ad

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ সভা

Views



সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ সভা

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নির্দেশিকা অনুসরণে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো “সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন” কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ সভা।

গত ২২ মে ২০২৫ তারিখ, বিকাল ৩টায় অধিদপ্তরের মিরপুর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপপরিচালক (বই বিতরণ) তাপস কুমার অধিকারী। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, যাদের উপস্থিতির তালিকা পরিশিষ্ট ‘ক’ হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে।

সভায় "সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)" এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৭ মে ২০২০ তারিখের পরিপত্র বাস্তবায়নের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।

সভায় বলা হয়, অনেক শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক লাইভ, পোস্ট, ভিডিও, অডিও ইত্যাদি শেয়ার করছেন, যা নির্দেশিকা পরিপন্থী এবং রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালারও লঙ্ঘন।

গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ:

১. নির্দেশিকা ও পরিপত্র অনুসরণে সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটিকে পুনরায় সক্রিয় করা হবে।
২. মনিটরিং টিম সদস্যদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ গঠন এবং বিভাগীয় গ্রুপে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
৩. অধিদপ্তরের মূল কমিটির সদস্যদের একটি কেন্দ্রীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
৪. ফোকাল পারসনদের নাম, ইমেইল ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরসহ তালিকা ৩০ জুন ২০২৫-এর মধ্যে নির্ধারিত ইমেইলে পাঠাতে হবে।
৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা মূল কমিটির কাছে উপস্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৬. মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কার্যক্রম প্রতি মাসে মনিটর করে একটি সভা আয়োজন এবং তথ্য পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
৭. নির্দেশিকা লঙ্ঘনের যেকোনো ঘটনা সভায় উপস্থাপন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
৮. একজন সহকারী ইন্সট্রাক্টরের ফেসবুক পোস্ট বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে ট্যাগ করার ঘটনায় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ইউও নোট পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
৯. মনিটরিং টিম প্রতি দুই মাস অন্তর সভা আয়োজন করে অধিদপ্তরকে অবহিত করবে।
১০. বিভাগভিত্তিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের তথ্য পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করতে হবে।
১১. নির্দেশিকা পরিপন্থী কার্যক্রমের তথ্য ইউও নোট আকারে মূল কমিটিতে প্রেরণ করা হবে।
১২. তথ্য প্রেরণের জন্য নির্ধারিত ইমেইল: socialmedia.dpe22@gmail.com

সভায় সদস্যরা মত প্রকাশ করেন যে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সকলকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে আরও দায়িত্বশীল ও সচেতন হতে হবে। সভার শেষাংশে সভাপতি সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ক “সোস্যাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন” কমিটির সভার কার্যবিবরণী।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
সেকশন ২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬
www.dpe.gov.bd

বিষয়: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ক "সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন" কমিটির সভার কার্যবিবরণী।

সভাপতি : তাপস কুমার অধিকারী, উপপরিচালক (বই বিতরণ), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মিরপুর, ঢাকা। তারিখ ও সময় : তারিখ: ২২ মে ২০২৫, বিকাল: ০৩.০০ ঘটিকা। স্থান : পরিচালক, প্রশাসন মহোদয়ের সভাকক্ষ। উপস্থিতির তালিকা: পরিশিষ্ট 'ক' সংযুক্ত।

(ক) আলোচ্য বিষয়সমূহ: ১. ১ম সভার কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা; ২. সংগৃহীত তথ্য উপস্থাপন; ৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের সচেতনতা বৃদ্ধি; ৪. বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং টিমের কার্যক্রম; ৫. সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ; ৬. বিবিধ।

