ad

বেসরকারি স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৩

Views

 

বেসরকারি স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৩

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ 

বেসরকারি মাধ্যমিক-১ শাখা

বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা

www.shed.gov.bd

বেসরকারি স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা

ভর্তির কার্যক্রম অধিকতর স্বচ্ছ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে বেসরকারি স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা করা হলো: 

২.০. যে সকল শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে: সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের এন্ট্রি শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে সাধারণভাবে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। 

৩.০ শিক্ষার্থীর বয়স: জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ১ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬+ বছর হতে হবে। পরবর্তী শ্রেণিসমূহে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। ভর্তির বয়সের ঊর্ধ্বসীমা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেয়া যাবে। 

৪.০ শিক্ষাবর্ষ: শিক্ষাবর্ষ হবে ০১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতি শ্রেণি শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে ৫৫ জন।

৫.০ ভর্তি প্রক্রিয়ার ধাপসমূহের তারিখ ও সময় নির্ধারণ :

৫.১ কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে;

৫.২ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।

৬.০ শূন্য আসন নিরূপণ: প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ বিভিন্ন শ্রেণির শূন্য আসনের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারণ করবেন। কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত সফটওয়্যারে তাঁর প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিভিত্তিক শূন্য আসনের সংখ্যাসহ অন্যান্য তথ্য আপলোড করবেন।

৭.০ ভর্তির জন্য আবেদন এবং শিক্ষার্থী নির্বাচনের পদ্ধতি :

৭.১ ঢাকা মহানগরীর ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী নির্ধারিত সফটওয়্যারে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে; 

৭.২ ঢাকা মহানগরীর ভর্তি কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটাল লটারির যাবতীয় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পাদন করবে। বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ভর্তির আবেদন ও আবেদনের ফি গ্রহণ এবং ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের পূর্বে অন্য একটি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সফটওয়ারের যথার্থতা যাচাইকরণ নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা প্রস্তুত করার পাশাপাশি শূন্য আসনের সমান সংখ্যক অপেক্ষমান তালিকাও প্রস্তুত করতে হবে। ভর্তি কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে তালিকার ক্রমানুসারে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রকাশিত ফলাফলের তালিকার ক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। শিক্ষাবর্ষের কোনো সময়ে

আসন শূন্য হলে প্রকাশিত অপেক্ষমান তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ভর্তি করে আসন পূরণ করতে হবে। শিক্ষাবর্ষের কোনো সময়ই এন্ট্রি/প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না;

৭.৩ ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উক্ত তালিকা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি কমিটি কাগজপত্র যাচাইপূর্বক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে;

৭.৪ সারাদেশের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী নির্বাচনের জন্য ডিজিটাল লটারির বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর ভর্তি কমিটি কর্তৃক কেন্দ্রীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবে। ঢাকা মহানগরীর ভর্তি কমিটি জাতীয় পত্রিকায় ওয়েবসাইট ইত্যাদিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি/সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারবে;

৭.৫ যৌক্তিক কোনো কারণে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের সঙ্গে সংযুক্ত হতে না পারলে; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি গ্রহণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে লটারির দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি / মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি/সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটির প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। 

৮.০ ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান ও ফলাফল তৈরি :

৮.১ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান আবেদন ও ডিজিটাল লটারির ফলাফল প্রকাশের যাবতীয় তথ্য ঢাকা মহানগরীর ভর্তি কমিটির নিকট প্রদান করবে;

৮.২ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে ডিজিটাল লটারির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে;

৮.৩ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম/এন্ট্রি শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অনলাইনে প্রাপ্ত আবেদন থেকে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত প্রথম ডিজিটাল লটারির সমসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথম অপেক্ষমান তালিকা নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে লটারির মাধ্যমে দ্বিতীয় অপেক্ষমান তালিকা প্রস্তুত করতে হবে;

৮.৪ ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিকট প্রেরণ করবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে প্রাপ্ত নির্বাচিতদের তালিকা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে এবং নির্বাচিতদের তালিকা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দিবে। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকার বাইরে কাউকে ভর্তি করা যাবে না।

৯.০ ঢাকা মহানগরীর স্কুলসমূহে ভর্তিঃ 

৯.১  ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি স্কুলসমূহে ভর্তির ক্ষেত্রে স্কুল সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০% কোটা সংরক্ষণ করতে হবে;

