ad

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ইএফটি (EFT) নিবন্ধন ফরম ও পুরণের নিয়মাবলীঃ

Views

 




EFT এন্ট্রি করার সময় বাড়লো। সুতরাং,


১/ যাদের পে ফিক্সেসন এ সমস্যা আছে দ্রুত সংশ্লিষ্ট হিসাব রক্ষণ অফিসে যোগাযোগ করে সংশোধন করে নিন।
২/ যাদের সন্তানের জন্ম নিবন্ধন নেই তারা দ্রুত সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করে জন্ম নিবন্ধন করে নিন।
৩/ যাদের জিপিএফ হিসাব খোলা নেই তারা দ্রুত আপনার শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট হিসাব রক্ষণ অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে জিপিএফ হিসাব খুলে নিন।
৪/ পে-ফিক্সেসন,ই-প্রাইমারি সিষ্টেম,ইএফটি,ব্যাংক একাউন্ট সহ অফিসিয়াল সব স্থানে আপনার নিজস্ব NID দ্বারা রেজিস্ট্রেশন কৃত মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
৫/ যারা জিপিএফ হিসাবে পুর্বে প্রদানকৃত নমিনী পরিবর্তন বা একের অধিক সংখ্যক নমিনী নিযুক্ত করতে চান তারা সংশ্লিষ্ট হিসাব রক্ষণ অফিসে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
৬/ যাদের ব্যাংক হিসাবের নাম সার্টিফিকেট ও NID এর নামের সাথে মিল নেই তারা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে গিয়ে নাম সংশোধন করে নিন।
৭/যাদের NID কার্ডের নাম কিংবা অন্য কোনো তথ্য ভুল বা সার্টিফিকেট এর সাথে অমিল রয়েছে তারা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংশোধন করে নিন।
এতে আপনার ই উপকার হবে। ধন্যবাদ।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ইএফটি (EFT) নিবন্ধন ফরম ও পুরণের নিয়মাবলীঃ

---------------------------------------------------------------

----------------------------------------------------------------------------------
***সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন ভাতা ০১ জানুয়ারি ২০২১ থেকে অনলাইনে দাখিল ও EFT এর মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের লক্ষ্যে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মাঠ পর্যায়ের হিসাবরক্ষণ অফিস সমূহকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।








------------------------------------------------------------------
***ফরমের সাথে যে সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে:
EFT এর ফর্ম পূরণের জন্য নিম্নোক্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
IBAS++ -এ তথ্য এন্ট্রি শেষে প্রিন্ট কপি (৪ সেট) বের করে নিচের যেগুলোর শেষে "ফটোকপি" লেখা আছে সেগুলো ৪ সেট জমা দিতে হবে।
১. জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
২. এসএসসি সনদের ফটোকপি।
৩. শিক্ষকের ব্যাংক হিসাবের চেক বইয়ের ফটোকপি (রাউটিং নম্বর সহ)।
৪. স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
৫. সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদ/ জাতীয় পরিচয় পত্রের/ প্রতিবন্ধী সন্তানের ক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয় পত্রের ফটোকপি । (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
৬. ঋণ সংক্রান্ত তথ্যাদি জিপিএফ/গৃহনির্মাণ /কম্পিউটার /মোটরসাইকেল ইত্যাদি। (যদি থাকে।
৭. উচ্চতর স্কেলের তথ্য। (পেয়ে থাকলে)
৮. সর্বশেষ বার্ষিক বর্ধিত বেতন নির্ধারণের ফটোকপি।
৯. সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) এর তথ্য।
১০. ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য: হিসাবের নাম (ইংরেজিতে), হিসাব নম্বর (ধরণসহ) ব্যাংকের নাম, শাখা।


বিঃদ্রঃ
১. ব্যাংক হিসাবের নামে ব্রাকেট, হ্যাশ, ট্যাগ ও আন্ডার স্পেস থাকা যাবে না। থাকলে তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হতে সংশোধন করে নিতে হবে। যেমন- মনিরুল ইসলাম(কদু) এভাবে থাকলে পরিবর্তন করে মনিরুল ইসলাম কদু করতে হবে।
২. প্রায় সকল তথ্য ইংরেজিতে লিখতে হবে। শুধু নির্দেশিত তথ্য বাংলায় লেখা যাবে।
৩. ফরমটি পেন্সিল দিয়ে পূরণ করলে ভুল হলে সংশোধন করা সহজ হবে।
************************************************************************************************

