ad

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়নের যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণের নির্দিশিকা প্রেরণ প্রসঙ্গে

Views

 

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়নের যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণের নির্দিশিকা প্রেরণ প্রসঙ্গে SHED এর নির্দেশনা। (১৩/০২/২০২৪)

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়নের যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণের নির্দেশিকা
ভূমিকা

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়নের জন্য যুগোপযোগী নির্দেশিকা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক গত ১৫/০৫/২০১৬, ২৭/০৩/২০১৭ এজ ০৬/০২/২০১৯ তারিখে কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লাকে আহ্বায়ক করিয়া (স্মারক নম্বর: ইউজিসি/প্রশা/পাব, বিশ্ব./৪৬০ [অংশ-৫১/২০১৫/৬৪৩০) কমিটি গঠন করা হয়। তিনটি কমিটিতেই ইউজিসির ০৩ (তিন) জন পূর্ণকালীন সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন, প্রফেসর ড. এম শাহ্ নওয়াজ আলি এবং কমিশনের সচিবকে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কমিটির কর্মপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে দুইবার সদস্য-সচিব এবং একবার সাচিবিক দায়িত্বত্ত পরিবর্তিত হয়। প্রথম কমিটিতে সদস্য-সচিব ছিলেন ড. ফেরদৌস জামান এবং সাচিবিক দায়িত্ব পালন করেন মো. রবিউল ইসলাম (১৫/০৫/২০১৬)। দ্বিতীয় পর্যায়ে শুধুমাত্র সদস্য-সচিব পরিবর্তন করিয়া জনাব খন্দকার হামিদুর রহমানকে উক্তপদে অন্তর্ভুক্ত করা হয় (২৭/০৩/২০১৭)। তৃতীয় পর্যায়ে সদস্য-সচিব ও সাচিবিক দায়িত্ব অর্পিত হয় যথাক্রমে জনাব মো. কামাল হোসেন এবং জনাব মো, জামাল উদ্দিনের উপর (০৬/০২/২০১৯)।

কমিটি একাধিক সভায় মিলিত হইয়া বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হইতে সংগৃহীত এতৎসংক্রান্ত নীতিমালা এবং কমিশনের নীতিমালা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আলোচনা-পর্যালোচনা করিয়া একটি খসড়া নির্দেশিকা প্রণয়ন করে। প্রণীত নির্দেশিকা লইয়া বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যগণের, শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের এবং স্টেকহোল্ডারদের সহিত কমিটির সদস্যবৃন্দ একাধিক সভায় বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাঁহাদের পরামর্শের ভিত্তিতে প্রণীত খসড়া-নির্দেশিকা পর্যালোচনা করিবার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রেরণ করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও তাহা প্রেরিত হয় ২৪-০৩-২০১৯ তারিখে। অতঃপর মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে আলোচনা-পর্যালোচনার পর খসড়া নির্দেশিকাটি পরিমার্জিত ও পরিশীলিত রূপপ্রাপ্ত হয়। এই পরিমার্জন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পক্ষ হইতে দুইজন সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। উল্লিখিত খসড়া নির্দেশিকা লইয়া গত ০৯-০২-২০২১ তারিখে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহিদুল্লাহ, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব জনাব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম ও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদউদ্দিন আহমেদ (প্রাক্তন সভাপতি, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ.এস, এম, মাকসুদ কামাল (প্রাক্তন সভাপতি, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন), অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারী (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন), অধ্যাপক ড. মো., নিজামুল হক ভূঁইয়া (মহাসচিব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন), অধ্যাপক ড. মো. রহমতউল্লাহ (সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন। উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে নির্দেশিকাটি প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ অনুমোদিত হয়। নির্দেশিকাটি প্রণয়ন, সংশোধন, পরিমার্জন ও চূড়ান্তকরণ প্রক্রিয়ায় গত ১৫-০৫-২০১৬ থেকে ৩৯-০২-২০২১ তারিখ পর্যন্ত যাঁহারা সম্পৃক্ত ছিলেন তাঁহাদের অবদান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করিতেছে। নিম্নে অনুমোদিত খসড়াটি উপস্থাপিত হইল।
১. সংজ্ঞা
বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই নির্দেশিকায়-
(ক) "অনুষদ" অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদঃ
(খ) "ইন্সটিটিউট" অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ইন্সটিটিউট:
(গ) "ইমপ্যাত্ত ফ্যাক্টর" অর্থ কোনো জার্নালের মান নির্ণয়ের পদ্ধতি। প্রতি বৎসর কোনো জার্নালের Citation-এর ভিত্তিতে
ইমপ্যাক্ট্য ফ্যাক্টর নির্ণয় করা হইয়া থাকে।
(ঘ) "একাডেমিক কাউন্সিল" অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল;
(ঙ) "কর্তৃপক্ষ" অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। 
(চ) "কেন্দ্র" অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র।
(ছ) "কমিশন" অর্থ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন যা the University Grants Commission of Bangladesh Order, 1973 (P. O. No. 10 of 1973)-এর দ্বারা গঠিতঃ
(জ) "চ্যান্সেলর" অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর।

