আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র হিসাবে নির্বাচিত ৪,১৭৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত ও সংস্কার কাজের জন্য মাইনর মেরামত বরাদ্দপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের নামের তালিকা।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র হিসাবে নির্বাচিত ৪,১৭৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত ও সংস্কার কাজের জন্য মাইনর মেরামত বরাদ্দপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের নামের তালিকা। (২০/১১/২০২৩)
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
সেকশন ২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬
স্মারক সংখ্যা- ৩৮.০১.০০০০.৭০০.১৪.০১৭ (অংশ-২).২১-৪৭৩/৫১৩
তারিখ: ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ ২০ নভেম্বর ২০২৩
বিষয়: পিইডিপি ৪ এর আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নির্বাচিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত অর্থে মাইনর মেরামত কার্য সম্পাদন।
সূত্রঃ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ বিভাগের পত্র নং-৩৮.০১.০০০০.৫০০.২০.০১১.২০-৩৩৪, তারিখ: ১২ নভেম্বর ২০২৩।
উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি৪) এর আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত ৪,১৭৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (তালিকা সংযুক্ত) মেরামত ও সংস্কারের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। বরাদ্দপ্রাপ্ত বিদ্যালয়সমূহে নিম্নোক্ত শর্তাবলী প্রতিপালনপূর্বক মেরামত কার্য সম্পাদন করা প্রয়োজন:
শর্তাবলী: ১. উল্লিখিত মাইনর মেরামত কার্যক্রম বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে।
২. কাজ শুরুর পূর্বে অবশ্যই উপজেলা প্রকৌশলী কর্তৃক মেরামত কাজের প্রাক্কলন প্রস্তুত করে উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদন নিয়ে মেরামত কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশিষ্ট সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এসএমসি-কে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন।
৩. বরাদ্দকৃত অর্থে বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে মেরামত কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে: (ক) বিদ্যালয় ভবন, ওয়াশব্লক এবং টয়লেটের ক্ষতিগ্রস্ত প্লাস্টার মেরামত; (খ) দরজা, জানালা, বেঞ্চ, চেয়ার, কলাপসিবল গেট ইত্যাদি মেরামত; (গ) ছাদের সিলিং/আন্তর মেরামত; (ঘ) ভবনের ওয়াল, কলাম, বীম এবং ছাদের ফাটল মেরামত; (ঙ) বিদ্যালয় ভবনের দরজা, জানালা রংকরণ; (চ) টাইলস (যদি থাকে), সিড়ির রেলিং, বিদ্যালয়ের গেট এবং ড্রেনেজ সিস্টেম মেরামতঃ (ছ) ব্ল্যাক বোর্ড প্লাস্টারকরণ এবং রংকরণ: (জ) টয়লেট এর পাইপ, ড্রেন, বেসিন, কমোড, প্যান ইত্যাদি মেরামত/প্রতিস্থাপন; (ঝ) টিউবওয়েল এর প্লাটফর্ম মেরামত এবং টিউবওয়েলের যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন; (ঞ) বিদ্যালয় ভবনের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা (সুইচ, ওয়্যারিং, ফ্যান ইত্যাদি) মেরামত; (ট) বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ভরাটকরণ; (ঠ) বিদ্যালয় ভবনের নিরাপত্তার স্বার্থে যেকোন মেরামত; (ড) এছাড়াও বিদ্যালয়ের চাহিদাভিত্তিক অন্যান্য মেরামত।
৪. বিদ্যালয়ের যে সকল ভবন/কক্ষ নির্বাচনী কেন্দ্র/বুথ হিসেবে ব্যবহৃত হবে সে সকল কেন্দ্র/বুথের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।
৫. মেরামতের জন্য যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে তা মেরামতের পূর্বে ছবি/ভিডিও করতে হবে এবং মেরামতের পর ছবি/ভিডিও করে রাখতে হবে এবং রেজিষ্ট্রি করে সংরক্ষণ করতে হবে।
