ad

পুরণ করে রাখুন সকল সরকারি কর্মচারীদের জন্য ই এফ টি (EFT) ফরম শীঘ্রই প্রয়োজন পরবে।

Views

 



পুরণ করে রাখুন সকল সরকারি কর্মচারীদের জন্য ই এফ টি (EFT) ফরম শীঘ্রই প্রয়োজন পরবে। 

২০২০/জুন এর মধ্যে সকল দপ্তরে চালু হচ্ছে EFT এবং E-Filing
*********************************************************
অর্থ বিভাগের ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বার্ষিক উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা মোতাবেক আগামী জুন ২০২০ এর মধ্যে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার EFT পদ্ধতির মাধ্যমে সকল পেনশনারের ব্যাংক হিসাবে পেনশন প্রদানের সিদ্ধান্ত রাখা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত পরিকল্পনায় সকল মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে ই ফাইলিং ব্যবস্থা চালুকরণের অনুসিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

উক্ত পরিকল্পনায় আরও বলা হয়েছে আগামী জুন ২০২০ এর মধ্যে সকল মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার এর মাধ্যমে ১১-২০তম গ্রেডভূক্ত কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ই এফ টি কি?
ইলেকট্রিক তহবিল স্থানান্তর বা ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফার হলো কম্পিউটার ভিত্তিক সিস্টেমের মাধ্যমে এক বা একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এর একাধিক হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর বা বিনিময় করা।
সরকারি হিসাব মতে ই এফ টি হলো, জি টু পি (গভর্নমেন্ট টু পারসন) প্রক্রিয়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের একটি প্রক্রিয়া।
আরো সোজা কথায় বলতে গেলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একাউন্ট অফিসের মধ্যস্থতা ছাড়াই আইবাস প্লাস প্লাস এর মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে নিজের বেতন ভাতা সাবমিট করতে পারবেন এবং তা নিজের ব্যাংক হিসাবে নিমিষেই পেতে পারবেন।
গতানুগতিক পদ্ধতি ও ই এফ টির মধ্যে পার্থক্য কি ?
গতানুগতিক পদ্ধতি-
বর্তমানে শিক্ষক-শিক্ষিকারা গতানুগতিক ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে থাকে। সে কারণে বেতন-ভাতা পেতে কখনও অনেক বেশি দেরি হয়ে যায়। এই পদ্ধতিতে প্রধান শিক্ষক বেতন বিল তৈরি করেন। তারপর নিজে স্বাক্ষর করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির প্রতিস্বাক্ষর নেন। পরে বেতন বিলে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষর করেন। এরপর উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষর করলে ওই বেতন বিল জমা দিতে হয় উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসারের কার্যালয়ে। উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস বেতন বিল পাস করে ব্যাংকে পাঠান।
এরপর ব্যাংকের কর্মকর্তারা যাচাই করে বেতন বিলের বিপরীতে শিক্ষকদের হিসাবে টাকা ট্রান্সফার করেন। তখন শিক্ষকদের নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হওয়ার পর বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারেন।
ই এফ টি-
বেতন ভাতা পাওয়ার জন্য কারো সই স্বাক্ষর লাগবেনা। বেতন বিল নিয়ে ছোটাছুটি ও করার দরকার নাই। শুধু মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে আইবাস প্লাস প্লাস এ নিজের আইডি তে যেয়ে অটো জেনারেটেড বেতন-ভাতা সাবমিট করলেই নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বেতন ভাতা উত্তোলন করা যাবে।