(ঝ) "পদ" অর্থ নির্দেশিকায় উল্লিখিত কোনো পদ।
(ঞ) "পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়" অর্থ বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়: অধিভুক্ত কলেজসমূহ নহে। 
(ট) "পিয়ার রিভিউড জার্নাল" অর্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞগণ দ্বারা মূল্যায়িত ও সুপারিশকৃত গবেষণা
প্রবন্ধের জার্নাল: 
(ঠ) "প্রকাশনা" অর্থ পিয়ার রিভিউড/ইমপেী ফ্যাক্টর/Indexed জার্নালে প্রকাশিত কোন গবেষণা প্রবন্ধকে বুঝাইবে। এছাড়াও সাধারণ নিয়মাবলির ৮নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত প্রকাশনাও প্রকাশনা হিসাবে গণ্য হইবে।
(ড) "প্রয়োজনীয় যোগ্যতা" অর্থ নির্দেশিকায় কোনো পদের বিপরীতে উল্লিখিত ন্যূনতম যোগ্যতাঃ
(ঢ) "বিভাগ" অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একাডেমিক বিভাগ;
(ণ) "বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আদেশ" অর্থ the University Grants Commission of Bangladesh Order, 1973 (P. O. No. 10 of 1973); 
(ত) "ভাইস-চ্যান্সেলর" অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর:
(থ) "রেজিস্ট্রার" অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।
(দ) "শিক্ষাছুটি" অর্থ ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে পূর্ণ বেতনে ছুটি।
(ধ) “শিক্ষক" অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক বা প্রভাষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষকদ হিসাবে স্বীকৃত অন্য কোনো ব্যক্তি, 
(ন) "শিক্ষার্থী" অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তিকৃত ছাত্র বা ছাত্রী:
(প) "সরকার" অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ।
(ফ) "সিন্ডিকেট" অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট;
(ব) "সিলেকশন কমিটি" অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের জন্য গঠিত কমিটি।
(ভ) "সক্রিয় শিক্ষকতা" অর্থ চাকুরিকালীন সময়ে পাঠদান ও গবেষণা অথবা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত পূর্ণবেতনে শিক্ষাছুটির সময়কালকে বুঝাইবে। যদি সংশ্লিষ্ট শিক্ষক অর্জিত ডিগ্রি সম্পন্ন করিয়া সংশ্লিষ্টয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে যোগদান করেন:
(ম) "First Author/Corresponding Author" অর্থ যিনি মূলত গবেষণাকর্মটি সম্পন্ন করিয়াছেন বা সম্পন্ন করিতে সুপারভাইজ বা তত্ত্বাবধান করিয়াছেন:
(য) "Indexed জার্নালে প্রকাশিত" অর্থ সারা বিশ্বে নিবন্ধনকৃত জার্নালের Bibliographical Database বুঝাইবে।
২। সাধারণ নিয়মাবলি
১) সনাতন পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি থাকিতে হইবে:

২) আবেদনকালে প্রার্থীকে অবশ্যই ডিগ্রিপ্রাপ্ত হইতে হইবে অর্থাৎ পরীক্ষার ফলপ্রকাশ অপেক্ষমান থাকাকালে আবেদন গ্রহণযোগ্য হইবে না:

৩) অনলাইন ও দূরশিক্ষণের মাধ্যমে ডিমিল্লাপ্ত প্রার্থীদেরকে কোনো বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা যাইবে
8) সরকারি/আধা-সরকারি/সায়ত্ত্বশাসিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান হইতে আগত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সক্রিয় শিক্ষকতার চাকুরিকাল
হিসাবে ঐ প্রতিষ্ঠানের চাকুরির অর্ধেক সময়কাল বিবেচনা করা যাইতে পারে।
৫) শিক্ষাছুটি নিয়ে কোনো শিক্ষক Postdoctoral Fellowship Program-এ অংশগ্রহণ করিলে সর্বোচ্চ ০২ (দুই) বৎসর সক্রিয় শিক্ষাকাল হিসাবে গণ্য করা হইবে। তবে ইতঃপূর্বে প্রদেয় বন্ড পিরিয়ড অতিক্রান্ত হইবার পর Postdoctoral Fellowship Program-এ যাইতে পারিবেন:
৬) শিক্ষাছুটি বলিতে ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে মঞ্জুরকৃত পূর্ণবেতন-ছুটিকে বুঝাইবে। এই ছুটি মাস্টার্স ও পিএইচডি-সহ ০৫ (পাঁচ) বৎসর হইবে। শুধুমাত্র পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য এই শিক্ষাছুটি ০৪ (চার) বৎসর পাওয়া যাইবে। তবে গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত থাকিলে ডিগ্রি সম্পন্ন করিবার স্বার্থে কেবল নিয়মিত ছাত্র হিসাবে এই ছুটির মেয়াদ আরও সর্বোচ্চ ১২ (বারো) মাস বর্ধিত করা যাইতে পারে: 
৭) বিনা বেতনে/লিয়েনে বা Extraordinary ছুটি সক্রিয় শিক্ষাকাল বলে বিবেচিত হইবে না: ৭)
৮) আর্কিটেকচার, চারুকলা, নাট্যকলা, থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ, সংগীত, নৃত্যকলা, ফিল্ম এন্ড মিডিয়া সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতীয় অথবা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতা, প্রদর্শনী ও পরিবেশনায় অংশগ্রহণমূলক প্রযোজনা, উপস্থাপনা ও রচনার জন্য অর্জিত পুরষ্কার/ক্যাটালগ/সার্টিফিকেট
মূল্যায়নসাপেক্ষে প্রকাশনা হিসাবে বিবেচনা করা যাইবে। 
৯)বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষকগণ বর্তমানে যে পদে কর্মরত আছেন গুধুমাত্র ঐ পদের পরবর্তী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করা যাইবে।
১০) বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত শিক্ষকগণের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিথিল করা যাইবে (এসএসসি হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পর্যন্ত);
১১) যে-সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্তদেরকে প্রভাষক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয় সেইক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা প্রজ্ঞাপিত হওয়ার তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ০২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী প্রভাষক পদে নিয়োগ করা যাইবে। তবে দুই বৎসর অতিক্রান্ত হইবার অব্যবহিত পরে নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রভাষক নিয়োগ করিতে হইবে।

১২) শিক্ষক নিয়োগের কোনো ধাপে নিয়মিত পদ সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ হইলে আপগ্রেডেশন করা যাইবে।
১৩) যেহেতু গ্রেড-২ এবং গ্রেড-১ পদোন্নতি হিসাবে অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে বিবেচিত, সেহেতু গ্রেড-২ এবং গ্রেড- ১ অধ্যাপক পদে লেটারাল (Lateral) বা সরাসরি নিয়োগ গ্রহণযোগ্য হইবে নাঃ
১৪) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক প্রণীত সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এবং কমিশনের অনুমোদনক্রমে দেশি-বিদেশি প্রতিথযশা (Outstanding) অধ্যাপককে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ চুক্তিভিত্তিতে Distinguished Professor হিসাবে নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবেন:
১৫) নতুন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশেষায়িত বিষয়সমূহের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক প্রণীত সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এবং কমিশনের অনুমোদনক্রমে দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকগণকে শিক্ষকতার বিভিন্ন ধাপে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবেন।
১৬) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক প্রণীত সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এবং কমিশনের অনুমোদনক্রমে কোন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ বা গবেষককে Distinguished Expert" হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ চুক্তিভিত্তিতে
১৭) নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজের অভিজ্ঞতাকে সক্রিয় শিক্ষাকাল হিসাবে গণ্য করিয়া কোনো পদের জন্য প্রয়োজনীয় চাকুরির সময়কাল/প্রকাশনার সংখ্যা কমানো যাইবে না।





No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.