Views
iBAS++ এর অধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের বেতন- ভাতাদি EFT এর মাধ্যমে প্রদান সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠি। (২৬/১১/২০২০)
সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন ভাতা ০১ জানুয়ারি ২০২১ থেকে অনলাইনে দাখিল ও EFT এর মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের লক্ষ্যে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মাঠ পর্যায়ের হিসাবরক্ষণ অফিস সমূহকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
ডিপিই একাউন্টিং সিস্টেমের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে PMIS সিস্টেম আপডেট/তথ্য এন্ট্রি করুন।
EFT form এর
সফট কপি
EFT পদ্ধতিতে সরকারি কর্মচারীদের বেতন নিজ নিজ
ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। IBAS সিস্টেমে তথ্য এন্ট্রির কাজ
সহজে করার জন্য নিজ
নিজ তথ্য সার্ভিস বুক
এবং জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী একটি
ফরম পূরণ করে রাখা
যেতে পারে।
EFT ফরমটি সংগ্রহ করুন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশনা মোতাবেক ফর্ম পূরণ করে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এর নিকট দাখিল করুন।
EFT ফরম পূরণ ও জমাদান সম্পর্কিত জরুরিঃ
ফরম সংগ্রহ করে নিজ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক একত্রে বসে পারস্পরিক সহযোগিতায় নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে এবং প্রধান শিক্ষক অন্যান্য সহকারী শিক্ষকের সহযোগিতায় ফরমগুলো যাচাই করে দেখবেন।
**ফরমের সাথে যে সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে:
১) NID এর ফটোকপি(যে নাম্বার দিয়ে পে ফিক্সেশন করা আছে)।
২) স্পাউস(যদি থাকে)এর NID এর ফটোকপি।
৩) সন্তানের NID বা জন্মসনদ এর ফটোকপি। সন্তান যতজন হবে ততজনের NID বা জন্ম সনদ এর ফটোকপি। সন্তান সংখ্যা বেশি হলে ফরমে রো সংখ্যা হাতে কেটে বৃদ্ধি করা যাবে বা আলাদা কাগজ ব্যবহার করা যাবে।
৪. যে ব্যাংকের হিসাব নম্বরে বেতন হয় ঐ হিসাব নম্বরের চেকের কাভার পৃষ্ঠার ফটোকপি।
**ফরম পূরণ করতে যা কিছু জানতে হবে:
ক) চাকুরী শুরুতে বেতন স্কেল ও বর্তমান বেতন স্কেল।(নিয়োগপত্রে শুরু ও চলতি অর্থ বছরের ইনক্রিমেন্ট শীটে বর্তমান বেতন স্কেল ও মূল বেতন পাওয়া যাবে )।
খ) চাকুরি শুরুতে যোগদানকৃত বিদ্যালয়ের নাম ও বর্তমান বিদ্যালয়ের নাম।
গ) শিক্ষা সহায়তা ভাতার তথ্য।(সন্তানের বয়স সর্বনিম্ন ৫ হলে এবং সর্বোচ্চ ২৩ বছর পর্যন্ত শিক্ষা সহায়তা ভাতা পাবে)
ঘ) যে ব্যাংক থেকে বেতন হয় সে ব্যাংকের নাম,১৩ ডিজিটের হিসাব নং ও রাউটিং নাম্বার।(চেকে কাভার পৃষ্ঠায় নাম, হিসাব নম্বর ও রাউটিং নাম্বার আছে)।
ঙ) জিপিএফ হিসাব নং, বহি নং, ভলিয়ম নং ও পাতা নং।(প্রতি বছর হিসাব রক্ষণ অফিস হতে প্রাপ্ত জিপিএফ একাউন্ট স্লিপে পাওয়া যাবে)
চ) জিপিএফ মাসিক কর্তন ও বর্তমান মোট জমার পরিমাণ।( একাউন্ট স্লিপে পাওয়া যাবে)
ছ) জিপিএফ লোন সংক্রান্ত তথ্য।( হিসাব রক্ষণ অফিস)
জ) অর্জিত ছুটি সংক্রান্ত তথ্য।(ছুটি ভোগের আদেশের কপি যা নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে হয়)