ই এফ টি এর সুবিধা কি কি ?
১. এক ক্লিকেই নিজের বেতন-ভাতা নিজেই সাবমিট করতে পারবেন।
২. উপরোস্থ কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর লাগবে না।
৩. ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষর লাগবে না।
৪. একাউন্ট অফিসের বেতন ভাতার কাগজ জমা দিতে হবে না।
৫. যেকোনো সময় অফিসে না যেয়ে জি পি এফের টাকা কর্তন করাতে পারবেন।
৬. কোন ঝামেলা ছাড়াই গৃহঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৭. বেতন ভাতা সংক্রান্ত ৯৫ ভাগ কাজ আপনার হাতের মুঠোয় থাকবে।
৮.পেনশনে যাওয়ার একদিন পর ই সব অর্থ পেয়ে যাবেন।
ই এফ টি এর অসুবিধা কি কি ?
১. ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের যাদের অনীহা তাদের জন্য একটু অসুবিধা হতে পারে তবে এর সুবিধা গুলো ভোগ করার পর সমস্যাকে আর সমস্যা মনে হবে না।
২. প্রত্যেক শিক্ষককে কমপক্ষে একটা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হবে।
ই এফ টি সুবিধা পাওয়ার জন্য করণীয় কি ?
ই এফ টি ফর্মের হার্ডকপি সংগ্রহ করে পূরণ করে শিক্ষা অফিসে জমা দিতে হবে। নিচের ডকুমেন্টস গুলো থেকে যেগুলো অফিস চাইবে সেগুলো হার্ডকপির সাথে জমা দিতে হবে।
১) NID নাম্বার (যে নাম্বার দি‌য়ে পে-ফি‌ক্সেশন করা আ‌ছে) ও জন্ম তা‌রিখ।
২) স্বামী/স্ত্রীর NID নাম্বার ও জন্মতা‌রিখ।
৩) সন্তা‌নের NID নাম্বার (য‌দি থা‌কে) বা জন্মসনদ নাম্বার ও জন্ম তা‌রিখ।
৪) পিতার নাম ও মাতার নাম ইং‌রে‌জি‌তে।
৫) চাকুরী শুরু‌তে বেতন স্কেল, বর্তমান বেতন স্কেল ও টাইম স্কেল/উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত তথ‌্য।
৬) চাকুরী শুরু‌তে যোগদানকৃত বিদ‌্যাল‌য়ের নাম ও বর্তমান বিদ‌্যাল‌য়ের নাম।
৭) শিক্ষা সহায়তা ভাতার তথ‌্য।
৮) ব‌্যাংক ঋণ সংক্রান্ত তথ‌্য।
৯) যে ব‌্যাংক থে‌কে বেতন হয় সে ব‌্যাং‌কের নাম, হিসাব নং ও রাউ‌টিং নাম্বার।
১০) জিপিএফ হিসাব নং, ব‌হি নং, ভলিয়াম নং ও পাতা নং।
১১) জি‌পিএফ মা‌সিক কর্তন ও বর্তম‌ান মোট জমার প‌রিমাণ।
১২) জিপিএফ লোন সংক্রান্ত তথ‌্য।
১৩) অ‌র্জিত ছু‌টি সংক্রান্ত তথ‌্য।
যে তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ -
১. মোবাইল নাম্বার -যেটা পে ফিক্সেশনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
২. এন আই ডি নাম্বার - যেটা পে ফিক্সেশনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিলো।
যারা এন আই ডি সংশোধন করেছেন তাদের পূর্বের নাম্বার ব্যবহার করতে হবে। (এক্ষেত্রে অফিসের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়ে নিবেন )
৩. ব্যাঙ্ক হিসাব।
হেল্পঃ
১.ই এফ টি ফর্মের পি ডি এফ কপি গ্রূপ ডেস্ক্রিপশনে দেয়া আছে ওখান থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে পারেন বা শিক্ষা অফিসের আশেপাশের ফটোকপির দোকানে পেয়ে যাবেন।
ই এফ টি ফর্মের পি ডি এফ কপি ডাউনলোড লিংক
২. পরবর্তীতে সুযোগ হলে পূরণকৃত ই এফ টি ফর্ম দেয়ার চেষ্টা করবো।

বিঃদ্রঃ ই এফ টির মধ্যে শিক্ষক সমাজের বিরাট সুবিধা আছে বলে আমি মনে করি। ই এফ টির তথ্য প্রদান প্রাথমিক ভাবে ঝামেলা মনে হলে ও এর সুদূর প্রসারী সুফলের কথা চিন্তা করে যত দ্রুত সম্ভব যত্নের সাথে কাজটি করে ফেলা উচিৎ।

Download link: 

JPG file





E F Tএর জন্য ম্যানুয়াল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.