জিপিএফ এ কর্তন বাড়াবেন/কমাবেন যে মাস থেকে
Views
জিপিএফ এ কর্তন বাড়াবেন/কমাবেন যে মাস থেকে
সাধারণ ভবিষ্য তহবিল বিধিমাল ১৯৭৯ অনুচ্ছেদ ৩ মোতাবেক জুন মাসের বেতন বিল হতে আপনার সাধারণ ভবিষ্য তহবিল এ কর্তন কৃত জমা/অগ্রিমের টাকার পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো যাবে। সাধারণত জিপিএফ (GPF) এর হিসাব বছরের ধরা হয় জুন থেকে মে মাস সময় পর্যন্ত। এটি মূলত বেতন হওয়ার তারিখ বা মাস বিবেচনায় নিয়ে করা হয়েছে। পরবর্তী কোন আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত জুন মাসের বেতন বিল হতেই স্থিতি বা অগ্রিম কর্তন হ্রাস বৃদ্ধি করা যাবে।
আমরা যারা সরকারি চাকরি করি তারা প্রায়ই দ্বিধায় থাকি, কোন মাস হতে জিপিএফ এর কর্তন বাড়ানো বা কমানো যাবে।
প্রাসঙ্গিক কথা:
- জুন মাসের বেতন বিলে জিপিএফ কর্তন বাড়ানো বা কমানো যাবে।
- সাধারণত পূর্বের মাসের কর্তন পরের মাসে যোগ হয়।
- জুন মাসে কর্তন করলে জুলাই মাসে জমা হবে।
- হিসাবটা সাধারণত জুন-মে পর্যন্ত ১২ মাসের।
সাধারণ ভবিষ্য তহবিল বিধিমাল ১৯৭৯ এর অনুচ্ছেদটি তুলে ধরা হলো:
চাঁদা দাতা প্রতি বৎসর তাহার নির্ধারণকৃত মাসিক চাঁদার পরিমাণ নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে অবহিত করিবেন, যথা:
(ক) যদি এমণ হয় যে, তিনি পূর্ববর্তী বৎসরের ৩০ জুন তারিখে কর্মরত ছিলেন, তাহা হইলে তিনি তাহার উক্ত মাসের বেতন বিল হইতে এই উদ্দেশ্যে কর্তন করিয়া;
(খ) যদি এমন হয় যে, তিনি পূর্বতী বৎসরের ৩০ জুন তারিখে ছুটিতে ছিলেন এবং চাঁদা প্রদান না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছিলেন অথবা সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন, তাহা হইলে তিনি পুনরায় কর্মে যোগদানের পর প্রথম বেতন বিল হইতে এই উদ্দেশ্যে কর্তন করিয়া;
(গ) যদি এমণ হয় যে, তিনি উক্ত বৎসরে প্রথম সরকারি চাকরিতে যোগদান করিয়ােছন অথবা বাধ্যতামূলক চাঁদা হিসাবে বিধি-৫ এর অধীনে তহবিলে যোগদান করিয়াছেন তাহা হইলে যে মাসে তিনি তহবিলে যোগদান করিয়াছেন সেই মাসের বেতনবিল হইতে এই উদ্দেশ্যে কর্তন করিয়া;
(ঘ) যদি এমন হয় যে, তিনি পূর্ববর্তী বৎসরের ৩০ জন তারিখে ছুটিতে ছিলেন এবং অব্যাহতভাবে ছুটি ভোগ করিতেছিলেন এবং ঐ ছুটিকালীন সময়ে চাঁদা প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছিলেন তাহা হইলে এই উদ্দেশ্যে উক্ত মাসের বেতনবিল হইতে কর্তন করিয়া;
(ঙ) যদি এমন হয় যে, তিনি পূর্ববর্তী বৎসরের ৩০ জুন তারিখে বৈদেশিক চাকরিতে কর্মরত ছিলেন, তাহা হইলে চলতি বৎসরের জুলাই মাসের চাঁদা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিয়া;