার তালিকাভুক্ত করা;

(খ) উক্ত সময়কালে যিনি মৃত্যুবরণ করিয়াছেন কিংবা তালিকাভুক্ত হইবার অযোগ্য ছিলেন কিংবা হইয়াছেন, তাহার নাম কর্তন করা; এবং

(গ) যিনি বিদ্যমান নির্বাচনী এলাকা বা, ক্ষেত্রমত, ভোটার এলাকা হইতে অন্য নির্বাচনী এলাকায় বা, ক্ষেত্রমত, ভোটার এলাকায় আবাসস্থল পরিবর্তন করিয়াছেন, তাহার নাম পূর্বের এলাকার ভোটার তালিকা হইতে কর্তন করিয়া স্থানান্তরিত এলাকার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা:

তবে শর্ত থাকে যে, যদি ভোটার তালিকা উপরি-উল্লিখিতভাবে হালনাগাদ না করা হয়, তাহা হইলে উহার বৈধতা বা ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হইবে না।"।

মোঃ সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। 






No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.