৯.২  ঢাকা মহানগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সহায়তায় প্রত্যেক স্কুলের ক্যাচমেন্ট এরিয়া (স্কুল সেবা অঞ্চল) নির্ধারণ করবেন। বিদ্যালয় সংলগ্ন ০৩ (তিন) টি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমিন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারিত হবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্ধারণ নিয়ে একাধিক স্কুলের মধ্যে মতদ্বৈততা বা জটিলতা দেখা দিলে থানা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিষয়টি সমাধান করবেন।

ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্ধারণ সঠিকভাবে করতে হবে এবং কোনো এলাকা বাদ না পড়ে সেই দিকে সতর্ক থাকতে হবে। থানা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হলে জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন করা যাবে। জেলা শিক্ষা অফিসারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বিবেচিত হবে;

৯.৩ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পূর্বে ক্যাচমেন্ট এলাকা জরিপ করে সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবে এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির উদ্দেশ্যে প্রাথমিক সমাপনী বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীর তথ্যের জন্য জরিপ ছাড়াও ক্যাচমেন্ট এরিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ‘প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট' পরীক্ষায় পাশ করা শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবে। স্কুলের ভর্তির বিজ্ঞপ্তির তারিখে শিক্ষার্থী যে এলাকায় বসবাস করবে সেই এলাকায়ই তার ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে বিবেচিত হবে।

১০.০ আবেদন, ভর্তি ও অন্যান্য ফিঃ 

১০.১ শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচিত হওয়ার কারণে ভর্তির অনলাইন আবেদন ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে গ্রহণ করতে হবে; 

১০.২ দরিদ্র, মেধাবী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ উল্লিখিত ফি মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে; 

১০.৩ এম.পি.ও.ভুক্ত, আংশিক এম.পি.ও.ভুক্ত এবং এম.পি.ও. বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বেতন ও টিউশন ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ০৯/০৮/২০১৬ তারিখের ৩৭,00,0000,০৯২,88.0৯০.১২ (অংশ- ২).১৫৭ নং স্মারকে জারিকৃত পরিপত্র অনুসরণ করতে হবে;

১০.৪  সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে মফস্বল এলাকায় ৫০০/- (পাঁচশত)-পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১,০০০/- (এক হাজার)-পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২,০০০/- (দুই হাজার)-ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকার বেশি হবে না;

১০.৫ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এম.পি.ও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকার অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে পারবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত আংশিক এম.পি.ও.ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং এম.পি.ও. বহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৮,০০০/- (আট হাজার) টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা গ্রহণ করতে পারবে। উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এক ক্লাস থেকে পরবর্তী ক্লাসে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে পুনঃভর্তির ফি নেওয়া যাবে না;

১০.৬ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক/কর্মচারীগণের অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিলের জন্য ভর্তিকালীন সময়ে শিক্ষার্থী প্রতি ১০০/- টাকা গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট হিসাব খাতে জমা দিতে হবে। ৭০/- টাকা অবসর এবং ৩০/- কল্যাণ তহবিলের সংশ্লিষ্ট হিসাব খাতে জমা প্রদান করতে হবে।

১১.০ ভর্তির ফি বাবদ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অর্থের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না, করলে সরকার এম.পি.ও. বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

১২.০ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানকে শ্রেণিভিত্তিক আবেদনকারীর সংখ্যা ভর্তি কমিটির নিকট জমা প্রদান করতে হবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির বাইরের প্রতিষ্ঠানসমূহের অনলাইন আবেদন ফরম জমাদানের সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয় কর্তৃক শ্রেণিভিত্তিক বিক্রয় ও জমাকৃত আবেদন ফরমের সংখ্যা নির্ধারিত ছকে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটির নিকট প্রেরণ করতে হবে। মহানগরী ও জেলা সদরের সদর উপজেলা পর্যায়ের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য আবশ্যিকভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে

ডিজিটাল লটারির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির বাইরের প্রতিষ্ঠানসমূহ মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটির সদস্যের উপস্থিতিতে লটারি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। ডিজিটাল লটারির কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

১৩.০ সংরক্ষিত কোটা:

১৩.১ মুক্তিযোদ্ধা-শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যাদের ভর্তির জন্য শূন্য আসনের ৫% কোটা সংরক্ষণ থাকবে; 

১৩.২ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ভর্তির ক্ষেত্রে ২% কোটা সংরক্ষণ থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রমাণস্বরূপ যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন দাখিল করতে হবে; 

