ad

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি: শুধুমাত্র রিট আবেদনকারী ৪৫ শিক্ষককে উন্নীত গ্রেড

Views

 


অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি: শুধুমাত্র রিট আবেদনকারী ৪৫ শিক্ষককে উন্নীত গ্রেড


📢 ৪৫ প্রধান শিক্ষকের জন্য সুখবর: গ্রেড-১১ থেকে উন্নীত হয়ে এখন গ্রেড-১০ বেতন স্কেলে

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিনের আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত ন্যায়বিচার। রিট পিটিশন নং-৩২১৪/২০১৮ এর ভিত্তিতে মহামান্য হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট এবং আপিল বিভাগে একাধিক রায় এবং আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় গ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-১০-এ তাদের বেতন স্কেল উন্নীতকরণে সম্মতি দিয়েছে।

প্রেক্ষাপট:
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো ০৭ জুলাই ২০২৫ তারিখের এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় যে, পূর্বে ৮ মে ২০২৫ তারিখে প্রেরিত একটি স্মারকের মাধ্যমে আপিল বিভাগের রায়ের (Civil Petition for Leave to Appeal No. 3564 of 2019 ও Civil Review Petition No. 124/2022) আলোকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের জন্য ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের সম্মতি চাওয়া হয়।

এর প্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে:

"প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণে রিট আবেদনকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন বিদ্যমান গ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-১০-এ উন্নীতকরণে সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো। তবে এটি শুধুমাত্র রিট পিটিশন নং-৩২১৪/২০১৮ এর আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য।"

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক, যারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের ন্যায্য গ্রেড পরিবর্তনের দাবিতে আইনি লড়াই করে যাচ্ছিলেন।

প্রতিক্রিয়া:
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকরা বলেন, “আমরা দীর্ঘ ছয় বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। আদালতের রায় এবং সরকারের সদিচ্ছার কারণে অবশেষে আমরা ন্যায্য অধিকার ফিরে পেয়েছি।”


🔎 প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ:
এই রায় শুধুমাত্র মামলাকারীদের জন্য প্রযোজ্য হলেও এটি একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে, যার প্রভাব ভবিষ্যতে অন্যান্য একই ধরনের দাবিদারদের ক্ষেত্রেও পরিলক্ষিত হতে পারে।


📌 উল্লেখ্য:
রিট পিটিশন নং-৩২১৪/২০১৮ অনুসারে এই রায় কার্যকর হচ্ছে। এটি দেশের শিক্ষাখাতে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


📰 সূত্র:
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারক নম্বর: ৩৮.০০.০০০০.০০০.০০৮.০৪.০০০৩.১৭.৩১৬
তারিখ: ০৭ জুলাই ২০২৫


শেষ কথা:
শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। তবে অনুরূপ দাবিদার অন্যান্য শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও নীতিগত সমাধানের আশ্বাস প্রত্যাশা করছে শিক্ষক সমাজ।


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

বিদ্যালয়-২ শাখা
www.mopme.gov.bd

স্মারক নম্বর: ৩৮.০০.০০০০.০০০.০০৮.০৪.০০০৩.১৭.৩১৬

তারিখ: ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

০৭ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিষয়: রিট পিটিশন নং-৩২১৪/২০১৮ এর রায় বাস্তবায়ন। সূত্র: অর্থ মন্ত্রণালয়ের পত্র নং-০৭.০০.০০০০.০০০.১৬১.০৪.০০০৭.২৫-৯০, তারিখ-১৯.০৬.২০২৫।

উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে গত ৮.০৫.২০২৫ তারিখে ৩৮, ০০, ০০০০, ০০৮. ০২. ০১৩.২১-২৪৬, সংখ্যক স্মারকে মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ এর ২৪.০৪.২০২৫ ইং তারিখের (Civil petition for Leave to Appeal no 3564 of 2019.) সিভিল রিভিউ পিটিশন নং-১২৪/২০২২ এর রায়ের আলোকে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের ১০ গ্রেড বাস্তবায়নের সম্মতি প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়। সে প্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ হতে নিম্নরূপ জবাব প্রেরণ করা হয়েছে:

"রিট পিটিশন নং-৩২১৪/২০১৮ এর বিপরীতে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ থেকে প্রদত্ত ২৫.০২.২০১৯ তারিখের রায়, সিপিএলএ ৩৫৬৪/২০১৯ এর ০৬.০১.২০২২ তারিখের আদেশ এবং সিআরপি ১২৪/২০২২ এর ১৩.০৩.২০২৫ তারিখের রায় অনুযায়ী প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ পূর্বক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রিট আবেদনকারী ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) জন প্রধান শিক্ষকের বেতন বিদ্যমান গ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-১০ এ উন্নীতকরণে সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো। উল্লেখ্য, এটি কেবল ৩২১৪/২০১৮ নং রিট পিটিশনারদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।"

০২। এমতাবস্থায়, অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এর পত্রটি এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হলো এবং পত্রের মর্মানুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। সংযুক্তি: বর্ণনামতে।

স্বাক্ষরিত

রেবেকা সুলতানা

যুগ্মসচিব

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।



No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.