ad

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাগণের মধ্যে মন্ত্রণালয়/বিভাগের দায়িত্ব বন্টন সংক্রান্ত মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন।

Views

 


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাগণের মধ্যে মন্ত্রণালয়/বিভাগের দায়িত্ব বন্টন সংক্রান্ত মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন। 

উপদেষ্টাদের কার কী পরিচিতি?
১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ - কজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নবম গভর্নর। ড. ফখরুদ্দীন আহমদ দায়িত্ব ত্যাগের পর তিনি ২০০৫ সালের ১ মে গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্টিত থাকেন।
২. ড. আসিফ নজরুল - একজন বাংলাদেশি লেখক, ঔপন্যাসিক, রাজনীতি-বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। জীবিকাসূত্রে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক।
২০১২ সালে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে টক শোতে দেওয়া বক্তব্যে অগণতান্ত্রিক শক্তিকে উসকানি দেওয়া হয়েছে বলে একটি রিট আবেদন করলে আদালত তাকে তলব করেন।
২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার অফিসকক্ষ কেরোসিন তেল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আসিফ নজরুলকে ২০১৩ সালের মে মাসে টেলিফোন করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিলো। ২০১৭ সালে মাদারীপুর আদালতে আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে ৫০০ ও ৫০১ নম্বর ধারায় মানহানির মামলা করেছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের চাচাতো ভাই জেলা পরিষদের সদস্য ফারুক খান। ২০২১ সালে একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে তার কক্ষের দরজায় ও দেওয়ালে পোস্টারও সাঁটানো হয়। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারাও তার কক্ষে তালা দেন।
৩. আদিলুর রহমান খান - একজন মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশের একজন আইনজীবী এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
২০২৩ সালে অধিকার-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। এক মাস পরেই তারা জামিনে মুক্তি পান। ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযানে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে 'বিভ্রান্তি ছড়ানোর' অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। একই সাথে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো এক মাসের সাজার আদেশ দেয়া হয়েছে।
৪. হাসান আরিফ - শেখ হাসান আরিফ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি।
৫. তৌহিদ হোসেন - বাংলাদেশের একজন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার।
৬. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান - একজন আইনজীবী ও পরিবেশবিদ। তিমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের "পরিবেশ পুরস্কার" এবং প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে "গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ" প্রাপ্ত, এবং ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে টাইম সাময়িকীর "হিরোজ অফ এনভায়রনমেন্ট" খেতাবপ্রাপ্ত। এছাড়া তিনি ২০১২ সালে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার পান এবং ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার পান।
৭. মো. নাহিদ ইসলাম - বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক।
৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া - বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক।
৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.) - একজন বাংলাদেশী সামরিক ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবী, লেখক ও বাংলাদেশের সাবেক নির্বাচন কমিশনার। তিনি ২০০৭ - ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসর প্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। তিনি বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী পত্রিকায় কলাম লেখেন। তাছাডা তিনি ২০টির অধিক বই লিখেছেন।
১০. সুপ্রদিপ চাকমা - সাবেক রাষ্ট্রদূত ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান। তার জন্ম খাগড়াছড়ি জেলার সদর উপজেলার কমলছড়ি গ্রামে। চাকুরিকালে তিনি মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি রাবাত, ব্রাসেলস, আঙ্কারা ও কলম্বোতে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিভিন্ন কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
১১. ফরিদা আখতার - ফরিদা আখতার একজন লেখক, গবেষক ও আন্দোলনকর্মী। বেসরকারি সংস্থা উবিনীগের (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) নির্বাহী পরিচালক তিনি।
১২. বিধান রঞ্জন রায় - জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক।
১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান - একজন বাংলাদেশি সুন্নি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও লেখক। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা, মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক, বালাগুশ শরকের সহকারী সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের কুরআনিক সায়েন্সেস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অতিথি শিক্ষক। তিনি ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের খণ্ডকালীন অধ্যাপক এবং নেজামে ইসলাম পার্টির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন।
১৪. নূর জাহান বেগম - প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসের প্রথম সহযোগীদের মধ্যে একজন। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের বিশেষ প্রোগ্রামের প্রধান ছিলেন, যা গ্রামীণ ঋণগ্রহীতাদের নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ এবং ব্যাংকের সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করেছে।
তিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গ্রামীণ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার, ট্রেনিং অ্যান্ড আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামের পদে কাজ করেছেন এবং গ্রামীণ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মিস নূরজাহান বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, সম্মেলন এবং সেমিনারে বক্তা হিসেবে কাজ করেছেন এবং উন্নয়ন ও নারীর বিষয়ক ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করেছেন।
তিনি গ্রামীণ ট্রাস্ট, গ্রামীণ কৃষি ও পশুপালন ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ শাকতি, গ্রামীণ নিটওয়্যার, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা লি., গ্রামীণ টেলিকম এবং গ্রামীণ বিতরণ লি.-এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। তিনি সেন্টার ফর মাস এডুকেশন ইন সায়েন্সের (CMES) পরিচালনা পর্ষদেও আছেন এবং গ্রামীণফোন লি. বাংলাদেশ এবং গ্রামীণ ফাউন্ডেশন, USA-এর পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ছিলেন।
১৫. শারমিন মুরশিদ - ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থা একটি অধিকার ভিত্তিক সংগঠন। সংস্থাটি ২০০১ সাল থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি বিশেষ করে আদিবাসী জনগনের অধিকার আদায়ে কাজ করে আসছে।
১৬. ফারুক–ই–আজম - ফারুক–ই–আজম হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী বীরপ্রতিক। মহান মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সমন্বিত যুদ্ধাভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’ এর জন্য গঠিত দলের উপ-অধিনায়ক ছিলেন তিনি।




No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.