###জরুরী বিষয়###
(Ibas++ training নিয়েছে এমন একজনের তথ্যের আলোকে)।
১। মাতৃত্বকালীন ছুটি আর সন্তানের জন্ম তারিখে মিল না থাকলে কোন সমস্যা হবে না।
২। যাদের স্বামী/ স্ত্রীর আইডি কার্ড নেই তাদের ক্ষেত্রে ঔ ঘর টা ফাকা রাখলে হবে, সমস্যা নেই। তবে পরে দ্রুত করিয়ে নিলে ভাল হয়।
৩। যারা জিপিএফ এ সুদবিহীন নিতে চান শুধু ফরমে টিক দিলেই হবে, অফিসে কোন আবেদন লাগবে না।
৪। যাদের জিপিএফ নং নাই তাদের ঔ ঘর টা ফাকা রাখলে হবে, সমস্যা নেও। দ্রত পরে করে নিবেন।
৫। সন্তানের ক্ষেত্র বাচ্চার বয়স ৫ হলে জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামুলক, না হলে শিক্ষা ভাতা পাবে না। ৫ এর কম হলে যাদের নিবন্ধন নাই তাদের সমস্যা নাই, কিন্তু দ্রুত করিয়ে নিবেন।
৬। হেড স্যারেরা আপতত ৩ য় শ্রেণির ঘরে টিক দিবেন।
৭। NID নং অবশ্যই ফিক্সেশান এ যেটা দিয়েছেন সেটাই দিতে হবে, এর ব্যত্যয় ঘটলে বেতন আসবে না।
৮। ব্যাংক একাউন্ট এ আপনার যে নাম আছে সেটাই দিতে হবে, যদি সেটা ভুল ও হয়। যেমন আমার নাম ISTIAK AHAMMAD কিন্তু ব্যাংক হিসেবে আমার নাম ISTIAK AHMED ব্যাংক হিসাব নং এ আমার নাম ISTIAK AHMED অর্থাৎ ভুলটাই লিখতে হবে।
৯। ব্যাংক একাউন্ট নম্বর অবশ্যই অনলাইন নম্বর হতে হবে। যাদের অনলাইন নম্বর নাই তারা দ্রুত করে নিন।
১০। যাদের জিপিএফ থেকে লোন আছে শুধু তাদের তথ্য দিতে হবে, অন্য কোন লোনের ক্ষেত্রে কোন তথ্য দেয়ার প্রয়োজন নেই।



EFT তে ৬ টা জিনিস গুরুত্বপূর্ণ-
১) মোবাইল নম্বর
২)নিজের পরিচয়পত্র নম্বর
৩) ব্যাংক একাউন্ট
৪) ব্যাংকের রাউটিং নম্বর
৫) মুল বেতন (ফিক্সেশান copy) ও
৬) জিপিএফ তথ্য।
বাকিগুলো সব অপশনাল,
যেহেতু আপনার কাছে EFT এর ID ও password থাকবে সেহেতু ভবিষ্যতে যেকোন সময় এগুলো যোগ করলেই হবে। সন্তানের শিক্ষা ভাতার জন্য সন্তানের বয়স ৫ হলে জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক।

