ad

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রেরণ প্রসঙ্গে চিঠি (০১/১১/২২)।

Views

 


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রেরণ প্রসঙ্গে চিঠি (০১/১১/২২)।

বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি-২০২২ ১) প্রতিটি বিষয়ে ২০ নম্বরের সাপ্তাহিক শ্রেণি পরীক্ষা চলমান থাকবে এবং ফলাফল সংরক্ষণ করতে হবে। ২) বছরশেষে বার্ষিক পরীক্ষার ন্যায় প্রতি বিষয়ে ৬০ নম্বরের ৩য় প্রান্তিক পরীক্ষা নিতে হবে। বাংলাদেশের সকল বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঘোষিত একটি সুনির্দিষ্ট তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। ৩) প্রত্যেকটি বিষয়ের সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ৫টি শ্রেণি পরীক্ষার (৫ × ২০ = ১০০ এর) ৪০% নম্বরের সাথে ৩য় প্রান্তিকের প্রতি বিষয়ে ৬০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে ২০২২ এ শিক্ষার্থীর অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করে ফলাফল ঘোষণা করে শিক্ষার্থীর অভিভাবকের নিকট এই ফলাফল তুলে দিতে হবে। শিক্ষার্থীর এই শিখন অগ্রগতির সমন্বিত রেকর্ড প্রত্যেক বিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।

উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত স্মারকের বরাতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড (এনসিটিবি) তাদের মতামতে জানিয়েছে যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম রুপরেখা ২০২১ এ প্রাক-প্রাথমিক হতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অনুমােদিত মূল্যায়ন নীতিমালায় প্রাথমিক স্তর থেকে এসএসসি বা মাধ্যমিক পরীক্ষার পূর্বে কোনাে ধরণের পাবলিক পরীক্ষা অর্থাৎ পিইসি, জেএসসি বা জেডিসি পরীক্ষা না গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

০২। জাতীয় শিক্ষাক্রম রুপরেখা ২০২১ ও পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আলােকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ১ম শ্রেণির কোন প্রান্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। তবে প্রবর্তিত ধারাবাহিক মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে প্রতি প্রান্তিকের ফলাফল প্রদান করা হবে। এছাড়াও ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২য় ও ৩য় শ্রেণিতে নতুন বই প্রবর্তন সাপেক্ষে শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা এবং ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে হতে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণিতে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়নের সংমিশ্রণে মূল্যায়ন ব্যবস্থা থাকবে। ২০২৩ সালে ধারাবাহিক মূল্যায়ন প্রবর্তনের পূর্বে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রচলিত পরীক্ষা তথা মূল্যায়ন পদ্ধতি চলমান থাকবে। এ ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত নির্দেশনাবলী অনুসরণযােগ্য:

(ক) বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে শােনা, বলা, পড়া এবং লেখা বিষয়গত নির্দেশনা মােতাবেক শিক্ষার্থীর দক্ষতা পরিমাপ করতে হবে। পড়া ও লেখা শ্রেণি পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা পরিমাপ করতে হবে। শিক্ষক বিদ্যালয় খােলার তারিখ হতে যতগুলাে শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে যে কয়টিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে এমন পরীক্ষার ৫টির নম্বর গণনা করবেন। প্রত্যেকটি শ্রেণি পরীক্ষায় ২০ নম্বরের উপর পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

(খ) গণিত বিষয়ে গাণিতিক ধারণা, প্রক্রিয়াগত ধারণা এবং সমস্যা সমাধানের উপর লিখিত শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরণের পরিমাপ শিক্ষকগণ এতদিন করে এসেছেন। সুতরাং শিক্ষক বিদ্যালয় খােলার তারিখ হতে যতগুলাে শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে যে কয়টিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে এমন পরীক্ষার ৫টির নম্বর গণনা করবেন। প্রত্যেকটি শ্রেণি পরীক্ষায় ২০ নম্বরের উপর পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

(গ) বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং অন্যান্য বিষয়সমূহে বিষয়গত জ্ঞান, বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার জ্ঞান, | দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবােধ, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবােধ ও অনুশাসন প্রভৃতি পরিমাপের উপর বিদ্যালয় খােলার তারিখ হতে যতগুলাে শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে যে কয়টিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে এমন পরীক্ষার ৫টির নম্বর গণনা করবেন। প্রত্যেকটি শ্রেণি পরীক্ষায় ২০ নম্বরের উপর পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

(ঘ) প্রত্যেকটি বিষয়ের শ্রেণি পরীক্ষাসমূহের মােট নম্বরের (৫টি) ৪০% এবং বাকী ৬০ নম্বরের উপর ৩য়। প্রান্তিক পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এ শ্রেণি পরীক্ষাসমূহ ও ৩য় প্রান্তিকের পরীক্ষার নম্বর যােগ করে ২০২২ এর । শিক্ষার্থীর অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে। বাংলাদেশের সকল বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা একটি সুনির্দিষ্ট তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

(ঙ) শিক্ষার্থীর অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করার পর প্রত্যেক বিদ্যালয় তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ের ফলাফল। ঘােষণা করবেন এবং শিক্ষার্থীর অভিভাবকের নিকট এই ফলাফল তুলে দিবেন।

(চ) শিক্ষার্থীর এই শিখন অগ্রগতির সমন্বিত রেকর্ড প্রত্যেক বিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।

০৩। এমতাবস্থায়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড এর উল্লিখিত মতামতের ভিত্তিতে চলতি ২০২২ সালে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণি হতে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রচলিত পরীক্ষা তথা মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক প্রেরিত মূল্যায়ন ছক (মূল্যায়ন ছক) অনুযায়ী মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরােধ করা। হলাে।







PDF Download

No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.