ad

পরীক্ষার কপি অন্য কাউকে দিলে দণ্ড: শিক্ষা বোর্ডের কঠোর নির্দেশনা

Views

 


পরীক্ষার কপি অন্য কাউকে দিলে দণ্ড: শিক্ষা বোর্ডের কঠোর নির্দেশনা

👉পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে গোপনীয়তা ভঙ্গ করলে ২ বছরের জেল!

সংবাদ প্রতিবেদন:

ঢাকা, ১৯ জুলাই ২০২৫:

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা, এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র একটি গোপনীয় দলিল এবং এটি শুধুমাত্র প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষকদের মাধ্যমে মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত।

বোর্ডের স্মারক নম্বর ঢাবো/পনি/৫৬২ অনুযায়ী, পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্য কোনো ব্যক্তি, যেমন শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের সদস্যদের দিয়ে বৃত্ত ভরাট বা মূল্যায়ন করানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ১৯৮০ সালের পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত আইন (৪২ নম্বর আইন), ধারা ১০ অনুযায়ী, এই অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

বোর্ড আরও জানিয়েছে, উত্তরপত্রের মতো গোপনীয় নথি সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও মূল্যায়ন করা প্রধান পরীক্ষক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের গুরুদায়িত্ব। এ বিষয়ে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সবাইকে বিশেষভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশে স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিতভাবে প্রকাশিত হয়।

বোর্ড সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে এ নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে এবং বিষয়টিকে ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা।
www.dhakaeducationboard.gov.bd
১৩-১৪ জয়নাগ রোড, বকশীবাজার, ঢাকা- ১২১১

স্মারক নং: ঢাবো/পনি/৫৬২

তারিখ: ১৯/০৭/২০২৫ খ্রি.

উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে, শিক্ষা বোর্ডের পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র একটি গোপনীয় দলিল। এটি প্রধান পরীক্ষক/পরীক্ষকদের কাছে পবিত্র আমানত। পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রধান পরীক্ষক/পরীক্ষক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি, শিক্ষার্থী বা পরিবারের অন্য কোন সদস্যকে দিয়ে বৃত্ত ভরাট/পূরণ করানো বা মূল্যায়ন করা পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত ১৯৮০ সনের ৪২ নম্বর আইনের ১০ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধ প্রমাণিত হলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড কিংবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

এমতাবস্থায়, পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র গোপনীয়তার সাথে মূল্যায়ন এবং সংরক্ষন করার জন্য পরামর্শ দেয়া হলো।

বিষয়টি অতীব জরুরী।

চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশক্রমে

স্বাক্ষরিত

প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা



No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.