EFT ফরম পূরণে কিছু সর্তকতা।
> NID নম্বর অবশ্যই 17/10 ডিজিটের দিতে হবে; তবে পে-ফিক্সেশনে যে NID নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে সেই নম্বরই ব্যবহার করতে হবে।
> চাকরিতে প্রবেশের ধরণ: এখানে সরাসরি নিয়ােগ প্রাপ্ত, PEDP-2/3 এর আওতায় নিয়ােগ প্রাপ্ত, প্রাক-প্রাথমিক,প্যানেল ,পুল শিক্ষকগণ ১ নম্বর ঘরে টিক চিহ্ন জাতীয়করণকৃত শিক্ষকগণ ২ নম্বর ঘরে এবং ADB থেকে নিয়ােগ প্রাপ্ত শিক্ষকগণ ৪ নম্বর ঘরে টিক চিহ্ন দিবেন।
* Religion: যার যে ধর্ম সে অনুযায়ী ধর্মের টিক চিহ্ন দিতে হবে নচেৎ উৎসব ভাতা পেতে সমস্যা হবে।
> Mobile No: পে-ফিক্সেশনে যে মােবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে সেই নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
> পারিবারিক তথ্যাদির ঘরে স্বামী/স্ত্রীর NID নম্বর অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে (বিবাহিতদের জন্য)।
> সন্তানের জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করতে হবে; যাদের দুই এর অধিক সন্তান আছে তাদের তথ্যও দিতে হবে। শুধু (৫-২৩) বছর বয়স পর্যন্ত দুই সন্তানের জন্য শিক্ষা সহায়ক ভাতা প্রাপ্ত হবেন।
> প্রতিবন্ধী সন্তান যাদের আছে তাদের সমাজ সেবা থেকে একটি Identification no দিয়ে থাকে সেটিসহ ব্যবহার করতে হবে।
> Bank হিসাব: খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই আপনার চেক বইয়ে যেরকম আপনার নাম হিসাবের ধরণ আছে ঠিক সেরকম তথ্য দিতে হবে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর অবশ্যই ১৩ ডিজিটের দিতে হবে সঠিক রাউটিং নম্বর সহ। তবে চাইলে নতুন করে যে কোন অনলাইন ব্যাংকের হিসাব নম্বর ব্যবহার করতে পারেন। যেমন; ডাচ বাংলা ইসলামী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক,উত্তরা ব্যাংক ইত্যদি। মনে রাখবেন আপনার ব্যাংক হিসাব নম্বরটি ভুল হলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আপনার EFT ফেরত আসবে তাই পুনরায় বেতন পেতে কামেলা পােহাতে হবে তাই সঠিক হিসাব নম্বর ব্যবহার করবেন।
> চাকরি সংক্রান্ত তথ্য: এখানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক উভয়ই বর্তমান শ্রেণির ঘরে ৩য় শ্রেণি তে টিক চিহ্ন দিবেন।
> GPF সংক্রান্ত তথ্য: এখানে যারা সুদ নিতে চান তারা সুদসহ আর যারা সুদ নিতে না চান তারা সুদ ছাড়া ঘরে টিক চিহ্ন প্রদান করবেন।
EFT ফরম পূরণের ক্ষেত্রে কোন জটিলতা মনে হলে সংশ্লিষ্ট অফিসারের সাথে যোগাযোগ করুন।চাইলে আমাকেও নক করতে পারেন।