বিঃদ্রঃ
১. ব্যাংক হিসাবের নামে ব্রাকেট, হ্যাশ, ট্যাগ ও আন্ডার স্পেস থাকা যাবে না। থাকলে তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হতে সংশোধন করে নিতে হবে। যেমন- মনিরুল ইসলাম(কদু) এভাবে থাকলে পরিবর্তন করে মনিরুল ইসলাম কদু করতে হবে।
২. প্রায় সকল তথ্য ইংরেজিতে লিখতে হবে। শুধু নির্দেশিত তথ্য বাংলায় লেখা যাবে।
৩. ফরমটি পেন্সিল দিয়ে পূরণ করলে ভুল হলে সংশোধন করা সহজ হবে।
ডাউনলোড লিঙ্কঃ
ডাউনলোড লিঙ্ক২ঃ
"Electronic Fund Transfer" যার বাংলা অর্থ হচ্ছে "ইলেট্রনিক তহবিল স্হানান্তর"। EFT হচ্ছে কম্পিউটার ভিত্তিক সিস্টেমগুলোর মাধ্যমে এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করার ব্যবস্হা। "EFT" এর মাধ্যমে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে কর্মকর্তা কর্মচারীরদের বেতন ভাতা নিজ নিজ account এ জমা হয়ে যাবে। এই পদ্ধতি চালু করার ফলে সরকারি সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, গৃহঋণ,পেনশনের পুরো প্রক্রিয়া সহজ, স্বচ্ছ ও দ্রুততর হবে। দূর হবে সব ধরণের আর্থিক অনিয়ম। কর্মকর্তা কর্মচারীদের ইনক্রিমেন্ট,অর্জিত ছুটি, ভ্রমন তথ্য,সার্ভিস রেকর্ড, সব ধরনের তথ্য, "EFT" ডাটাবেইজে থাকবে।
কর্মকর্তা - কর্মচারী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করলেও সমস্যা নাই। স্ট্যাম্প এর প্রয়োজন হবেনা। এছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী অবসরে যাওয়ার ১ দিনের মধ্যেই মিলবে পেনশন।
EFT (Electronic funds transfer)
ফরম এর নমুনা কপি ও সাথে কি কি লাগবেঃ
DDO (Drawing and Disbursing Officer) Approval করে ফরমটি অনলাইনে পুরণ করবেন। আর সম্মানিত শিক্ষকদের কি কি তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে তা নমুনা হিসেবে দেখানো হয়েছে। EFT ফরম (নমুনা কপি) এর একটি পুরনকৃত কপিও সংযুক্ত করা হলো।
অনলাইনে EFT ফরম পূরণে যে সব তথ্য লাগবেঃ
১. NID নাম্বার (যে নাম্বার দিয়ে পে ফিক্সেশন করা আছে)।
২. স্বামী / স্ত্রীর NID নাম্বার।
৩. সন্তানের তথ্য, সন্তানের NID নাম্বার (যদি থাকে)। যদি না থাকে তাহলে জন্মসনদ নাম্বার ও জন্মতারিখ।
৪. পিতার নাম ও মাতার নাম ইংরেজিতে।
৫. চাকরি সংক্রান্ত তথ্য, বর্তমান পদ, বর্তমান কর্মস্থল, চাকুরী শুরুতে বেতন স্কেল ও বর্তমান বেতন স্কেল।
৬. চাকুরী শুরুতে যোগদানকৃত বিদ্যালয়ের নাম ও বর্তমান বিদ্যালয়ের নাম।
৭. শিক্ষা সহায়তা ভাতার তথ্য।
৮. ব্যাংক ঋণ সংক্রান্ত তথ্য।
৯. ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য। যে ব্যাংক থেকে বেতন হয় সে ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, হিসাব নম্বর ও রাউটিং নাম্বার।
১০. জিপিএফ হিসাব নম্বর , বহি নম্বর, ভলিয়াম নম্বর ও পাতা নম্বর।
১১. জিপিএফ মাসিক কর্তন ও বর্তমান মোট জমার পরিমান।
১২. জিপিএফ লোন ও কর্তন সংক্রান্ত তথ্য।
১৩. অর্জিত ছুটি সংক্রান্ত তথ্য।
১৪. আপনার অবর্তমানে পেনশনের ক্ষেত্রে নমিনির তথ্য।
★ আরো কিছু তথ্য লাগবে যেগুলো ইফটি ফরমে দেওয়া আছে।
আপনারা উক্ত তথ্য গুলো দ্রুত সংগ্রহ করে ফেলুন।
No comments
Please do not enter any spam link in the comment box.