৬. বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি বিদ্যালয়ে কোন কোন খাতে মেরামত প্রয়োজন তার তালিকা প্রস্তুত করে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এর নিকট জমা দিবেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাদ্দ প্রাপ্ত বিদ্যালয়ের মেরামতের তালিকা সংগ্রহপূর্বক একত্রে প্রাক্কলন প্রস্তাব তৈরির জন্য উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) এর নিকট প্রেরণ করবেন। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্তৃক প্রাক্কলন প্রস্তাব প্রস্তুতপূর্বক উপজেলা শিক্ষা অফিসার এর নিকট প্রেরণ করবেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রাক্কলন প্রস্তাব মহানগর/উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি'তে অনুমোদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
৭. বরাদ্দপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে মেরামতের প্রয়োজন না থাকলে অথবা রাজস্বখাত থেকে বর্তমান অর্থবছরে বিদ্যালয়ে মেরামত বাবদ বরাদ্দ পেয়ে থাকলে অথবা এলজিইডি কর্তৃক মেজর মেরামতের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া চলমান থাকলে বরাদ্দকৃত এ অর্থ ব্যয় করা যাবে না। এক্ষেত্রে বরাদ্দপ্রাপ্ত অর্থ সমর্পণ করতে হবে।
৮. নিরীক্ষা (অডিট) এর জন্য বিল/ভাউচার ও প্রাক্কলন এর কপি উপজেলা শিক্ষা অফিসে সংরক্ষণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উক্ত বিল/ভাউচার ও প্রাক্কলন এর এক কপি নিজ বিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করবেন।
৯. বিদ্যালয় মেরামতের প্রাক্কলন উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে অনুমোদন ব্যাতিত অর্থ ব্যয় করা যাবে না। অর্থ আবশ্যিকভাবে ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের মধ্যে ব্যয় করতে হবে।
১০. তাঁর উপজেলায় বরাদ্দপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়েছে কি না এবং মাইনর মেরামত কাজের অগ্রগতি বিষয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের মধ্যে নিম্নোক্ত ছকে একটি প্রতিবেদন ই-মেইলে (adplandpe@gmail.com) প্রেরণ করতে হবে।
১১. অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ বিভাগের জিও নং-৩৮.০১.০০০০.৫০০.২০.০১১.২০-৩৩৪, তারিখ: ১২ নভেম্বর ২০২৩ এর নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। প্রকিউরমেন্ট সংক্রান্ত সকল আইন ও বিধিবিধান এবং ভ্যাট/আয়কর কর্তনসহ সরকারের প্রচলিত সকল আর্থিক বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে।
১২. অ্যাকাউন্টস অফিস হতে বিল পাশের পর উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তা কোনভাবেই নগদ অর্থের মাধ্যমে বিদ্যালয় পর্যায়ে অর্থ প্রদান করতে পারবেন না। অবশ্যই বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট হিসাবে (Account) অর্থ স্থানান্তর বা ক্রস চেকের মাধ্যমে তা প্রদান করতে হবে।
১৩. উক্ত মেরামত কার্যক্রমে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে যথাযথ স্বচ্ছতা অনুসরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়মের জন্য ডিডিও দায়ী থাকবেন।
১৪. পত্রের কপি সকল প্রধান শিক্ষককে আবশ্যিকভাবে বিতরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের অবহেলা গ্রহণযোগ্য হবে না।
উল্লিখিত নির্দেশনা ও শর্তাবলী প্রতিপালনপূর্বক পিইডিপি-৪ এর আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নির্বাচিত ৪,১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্নক্রমে মাইনর মেরামত কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য অনুরোধ করা হলো। সংযুক্তি: ১) বরাদ্দপ্রাপ্ত ৪,১৭৭টি বিদ্যালয়ের তালিকা।
স্বাক্ষরিত
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান যুগ্মসচিব
পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)
ফোন: ০২-৫৫০৭৪৯৩৮
সম্পুর্ণ পিডিএফ তালিকা
No comments
Your opinion here...