EFT ফরম পুরণ সংক্রান্ত কিছু বিষয় পড়ে নিন।
Electronic Funds Transfer (EFT)
১। নতুন ইএফটি ফরমে পাতা আছে চারটি। সবকটিই পূরণ করতে হবে। ইএফটি ফরমে তিনটি সার্ভার থেকে কিছু তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে (অটো) চলে আসবে। এগুলো হলো-
ক. এনআইডি সার্ভার থেকে
খ. পে-ফিক্সেশন থেকে
গ. বাংলাদেশ ব্যাংক সার্ভার থেকে
বিশেষ করে ব্যক্তিগত তথ্য, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, বেতনের অংশ এবং ব্যাংক হিসাব নম্বরের বিপরীতে কিছু তথ্য উক্ত তিনটি সার্ভার থেকে আসবে। তাই এই তিনটি অংশ কোনক্রমেই ভুল করা যাবে না।
২। পুরো ফর্মের ৬ (ছয়)টি জায়গায় বাংলায় নাম লিখতে হবে। বাকিগুলো ইংরেজিতে লেখাই ভালো হবে। এতে করে ডাটা এন্ট্রি যারা করবেন তাদের জন্য সুবিধা হবে। ইংরেজিতে নাম লেখার সময় Capital Letter ব্যবহার করলে ভালো হয়।
ফরমের যে সমস্ত জায়গায় বাংলায় নাম লিখতে হবে-
ক. ১.০ প্রাথমিক তথ্যাদির * কর্মচারীর নাম
খ. ২.২ পারিবারিক তথ্যাদির ২.২.১ এ স্বামী/স্ত্রী সম্পর্কিত তথ্যাদির ৩ (তিন) নম্বর কলামে।
গ. ২.২.২ এর সন্তান সম্পর্কিত তথ্যাদির ৫ (পাঁচ) নম্বর কলামে। (যাদের প্রয়োজন তারা লিখবেন।)
ঘ. ২.২.৩ প্রতিবন্ধি সন্তান সম্পর্কিত তথ্যাদির ৪ (চার) নম্বর কলামে (যাদের প্রয়োজন। তারা লিখবেন।)
ঙ. ৫.২ জিপিএফ নমিনি সংক্রান্ত তথ্যাদির ৪ (চার) নম্বর কলামে
চ. ৯.০ চাকুরিজীবির অবর্তমানে পেনশন প্রাপ্তির উত্তরাধিকারী মনোনয়ন অংশের ৪ (চার) নম্বর কলামে।
৩। ১.০ প্রাথমিক তথ্যাদির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এর ক্ষেত্রে পে-ফিক্সেশনে ব্যবহৃত নম্বরটি দিতে হবে। এক্ষেত্রে নতুন আইডি কিংবা পুরাতন আইডি ধরা যাবে না। কারণ পুরাতন আইডিতে ডিজিট আছে ১৭টি। নতুন আইডি কিংবা স্মার্ট কার্ডে ডিজিট আছে ১০টি। এ বছরের পে-ফিক্সেশনের কপি নিয়ে দেখতে হবে কোন আইডি নম্বর ব্যবহৃত হয়েছে। যে আইডি নম্বর ব্যবহৃত হয়েছে সেটাই দিতে হবে। কারণ আইডি নম্বরের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু তথ্য EFT টিতে চলে আসবে।
৪। ১.০ প্রাথমিক তথ্যাদির সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের ধরন অংশে চারটি অপশন আছে। চার নম্বর অপশন- উন্নয়ন প্রকল্প হতে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর। এই অংশটির জন্য সবচেয়ে ভালো হয় উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করা। কারণ এ অংশের অন্তর্ভূক্ত কারা তা উপজেলা শিক্ষা অফিস ভালো বলতে পারবে।
৫। ২.০ ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও ব্যাংক একাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যাদির ২.১ এ মোবাইল ফোন নম্বর অংশে পে-ফিক্সেশনের নম্বর দিতে হবে এমন কোন কথা ট্রেনিং এ বলে নাই। কারণ সফটওয়ারে মোবাইল নম্বরটি টাইপ করে দিতে হবে। মূলত মোবাইল নম্বর চাওয়া হচ্ছে ব্যাংক হিসেবে সরাসরি অর্থ প্রেরণের তথ্য এসএমএস এর মাধ্যমে জানানোর জন্য মোবাইল নম্বর প্রয়োজন- এটাই প্রথম পৃষ্ঠার শেষে উল্লেখ আছে। কারণ এই মোবাইল নম্বরে ব্যাংক হিসেবের তথ্য আসবে। তবে পে-ফিক্সেশনের মোবাইল নম্বরও দেওয়া যাবে।
৬। ২.২.২ সন্তান সম্পর্কিত তথ্যে সব সন্তানের তথ্য দিতে হবে। কিন্তু শিক্ষা ভাতা পাবে মাত্র দুই জন। সন্তানের বয়স ৫ থেকে ২৩ বছর পর‌্যন্ত। তবে সন্তান বিবাহিত হলে সে শিক্ষাভাতার যোগ্য নয়। সন্তানের তথ্য না দিলে সে শিক্ষাভাতা পাবে না। কারণ সন্তানের শিক্ষাভাতা ফিক্সেশনের সাথে জড়িত। এন্ট্রির সময় পে-ফিক্সেশন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা আসবে। তথ্য না থাকলে বেতন অংশে শিক্ষাভাতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আসবে না।
৭। ১.৩ ব্যাংক হিসাব তথ্য অংশে ব্যাংক হিসেবের নাম যেভাবে আছে সেভাবেই লিখতে হবে। কোনক্রমেই এনআইডি কিংবা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী লেখা যাবে না। কারণ এই অংশটির তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে রক্ষিত। তাই ব্যাংক হিসেবে ব্যবহৃত নাম না দিয়ে এনআইডি কিংবা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী নাম দিলে ইএফটি ফেরত আসবে। ধরা যাক কোন ব্যক্তির এনআইডি কিংবা শিক্ষা সনদে নাম আছে রাহুল ইসলাম রাতুল। কিন্তু ব্যাংক হিসেবে আছে রাহুল ইসলাম। এক্ষেত্রে এনআইডি কিংবা শিক্ষা সনদে থাকা রাহুল ইসলাম রাতুল নামটি ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করলে বেতন আসবে না। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে ব্যাংক হিসেবে নাম আছে রাহুল ইসলাম। ব্যাংক হিসাবের ধরনে সঞ্চয়ী (Savings) এ টিক চিহ্ন দিতে হবে।
রাউটিং নম্বরঃ- সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নাম + routing numer লিখে গুগলে সার্চ দিলেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের রাউটিং নম্বর পাওয়া যাবে। যেমন- sonali bank routing number লিখে সার্চ দিলে সমগ্র বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার রাউটিং নম্বর পাওয়া যাবে।। সেখান থেকে নির্দিষ্ট ব্যাংক শাখার রাউটিং নম্বরটি নিতে হবে। অথবা চেক বইয়ের পাতায় কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকেও রাউটিং নম্বর জেনে নেওয়া যাবে। মনে রাখতে হবে ব্যাংকের রাউটিং নম্বর ভুল করা যাবে না।
