সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ক “সোস্যাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন” কমিটির কার্যপরিধি ও কমিটি পুনর্গঠন সভার কার্যবিবরণী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ক “সোস্যাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন” কমিটির কার্যপরিধি ও কমিটি পুনর্গঠন সভার কার্যবিবরণী।(১৪/০৫/২০২৫)
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
স্মারক নম্বর: ৩৮.০১.০০০০.১১০.০৯.০০২.২০২৫-৩৬২
তারিখ: ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৪ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বিষয়: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ক "সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন" কমিটির কার্যপরিধি ও কমিটি পুনর্গঠন সভার কার্যবিবরণী।
সভাপতি : তাপস কুমার অধিকারী, উপপরিচালক (বই বিতরণ), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মিরপুর, ঢাকা।
তারিখ ও সময় : তারিখ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, বিকাল: ০৩.০০ ঘটিকা।
স্থান : পরিচালক, প্রশাসন মহোদয়ের সভাকক্ষ। উপস্থিতি: পরিশিষ্ট 'ক' সংযুক্ত।
সভায় উপস্থিত সকল সদস্যগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করা হয়। কমিটির সদস্য সচিব শাহ মো: মামুন অর রশীদ, সহকারী শিক্ষা অফিসার (সাধা: প্রশা:)-কে সভার আলোচ্য বিষয়সমূহ অবহিতকরণের জন্য অনুরোধ করা হয়। সদস্য সচিব, "সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)", নির্দেশিকার আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ ও পত্রসহ বিবিধ বিষয় সকলকে অবহিত করেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও অধিদপ্তরাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অফিসমূহের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ে তাঁদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং ব্যত্যয় হলে নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) অনুযায়ী বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং টীম বিদ্যমান রয়েছে। পর্যালোচনায় দেখা যায়, অধিদপ্তরসহ সকল পর্যায়ের মনিটরিং টিমের কার্যক্রম চলমান থাকলেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে তেমন সক্রিয় নেই। ইতোমধ্যে অধিপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে "স্যোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন" শিরোনামের কমিটি কার্যপরিধিসহ পুনর্গঠন করা হয়েছে। অদ্য এ কমিটির প্রথম সভা। উপস্থিত সদস্যগণ আলোচ্য বিষয়সমূহের আলোকে বিদ্যমান পরিস্থিতি, কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ, বাস্তবায়ন ও সংশ্লিষ্টদের কার্যক্রম মনিটরিং বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা, তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ারিং এবং মতামত ব্যক্ত করেন। সভার আলোচ্য বিষয়, আলোচনা ও সিদ্ধান্তসমূহ নিম্নরূপ:
(ক) আলোচ্য বিষয়সমূহ: ১. "সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)" অনুসরণ; ২. নির্দেশিকা অনুসরণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ ও পত্র পর্যালোচনা; ৩. বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং টিমের কার্যক্রম পর্যালোচনা; ৪. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ে বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ; ৫. কমিটির কার্যপরিধির আলোকে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ; ৬. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নির্দেশিকা ও পরিপত্র পরিপন্থী তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও মূল কমিটিতে উপস্থাপন; ৭. বিবিধ আলোচনা।
(খ) আলোচ্য বিষয়সমূহের উপর আলোচনার সার-সংক্ষেপ: আলোচনার শুরুতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)", নির্দেশিকা অনুসরণে জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৭ মে ২০২০ তারিখের পরিপত্র পত্র এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ, পত্রসহ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং টিমের কার্যক্রম এবং বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে উপস্থিত সকল সদস্যবৃন্দ আলোচনা করেন। পাশাপাশি তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ারিং ও মতামত ব্যক্ত করেন। অধিদপ্তরসহ সকল পর্যায়ের মনিটরিং টিম বিদ্যমান থাকলেও সক্রিয় ভূমিকা পালন না করায় কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষকগণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত নির্দেশিকা ২০১৯ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র পরিপন্থি পোস্ট, ভিডিও, অডিও, তথ্য ইত্যাদি আপলোডসহ শেয়ার করছেন যা রাষ্ট্র/সরকার এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি প্রতিনিয়ত ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ বিষয়ে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিদ্যমান মনিটরিং টিমকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করে অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন কমিটিকে অবহিত করা প্রয়োজন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকগণ নির্দেশিকা ২০১৯ এবং সে আলোকে