(খ) আলোচ্য বিষয়সমূহের উপর আলোচনার সার-সংক্ষেপ: সভায় উপস্থিত সকল সদস্যগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করা হয়। গত সভার কার্যবিবরণীর উপর আলোকপাত করে সংশোধনী না থাকায় দৃঢ়ীকরণ করা হয়। কর্মকর্তা, কর্মর্জচারী ও শিক্ষকদের "সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)", নির্দেশিকার আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ প্রতিপালন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বিভাগ, জেলা ও উপজেলা/থানা পর্যায়ে মনিটরিং টীমের সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ক সংগৃহীত তথ্যসমূহ বিশ্লেষণ করা হয়। মাঠ পর্যায়ের মনিটরিং টিমকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। উপস্থিত সদস্যগণ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত নির্দেশিকা ২০১৯ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র পরিপন্থি লাইভ, পোস্ট, ভিডিও, অডিও, তথ্য ইত্যাদি আপলোড ও শেয়ার করছেন যা রাষ্ট্র/সরকার এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এসব কর্মকান্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসারে পরিহারযোগ্য এবং সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমরা রাষ্ট্র/সরকারের কাছে সব সময় দায়বদ্ধ। সুতরাং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে আমাদের আরও সচেতন হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নির্দেশিকা ২০১৯ এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে অধিদপ্তরকে অবহিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিদ্যমান মনিটরিং টিমকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। কয়েকজন শিক্ষকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্দেশিকা ২০১৯ বহির্ভূত কর্মকান্ডের সংগৃহীত তথ্যাদি সভায় উপস্থাপন ও পর্যালোচনা করা হয়। আলোচ্যসূচির উপর বিস্তারিত আলোচনা শেষে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:

(গ) বিস্তারিত আলোচনা শেষে সভায় নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়: ১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)" এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৭ মে ২০২০ তারিখের পরিপত্র যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য নির্দেশিকা ও নির্দেশনাসমূহ পুনরায় মাঠ পর্যায়ে প্রেরণ করা হয়েছে। সে আলোকে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা/থানা কমিটি সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করবে। ২. বিভাগ, জেলা ও উপজেলা/থানা পর্যায়ে মনিটরিং টিমের সদস্যদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলতে হবে। বিভাগীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সংযুক্ত করতে হবে। ৩. অধিদপ্তরের মূল কমিটির সম্মানিত সদস্যদের অধিদপ্তরের "সোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন" বিষয়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত করতে হবে। ৪. সকল বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা/থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারগণকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ক ফোকাল পারসনদের (ইমেইল ও হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারসহ) নামের তালিকা আগামী ৩০ জুন ২০২৫ তারিখের মধ্যে ক্রমিক ১২ এ উল্লিখিত ই-মেইলে প্রেরণ করার অনুরোধ জানানো হয়। ৫. বিভাগভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন: বিভিন্ন ফেসবুক আইডি, গ্রুপ, পেজ, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, টেলিগ্রাম, ভাইভার, ইমো গ্রুপ, ইউটিউব ইত্যাদি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সভায় উপস্থাপন করে অধিদপ্তরের মূল কমিটির নিকট উপস্থাপন করতে হবে। ৬. প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি তারিখের ৪৪১ স্মারকের আলোকে জেলা, উপজেলা/থানা ও বিভাগ পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষকগণের কার্যক্রমসমূহ মনিটরিং করে প্রতিমাসে আেবশ্যিকভাবে একটি সভা আয়োজন, উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ চিহ্নিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ছক মেতাবেক তথ্য প্রদান করবেন।

৭. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত কোনো কিছু "স্যোসাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন" কমিটির নজরে আসলে সভায় উপস্থাপন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। ৮. গত সভা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একজন সহকারী ইন্সট্রাক্টর, ইউআরসি সরাসরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহোদয়কে ট্যাগ করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় পরিচালক, প্রশাসন মহোদয়কে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউও নোট প্রদান করতে হবে। ৯. বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের 'মনিটরিং টিম' প্রতি ০২ মাস পর পর সভা আয়োজন করবে এবং অধিদপ্তরকে অবহিত করবে। ১০. বিভাগওয়ারী কতজন শিক্ষক, কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে সে সম্পর্কিত তথ্যাদি আগামী সভায় উপস্থাপনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। ১১. কয়েকজন শিক্ষকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্দেশিকা ২০১৯ পরিপন্থী কর্মকান্ডের তথ্যাদি পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউও নোটের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মূল কমিটির নিকট প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১২. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের জন্য ইমেইল ঠিকানায় (socialmedia.dpe22@gmail.com) যোগাযোগ করতে হবে। ২। উল্লিখিত ক্রমিক: ০১-১১ এর সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করবে অধিদপ্তর/সংশ্লিষ্ট বিভাগ/জেলা/উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং টিম। অন্য কোনো আলোচনা না থাকায় সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতি মহোদয় সভার কার্যক্রম সমাপ্ত করেন।

স্বাক্ষরিত

তাপস কুমার অধিকারী

উপপরিচালক (বই বিতরণ)

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর




No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.