৮। ৩.০ চাকরি সম্পর্কিত তথ্যাদির বর্তমান শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণিতে টিক চিহ্ন দিতে হবে।
৯। ৩.৩ প্রথম যোগদানঃ এখানে প্রথম যোগদানকৃত বিদ্যালয়ের নাম লিখতে হবে এবং ঐ সময় বেতন গ্রেড ও স্কেল কত ছিল তা লিখতে হবে। যা শিক্ষা অফিস থেকে জেনে নেওয়া ভালো।
১০। পদোন্নতি/উচ্চতর স্কেলের তথ্যাদিতে সিইনএড/ডিপিএড/বিএড করলে তা উচ্চতর স্কেল হিসেবে গণ্য হবে এবং সে তথ্য দিতে হবে। সিলেকশন গ্রেড , টাইম স্কেলও এখানে আসবে। পদোন্নতি পেয়ে থাকলে সে তথ্যও দিতে হবে।
১১। ৪.০ বেতন ভাতাদি ও কর্তন সম্পর্কিত তথ্যাদি সতর্কতার সাথে পূরণ করতে হবে। কারণ এখানকার তথ্য পে-ফিক্সেশন থেকে আসবে। যদি এন্ট্রির সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই অংশের তথ্য না আসে তবে পে-ফিক্সেশনে ভুল থাকতে পারে। যা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে সংশোধন করে নিতে হবে। সন্তানের তথ্য এন্ট্রি না দিলে এই অংশে শিক্ষাভাতা শূন্য দেখাবে। সেক্ষেত্রে ২.২.২ এ সন্তানের তথ্য অবশ্যই দিতে হবে।
১২। ৪.২ কর্তনসমূহ থেকে যাদের জন্য প্রযোজ্য তারাই দিবেন। কল্যাণ কর্তন দেওয়ার দরকার নাই। স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নিবে। কল্যাণ কর্তন ফরমে উল্লেখও নাই।
১৩। ৫.১ সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল (GPF): যাদের করা আছে তারা তথ্য দিবেন। তথ্য নিজের কাছে না থাকলে হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন। যাদের নাই তারা NO লিখবেন। এন্ট্রির সময় নির্দিষ্ট টাকার পরিমাণ বসিয়ে No সিলেক্ট করে দিতে হবে। এক্ষেত্রেও শিক্ষা অফিসের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
১৪। ৫.৩ চলমান জিপিএফ অগ্রিমঃ যারা জিপিএফ থেকে লোন নিয়েছেন তারা তথ্য অবশ্যই দিবেন। যারা নেন নাই তারা N/A লিখবেন। এখানে সর্তকতার সাথে কাজ করতে হবে। কারণ লোন নিলে কিস্তি ম্যানুয়ালি অন অফ করা যায়। কিন্তু EFT তে সে সুযোগ থাকবে না। ধরা যাক, কেউ যদি ৬০ কিস্তির জন্য লোন নেয় এবং ৪০ কিস্তি পরিশোধ করে ৫ মাস কিস্তি অফ রাখে। তবে পরের ২০ কিস্তির জন্য পরের মাস থেকে হিসেব ধরে ২০ কিস্তি সিলেক্ট করে দিতে হবে। নতুবা কিস্তি শুরুর তারিখ উল্লেখ করলে অটো কাটতেই থাকবে। কারণ সফটওয়ার বুঝতে পারবে না আগে কিস্তি দেওয়া হয়েছে কি না।
১৫। ৬.০ বর্তমান ঋণ সংক্রান্ত তথ্যাদিঃ
এখানে ৫ (পাঁচ)টি ঘর দেওয়া আছে- গৃহনির্মাণ ঋণ, কম্পিউটার ঋণ, মোটর সাইকেল ঋণ, মোটরকারণ ঋণ এবং বাইকেল ঋণ। এগুলোর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে (যে ব্যাংকে বেতন নেওয়া হয়) ঋণ নিলে তার তথ্য দিতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে কনজুমার/ পার্সনাল ঋণ নিলে তা এখানে আসবে কিনা সে সম্পর্কে জানতে শিক্ষা অফিসের দ্বারস্থ হওয়াই উত্তম। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ছাড়া অন্য ব্যাংক বা সংস্থা থেকে ঋণ নিলে তার তথ্য এখানে আসবে না।
১৬। ৭.০ গৃহীত অর্জিত ছুটি/লিয়েন সম্পর্কিত তথ্যাদিঃ
৭.১ অনুমোদিত ছুটিঃ এখানে অর্জিত, প্রসূতি, অধ্যয়ন ছুটি এবং ছুটির উদ্দেশ্য- হজে গমন, বহিঃবাংলাদেশ গমন, শ্রান্তি বিনোদন ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। সার্ভিস বুকে এ সংক্রান্ত তথ্য পাবেন। মাতৃত্ব ছুটির সাথে অনেকের সন্তানের জন্মনিবন্ধনের বয়স মিল না থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সমাধানের জন্য শিক্ষা অফিসের দ্বারস্থ হওয়াই উত্তম।
৭.২ লিয়েন কারো থাকলে দিবেন না থাকলে N/A লিখতে হবে।
১৭। ৪.০ শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা (যদি থাকে):
কারো থাকলে দিতে হবে। যা সার্ভিস বুকে আছে।
১৮। ৯.০ চাকুরীজীবির অবর্তমানে পেনশন প্রাপ্তির উত্তরাধিকারী মনোনয়নঃ
নিয়ম অনুসারে স্বামী/স্ত্রীর নাম আসবে। কিন্তু অন্য কাউকে দিতে চাইলে তার শতকরা হার নির্ধারণ করে দিতে হবে। যতজনকে দিবেন ততজনকেই অংশ শতকরা হারে উল্লেখ করতে হবে।
বিশেষভাবে উল্লেখ যে, ফরম স্পষ্ট অক্ষরে লেখার চেষ্টা করতে হবে। অস্পষ্ট ও হাতের লেখা বুঝা না গেলে এন্ট্রি দিতে সমস্যা হতে পারে। তবে EFT ফরম পূরণ করা নিয়ে চিন্তার কিছু নাই। কারণ তথ্য এন্ট্রির পর প্রত্যেককেই তার প্রুভ কপি দেওয়া হবে। প্রুভ কপিতে তথ্য ঠিক থাকলে তবেই তা Approve হবে। কোন ভুল থাকলে পরে তা পরিবর্তন করা যাবে। তবে ব্যক্তিগত তথ্য, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, ব্যাংক হিসেব এবং বেতনের অংশের তথ্য যেন ভুল না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। নতুবা EFT এন্ট্রি হলেও উপর্যুক্ত তথ্যের ভুলের কারণে বেতন না এসে উল্টো EFT ফেরত আসতে পারে।