জারিকৃত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করছেন না। লক্ষ্যনীয় বিষয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কিছু সংখ্যক শিক্ষক এমন কিছু বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট, ভিডিও আপলোড, সরাসরি লাইভ, কমেন্টসসহ তথ্য শেয়ারিং করছেন যা অনভিপ্রেত এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কতিপয় কর্মকর্তা উক্তরূপ অনভিপ্রেত কার্যক্রমের সাথে যুক্ত রয়েছেন। এসব কর্মকান্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসারে পরিহারযোগ্য এবং সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমরা রাষ্ট্র/সরকারের কাছে সব সময় দায়বদ্ধ। এজন্য সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণ করা বাঞ্চনীয়। সুতরাং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে আমাদের সচেতন হবে। এর ব্যত্যয় হলে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিদ্যমান মনিটরিং টিম সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে এবং বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে অধিদপ্তরকে অবহিত করতে হবে। আলোচ্যসূচির উপর বিস্তারিত আলোচনা শেষে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:
(গ) বিস্তারিত আলোচনা শেষে সভায় নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়: ১. প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং আওতাধীন অফিসসমূহের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষকগণকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)" এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৭ মে ২০২০ তারিখের পরিপত্র যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ২. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের জন্য ইমেইল ঠিকানায় (socialmedia.dpe22@gmail.com) যোগাযোগ করতে হবে। ৩ . বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ফোকাল পারসনদের নাম, ঠিকানা, ইমেইল ও হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে। ৪. বিভাগ, জেলা ও উপজেলা মনিটরিং টিম সক্রিয়করণে টিমের সদস্যসচিব কর্তৃক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলতে হবে। ৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন: বিভিন্ন ফেসবুক আইডি, গ্রুপ, পেজ, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, টেলিগ্রাম, ভাইভার, ইমো গ্রুপ, ইউটিউব ইত্যাদি বিষয়ে ডাটা সংগ্রহ। ৬. বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিদ্যমান 'মনিটরিং টিম' এর সকল সদস্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষকগণের সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করবেন। পাশাপাশি অধিদপ্তরের কমিটিও মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। ৭. প্রাথমিক শিক্ষার কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষকগণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ এ পরিহারযোগ্য এমন কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে নির্দেশিকা ২০১৯, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এবং সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা ২০১৮ অনুসারে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে অধিদপ্তরকে অবহিত করতে হবে। ৮. বিভাগ, জেলা ও উপজেলা মনিটরিং টিমকে কার্যকর ভূমিকা পালন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহরে নির্দেশিকার ব্যত্যয় হলে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অধিদপ্তর থেকে পত্র প্রেরণ করতে হবে। ৯. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত কোনো কিছু "স্যোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন" কমিটির নজরে আসলে সভায় উপস্থাপন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। ১০. বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের 'মনিটরিং টিম' প্রতি ০২ মাস পর পর সভা আয়োজন করবে। মাসের ০৫ তারিখের মধ্যে উপজেলা জেলা টিমের নিকট, জেলা ১০ তারিখের মধ্যে বিভাগীয় টিমের নিকট এবং বিভাগীয় টিম সম্পূর্ণ বিভাগের তথ্য সমন্বিত করে ১৫ তারিখের মধ্যে অধিদপ্তরের তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন" কমিটির নিকট প্রেরণ করবে। ১১. একজন সহকারী ইন্সট্রাক্টর, ইউআরসি সরাসরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহোদয়কে ট্যাগ করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় পরিচালক, প্রশাসন মহোদয়কে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হবে। ১২. বিভাগওয়ারী কতজন শিক্ষক, কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে সে সম্পর্কিত তথ্যাদি আগামী সভায় উপস্থাপনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। উল্লিখিত ক্রমিক: ০১-১২ এর সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করবে অধিদপ্তর/সংশ্লিষ্ট বিভাগ/জেলা/উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং টিম। অন্য কোনো আলোচনা না থাকায় সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতি মহোদয় সভার কার্যক্রম সমাপ্ত করেন।
স্বাক্ষরিত
তাপস কুমার অধিকারী
উপপরিচালক (বই বিতরণ)
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
No comments
Your opinion here...