ad

প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা ২০২১ (সংশোধিত)

Views

 



প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা ২০২১ (সংশোধিত) 


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় 

বাজেট ও অডিট শাখা 

বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।

www.mopme.gov.bd


তারিখ: ১৫ ফাল্গুন ১৪২৯ 

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩


স্মারক নং-38.00.0000.006.22.001.21.075


বিষয়: প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা, ২০২১ (সংশোধিত) প্রেরণ


উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমোদিত প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা, ২০২১ (সংশোধিত) এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হলো।

০২. অনুমোদিত প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা, ২০১১ (সংশোধিত) অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। 


সংযুক্তি: বর্ণনা মোতাবেক ৫ (পাঁচ) পৃষ্ঠা


স্বাক্ষরিত


(মোঃ আশরাফুল আলম সিদ্দিকী) 

উপপরিচালক (বাওঅ)

ফোনঃ ০২-৫৫১০১৩১৭

 ই-মেইল: sasba1@mopme.gov.bd


প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা, ২০২১ (সংশোধিত)


১. পটভূমি:


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্বাধীনতা লাভের পরপরই সীমিত সম্পদ নিয়ে ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন এবং এ সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের চাকুরি সরকারিকরণ করেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে কর্মরত প্রায় ১ লক্ষ ৪ হাজার শিক্ষকের চাকুরি সরকারিকরণ করেন। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮-এ প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষায় উপবৃত্তি প্রদান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

দেশের দারিদ্র ও বৈষম্য হ্রাস এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০১৫ সালে জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশল গ্রহণ করে। বিদ্যালয়গামী শিশুরা এ কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগী । শিশুদের জন্য এ কর্মসূচির মধ্যে আছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান এবং স্কুল মিলের ব্যবস্থা গ্রহণ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি ও উপবৃত্তির অর্থ-এই ডকুমেন্টের পরবর্তী বর্ণনায় শুধুমাত্র উপবৃত্তি লিখা হয়েছে।


দেশব্যাপী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সকল শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ভর্তি ও উপস্থিতির হার বৃদ্ধি এবং ঝরে পড়ার হার হ্রাস করার লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থী-প্রতি ২০ টাকা হারে উপবৃত্তি প্রদান কার্যক্রম চালু করা হয়। পর্যায়ক্রমে উপবৃত্তির হার বৃদ্ধি করে শিক্ষার্থীর গ্রেড অনুযায়ী ৭৫ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক হারে উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ করা হয়।


প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্পের মেয়াদ ৩০ জুন ২০২১ এ সমাপ্ত হয়। উপবৃত্তি প্রদান কার্যক্রমের টেকসই পদ্ধতি হিসেবে প্রকল্পভিত্তিক ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে উপবৃত্তি প্রদানের বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটে অর্থের সংস্থান রাখা হয়। জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় উপবৃত্তি প্রদানের কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।


অর্থ বিভাগ কর্তৃক অনুসৃত Government to Person (জিটুপি) পেমেন্ট পদ্ধতিতে মোবাইল ফাইনান্সিং সার্ভিসের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষায় উপবৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা, এর প্রশাসনিক ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নে দিক-নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার নিমিত্ত প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা, ২০২১ সংশোধন করা হলো; যা নিম্নরূপ:


২. উপবৃত্তির কার্যক্রম পরিধি:


২.১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই পরিচালিত পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় (এসকেটি)-এ অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী উপবৃত্তি কার্যক্রমের আওতাভুক্ত হবে।


২.২ উপবৃত্তির অর্থ দ্বারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ, ব্যাগ ও পোশাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদি ক্রয় করা যাবে।


২.৩ উপবৃত্তি কার্যক্রম বাস্তবায়ন সরকারের জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশলভুক্ত হবে।







প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা ২০২১ (সংশোধিত) পিডিএফ ডাউনলোড


No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.