ইএফটি ফর্ম (ইমেজ)




আমার নিজের পুরণকৃত ইএফটি ফর্ম




EFT ফরম পূরণ ও জমাদান সম্পর্কিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সর্বশেষ চিঠি।











যে সমস্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন তার স্ক্যান কপি দেয়া হলোঃ
এনআইডি (নিজের)
পে ফিক্সেশন কপি 

***পিইডিপি আওতাভুক্ত সকল শিক্ষক "স্থায়ী পদের বিপরীতে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত" এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিপত্র।


ই-টি আই এন সনদ (টিন নম্বর)

এন আই ডি (স্ত্রীর)
সন্তানের এন আই ডি/ জন্মসনদ
চেক বইয়ের কভার পেজঃ
নিয়োগ পত্রের কপিঃ
প্রয়োজন অনুসারে জাতীয় বেতন স্কেলের কপি (গ্রড, মুল বেতন ও বেতন স্কেল দেখার জন্য)
সার্ভিস বুকের ফটোকপিঃ
সার্ভিস বুকের ফটোকপিঃ
সার্ভিস বুকের ফটোকপিঃ
সার্ভিস বুকের ফটোকপিঃ



সেলারি শীট





জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫
পিটি আই পাশের কপি



উন্নিত স্কেল


                                              উন্নিত স্কেল


জিপিএফ স্লিপ



দেখে নিন ভিডিওটিঃ




******************************************************



সংগ্রহে রাখুন-স্কেল গেজেটঃ ১৯৯৭, ২০০৫, ২০০৯, ২০১৫ 

EFT ফরম পূরণ করতে গিয়ে যারা গ্রেড খুঁজে পান না তাদের জন্যঃ







E F Tএর জন্য ম্যানুয়াল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

আরও জানতে ক্লিক করুন।




No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.