১৩.৩ শিক্ষার মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সারাদেশে লিল্লাহ বোর্ডিং এ অবস্থানরত সকল শিশুকে নিকটস্থ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যথাযথ প্রত্যয়ন সাপেক্ষে ভর্তি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ১% কোটা সংরক্ষণ থাকবে; 

১৩.৪ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ অধিদপ্তর/দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২% কোটা সংরক্ষণ থাকবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে ডিজিটাল লটারির অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। 

১৩.৫  ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি স্কুলসমূহে ভর্তির ক্ষেত্রে স্কুল সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০% কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। অবশিষ্ট আসনসমূহ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ম শ্রেণি থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ৪০% কোটা প্রযোজ্য হবে না। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় অবস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা যে কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।

১৪.০ কোন প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোন যদি পূর্ব থেকে অধ্যয়নরত থাকে সে সকল সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোনের জন্য ৫% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। কোন দম্পত্তির সর্বোচ্চ ০২ (দুই) সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। আবেদন সংখ্যা অধিক হলে ভর্তি কমিটি কর্তৃক ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে উক্ত ৫% শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে।

 ১৫.০ শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থী ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করবেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ড নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্যাদি হালনাগাদ করবে।

১৬.০ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারীদের এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সন্তানদের (যদি থাকে) তাদের ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ভর্তির সুযোগ থাকবে। তবে পোষ্য বা আত্মীয়-স্বজন বা ম্যানেজিং কমিটির জন্য কোনো কোটা সংরক্ষণ থাকবে না।

১৭.০ শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ড নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্যাদি হালনাগাদ করবে।

১৮.০ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর আন্তঃজেলা/আন্তঃউপজেলা বদলির কারণে বদলিকৃত কর্মস্থলের উপপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অঞ্চল অথবা যে জেলায় উপপরিচালক নাই; সেখানে জেলা শিক্ষা অফিসারের প্রত্যয়নক্রমে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের ভর্তির সুযোগ থাকবে। তবে ক্যাচমেন্ট এরিয়া বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিদ্যালয় নির্বাচন করে শিক্ষার্থীর ভর্তির প্রত্যয়ন পত্র দিবেন। আন্তঃজেলা/আন্তঃউপজেলা বদলিজনিত কারণে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীর সন্তানদের ভর্তির জন্য শ্রেণি কক্ষে স্থান সংকুলান সাপেক্ষে প্রতি শ্রেণিতে মোট আসনের ৫% অতিরিক্ত সংরক্ষিত রাখা যেতে পারে। আবেদন সংখ্যা অধিক হলে ভর্তি কমিটি কর্তৃক ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে উক্ত ৫% শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। 

১৯.০ সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ ঢাকা/জেলা শহর থেকে বদলি হলে বদলিকৃত নতুন কর্মস্থলে যাওয়ার সময় তাঁদের সন্তান-সন্তুতিদের ঢাকা/ জেলা শহর থেকে অধ্যয়নরত সরকারি/বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে বদলিকৃত কর্মস্থলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হয়। পরবর্তীতে ঢাকা/জেলা শহরে পুনরায় বদলি হলে পূর্বতন অধ্যয়নকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ তাঁদের সন্তানদের পুনরায় ভর্তির সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন।

২০.০ ভর্তির নীতিমালা ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো অবস্থায় শূন্য আসনের বাহিরে ভর্তি করা যাবে না। 

২১.০ ভর্তি প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহ: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে ভর্তি ফি থেকে প্রাপ্ত অর্থ ৮৫% স্কুল, ১০% ভর্তি কমিটি, ৩% মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং ২% মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে ব্যয় করবে।

২২.০ ভর্তি কমিটি: বেসরকারি স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কি না তা নিম্নোক্ত কমিটিসমূহ তদারকি করবে:


২৩.০ এ নির্দেশনার কোনোরূপ ব্যত্যয় ঘটানো হলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাঠদানের অনুমতি বা একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিলসহ প্রতিষ্ঠানের এম.পি.ও.ভুক্তি বাতিল করা হবে।

২৪.০ অসুবিধা দূরীকরণ:

এ নীতিমালা প্রয়োগকালীন কোনো অস্পষ্টতা/অসুবিধা পরিলক্ষিত হলে তা দূরীকরণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক নিষ্পত্তি করতে হবে।

স্বাক্ষিরত/-

(সোলেমান খান)

সচিব মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ








সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড

SHED সংক্রান্ত সকল আপডেট লিঙ্কঃ

No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.